অন্তর্দহন প্রণয় ২ পর্ব-০১

0
4011

#অন্তর্দহন_প্রণয়
#দ্বিতীয় খন্ড
#সুরাইয়া_সাত্তার_ঊর্মি
১।

চাঁদনী রাত।
প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই প্রসর রাতে। ফকফক করছে শির উঁচু করা পাহাড় পর্বত, গাছ-পালা। থৈ থৈ করছে নদীর জল। তাল মিলিয়ে বহমান বাতাস। ভেসে ভেসে আশা নিশাচর পাখির গমগম।থেকে থেকে শোনা যাচ্ছে শেয়ালের হাক। ঠিক সেই মুহূর্তে শাস্যময়ী প্রকৃতির বুক চিঁড়ে সাই সাই করে চলে গেলো এক যান্ত্রিক বাহন। পিচ ঢালা রাস্তার ধার থেকে নেমে এলো গাড়িটি কাঁচা রাস্তায়। থেমে গেলো বড় ঝোপের ধারে।নেমে এলো দুজন মানব। নির্জন পরিবেশে এদিকে মানুষের দেখা পাওয়া দুষ্কর। মানব দুটি এদিক-ওদিক চাইলো। পা থেকে মাথা পর্যন্ত আগাগোড়া কালো কাপড়ে ঢাকা। যেন অন্ধকারেই মিশিয়ে দিতে চাইছে নিজে উপস্থিত। ভিরু ভিরু পায়ে গাড়ির পিছনে এলো তারা। পিছনের সিট থেকে একটি বস্তা টেনে ছেঁচড়ে দূরে ঝোঁপটির কাছে এলো। ঝিঁঝি পোকা ডাকছে। দূরে জোনাকি পোকার টিমটিম আলো। যেন এক মুঠো জ্বলজ্বল তারা ধরা দিলো পৃথিবীর বুকে। মানব দুটি আশপাশটা আবার দেখে ঝোঁপের ধারে ফেলে দিলো বস্তাটি। পসর রাতের আলোয় মানব দুটির চেহারায় ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। তারা দ্রুত জায়গা ত্যাগ করলো।

ভোরের আলো ফুটেছে । বাহিরে এখন ফুটফুটে ভোর। বাতাস হুহু করে বয়ে যাচ্ছে। মেজহাব মাত্রই নামাজ শেষ করে জগিং-এর উদ্দশ্যে বেড়িয়ে পড়লো। ছুটতে ছুটতে চলে এলো বড় রাস্তা ধরে লেকের পাশে। ঘন্টা খানেক দৌড়ে হাফিয়ে বসে পড়লো লেকের ধারে। সারা শরীর ঘেমে জর্জরিত। জ্যাকেটের চেনটা খুলে ফেললো সে। সারা মুখের বিন্দু দানা ঘাম হারিয়ে গেলো রুমালের ভাঁজের ফাকে। এক জোড়া তীক্ষ্ণ চোখ মেলে তাকিয়ে আছে পানির দিকে। মিষ্টি রোদের সোনালী আলো পড়ছে পানিতে। একটি পরিচিত মুখের প্রতিছবি আবছা ভেসে উঠলো যেন পানির উপর।তাৎক্ষণিক বন্ধ করে নিলো চোখ জোড়া। ভিতর থেকে বেড়িয়ে এলো দীর্ঘ শ্বাস। কিন্তু পুরোনো অতীত কি কখনো পিছু ছাড়ে? যেমন এখন-ও ভেসে আসচ্ছে কানের মাঝে কিশোরীর খিলখিল হাসির শব্দ। মেজহাব সচকিতে তাকালো। নাহ্.. সব তার ভ্রম। আবার-ও গাল ফুলিয়ে শ্বাস ছাড়লো। পরিবেশের নিস্তব্ধতা চিঁড়ে বেজে উঠলো তীক্ষ্ণ ফোনের আওয়াজ। ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো বয়স্ক পুরুষালী এক কন্ঠ,

“মেহজাব হোয়ার আর ইউ? তোমার আমাকে খুব প্রয়োজন!বড্ড বিপদে পড়েছি আমি!”

মেহজাব ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো। বলল,

“কেনো বস? ভাবিজী বুঝি আবার বের করে দিয়েছেন ঘর থেকে?

ওপাশ থেকে সিরিয়াস ভাবে বলল,

“মেহজাব মজার সময় নয়। একটি কেইস এসেছে খুব ক্রিটিক্যাল।”

মেহজাব এবার গম্ভীর হয়ে এলো। ওপাশের মানুষটিকে আসচ্ছি বলে কেঁটে দিলো কলটি। এবং নিজের অতীতের তালা বন্ধ করে দৌঁড়াতে শুরু করলো। গন্তব্য আপাতত বাড়ি।

***

টিভির চ্যানেলে এই নিয়ে হয়তো হাজারবার বলে কয়ে কান ঝালাপালা করে চলেছে দু’টি সংবাদ। বিশিষ্ট শিল্পপতি মুহিত চৌধুরী খুন।তার উপর বাড়ছে গনধর্ষণ। দিন দিন গুম হচ্ছে রমনী, তরণীরা পাওয়া যাচ্ছে ঘন ঘন লাশ। টিভির পর্দার ওপাশের রমণী তার ঠোঁট নাড়িয়ে বলে যাচ্ছে স্পষ্ট সুরে,

“পর পর চারটি খুন, ধরণ এক, সময় এক, খুনিও কি এক? কে এই খুনি? পুলিশ এখন পর্যন্ত একটি খুনের রহস্য-ও বের করতে পারেনি। না পেরেছেন গন ধর্ষনের কারীদের ধরতে। গোপন অর্থ জানা গিয়েছে কেইসটি এবার হস্তান্তর করা হবে সি আই ডির কাছে।এই কেইশ সম্পর্কে নতুন নতুন আপডেট জানতে চোখ রাখুন চ্যানেল টোয়েন্টিতে।”

ছোট শ্বাস গিলে টিভি ওফ করে দিলেন অফিসার জায়েদ। রিপোর্টাররা হাত ধুয়ে পিছনে পড়েছে যেন। কি করবে এবার জায়েদ? এই কেইস সলভ না করতে পাড়লে নাক কাটবে তাদের ডিপার্টমেন্টের। আবারো মাথা গরম হয়ে গেলো জায়েদের। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে মনে হচ্ছে। উনি বার বার মাথায় বরফের ব্যগটা চেপে ধরছেন। নাহ্ শান্তি নেই যেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘরের দরজায় নক পরে। জায়েদ গলা উঁচিয়ে বলে,

“কাম.. কামিং।”

মেজহাব হাসি হাসি মুখ করে ঢুকলো রুমটিতে। স্যারকে দেখে এক লম্বা সালাম দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। স্যার তাকালেন এক ঝলক। ছেলেটিকে দেখেই জায়েদের মন ভালো হয়ে গেলো। মাথা থেকে নেমে গেলো যেন ৮০ মন বস্তার ভর। এই সুঠাম, সুন্দর, লাল ফর্সা, দীর্ঘকায় ছেলেটি বরাবর ফিটফাট। হাসির ঝলক মুখখানায় কমই দেখা যায়। যদিও যতবার তার সাথে জায়েদের কথা হয় মন, প্রাণ ভরে যায়। একটা যেন সুখে থাকা টনিক। আজো অসম্ভব সুন্দর লাগছে ক্যাজুয়াল ফরমাল ড্রেস কোডে। হালকা রঙ্গের শার্ট আর কালো প্যান্ট। তার উপর একটি কোর্ড। চুল গুলো গুছিয়ে পিছনে সেট করে রাখা। লম্বাটে মুখ, শক্ত চোয়াল। হাসি হাসি মুখটিতে দু টো টোল পড়ে ডেবে যায়। খারা নাক। ধারালো আর কাট কাট চেহারা অধিকারী মেজহাব। ডিপার্টমেন্টে ওর রূপে মেয়েদের হাল যেন মরি মরি। জায়েদের বড্ড আফসোস হয়। আহ.. আজ যদি তার একটা মেয়ে থাকতো? ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়ে দিতো মেজহাবকে। মেজহাবকে এভাবে লক্ষ করতে দেখে হাসলো সে মিটিমিটি। গলা ঝেড়ে বলল,

“স্যার? আমায় দেখা শেষ হলে বরং জরুরি তলবটা কেন করেছেন, তা নিয়ে কথা বলি?”

জায়েদ হতাশ নিশ্বাস ছেড়ে বলল,

“তুমিই একমাত্র ভরসা বাবা। তোমাকে দেখেই শান্তি পাই। নয়তো কবেই হয়তো পটল তুলতাম।”

প্রতিউত্তরে হেসে উঠলো মেজহাব। জায়েদ আবার বলল,

“শহরটাতে কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দিনের পর দিন খুনের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। না খুনিকে ধরা যাচ্ছে, না কিভাবে খুন হচ্ছে তা ধরা যাচ্ছে।”

মেজহাব মন দিয়ে কথা গুলো শুনছে। আর টেবিলের উপর রাখা পেপার ওয়েটটা ঘুরাচ্ছে। সে বলল,

“স্যার কোনো ক্লুই পাওয়া যাচ্ছে না? ”

“নাহ্ কোনো ক্লুই নেই। আছে শুধু এতটুকুই খুন করা আগে ভিক্টিমকে একটি নোট পাঠানো হয়। আর নোট পাওয়ার পরের দিন ভিক্টিম হাওয়া। খুন করার ২৪ ঘন্টা পর লাশ পাওয়া যায়, গাজিপুর ভাওয়ালগড়ের আশে পাশে।”

মেজহাবের কঁপালে এবার ভাজ পরে। এই পর্যন্ত ৪টি খুন হয়েছে। আর ডেড বডি সব কয়টা পাওয়া যাচ্ছে গাজীপুরের জঙ্গলে। স্ট্রেঞ্জ? সে বলল,

“স্যার খুনির হয়তো গাজীপুর ভাওয়াল গড়ের সাথে কোনো লিংক আছে। নয়তো সেখানেই কেন বার বার লাশ পাওয়া যাচ্ছে?”

“সেটাইতো ধরতে পারছিনা আমরা। উপর থেকে পেশার আসচ্ছে বুঝতেই পারছো সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে মাহাদের খুন। সোজা তো ছেঁড়ে দেবে না তারা? পেশার দিয়েই যাচ্ছে। তাই তো তোমাকে ঢাকা। এবারের মতো আমাকে বাঁচাও! নয়তো শেষ বয়সে এসে চাকরি হারাতে হবে আমার।”

কেমন কাঁদোকাঁদো মুখ করে ফেললো যেন জায়েদ। বড্ড হাসি পেলো তার বসের কান্ডে। ঠোঁট চেপে হাসিটুকু গিলে। আসাস দিল,

“স্যার চিন্তা করবেন না। ইন শা আল্লাহ। এই খুনির কান টেনে আপনার পায়ের কাছে ফেলবো।”

জায়েদ হাসলো এবার। বলল,

“তুমি না থাকলে যে কি হতো আমার! আচ্ছা তাহলে নেমে পর তোমার টিম নিয়ে কাজে!”

মেজহাব মাথা নাড়ালো। আরো একবার সালাম দিয়ে বেড়িয়ে গেলো। তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো অলস দৃষ্টি কিছুখন তাকিয়ে জায়েদ আবারো টিভিটা অন করলো। সেই একটি খবর দৃশ্যপট হলো।

——-

বেধড়ক পেটানো হচ্ছে কাউকে জেলখানার চৌখুপির মতো একটি রুমে মাঝে। রিমান্ডে নিয়া হয়েছে কান কাটা মন্সুর নামের একটি মধ্য বয়সি লোককে। লোকটি কিছুতেই তার অপরাধ শিকার করছেই না। আবির এবার চেঁচিয়ে বলল,

“শালাকে ডিম থ্যারাপি দিতে হবে।নয়তো মুখ খুলবেই না!”

আবিরের কথায় বাকি দুজন কনস্টেবল হৈ হৈ করে সম্মতি দিলো। ঠিক তখনি আবির্ভাব হলো একজন আগুন্তকের। লোকটির পায়ের বুট জুতোর শব্দ থেমে গেলো সব। মন্সুর অতি আগ্রহে চাইলো দরজার দিকে। লোকটি ভিতরে এলো। আবছা আঁধারে দেখা গেলো মুখমন্ডল। আবির সহ দুজন কনস্টেবল স্ব শব্দ সালাম ঠুকলো আগুন্তকে। আগুন্তক মাথা নাড়লো। টেবিলের উল্টো পাশে রাখা চেয়ারটি বসলো। মন্সুর একটি যেন স্বস্তি পেলো। কাল থেকে বেধড়ক পিটিয়ে যাচ্ছে এই সুদর্শন স্যারটি। তার এই ধুলাই যার জন্য বেঘাত ঘটলো তাকে একবার নিভু নিভু চোখে দেখলো। ঘরের টিমটিম আলোয় একজন অত্যন্ত সুন্দর দীর্ঘকায় দেহের লম্বাচওড়া একটি লোক উদাসীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মন্সুর হা করে রইলো, এত সুন্দর যুবক সে দেখেছেই বড় পর্দায়, হিরোদের। মন্সুরের ভাবনার ফোড়ন কেঁটে সুদর্শণ যুবকটি বলল,

” এত কষ্ট করার কি আছে আবির? চামড়া ছিলে পৃথিবীর সব থেকে ঝাল মরিচ গুঁড়ো লাগিয়ে দেও.. তোমার কষ্টটা অতন্ত্য কমবে। আর তারো!”

মন্সুরের মুখ চুপসে গেলো। ভয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে স্বীকার করলো সব….

আবির হা হয়ে তাকিয়ে রইলো মেহজাবের দিকে। মেহজাব তখন ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে সিগারেট ধারালো। এক দলা কুন্ডলী পাকানো ধোয়া নাক মুখ দিয়ে ছেড়ে দিয়ে বলল,,

” নতুন কেইস হতে পেয়েছি আবির। সব কিছু আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে। কাহিনির শুরুটার রহস্য পেলেই… মধ্যাংশ মিলে যাবে… আর শেষটা না হয়.. আমরা লিখবো…!”

আবির মাথা নাড়ালো। দু’জনে এসে দাঁড়ালো একটি রুমের ভিতরে।চারিদিকে যান্ত্রিক জিনিস পথ। পাশেই বোর্ড। দামী দামী উন্নত মানের কম্পিউটার। আবির একটি ফাইল এগিয়ে দিয়ে বলল,

” স্যার… এই খুন গুলোর মাঝে একটি জিনিস কমন। ”

” কোন জিনিস? ”

” মেডিকেল কলেজ। ”

“মেডিকেল কলেজ?”

“জ্বি স্যার..! তবে এই কলেজটি দুবছর আগে বন্ধ হয়ে গেছিলো।”

” বন্ধ হয়ে গেছিলো? কিন্তু কেন?”

” ফাইল মোতাবেক ওই হসপিটাল ক্রাইম চলতো। যা হাতে নাতে ধরা পরার পর.. হসপিটালটি বন্ধ করে দেয়া হয়। সে বছর এ নিয়ে অনেক হাঙ্গামা-ও হয়। অনেক স্টুডেন্ট তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। এবং তাদের কোনো কলেজ এন্ট্রি দিচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত সরকারের রিকোয়েস্টে কয়েক টা কলেজ স্টুডেন্টদের সুযোগ দেয়। তবে অনেক স্টুডেন্ট এর মাঝে গায়েব হয়ে যায়, আবার কেউ বা বিদেশে চলে যায়..!”

মেহজাব আবারো সিগারেট ধারালো,

” ইন্টারেস্টিং! তা ওই কলেজ থেকে কারা কারা গায়েব হয়েছে? যাদের আতা-পাতা নেই।”

আবির গড়গড় করে বলল,

” ডাঃ সাহির, ডাঃ অভিনব, ডাঃ আদর আর দুজন স্টুডেন্ট জয়নব, কুয়াশা!”

মেহজাব গম্ভীর হয়ে গেলো। মুখের ভাব ভঙ্গি পাল্টে গেলো। বিড়বিড় করে বলল,

” জয়নব! হোয়ার আর ইউ??

———

একটা হিংস্র বাঘের থেকে কিছুটা দূর গুটিশুটি মেরে বসে আছে জয়নব। ভয়ে নিজের হাত এত শক্ত করে মুঠ করেছে যে নখ গিথে হাতের তালু থেকে রক্ত পড়া শুরু করেছে। দু হাটুতে মুখ গুজে থরথর করে কাঁপছে। জয়নব নিশব্দে কেঁদে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর টাইগারের গর্জনে মা মা করে চেচিয়ে যাচ্ছে জয়নব জয়নবের শ্যামবর্ণ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্ষীণ পায়ের আওয়াজ ভেসে ভেসে এলো কানে। টাইগার যে জয়নবের খুব কাছে ছিলো, সে এবার পিছিয়ে গিয়ে ভদ্র ছেলের মতো চুপচাপ বসে পড়লো। জয়নব এবার মাথা তুলে তাকালো। ফর্সা চেহারা আর গম্ভীরপূর্ণ দাম্ভিক মুখখানা নিয়ে এক হাটুতে ভর করে বসে পড়লো জলজ্যান্ত টাইগারের সামনে। টাইগারের মাথায় হাত বুলিয়ে মাংসের বড় পিস দিলো তার পেল্টের সামনে। চেটে পুটে খেতে লাগলো টাইগার। জয়নব এসব দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন চোখে তাকিয়ে রইলো আদরের দিকে। আদর তার ফ্যাকাসে বরফ দৃষ্টিতে জয়নবের দিক তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল,

” আজ থেকে আমার ছেলেই তোমার খেয়াল রাখবে।”

জয়নব বিস্ময়ে কাঠ। কান্না করতেই ভুলে গেছে। আদর আবার বলল,

“আমার থেকে পালাবার চেস্টা করো না জান। ভালো হবে না খুব একটা! তার ডেমো কিন্তু একটু দেখিয়েছি!”

জয়নব ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলো। মানুষের সাথে পেরে উঠতে পারবে হাজার বার। কিন্তু কিন্তু একটা বাঘ?? কিভাবে পারবে এই নরক থেকে পালাতে জয়নব? কিভাবে পারবে? বাকি শত্রুদের শেষ করতে? কিভাবে পারবে? এই গ্যামের মাস্টার মাইন্ডকে খুঁজে বের করতে??

চলবে,

অন্তর্দহন প্রণয় সিজন-০১ গল্পটি পড়তে লেখার উপর ক্লিক করুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে