অবুঝ ছাত্রী সিজন- 02 (শেষ পর্ব)

0
2167

#অবুঝ_ছাত্রী_সিজন2

#লেখক_IR_Iman_Islam

#Part_End???

ঠিক আছে দেখা যাবে ওনি কাজ করবে সব ।

হয়েছে তোদের আর ঝগড়া করতে হবে না।চল ডাক্তার বলছে ওকে বাসায় নিয়ে যেথে।

ওকে চলো তাহলে বাসায় যাওয়া যাক।

হুম।

মা আমি তাহলে জান্নাতুল কে কোলে করে গাড়িতে নিয়ে যাই।

তোর সরম বলতে কিছু নাই রে মাকে বলতেছিস এই কথা।

কিসের সরম মা।বৌউকে কোলে নিতে কিসের সরম।

হয়েছে আমি তোমার কোলে করে যাবো না।আর আমি আমার পা দিয়ে হেটে যেতে পারবো।তোমাকে কষ্ট করে নিয়ে যেতে হবে না।

ঠিক বলেছো বউ মা।তুমি এসো তো আমার সাথে ও থাক এখানে।

ওকে চলো মা।আর তুমি এখানে থাকো।

আমি কেনো থাকবো এখানে আমিও যাবো বাসায়।

তাহলে আমাদের পিছনে পিছনে আসেন।

তারপর বাসায় গেলাম আমারা।বাসা গিয়ে অনেক আনন্দ লাগতেছে বাবা হবো বলে।

দেখতে দেখতে তিন মাস চলে গেলো।অনেক সুখে শান্তিতে আছে আমার এই পরিবার জান্নাতুল বাড়িতে আসার পর থেকে।এখন আর আমি বেশি আমার অফিসে যাই না কারন বউকে আর কাজ করতে দেই না।বউ এর সব কাজ আমিই করে দেই।ও এগুলো করতে মানা করে তাও আমি করি।এখন যদি বউ এর পাশে না থাকি তাহলে তো আমার বউ হতাসা হয়ে পড়বে।তাই তাকে চোখে আড়াল করতে চাই না।

একদিন বউ আমাকে বলতেছে যে

আচ্ছা তুমি যে আমার এতো যত্ন করো।তোমার চেহারা দেখেছো কেমন শুকায় গেছো।

তাই নাকি আমার বউ আর সন্তান ঠিক থাকলে আমি ঠিক।

তাই গো।ভালোই কথা বলতে শিখেছো তো।

হুম দেখতে হবে না কার জামাই।

সেটাই তো।

আমি অফিসে একটা খুব গুরুত্ব পূর্ন কাজ করার জন‍্য যাই।হঠাৎ মা ফোন দিয়ে বলতেছে জান্নাতুল এর বেথা শুরু হয়েছে।তাই আমি অফিসে না থেকে বাসায় তারাতারি নিয়ে যাই।

তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।সাথে সাথে ডাক্তাররা ওকে ওটিতে নিয়ে যাচ্ছে।

ডাক্তার একটু থামেন আমি আমার স্বামীর সাথে কিছু কথা বলতে চাই।

ওকে।এখানে রুগির স্বামী কে।

ডাক্তার আমি।

এখানে আসেন।

আমি তারাতারি জান্নাতুল এর কাছে গিলাম।

কি হয়েছে সোনা।

শুনো না আজকে আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তুমি আমার সন্তানকে দেখে রেখো।আর পারলে একটা বিয়ে করিও।আর আমাদের মেয়ে হলে নুরেজান্নাতুন রেখো তাহলে আমার মেয়েকে ডাকলে আমার কথা মনে রাখবে।

এগুলো কেনো বলতেছো তুমি তোমার কিছু হবে না।আমি তোমাকে ছাড়া কেমন করে বাচবো বলো।

আমি শুনেছি অনেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মারা যায় তাই আমিও যদি যাই।

তোমার কিছু হবে না।

ডাক্তার আর দারিয়ে না থেকে ওকে ওটিতে নিয়ে গেলো।আমি বাহিরে দারিয়ে আল্লাহ্ কে ডাকতেছি জান্নাতুল এর যেনো কিছু না হয়।

দেখিস বাবা জান্নাতুল এর কিছু হবে না।

মা তুমি সত‍্যি বলতেছো।আমি বাচবো না ওর কিছু হলে।এভাবে দুই থেকে তিন ঘন্টা হয়ে গেলো কিন্তু ডাক্তার বাহির হচ্ছে না।

মা ডাক্তার এখনো বাহির হয় না কেনো।

বাবা তুই টেনশন করিস না তো।

আরো এক ঘন্ট অতিক্রম হয়ে গেলো।তারপর ডাক্তার একটা বাচ্চাকে কুলে করে ওটি থেকে বাহি হচ্ছে।

কংগ্রেস জেন্টল ম‍্যান আপনার মেয়ে হয়েছে।ঠিক আপনার স্ত‍্রীর মতো।

ধন‍্যবাদ ডাক্তার।আর আমার স্ত্রী ঠিক আছে তো।

মুখ কালো করে আছে।ডাক্তার কিছু বলতেছে না।

কিহলো ডাক্তার বলে আমার স্ত্রী ঠিক আছে তো।

ছরি আপনার স্ত্রীকে বাচানো যায় নাই।কারন তার শরীলে কোন রক্ত ছিলো না।

এই কথা শুনে আমার চার পাশ মনে হচ্ছে ঘুরতেছে।ডাক্তার আপনি মিথ‍্যা বলতেছেন।

ছরি।

আমি ওটির ভিতরে গিয়ে দেখি।পুরো শরীলটা ওর সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা।আমি কাপড় টা ওটে দেখি সে ঘুমাচ্ছে।কিন্তু কখনো আর এখন ঘুম ভাংবে না।আমার চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছে কিন্তু মুখ দিয়ে কোন কান্নার শব্দ বাহির হচ্ছে না।

জান্নাতুল মারা যাও আজ থেকে পাচটি বছর হয়ে গেলো।মেয়েটা এখন আমার বেচে থাকা সম্বল।

তো দোচ তোর জীবনের কাহিনি শুনলাম তো।ভাবী মারা গেছে পাচ বছর হচ্ছে কিন্তু আর একটা বিয়ে তো করতে পারিস নাকি।

না রে শাকিল।জীবনে একজনকেই ভালো বেসেছি সেটা তো ভাবিকে সেই আমার অবুঝ ছাত্রীকে।সে আমাকে ছেড়ে গেছে তো কি হয়েছে মনে আছে তো আমার।এখানে থাকলেই হবে।ওকে এখানে রেখেই সারাজীবন পার করতে পারবো।

ঠিক আছে বাসায় যাই।সন্ধ‍্যা হয়ে গেলো গল্প করতে করতে।

ওকে চল তাহলে।

এভাবে গল্পটা এখানেই শেষ।
সমাপ্ত।
(বানান ভূল হলে ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাতে ভূলবেন না।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে