#অপ্রাপ্তি 💔
#ইবনাত_আয়াত
~ পর্ব. ০৯
কেন যেন মানতে পারছি না যে আমি ডিভোর্সড। কেন পারছি না? একটু আগেও তো আমি এই বন্ধনেই আবদ্ধ ছিলাম। কেন আমার সাথে এমন হলো? কখনো কী সুখ টা আমার কপালে ছিল না? হ্যাঁ ছিল কিন্তু দু’বছর আগের সেইদিন থেকেই সব শেষ হয়ে গেছে যে’দিন রিশান আমার লাইফে এসেছিল। হ্যাঁ সে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবনে৷ একটা আপদ। একটা ভুল। আজ মুক্ত হয়েছি এই মিছে সম্পর্ক থেকে। কিন্তু.. আমি যে মানতে পারছি না। আমার ভেতর টা পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। হৃদয় টা যে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এই জ্বলজ্বলিত হৃদয়কে কীভাবে শান্ত করব আমি?
‘ভাবী.. আপু!’
মিহিরের ডাকে ধ্যান ভাঙল। মিহির আবারো বলল, ‘আমরা এসে পড়েছি।’ তার কথায় আশপাশ টা লক্ষ করতেই বুঝলাম সেই চিরচেনা জায়গা টায় এসে পড়েছি। ড্রাইভার আঙ্কেল বললেন, ‘আফা! এটাই ইবনান সাহেবের বাড়ি। আইসা পড়ছি।’
তাকে তার প্রাপ্য ভাড়া দিয়ে নেমে পড়লাম মিহিরকে নিয়ে। আশপাশে চোখ বুলালাম। না চাইতেও নেত্রকোণায় জমা হলো অজস্র মেঘের জল। মিহির কাঁধে হাত রেখে বলল, ‘কেঁদো না আপু। কিছু করার নেই। এখন ভেতরে চলো। এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অশ্রু বিসর্জন দিলে কিছুই হবে না।’
‘হুম চলো।’
দু’জন গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম। যা ভেবেছিলাম। দু’জন গার্ড দাঁড়িয়ে আছে গেটের ভেতরে। থামিয়ে বলল, ‘কারা আপনারা? ইবনান স্যার এর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে?’
মিহির বলল, ‘বাবার সঙ্গে দেখা করতে অ্যাপয়েন্টমেন্টের কী প্রয়োজন?’
‘মানে?’
‘উনি হলেন ইবনাত চৌধুরী। ইবনান স্যার এর মেয়ে।’
‘স্যরি ম্যাম। আমি চিনতে পারিনি।’
‘অল রাইট ইট’স ওকে। লেট আস গো।’
সরে দাঁড়ায় দু’জন। সদর দরজার সামনে গিয়ে কড়া নাড়লাম। জানি না কেমন রিয়েক্ট করবে। অবশ্য এখন যারা আছে কাজের মধ্যে তারা নতুন তাই আমায় চেনে না। একটু পর কট করে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। এক মেয়ে। বুঝলাম কাজের মেয়ে৷ ভ্রু কুঁচকে মেয়েটি প্রশ্ন করল, ‘আপনারা কারা?’
‘ইবনান সাহেব আছেন?’ মিহির প্রশ্ন করে। মেয়েটি বলল, ‘জ্বী আছেন কিন্তু আপনারা..’
‘আমি উনার মেয়ে।’
‘ওহ্ আচ্ছা। আসুন আসুন।’
ভেতরে প্রবেশ করলাম। সব আগের মতই আছে। ঘরে আমার ছোট বেলার ছবি গুলো ফ্রেমে বন্দি হয়ে টাঙানো। উপর থেকে এক চিরচেনা কণ্ঠস্বর ভেসে এলো,’কে রে নিপা?’
নিপা চিল্লিয়ে বলল, ‘আপনাদের মেয়ে এসেছে গো ম্যাম।’
উপর থেকে আর কোন আওয়াজ এলো না। ওটা মা’ই ছিল আমার। হঠাৎ উপর থেকে ছুটে এলেন আমার গর্ভধারিণী। অশ্রু আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দৌড়ে গেলাম তার কাছে। জড়িয়ে ধরে বললাম, ‘আমি ফিরে এসেছি আম্মু।’
মা কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ হয়ে রইলেন। তারপর আস্তে আস্তে তার হস্তযুগল আমার পিঠে রাখলেন। বললেন, ‘ত-তুই এসেছিস?’
‘হ্যাঁ আম্মু আমি এসেছি দেখ। আমি তোমাদেরই সেই বাচ্চা মেয়েটা।’
আম্মু কেঁদে ফেললেন। জড়িয়ে নিলেন আমায় তার বুকে। তার পর ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘কেমন আছিস তুই?’
‘আমার কথা রাখো তোমার কী অবস্থা? তোমার প্রেশার ঠিক আছে?’
‘হ্যাঁ মা ঠিক আছে। আমি এখন অনেক ভালো আছি যে আমাদের মাঝে আমার একমাত্র মেয়েটা ফিরে এসেছে।’
‘আমায় মাফ করে দাও আম্মু। আমি তোমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি।’
‘চুপ! এসব একদম বলবি না। মায়ের কাছে কিসের ক্ষমা? আচ্ছা। দেখি তোকে। দু’বছর ধরে তোকে দেখিনা।’
মিহির পেছন থেকে বলল, ‘খালি ওই মেয়েকেই দেখবেন৷ এই মেয়েকে দেখবেন না?’
আম্মু সামনে তাকাল। মিহিরকে দেখে চমকে গেল। আমায় নিয়ে তার কাছে গিয়ে বলল, ‘তুমি? তুমিও এসেছ?’
‘বারে! আপনার মেয়েকে আপনি তুই করে বলছেন আর আমি তুমি হয়ে গেলাম? পর করে দিলেন আমায়?’
আম্মু মিহিরকে কাছে টেনে নিলেন। বললেন, ‘আচ্ছা স্যরি স্যরি। কেমন আছিস?’
‘আলহামদুলিল্লাহ্ আন্টি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?’
‘আলহামদুলিল্লাহ্। এমা তাহলে কী আমিও পর হয়ে গেলাম আমায় আপনি বলছিস?’
‘আচ্ছা। [অতঃপর কান ধরে] স্যরি!’
হেসে ফেললাম সবাই। আমি প্রশ্ন করলাম, ‘বাবা কোথায় আম্মু?’
‘তোর বাবার আজ একটা সার্জারী আছে। চলে আসবে বিকালে।’
‘বাবা সার্জারীতে গেছে? কী তুমি আম্মু? আব্বু শ্বাসকষ্ট চলছে আর তুমি তাকে যেতে দিলে।’
‘কী করতাম বল? তোর বাবা কাল ট্রিটমেন্ট নিয়েছিল। আর রাত থেকে সুস্থবোধ করছে। তাই আজকের সার্জারীতে মানা করা সত্ত্বেও চলে গেছে।’
‘ঠিক আছে আজ আসুক। ঝেড়ে ফেলব।’
‘আচ্ছা ফেলিস। এখন বস। কিছু খাবি।’
.
‘সত্যি তোমার মায়ের তুলনা হয় না। দেখেছ তুমি এত কিছু করা সত্ত্বেও তোমায় কিছুই করেনি।’
মিহিরের কথা হাসলাম। বললাম, ‘হুম। সত্যি তারা আমার সবচেয়ে বেস্ট বাবা মা।’
‘ইশ যদি আমার বাবা মা এমন হতো।’
‘থাক মন খারাপ করো না মিহির। ওই বাবা মায়ের আদর পাও নি তাতে কী? এই বাবা মা থেকে নিশ্চয়ই পাবে।’
‘হুম। আচ্ছা ভাবী.. স্যরি আপু। আসলে দু’বছর ধরে ডাকতে ডাকতে অভ্যাস হয়ে গেছে।’
‘থাক তাতে কী? একসময় আপু ডাকাটাও অভ্যাস হয়ে যাবে। বলো কী বলতে চেয়েছিলে?’
‘আপু আমার না মাঝে মাঝে নিশাত আপুকে সন্দেহ হয়।’
‘কেন কেন?’
‘আজকাল প্রায়ই দেখি নিশাত আপু কারো সঙ্গে কথা বলে। দেখে মনে হচ্ছিল তার স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু তার সঙ্গে তো তেমন কথা তার হয় না। আর উনার সঙ্গে আপু তেমন ফ্রি-ও না। তাহলে এভাবে হেসে হেসে রাতদিন কার সঙ্গে কথা বলে?’
‘হয়তো তার স্বামীর সঙ্গে ফ্রি হয়ে গেছে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে।’
‘না আপু আমার তা কিছুতেই মনে হয় না।’
‘তাহলে? তুমি কী ভাবছো ও কোন সম্পর্কে জড়িয়েছে?’
‘হ্যাঁ আমার তাই মনে হচ্ছে।’
‘দেখ মিহির না জেনে কিছু বলা ঠিক না। তুমি আগে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখ তবেই সিদ্ধান্তে এসো।’
‘হুম আচ্ছা আপু।’
দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে আমি আর মিহির ছাদে গেলাম। একি! আমি যে জুঁই ফুলের গাছ রোপণ করেছিলাম তা এখনো আছে? আর ফুলও ফুঁটেছে? তার মানে কী? বাবা/মা এই কাজ টা করেছে? নেত্রকোণ ভরে এলো। বললাম, ‘তারা সত্যিই মহান মিহির। দেখ আমি এগুলো বিয়ের আগে শখ করে রোপণ করেছিলাম৷ আর তারা তা বাঁচিয়ে রাখল।’
‘হুম ভাবী আসলেই বাবা মায়ের তুলনা হয় না।’
‘হুম।’
নিচ থেকে আওয়াজ এলো, ‘ইবনাত! নিচে আয় জলদি। তোর বাবা এসেছে।’
মিহির আর আমি একে অপরের দিকে তাকালাম। তারপর ছুটলাম নিচে।
বাবাকে দেখে এক মুহুর্তের জন্য থমকে গেলাম। এ কী চেহারার হাল হয়েছে তার?
‘ইবনাত!’
কেঁদে ফেললাম। অস্ফুট স্বরে ‘বাবা’ বলে এগিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম। তিনি পরম যত্নে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘কেমন আছিস রে মা?’
‘ভালো আছি বাবা। তুমি এখন কেমন আছো?’
‘তুই এসেছিস ভালো থাকব না?’
হাসলাম। মিহির এগিয়ে এলো, ‘কেমন আছেন আঙ্কেল?’
‘আরে মিহির! আলহামদুলিল্লাহ তুমি ভালো আছো?’
‘জ্বী আঙ্কেল ভালো আছি। আপনি না অসুস্থ? তো অপারেশনে কেন গেলেন?’
‘আরে বলো না। এটা আমার প্রফেশন। মরা না অবদি ছাড়তে পারব না।’
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তা জামাই বাবা কে আনিস নি?’
মুখ শক্ত হয়ে এলো। বাবাকে বললাম, ‘তুমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও বাবা। তারপর বলব।’
‘আচ্ছা।’
.
‘কী হয়েছে বলবি? ওদিন ফোনে কী বলছিলি এসব? আর এতবছর পর এলি। জামাই বাবাকে আনলি না।’
মুক্ত শক্ত করে বললাম, ‘ওকে জামাই বলো না বাবা। ও এখন আর তোমাদের জামাই নেই।’
বাবা মা দু’জন চমকে একসাথে বলল, ‘মানে?’
মিহির বলল, ‘হ্যাঁ আঙ্কেল আন্টি৷ ওদের ডিভোর্স হয়ে গেছে।’
‘কীহ্!’
তাদের সে দু’বছরে ঘটা সব ঘটনা খুলে বললাম। বাবা রেগে বললেন, ‘ওদের তো আমি ছাড়ব না আমার ফুলের মতো মেয়েটাকে এত কষ্ট দিল। তুই আমাদের বললি না কেন? আমি ওদের পুলিশে দেব। আমার মেয়েকে অত্যাচার করে? ইবনানের মেয়েকে?’
‘না বাবা। পুলিশে দিতে হবে না।’
‘মানে কী বলছিস এসব?’
‘বাবা! পুলিশে দিলে কিছুই হবে না। তার চেয়ে বরং তাদেরকে তাদের মতোই থাকতে দাও। দেখবে তুমি রবের বিচার। উনি ছেড়ে দেবেন না ওদের। আমি প্রতিটা মোনাজাতেই ওদের আঘাতে কেঁদেছি। আল্লাহ্ ওদের কখনোই ছাড়বে না।’
বাবা করুন কন্ঠে বললেন, ‘তুই এত অত্যাচার সহ্য করেছিস? এত কিছু? কী করে? যে মেয়েটা বাবার রেগে যাওয়া টা সহ্য করতে পারতি না সে তুই এত কিছু কী করে সহ্য করলি?’
‘জানি না বাবা। কিন্তু.. আমি যদি তোমার কথা শুনতাম তাহলে এত কিছু কখনোই হতো না।’
‘যাক সেসব অতীত। বাদ দে। আজ শুধুই আয়োজন হবে। ইফা! আজ রাতে বিরিয়ানি রান্না হবে।’
হেসে ফেললাম, ‘বাবা। তুমি আজও এসব ছাড়লে না?’
‘বেঁচে থাকতে কখনোই ছাড়ব না। হাহা!’
সবাই হেসে দিল। আজ অনেকদিন পর হাসলাম প্রাণ খুলে। তাও বাবা মায়ের সাথে। মনে প্রশান্তি অনুভব হচ্ছে।
.
প্রায় দু’দিন পেরিয়ে গেছে। এ দু’দিন অনেক মজা করেছি। কিন্তু আজ মিহির চলে যাচ্ছে। মন টাই খারাপ হয়ে গেল। ও ছিল এতে মজা টা আরো জমে উঠেছিল। ওর পরীক্ষার আর মাত্র বিশ দিন বাকি আছে। আর আজ ওর স্কুলে যেতে হবে এডমিট কার্ড আনতে। আর ওর পড়াশোনাও কমপ্লিট করতে হবে। আম্মু বলে, ‘আর একদিন থেকে গেলে হতো না মিহির?’
‘সমস্যা নেই তো আন্টি। পরীক্ষার পর আসব লম্বা ছুটি নিয়ে। হিহি। এমনিতে ওই বাড়িতে থাকার কোন ইচ্ছে আমার নেই। কিন্তু.. যেতে তো হবেই। পরীক্ষার আর বেশি দেরি নেই।’
‘ঠিক আছে।’
আমি বললাম, ‘মিহির। আমি কাল থেকে স্কুল কন্টিনিউ করব। তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলাম এসবের জন্য। তোমার সঙ্গে দেখা করতে যাব ওদিকে। ঠিক আছে?’
‘আচ্ছা আপু। আসি তাহলে।’
‘হুম। ভালোভাবে পড়াশোনা করো ওকে?’
‘ওক্কে ভাবী.. আপু।’
‘হাহা! আচ্ছা। আল্লাহ্ হাফেজ।’
‘আল্লাহ্ হাফেজ।’
মন টাই খারাপ হয়ে গেল। সোফায় বসে পড়লাম। আম্মু বলল, ‘মন খারাপ করিস না মা। যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।’
কিছু বললাম না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নেড়ে নিজের রুমে চলে গেলাম। লক করে দরজায় হেলান দিয়ে বসে পড়লাম। আঁখি বেয়ে গড়িয়ে পড়ল অজস্র অশ্রুকণা। কাঁদতে লাগলাম আমি। সব শেষ হয়ে গেছে আমার। চাইলেও আমি কান্না আটকাতে পারছি না। শত হোক ওকে একসময় আমি ভালোবেসেছি। ঘর করেছি। কিন্তু.. কী হয়ে গেল আমার সাথে?
.
‘হ্যালো.. আ-আপু!’
‘হ্যাঁ বলো মিহির। কেমন আছো?’
‘ভালো আছি আপু ত-তুমি কেমন আছো?’
‘এই তো মিহির। জানোই তো কেমন।’
‘আপু..’
‘হুম বলো। ওখানে এত হৈ-হুল্লোড় কেন?’
‘আপু আজ.. আজ বড় ভাইয়ার বিয়ে।’
‘কীহ্!’ মাথায় বাজ পড়ল। আমি আসতে না আসতেই ও বিয়ে করে নিচ্ছে?
‘হ্যাঁ ‘আপু। ওই ইশির সঙ্গেই বিয়ে হচ্ছে। আজ গায়ে হলুদ।’
‘বাহ্ বাহ্! খুব সুন্দর।’
‘আমার অসহ্য লাগছে আপু।’
‘কিছু করার নেই মিহির। কী করছো এখন?’
‘বদ্ধ রুমে বসে আছি।’
‘কেন? ভাইয়ের বিয়ে কোথায় আনন্দ ফূর্তি করবে তা না বদ্ধ রুমে বসে আছো?’
‘ভাইয়ের বিয়ে? আনন্দ? হাহ্! এই বাড়ির কোন উল্লাসেই আমি অংশ নেব না। যেই বাড়িতে খুনি বাস করে।’
‘কী করবে আর বলো? আল্লাহ্ এমন ফ্যামিলিতেই তোমার জন্ম দিয়েছেন এতে তোমারই বা কী করার আছে?’
‘হুম সেটাই। ইচ্ছে করছে এখান থেকে দূরে কোথাও চলে যেতে। কিন্তু.. তাও সম্ভব নয়।’
‘থাক একদিন তো ওরা বুঝবে।’
‘কিছু মানুষ আছে যাদের হার্ট নামক জিনিস টা থাকলেও তারা অনুভূতিহীন হয়। আর তারা কখনোই বুঝবে না।’
‘মিহির! এসব আর মাথায় রেখো না। সামনে এস’এস’সি। মন দিয়ে পড়ো। তারপর কিছু একটার ব্যবস্থা আমি করব।’
‘আচ্ছা আপু। রাখি এখন।’
‘আচ্ছা। বায়!’
‘বায়!’
কল কেটে মোবাইল টা বিছানার উপর ছুড়ে মারলাম। আর পারছি না এসব নিতে। মরে যেতে ইচ্ছে করছে আমার। আমার সাথেই কেন এমন হলো? আমি কেন কিছু করতে পারছি না? অপরদিকে সে আমায় ডিভোর্স দিয়ে দিব্যি তার দু’দিন পর বিয়ে করে নিচ্ছে।
[চলবে.. ইন শা আল্লাহ্]