অপ্রত্যাশিত বাসর ০২+০৩

0
4636

অপ্রত্যাশিত বাসর
০২+০৩

নিজের ঘরে কিংবা তথাকথিত বাসর ঘরে ডুকে পূণম ছোটখাটো না, বেশ বড়সড় ধাক্কা খায়, আর্ভিন ছেলেটাকে দেখা মাত্রই। কি গভীর ডার্ক ব্লু চোখ জোরা! যেন আকাশ নীলের নিচের শান্ত সমুদ্র। ঘন কালো ভ্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকেই। মুহূর্তেই পূণম বুঝে যায় আর্ভিন বাঙালী নয়, ভীনদেশী।

– দেখা শেষ হলে এই পেপার টায় সাইন করে দাও।’

আর্ভিনের গম্ভীর গলায় হুঁশ ফেরে পূণমের। থতমত খেয়ে তড়িঘড়ি করে তার হাত থেকে পেপার টা নেয়। কলম এগিয়ে দিতে কলমটাও নেয়। কিন্তু সাইন করার আগে পেপারে চোখ বুলাতেই আৎকে উঠে পূণম। বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকায়, একবার পেপারের দিকে অন্য বার আর্ভিনের দিকে। কিন্তু আর্ভিন নির্বিকার। যেন এই সইটা সাধারণ কোনো নিয়মেই ছিল।

পূণম ঠোঁট কামড়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভাঙা এবং ঝাঁঝ মিশ্রিত গলায় বলে,
– এসবের মানে কি? আপনি নিজেকে পাগল প্রমাণ করছেন কেন?’
আর্ভিন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে পূণমের দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা রিতীমত কাঁপছে। তবে কাঁপন টা কোন অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ তা সে ধরতে পারলো না। তাই শান্ত সুরে সে জবাব দেয়,
– ডোন্ড বি আপসেট। মনে করো, বাসর রাতের বউয়ের থেকে গিফট চাইছি সই টা। তাই দ্রুত গিফটা হস্তান্তর করে আমাকেও গিফটা দেওয়ার সুযোগ দাও।’

পূণম এবার নিজেকে সামলাতে পারলো না। আর্ভিনের দিকে দুই পা এগিয়ে গিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,
– এবার আমি নিশ্চিত হলাম আপনার মাথায় গন্ডগোল আছে। পাগল না হলে কেউ মৃত মানুষ কে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলতো না।’

আর্ভিনের দৃষ্টি আরো কিছুটা তীক্ষ্ণ হয়। গম্ভীর গলায় বলে,
– প্রথম বার না জেনে পাগল বলেছো মানা যায়। দ্বিতীয় বার বউ বলে মাফ করে দিলাম। আরেক বার যদি এই ওয়ার্ড টা কানে আসে, কসম বলছি.. খুব খারাপ হবে। আর এত ধৈর্য আমার নেই। সাইন করার কথা আর এক বারও বলবো না।’

আর্ভিনের দৃষ্টি তে ঘাম ছুটে পূণমের। মুহূর্তেই এমন পাল্টে যাওয়া রূপে আৎকে উঠে সে। কাঁপা কাঁপা হাতে সই করে দিয়ে বিড়বিড় করে বলে,
– ইয়া মাবুদ! শেষ পর্যন্ত এক সাইকোর সাথে আমার বিয়ে হলো!’

পূণমের সই শেষ হতেই আর্ভিন বাঁকা হেসে কাগজ টা ছিনিয়ে নেয় তার থেকে। ভাঁজ করে একটা ফাইলে রাখতে রাখতে বলে,
– এখন বাজছে আট টা। দশ টার মধ্যে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো গুছিয়ে নিবে। এরপর এক মিনিট সময়ও বেশি পাবে না। তিনটার ফ্লাইটে ক্যানবেরায় যাচ্ছি আমরা। এ্যান্ড ইট’স ইউর গিফট ফ্রম ইউর হাসবেন্ড।’
কথাটা বলে আর্ভিন এক মুহুর্তও দেরি করে নি। চলে যায় তার ঘর ছেড়ে, ধুপধাপ পা ফেলে।

কিন্তু পূণম দম আটকে দাঁড়িয়ে থাকে, কাঠ হয়ে। আর্ভিনের শেষ কথাগুলো হজম করতে কষ্ট হচ্ছে তার। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই এই ভয়ংকর গিফটা পূণমকে দ্বিতীয় বারের ভেঙে-চুরে ঘুরিয়ে দেয়। কাঁপতে কাঁপতে ধপ করে বসে ফ্লোরে। হাঁটু গেড়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে সে।

হুট করে মাথায় উষ্ণ হাতের ছোঁয়া পেয়ে মাথা তুলে। হৃদমের বাবাকে দেখেই উনাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে করে কাঁদতে শুরু করে। হৃদমের বাবা একটি দীর্ঘশ্বাস গোপন করেন। তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না কি বলে সান্ত্বনা দেওয়া যায় পূণমকে। কি করেই বা রাজি করবে তাকে, আর্ভিনের সাথে যাওয়ার জন্য।

পূণমের মাথায় হাত বুলিয়ে ভাঙা ভাঙা গলায় তিনি বলেন,
– আমায় ক্ষমা করিস, মা। আমার হাত দুটোও বাঁধা। নইলে কেউ কেন নিজের ছেলের বউ কে অন্যের হাতে তুলে দিবে?’
পূণম বিস্ময় ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকায় তার শ্বশুরের দিকে। ছেলের বউ মানে? হৃদম তো মারা গেছে। তাহলে এমন টা বলার কারণ কি?

পূণম উনাকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তার শ্বশুর হাতে একটা চিরকুট গুঁজে দেন। আশ্বাসের সুরে বলেন,
– আমার পরিচিত এক বন্ধুর ঠিকানা। ক্যানবেরায়-ই থাকছে। কখনো কোনো দরকারে হেল্প নিতে পারিস।’
চোখের পানি মুছে আর কিছু না বলে, না শুনে চলে যান রেদওয়ান সাহেব। পূণম সেদিকে শূণ্য দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে কেবল।

বুক চিরে বেরিয়ে আসা একটি দীর্ঘশ্বাস গোপন করে পূণম। নিজের ব্যাগ গুছায়। কিছু নিজের জামা-কাপড় ছাড়া সবই অপ্রয়োজনীয় কিন্তু পূণমের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুটকেসে হৃদমের দেওয়া প্রথম উপহার, খালি কাজল কৌটো টাও নেয়। হৃদমের ভাঙা গড়ি, ছেঁড়া পার্স, খালি পার্ফিউমের বোতল টাও নেয়। এমনকি, হৃদমের ব্যবহার করে ফেলে রাখা খালি কলমটা নিতেও ভুলে না সে।

আর্ভিন ফিরে এসে পূণম কে রেডি দেখতে পেয়ে মুচকি হাসে। বিদ্রুপের সুরে বলে,
– বাহ! তুমি তো অনেক ফার্স্ট! কোনো মেয়ে এত দ্রুত বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হতে পারে তা তোমাকে না দেখলে জানতেই পারতাম না। গ্রেট! আই লাইক ইট।’

আর্ভিনের কথায় স্মিত হাসে পূণম। হৃদম ওর উল্টো। দেখা করতে গেলেই হৃদম তাকে লেট করার জন্য এক গাদা কথা শুনাতো। বেশির ভাগ সময়ই বলতো, সাজগোজের জন্যই সে দেরি করে। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। পূণম ইচ্ছে করেই লেট করতো, হৃদমের গাল ফুলানো বলা বকা গুলোর জন্য।

.
.

(চলবে)

® নবনীতা নূর

অপ্রত্যাশিত বাসর

০৩.
এক ঝাঁক তীব্র আলোয় ঘুম ভাঙলে এক রাশ বিরক্তি নিয়ে চোখ খুলে পূণম। নিজের পরিচিত ঘর না পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে বিছানায়। আশেপাশে চোখ বুলাতেই মোচড় দিয়ে উঠে তার বুকের বা পাশে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চিত্র দেখে। সাদা রঙের বিশাল একটা ঘরের তুলতুলে বিছানায় শুয়ে আছে সে। খাটের পাশে এটাচড টেবিলে চোখ পড়তেই হুঁশ ফেরে তার। টেবিলের গোল্ডেন ফেমে বাঁধানো আর্ভিনের ছবিটা জানান দিচ্ছে সে এখন কোথায় আছে।

মনে পড়ে, সে এখন নিজের পরিচিত বাড়িটার পছন্দের ঘরে নেই। সেখানে কখনো যাওয়া হবে কি-না সেটাও তার অজানা। এমনকি নিজের দেশ, মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবো কি-না তাও সে জানে না। শুধু জানে আর্ভিনকে, তার নিয়তি হিসেবে। আর্ভিনই তার সব, এই অচেনা অদেখা বিদেশ-বিভুঁইয়ে।

ছোট নিঃশ্বাস ছেড়ে আড়মোড়া ভাঙে পূণম। বিছানা ছেড়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায়। গত পরশু রাত এবং সারা দিনের জার্নিতে কাহিল হয়ে পড়েছিল প্রচন্ড। তাই এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে গাড়িতেই ঘুম দেয়। সেই ঘুম ভাঙলো সবে মাত্র। আর্ভিন কোথায় তাকে জানতে হবে। ঠিক আর্ভিন নয়, জানতে হবে তার সুটকেস কোথায়। ফ্রেশ হতে হবে তাকে। পরে কি হবে সেটাও অবশ্য তার অজানা।

দরজা খুলে বাইরে বের হয় পূণম। শুকনো ঢোঁক গিলে আশপাশের রুমগুলোতে খুঁজতে থাকে আর্ভিন কে। কিন্তু বিধি বাম! কাউকে-ই না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসে আগের জায়গায়। তখনই হালকা বাতাসে আগুনে পোড়ার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে আসে তার। সকাল সকাল পোড়ার গন্ধ আসবে কেন? কোথাও আগুন লাগলো না তো! আশঙ্কায় আৎকে উঠে সে।

মুখ কুঁচকে বেরিয়ে পড়ে গন্ধের কারণ খুঁজতে। সদর দরজা পেরুলে ড্রাইভওয়ের সামনে আর্ভিনের দেখা মিলে। আর্ভিনই সেখানে বিশাল কুন্ডলী বানিয়ে কি যেন পুড়ছে। কৌতূহল দমাতে না পেরে পূণম এগিয়ে চলে সেদিকে।

গুটিগুটি পায়ে কয়েক কদম এগুতেই থমকে যায় সে। আর্ভিনকে হৃদমের ছেঁড়া পার্সটা কুন্ডলীর দিকে ছুঁড়ে মারতেই বুঝতে পারে সকাল সকাল আগুন জ্বালানোর কারণ। সে ছুট্টে যায় আর্ভিনের কাছে। ধাউ ধাউ আগুনে হৃদমের নষ্ট জিনিসগুলো জ্বল জ্বল করছে। এক্ষুনি হয়তো পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তার স্থির চোখ দু’টো থেকে কয়েক ফোঁটা অশ্রু বিসর্জন হয়।

আর্ভিন পেছন ফিরে পূণমের দিকে তাকায় না। জ্বলন্ত আগুনের কুন্ডলীর উপর দৃষ্টি রেখে বলে,
– নিজের একমাত্র বউয়ের কাছে তার প্রাক্তনের ফেলে রাখা জিনিস এত যত্নে দেখে কে সহ্য করবে? বলো তো! কেউ কি পারবে সহ্য করতে?’
জিজ্ঞাসু চোখে এবার সে তাকায় পূণমের দিকে। কিন্তু পূণম নিরুত্তর। তাতে তার কিছু আসলো-গেল না। সে নিজের মতোই বলতে লাগলো,
– উহুঁ! কেউ পারবে না। আমিও পারলাম না। তাই পুড়িয়ে দিয়েছি।’

এইটুকু বলে পূণমের সামনে এসে দাঁড়ায় আর্ভিন। ঠোঁট প্রসারিত করে মুচকি হাসে। মাথা নেড়ে নেড়ে জিজ্ঞেস করে,
– ভালো করেছি না, বউ?’
এবারেও পূণম নিশ্চুপ। আর্ভিনও উত্তরের অপেক্ষা করে না। বা’হাতে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে সেই স্থান ত্যাগ করে।

আর্ভিন চোখের আড়াল হতেই পূণম ধপ করে আগুনের কুন্ডলীর পাশে বসে পড়ে। ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে দেয়। জ্বলন্ত আগুনের লাল-গরম ছাইয়ের দিকে বাড়িয়ে দেয় তার কাঁপা হাত। তৎক্ষণাৎ জ্বলসে নীল হয়ে যায় হাতের তালু। দহন হচ্ছে তার মনেও। ক্ষত-বিক্ষত সেই পোড়া মনে বেদনার অদৃশ্য রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

দেখতে-দেখতে হৃদমের শেষ স্মৃতি চিহ্ন গুলোও উধাও হয়ে যায়। উড়তে থাকে হালকা বাতাসে, আড়াল হয় চোখের।

লম্বা কয়েকটা দম নিয়ে উঠে দাঁড়ায় পূণম। দু’হাতে চোখের পানি মুছে। অনেক হয়েছে, আর না! তাকে কি মানুষ মনে হয় না কারো? হৃদয়ের সবটা দিয়ে যাকে ভালোবেসেছে, তার সাথেই বিয়ে হওয়ার পর মানুষটা মরে গেল! কেন মরলো, কিভাবে মরলো তাকে জানানো হয়নি। কেন জানানো হয়নিইই? এই কেন’র উত্তর সে পায়নি কারোর থেকে। মৌন থেকেছে সবাই।

আবার, এক মাসও পেরুয় নি। ধরে-বেঁধে, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে দেওয়া হয় অচেনা একজনের সাথে। বিয়ের একদিনের মধ্যে নিজের দেশও ছাড়তে হয়েছে তাকে। এখন বেঁচে থাকার সামান্য কারণটুকুও জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। নিয়তির কাছে সপে দিয়েছিল সে নিজেকে। চুপচাপ দেখে গেছে, যা হচ্ছে। কিন্তু এখন আর চুপ থাকা যাবে না। একদমই না।

রক্তচক্ষু নিয়ে বাড়ির অন্দরে পা বাড়ায় পূণম। আর্ভিন ড্রয়িংয়েই বসে আছে, সোফার সামনের টি-টেবিলে দুই পা তুলে দিয়ে। হাতে ফার্স্টএইড বক্স। পূণম এক প্রকার তেড়ে আসে তার দিকে। কিছু বলতে যাবে এমন সময় আর্ভিন টেনে তাকে সোফায় নিজের পাশে বসিয়ে দেয়। ফার্স্টএইড থেকে অয়েনমেন্ট বের করে পূণমের পুড়ে যাওয়া হাতে লাগিয়ে দিতে থাকে।

স্মিত হাসে পূণম। মৃদু আওয়াজে বলে,
– বাইরের ক্ষততে তো মলম লাগালেন। অথচ ভিতরের দহনটা বুঝতেও পারলেন না।’
– সেটাও সেরে যাবে খুব দ্রুত। আমি আছি সারানোর জন্য। ইউ সোড নট টু ওয়ারি।’
আর্ভিনের পটাপট জবাবে ভয়ংকর মেজাজ খারাপ হয় পূণমের। এক ঝটকায় নিজের হাত সরিয়ে আনে তার থেকে।

আর্ভিন ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে তাকায়। পূণমের সরিয়ে ফেলা হাতটা মুচড়িয়ে ধরে, রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার মতো শক্ত করে।

আর্ভিনের হটাৎ বদলে যাওয়া রূপে কিছুটা অবাক-ই হয় পূণম। আরো বেশি অবাক হয় তার শান্ত অথচ গম্ভীর গলায় বলা কথাতে,
– আমার সাথে তোমার বিয়েটা মেনে নিতে হবে। সারাজীবন আমার সাথেই থাকতে হবে। থাকতে বাধ্য তুমি। তো অন্যের স্মৃতি আঁকড়ে থাকতে দেবো কেন? কোন স্বার্থে?’

বুক চিরে বেরিয়ে আসা একটি দীর্ঘশ্বাস গোপন করে পূণম। ভাঙা গলায় বলে,
– থাকছি না আমি আপনার সাথে সারাজীবন। হৃদমের সাথে থাকার কথা ছিল আমার। আর আমি তার সাথেই থাকবো।’
পূণমের কথায় প্রথমে মুচকি হাসলেও সাথে সাথেই আবার শব্দ করে হেসে উঠে আর্ভিন। চাপা হাসিতে জিজ্ঞেস করে,
– তো তুমি সুইসাইড করার প্ল্যান করছো? মাই গড!’
বলে আবারও হু-হা করে হাসতে থাকে।

আর্ভিনের হাসি পূণমের শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে। আগুনে ঘি ঢালার মতো করেই সে ফের বিদ্রুপের সুরে বললো,
– মরে গেলে হৃদমের সাথে থাকতে পারবে কে বললো?’
একটুকু বলে সে উঠে দাঁড়ায়। হাসি থামিয়ে পূণমের গাল চেপে ধরে। তার দিকে কিছুটা ঝুঁকে এসে দাঁত চেপে বলে,
– হৃদমের সাথে থাকতে হলে তোমায় বাংলাদেশে যেতে হবে। কিন্তু আফসোস! তুমি উপরে যাওয়ার প্ল্যান করছো, ফুলিশ গার্ল।

.
.
(চলবে)

® নবনীতা নূর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে