#অবহেলার সংসার
#Imran_khan
#পর্ব_০4
তোমার abortion করেছি শুধু তোমার জন্য , কারন আমার বাচ্চাটা প্রয়োজন নেই,প্রয়োজন তোমার সেই রক্তে মাংসের শরীরটা।
আপনার এতো শরীররে নেশা।আপনাকে একদিন পস্তাতে হবে সেদিন কোনো কূলে ঠাই পাবেন না।
সেদিন কখনো আসবে না।
আল্লাহ্ উপরে আছেন তিনি সব দেখতেছেন।এতো নিষ্টুরতা কখনো সয্য করবে না তিনি।ঠিক একদিন বুঝবেন।এটা সব সময় ভাববেন যে আল্লাহ্ মার ধীরে ধীরে।
অনেক বক্তব্য দিয়েছো আমাকে।এখন দোয়া করি যদি তাড়াতাড়ি সুস্হ হও আবারো আগে অবস্হায় ফিরে পাই তোমাকে ।
কাকে সুস্হ হওয়ার কথা বলতেছো, ভাইয়া!
এই তো , তোর ভাবিকে সুস্হ হতে বলতেছি তাড়াতাড়ি।
ও আর তোমাদের কথা হলে , ভাইয়া চলো ভাবিকে নিয়ে বাসায় যাবো আমি আর মা ডাক্তারের থেকে জেনে আসলাম ,যে ভাবিকে আজকেই বাসায় নিয়ে যেথে পারবো।ডাক্তার বললো ভাবিকে ভালো ভাবে কিছুদিন যত্ন করতে তাহলে তাড়াতাড়ি সুস্হ হয়ে যাবে।
আল্লাহ্ কাছে দোয়া করি যেনো আমার লক্ষী বউটা তাড়াতাড়ি সুস্হ হয়।
ওনার মিথ্যে নাটকগুলো দেখে আমার পূরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে এখুনী খুন করে ফেলি।কিন্তু অসুস্হতার কারনে না পারতেছি কিছু করতে,না পারতেছি কিছু শইতে।নিজেকে খুবেই অসহায় মনে হচ্ছে আজকে।
এশা,মা কই রে?
মা আসতেছে। বাবা মাকে ফোন করেছিলো বাবাও নাকি হাসপাতালে আসতেছে।
বাবাকে তুই ফোন করে আসতে মানা কর, কারন জান্নাতুন কে তো কিছুক্ষন পরে বাসায় নিয়ে যাবো অজাথা বাবা এখানে এসে কি করবে?বাবাকে বাসায় থাকতে বল আমরা তো বাসায় যাবো।
ঠিক আছে ভাইয়া আমি এক্ষুনি বাবাকে ফোন করে আসতে মানা করতেছি এখানে।
ওকে।
তারপর এশা কেবিন থেকে বাহিহয়ে চলে গেলো বাবাকে ফোন করার জন্য মনে হয় ।এশা একটু পরে এসে বলতেছে,
ভাইয়া বাবাকে হাসপাতালে আসতে মানা করে দিয়েছি অফিস থেকে বাবা সোজা বাসায় যাচ্ছে।এখানে আর আসবে না।
ঠিক আছে ।কিন্তু মাকে তো কোথাও দেখতেছি না, এশা।
মা তো আমাকে সামনে আগাতে বলে কই গেলো আবার!
কোথাও যাই নি, আমি এসেছি এখন চলো জান্নাতুন মাকে নিয়ে সোজা বাসাই যাই।(আমার শাশুড়ি মা হঠাৎ করে কেবিনে ঢুকে এমন করে বলতেছে।আমি সুয়ে সুয়ে দর্শক এর মতো ওনাদের কথা শুনতেছি )
তোমার অপেক্ষায় ছিলাম মা , এখন এসেছো যখন আর দেড়ি কেনো ভাবিকে নিয়ে বাসায় যাই।
এশা তোর ভাবিকে ধরে বেট থেকে নিচে নামা।
ওকে মা।
তারপর এশা আমাকে আস্তে আস্তে বেট থেকে নিচে নামালো।আমি ঠিক ভাবে দাড়িয়ে থাকতে পারতেছি না কারন ব্যথার কারনে।
ভাবি তুমি হেটে যেথে পারবে তো,না হলে ভাইয়া তোমাকে কোলে করে নিয়ে যাবে।
দরকার নাই আমি হেটেই যেথে পারবো আমাকে কাউকে কোলে করে নিয়ে যেথে হবে না।আল্লাহ্ আমার দুইটি পা দিয়েছে হাটার জন্য।(যাকে ঘৃণা করি তার কোলে কখনো উঠবো না, মরে গেলেও )
কিন্তু ভাবি তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছে তুমি হাটতেই পারবে না।তাই বললাম ভাইয়াকে কোলে নেওয়ার কথা।যদি তোমার সমস্যা না হয়, তাহলে কারো কোলে চড়তে হবে না।তাহলে এখন আমার হাতটা শক্ত করে ধরে হাটতে শুরু করো।
তারপর আমি এশার হাতটা ধরে ধীরে ধীরে হাটতেছি।পা দুটো ব্যথার কারনে ঠিকভাবে হাটতে পারতেছি না।
বউ মা তোমার হাটতে তো কষ্ট হচ্ছে।ঈমান তুই বউ মাকে কোলে করে নিয়ে চল।
না মা ,আমার কষ্ট হচ্ছে না!আমি এভাবেই যেথে পারবো সমস্যা নাই।
ভাবি দেখছো মাও আমার মতো বলতেছে ভাইয়ার কোলে উঠতে ।
মা আমি একবার বলেছি যখন কারো কোলে উঠবো না তখন বার বার জোড় করতেছেন কেনো।আমার শত কষ্ট হলেও চড়বো না,কারো কোলে।
এশা -মা তোমরা দুইজনে জান্নাতুন এর সাথে কি শুরু করে দিয়েছো ও যখন আমার কোলে উঠতে চাচ্ছে না তাহলে অজাথা জোড় করতেছো কেনো?
ঠিক আছে (আমার শাশুড়ি মা আর এশা দুই জনে একসাথে বললো )
আমার শাশুড়ি আর এশা বলার পরেও আমার স্বামী ঈমানের কোলে চড়ি নাই ওনার স্পর্শগুলো এখন ঘৃণায় পড়িনত হয়েছে।অনেক কষ্টে হেটে হেটে হাসপাতালের বাহিরে আসলাম।হাসপাতালের বাহিরে এসে দেখি আমাদের গাড়িটা দাড় করানো।
ভাইয়া তুমি তো গাড়ি চালাবে তাই না।
আমি ছাড়া কি তুই গাড়ি চালাবি?
আমি চালাতে পারলে তোকে কি চালাতে বলতাম, ভাইয়া?
তুই যখন জানিস আমি গাড়ি চালাবো তখন প্রশ্ন করতেছিস কেনো চূপচাপ গাড়িতে উঠো সবাই।
হুম উঠতেছি তুই রাগ দেখাচ্ছিস কেনো।আর ভাবি তুমি সামনের সিটে ভাইয়ার সাথে বসো,আমি আর মা আমি পিছনের সিটে বসতেছি।
আমার সামনের সিটে বসলে সমস্যা হয় তাই বলি কি এশা তুমি না হয় তোমার ভাইয়ার সাথে গাড়িতে সামনে সিটে বসো।আমি না হয় মার সঙ্গে পিছনের সিটে বসতেছি।
তোমাদের কাউকে গাড়িতে উঠতে হবে না,আমি গাড়ি একাই নিয়ে যাচ্ছি তোমরা পরে যেও।
আমরা পরে যাবো মানে।পরে কেমন করে যাবো।আমি সামনে বসতেছি আর ভাবি তুমি আর মা পিছনে বসো।
তারপর আমি আর মা পিছনের সিটে বসলাম আর আমার স্বামী ড্রাইভিং সিটে তার পাশে এশা বসেছে।তারপর আমার স্বামী ঈমান গাড়ি স্টাট দিয়ে চালাতে শুরু করলো।প্রায় এক ঘন্টা পরে বাসায় পৌছিলাম।
বাসায় চলে এসে,,
#চলবে,,,, কী ?