#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_23
(22পর্বের পর থেকে )
হুম আর যাও উপরে রাফিজা তার রূমে আছে।
ঠিক আছে আংকেল।তারপর আমি আংকেলের থেকে উপরে চলে আসলাম রাফিজার রূমে।
এসে যা দেখলাম তা কখনো দেখি নাই।বিনা টিকিটে ছবি দেখতেছি আমি তো বিশ্বাসে করতে পারতেছি না।এটা আমি কি দেখতেছি,,,,,,,,?খারাপ কিছু ভাবিয়েন না বন্ধুরা।
আমি তো রাফিজার রূমে এসে দেখি রাফিজা শাড়ি পড়েছে।হাল্কা মুখে মেকাপ বাকা ঠোটে লিপস্টিক কপালে লাল টিপ ইত্যাদি ইত্যাদি আর আপনাদের বলমু না যদি ফির আপনাদের পছন্দ হয়ে যায় তাই হাহাহাহা।
আচ্ছা আজকে আমাকে শাড়ি পড়ে কেমন কাগতেছে।
একদম ভালো লাগতেছে।একবারে ময়দা সুন্দরী লাগতেছে।
কি আমাকে ভালো লাগতেছে না।তাহলে আর এই শাড়ি পড়বোই না এখনেই খুলে ফেলবো।
আরে শাড়ি খুলতেছো কেনো থাক না।
না আমি খুলে ফেসবো।আর কি বললেন আমি ময়দা সুন্দরী।আমি মোটেও ময়দা সুন্দরী না।আমি এমনিতেই ফর্সা ওকে।
আরে রাগ করতেছো কেনো আমি তোমাকে রাগানোর জন্য মজা করলাম।তোমাকে শাড়ি পড়ে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে।এক বারে অবুঝ ছাত্রীর উপরে ক্রাস খাইলাম।
না,আপনি সত্যি কথায় তো বলেছেন আমি ময়দা সুন্দরী।
পাগলী রাগ করেছে তাই আমি তাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলান।
সত্যি বলতেছি তুমি ময়দা সুন্দরী না।তুমি তো ওগুলো মাখতেই পারো না।তুমি এমনিতেই অনেক সুন্দর।
(বন্ধুরা একটা কথা আপনাদের কানে কানে বলি রাফিজাকে বলিয়েন না কিনতু ওকে সেটা হচ্ছে মেয়ে মানুষ যতই সুন্দর হোক না কেনো মেকাপ টা করবেই কারন ছেলেদের তো দেখাতেই হবে আমি বিশ্ব সুন্দরী।কিন্তু এটা তো মেয়েরা জানে না মেকাপ করলে তাদের এক বারে পেত্নি লাগে সেটা তারা বুঝেই না।দেখেন ভাই রাফিজাকে মেকাপের কথা বলাতে কেমন রাগ করেছে সেই রকম।এমনতেই সুন্দর তাও মেকাপ করেছে।আমি যে এটা বললাম ওকে আবার আপনারা বলিয়েন না।)
সত্যি তো।
হুম এক সত্যি,দুই সত্যি,তিন সত্যি।এবার হয়েছে।
হুম আর আমাকে ছাড়ো কেউ দেখে ফেলবে তুমি যে আমাকে জরিয়ে ধরে আছো।
আরে কেউ দেখবে না সোনা।আমার তো তোমাকে জরিয়ে ধরে খুব ভালো লাগতেছে আর একটু থাকি না।
না ছাড়ো তো, আর বিছানায় এখানে বসো।
ঠিক আছে বসলাম এখন বলো।
বলো মানে?
বলো মানে বলো।
আচ্ছা আপনার পরিক্ষা কেমন হয়েছে আজকে।
খুব ভালো হয়েছে।আর একটা খুশির সংবাদ আছে।
কিসের খুসির সংবাদ।
আংকেল আমাকে বললো আমাদের রেজাল দিলে নাকি এংগেস্ট মেনটা করবে আমাদের।
সত্যি বলতেছো।
হুম সত্যি।এখন শুধু রেজাল্ট এর অপেক্ষা।
হুম ঠিক বলেছো।
আচ্ছা তোমার রেজাল্ট দিলে কোন কলেজে ভর্তি হবে।
কেনো
আরে বলো না।
বাবা যেখানে ভর্তি করে দিবে সেখানেই হবো।
ও।এভাবে রাফিজার সাথে টুকটাক কথা বলতে বলতে প্রায় দুপুর হয়ে গেলো।তাই আন্টি দুপুরে না খেয়ে আসতে দিচ্ছে না তাদের বাড়ি থেকে।বাড়ির হবু জামাঈ বলে কথা।না খেয়ে আবার আসতে দেয়।তারপর রাফিজাদের বাসায় খেয়ে চলে আসলাম আমার বাড়ি।
এভাবে দেখতে দেখতে রেজাল্ট দেওয়ার দিন চলে এসেছে।কালকে রেজাল্ট দীবে রাফিজার সে তো সেই টেনশনে আছে।ও তো আমাকে বার বার বলতেছে যে আমি যদি ফেল হই।আমি যানি ও কখনো ফেল হবে না বরং ভালো রেজাল্ট করবে।
যেদিন রাফিজার রেজাল দিবে সেদিন আমি রূমে বসে আছি হঠাৎ রাফিজা ফোন দিয়েছে।তাই ফোনটা রিচিপ করে ওবলতেছে
শুনেন আমি না আজকে খুব খুশি।
কেনো।
আমি জানি ওর আজকে রেজাল্ট দিয়েছে।আংকেল আমাকে ওর আগে ফোন দিয়ে বলে দিয়েছে ও A+ পেয়েছে।জানিও না জানার ভান করলাম।
আমার আজকে রেজাল্ট দিয়েছে।
তাই কি করেছো নাকি ফেল গেছো।(মজা করে বলতেছি)
আমি কি ফেল হতে পারি।আমি A+ পেয়েছি।
কি সত্যি।মিষ্টি খাওয়াবে না।
এ মিষ্টি আপনি খাওয়াবেন কারন আপনার আমি হবু বউ হই আর আমি পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছি তাই আপনি মিষ্টি খাওয়াবেন।
সেটাও তো ঠিক হবু বউ বলে কথা।
আচ্ছা শুনেন।
হুম বলো মহারানি।
বাবা বলতেছে তোমার রেজাল্ট দিলে নাকি তোমার পরিবারের সাথে কথা বলবে বাবা।
আমার পরিবারে শুধু মা ছাড়া কেউ নাই।
ছরি আপনি কি মন খারাপ করলেন আমার কথায়।
আরে না তোমার কথায় কখনো আমি রাগ করতে পারি কি।
হুম।
তারপর রাফিজার সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বললাম।এভাবে এক মাস চলে গেলো।কিছুদিনের মধ্যে আমারো রেজাল্ট দিবে প্রায় 15 দিনের মধ্যে।এদিকে রাফিজা নাকি আমি যে কলেজে পড়ি রাফিজাও সেখানে নাকি ভর্তি হয়েছে।কথাটা শুনে খুব খুশি হয়ে ছিলাম।রাফিজা কলেজে ভর্তি হওয়া দুইদিন হয়ে গেলো।আমার রেজার দিতে আর মাত্র 13 দিন।
আজকে রাফিজার কলেজের প্রথম দিন।তাই সে আমাকে বলেছিলো তার সাথে যাইতে কিন্তু আমি যাই নাই।কারন একটু কাজ ছিলো।কাজটা শেষ করতে প্রায় 4:00 টা বেজে গেলো।রাফিজা জানে না যে আমি আজকে কাজে গিয়েছি।তারপর কাজ শেষ করে বাড়িতে আসলাম।ফ্রেস হয়ে রুমে গিয়ে বিছানায়
শুইতেই রাফিজা ফোন দিয়েছে
হেলো কেমন আছেন আপনি।
ভালো তুমি।তো কলেজের প্রথম দিন কেমন কাটলো।
আমিও ভালো।কলেজের প্রথম দিন আমার খুব ভালো লেগেছে।নতুন বন্ধু বান্ধুবি।
তাই তো নতুন কয়টা বান্ধবী আর বন্ধু করলে।
কেনো।
এমনি বলো।
দুইটা বন্ধু দুইটা বান্ধুবী।
প্রথম দিনে এতো কিছু দ্বিতীয় দিনে কি যে করে।
কিছু বললে।
না কিছু না।মনে কথাও এখন শুন পারে নাকি ও।
আচ্ছা পরে কথা হবে খারাপ লাগতেছে।
ওকে বায়।
এভাবে চলে গেলো পাচ দিন।আমার রেজাল্ট দিতে আর মাত্র সাত দিন।এদিকে রাফিজা নাকি প্রতিদিন কলেজে যাই।রাফিজা কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে দেখতেছি আমার সাথে আর আগের মতো ফোন দেয় না।আগের মতো আর কথা বলে না।কেমন যেনো চেন্জ হয়ে গেছে।আমি ফোন দিলে বলে পরে কথা বলতেছি ব্যস্ত আছি।আবার মাঝে মাঝে ফোন ওয়েটিং দেখতে পাই।কেনো যে রাফিজা এমন করতে।রাফিজার এই অবহেলা আমি আর সর্য করতে পারতেছি না।কষ্টগুলো আমার বুকে মনে হচ্ছে তিরের মতো গেথে ঢুকতেছে।কেনো আমার কষ্ট গুলো ও বুঝতেছে না।
যে রাফিজা আমার সাথে একদিন কথা না বলতে পারলে পাগলি হয়ে যায়।সে আজকে কথা না বলে কেমন করে থাকতেছে।যে আমার জন্য সুসাইট করেছিলো আজ কেমন করে আছে সে আমাকে ছাড়া।
কেনো কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।আমার কি
দোষ।
#চলবে,,,,,,?