অপ্রত্যাশিত বাসর
০৪+০৫
আর্ভিন পূণমকে সোফায় এক প্রকার ছুঁড়ে ফেলে। অতঃপর ধুপধাপ পা ফেলে চলে যায় উপরের রুমে। পূণম নিজেকে সামলাতে না পেরে ব্যাথা পায় তার হাতে। কিন্তু এতে তার কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশ পেল না। তার মাথায় ঘুরঘুর করছে আর্ভিনের বলা শেষ কথাগুলো।
আর্ভিনের কথায় হৃদমের বেঁচে থাকার স্পষ্ট ইঙ্গিত। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? সে না হয় দেখেনি হৃদমের লাশ। কিন্তু তার বাবা-মা তো মিথ্যে বলবে না। হৃদমের মায়ের অসুস্থতাও তো মিথ্যে নয়। আর যদি সত্যিই বেঁচে থাকে, তাহলে কোথায় হৃদম? সবার সামনে কেন আসছে না? সবাই কেন বলছে সে মারা গেছে? আর্ভিন-ই বা কেন বলছে সে বেঁচে আছে?
আর ভাবতে পারে না পূণম। চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হয় মাথার দু’পাশে। মুখ কিঞ্চিৎ হা করে ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে সে। মাথায় অজস্র প্রশ্ন নিয়ে হেলতে-দুলতে পা বাড়ায় আর্ভিনের যাওয়ার দিকে।
আর্ভিন আগের ঐ রুমটায় বসে আছে। বিছানায় পা দুলিয়ে উরুর উপর দুহাত রেখে। না দেখেও সে পূণমের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে। নিচের দিকে তাকিয়েই হাতের আঙুলের ইশারায় তাকে সুটকেসের দিকে ইঙ্গিত করে বলে,
– দ্রুত ফ্রেশ হয়ে কিচেনে যাও। রিচুয়াল অনুযায়ী আজ তোমার রান্না করার কথা। আর এমনিতেও এখন থেকে তোমাকেই রান্না করতে হবে। এ বাড়িতে সার্ভেন্ট রাখা হয় না। বউ এর কাজ বউ করবে।’
পূণম বিস্মিত। এমন পরিস্থিতি তে আর্ভিন কি করে রান্নার কথা বলতে পারে, সে ভেবে পায় না। দ্রুত পায়ে আর্ভিনের সামনে আসে সে। কপট রেগে বলে,
– আমি বাংলাদেশে যাবো এবং এক্ষুনি যাবো।’
– সেটা সম্ভব না এবং কখনোই না।’
আর্ভিনের শান্ত কণ্ঠের উত্তরেও রাগ বেড়ে যায় পূণমের।
বেডসাইড টেবিল ঘেষে ফ্লোরে বসে পড়ে ও। ডুকরে কেঁদে উঠে। টেবিলে মাথা হেলিয়ে করুণ কণ্ঠে বলতে থাকে,
– বিশ্বাস করুন, এত শক্ত মনের মেয়ে আমি নই। ভীষণ চঞ্চল আমি। জীবনের এত এত জটিলতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা আমার ছিল না। অথচ এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও আমি বেঁচে আছি! নিজের কাছেই অস্বাভাবিক লাগছে। আমি জানি না, আমি কি করছি? কি বলছি? কি হচ্ছে আমার সাথে? আমি কিচ্ছু জানি না। কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। প্লিজ সাহায্য করুন আমায়। এত নাটকীয়তা, এত জটিলতা আমি আর মেনে নিতে পারছি না। পারবো না আমি। প্লিজ! সাহায্য করুন।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে শব্দ করে কেঁদে ফেলে পূণম। কান্না মিশ্রিত ভাঙা গলার সুরে সামনের মানুষটার মনে একটু দয়া হলেই হয়।
কিন্তু বিধি বাম! পূণম চুপ হতেই আর্ভিন চট করে উঠে দাঁড়ায়। সে আগের মতোই শান্ত এবং স্বাভাবিক সুরে বলে,
– কথা শেষ হয়ে গেলে নিজের টাস্ক কমপ্লিট করুন, মিসেস আর্ভিন।’
কথাটা বলেই ঘর ছাড়ে সে।
পূণম দীর্ঘশ্বাস লুকায়। ‘মিসেস আর্ভিন’ সম্বোধনে আর্ভিন তাকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে সে যা চাইছে তা কখনো হবে না। তাকে আর্ভিনের বউ হয়েই থাকতে হবে। চোখের পানি এবার আর বাঁধ মানে না। শ্রাবণের ভয়াল ধারার মতো বর্ষিত হতে থাকে।
নিজের জীবনকে বিশ্বাস করতে পারে না পূণম। এতটা উত্থান-পতন কি আসলেই সম্ভব? এটা স্বপ্ন নয় তো? পুরোনো স্মৃতি হাতড়ায় সে। সময় রঙবেরঙ হয় স্মৃতির পাতায়। বাস্তবের সময় ভীষণ তিক্ত। ভীষণ!
হাঁটু গেড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে ও। আর ভাবতে থাকে, ফেলে আসা সময়গুলো নিয়ে। তখনই গম্ভীর পুরুষালী কণ্ঠ কানে আসে তার,
– তোমাকে কিছু বলেছিলাম আমি।’
পূণম মাথা তুলে দেখে আর্ভিন। চোখে তার রাগের আভাস স্পষ্ট। ও চোখ ফিরিয়ে নেয়। আগের মতোই হাঁটুতে মাথা গুঁজে রাখে।
আর্ভিনের মেজাজ এবার ভয়ংকর খারাপ হয়। সে তেড়ে আসে পূণমের দিকে। ওর দুই হাত চেপে ধমকে উঠে,
– হেই! গেট আপ!’
নির্বিকার পূণম অসার হয়ে বসে থাকে। বাধ্য হয়ে আর্ভিন তাকে টেনেহিঁচড়ে দাঁড় করায়।
পূণম সোজা হয়ে আর্ভিনকে তার এত কাছে দেখে এক ঝটকায় সরিয়ে আনে নিজেকে। আর তৎক্ষনাৎ-ই তার কেঁদেকেটে ফুলিয়ে রাখা লাল গালে পাঁচ আঙুলের দাগ পড়ে আর্ভিনের। এক টুকরো দিঘির মতো টলমলে চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রুকণা। আর কানে তীক্ষ্ণ ঝাঁঝালো আওয়াজ,
– সমস্যা কি তোমার? নিজের বিয়ে হয়ে গেছে আমার সাথে, এটা কি বুঝতে পারছো না?’
পূণম ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে উত্তর দেয়,
– আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। বিশ্বাস করুন, কিচ্ছু না।’
আর্ভিন একটা ছোট নিঃশ্বাস ফেলে পূণমের কথায়। নিজের উপর তার রাগ হচ্ছে প্রচুর। কেন যে তখন বলতে গেল হৃদমের কথাটা!
সে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলো। মৃদুস্বরে বললো,
– যাও, ফ্রেশ হও। ফ্রেশ হয়ে কিচেনে যাও। প্যানপ্যান-ঘ্যানঘ্যান আর ভালো লাগছে না। আর একবার যদি নাক টানার বিশ্রি আওয়াজটা কানে আসে আই স্যোয়ার, নাক টেনে ছিড়ে ফেলবো।’
আর্ভিনের শেষ কথাতে মুহূর্তেই পূণমের মেজাজ বদলে যায়। সে নাক ফুলিয়ে তার দিকে তাকায়। গোল গোল চোখ করে বলে,
– আপনি আমায় অপমান করছেন? তাও ছিঃ মার্কা কথা বলে?’
– আমি কিছু বলছি না। যা দেখছি তা-ই বলছি। একটা ধেড়ি মেয়ে নাক টেনে টেনে কাঁদছে আর সর্দি বের করছে! ছিঃ! কি ভয়ংকর অবস্থা! এভাবে তাকাচ্ছো কেন? ভুল বলেছি আমি? আয়নায় দেখেছো নিজেকে? না দেখে চোখ পাকাচ্ছো কেন? যাও, ওয়াশরুমে যাও আর ফ্রেশ হও। গো!’
আর্ভিনের মেজাজ খারাপ করা কথা আর হামকি-ধামকি শুনে পূণম দাঁত চিপে বিড়বিড় করতে করতে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়। আর আর্ভিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বিছানায় বসে। চোখ বন্ধ করে, পরম শান্তিতে।
(চলবে)
#অপ্রত্যাশিত_বাসর
® নবনীতা নূর
[লেট করে দেওয়ার জন্য ভীষণ ভাবে দুঃখিত! আমি চেষ্টা করি দ্রুত দেওয়ার। কিন্তু পারি না। ব্যর্থ হই। আফসোস! বাই দ্য ওয়ে.. কালকের পর্বে হৃদমের বিষয়টা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো। অবাস্তবিক, অসামাজিক এবং অবাঞ্ছিত একটা গল্প। বাস্তবপ্রেমী দের কাছে হয়তো ‘দূর ছাই!’ মনে হচ্ছে। সবার মন মতো লেখা তো সম্ভব না। তাই না? আচ্ছা! তো ভালো লাগলে এক লাইনের একটা মন্তব্য করা যায় না, পাঠক??]
অপ্রত্যাশিত বাসর
০৫.
আহামরি কিছু রাঁধতে না পারলেও চালিয়ে দেওয়ার মতো রান্না পূণম জানে। কিন্তু আফসোস! আজ তার রান্না করা খাবার অখাদ্য বৈ কিছু না। তেলে চুপচুপ করা নুডলস সে নিজেও খেতে পারবে না। আর্ভিনকে কিভাবে দিবে ভােবেই সে হতাশ। আর্ভিন ডাইনিং এ এসেছে পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে। পাঁচ মিনিটে দশ বার জিজ্ঞেস করেছে খাবারের কথা। পূণম ‘আসছি’ বলেও দাঁড়িয়ে আছে, হাতে চুপচুপে নুডলসের বাটি ধরে।
বেশ খানিকক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দে ভুগে সে এবার ডাইনিং এ যায়। টেবিলে বাটিটা রাখতেই আর্ভিন বিকৃত ভঙ্গিতে তাকায় ওর দিকে। সে আঁড়চোখে তাকিয়ে বলে,
– যা পেরেছি তা-ই করেছি। মন চাইলে খাবেন, না হলে ফেলে দেবেন।’
বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে যায় আর্ভিনের। এই মেয়ে সোজা কথা বলতে জানে না। নিজের অক্ষমতাতেও এত এটিটিউড! মাই গড!
আর্ভিন কিছু না বলে চুপচাপ উঠে চলে যায়। পূণম তার চলে যাওয়ার দিকে করুণ চোখে তাকায়। চোখের আড়াল হলে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে। আর্ভিন না খেয়ে ভালোই করেছে। ক্ষিধেয় পেট চু চু করছে তার। খাওয়া হচ্ছে না গত দেড় দিন ধরে। ক্ষিধে পেলেও পরিস্থিতি না খেতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু এখন আর না খেলে চলবে না একদম।
পূণম আনমনে চামচে তুলে একটু খাবার মুখে দিতেই ‘ইয়াক থু’ বলে ফেলে দেয়। আশ্চর্য! সে তো এত বাজে রান্না করে না। আজ কি হলো? হৃদম তো তার হাতে প্রথম রান্না করা খাবার খেয়ে চোখ কপালে তুলেছিল। হতভম্ব হয়ে বলেছিল,
– আমার বউ এত ভালো রান্না করবে এটা আমি কল্পনাও করিনি।’
পূণম তখন গাল ফুলিয়ে উত্তর দিয়েছিল,
– কেন? ভালো রান্না করতে পারবে না কেন?’
হৃদম উত্তরে বলেছিল,
– এখনকার মেয়েরা রান্নাবান্না জানে না-কি? আমি তো ভেবেছিলাম কাজের লোকের বানানো অখাদ্য খেয়ে নিরামিষ জীবন পার করতে হবে আমায়।’
– তাহলে রান্না জানে না এমন একটা মেয়ে খুঁজে নাও। আসছি আমি।’
মিছেমিছি রাগ দেখিয়ে সেদিন চলে এসেছিল পূণম।
কি সুন্দর, খুনসুটি, প্রেমময় জীবন ছিল তার! অথচ মাত্র কয়েকদিনেই কি ভয়ংকর আর বিষাদময় জীবনে পরিণত হয়ে গেছে! চোখ দুটো আবার জলে ভরে উঠে পূণমের। পানি মুছার আগেই আর্ভিন হাজির। হাতে প্যাকেট, সম্ভবত খাবারের। সে টেবিলে প্যাকেট রেখে বললো,
– সার্ভ ইট।’
পূণম খুব গোপনে চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করে। এই ভয়াবহ লোকটাকে তার মূল্যবান অশ্রু দেখানোর কোনো মানে নেই। সে বুঝবে না। না বোঝার চেষ্টা করবে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে খাবার বেড়ে দেয় ও। সামনে এগিয়ে দেয় আর্ভিনের। ফের আর্ভিন গম্ভীর গলায় বলে,
– এতটা অমানবিক আমি নই। নিজের একার জন্য খাবার আনিনি।’
রি রি করে উঠে পূণমের শরীর, ভয়ংকর রাগে। সে না-কি অমানবিক নয়। অথচ পুরোটায় একটুও মানবিকতার ছোঁয়া নেই। দাঁত চেপে সহ্য করে নেয় পূণম। নিজের জন্যও খাবার বাড়ে। মুখে দিতে যাবে তখনই আর্ভিন বলে উঠে,
– শুনো! আমার বউ হয়ে তুমি আরেক জনের জন্য তুমি চোখের জলের অপচয় করবে আমি এটা মেনে নিবো না। আর যার জন্য কেঁদেকেটে তুমি অস্থির সে তো তোমায় ছাড়া মহাসুখে আছে।’
পূণমের হাত থেকে টুপ করে খাবারটা পড়ে যায়, মুখে দেওয়ার আগেই। সে চোখে একরাশ অসহায়ত্ব ভরা কৌতূহল নিয়ে তাকায় আর্ভিনের দিকে। মৃদু আওয়াজে বলে,
– আমি একবারের জন্য ওর সাথে দেখা করতে চাই। প্লিজ! শুধু একবার।’
– কেন? কোনো কারণ তো নেই।’
– আমি জানতে চাই। ও কেন এমন করলো? আমাকে অন্ধকারে কেন রাখছে ও? আমি তো বিয়ে করতে চাইনি। ও জোর করে বিয়ে করতে চেয়েছে। একরকম বাধ্য করেছে আমায়। তাহলে বিয়ের পর এসব কাহিনী কেন করলো ও?’
– ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলেছে, তাই। মানে এমন হয় না? প্রথমে একজনকে ভালো লাগলো, কিছুদিন পরে মোহ কেটে যায়। সেরকম।’
– তাহলে বিয়ে করতো না।’
– হয়তো সে বিয়ের পরই বুঝতে পেরেছে।’
নিরব কান্না এবার সশব্দে বেরিয়ে আসে। ফুঁপিয়ে বলে উঠে,
– আমি বিশ্বাস করি না।’
– সেটা তোমার ব্যাপার।’
আর কোনো কথা বলেনি পূণম। আর্ভিনও না।
ঘরে গিয়ে সুটকেস থেকে কাপড় নামাতে গিয়ে পূণমের শ্বশুরের দেওয়া উনার বন্ধুর এড্রেস সমেত চিরকুটটা নজরে পড়ে পূণমের। যক্ষ্মের ধনের মতো সেটা তুলে নেয়। ফোন নাম্বারও আছে সেখানে। দরকার ফোনের। কিন্তু এত ঝামেলায় ও ফোনটাই আনে নি। মনে মনে নিজেকে একটা ভয়াবহ রকমের গালি দেয় ও।
তখনই আর্ভিন ঘরে আসে। নীল চোখ মেলে কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে তাকিয়ে থেকে বলে,
– কাজে যাচ্ছি আমি। ফিরতে সন্ধ্যা হবে। বাইরে যাওয়ার চেষ্টা ভুলেও করবে না। গট ইট?’
পূণম মাথা দুলায়। আর্ভিনও ঘর ছাড়ে।
গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করে। অফিসে যাচ্ছে না অনেক দিন। কে জানে কি অবস্থা সেখানকার? অবশ্য সে না গেলেও আহামরি কিছু হবে না। অফিসটা তার বাবার দ্বিতীয় বউয়ের। আর তার বাবা এখন নেই। দ্বিতীয় বউও নেই। তাই বলতে গেলে অফিসটা তারই, যদিও কাগজপত্রে এখনো না। কাগজপত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করে নিজের বিপদ বাড়িয়ে লাভ নেই। এই তো বেশ চলছে। না, না, দৌড়াচ্ছে।
অফিস শেষে আর্ভিন বাড়ি ফেরে। ক্যানবেরায় তখন সন্ধ্যে সাত। লক করে যাওয়া ডুপ্লেক্স বাড়িটা খুলে। বদ্ধ ঘরে কি করছে পূণম কে জানে? হয়তো প্যানপ্যান করছে বসে বসে। যদি সত্যিই এমন কিছু হতে দেখে তাহলে এর খালাশ করে ছাড়বে আজ সে।
অন্ধকার ঘর পেয়ে লাইট অন করে আর্ভিন। পূণমকে না পেয়ে মুখ কুঁচকে ওয়াশরুম চেক করে। সেখানে না পেয়ে একে একে সবগুলো ঘর চেক করে। ব্যসমেন্টটাও চেক করে। আশ্চর্য! গেল কোথায় মেয়েটা? ডোর তো লক করাই ছিল। তাহলে?
.
.
(চলবে)
#অপ্রত্যাশিত_বাসর
® নবনীতা নূর