#অন্তরালে_তুমি_আমি
#পর্বঃ০৪
#Mst_Liza
“জলি ঘুম ভাংতেই, নিজের বুকের উপরে ভারী কিছু অনুভব করলো।”
“চোখ মেলে চেয়ে যা দেখলো, তাতে আর কিছু বলার ভাষায় খুঁজে পাচ্ছে না।”
“জলির মাথাটার মধ্যে যেন ঘুরছে, দুনিয়াটা একদম উলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে।”
“হায়! হায়! এটা কি দেখছে জলি?”
“জলি বুকের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে আদিকে সরাতে চায়।আর আদি শক্ত করে জলির বুকে মুখ গুজে দেয়।”
আর বলে,
—আহ শোনা, এমন করছো কেন? একটু শান্ত হয়ে ঘুমাও না!
—হারামজাদা শান্ত হয়ে ঘুমানো তোকে দেখাই দেব, ওঠ বলছি!
—নাহ নাহ এতো সকালে উঠার অভ্যাস আমার নেই।
—তোরে আমি…
জলি রেগে দুই হাত দিয়ে আদির চুলের মুষ্টি ধরে টেনে বলে,
—ওঠঠঠ
“আদি উঠে বসলে, জলি কম্বলটা টেনে নিজের শরীরে জড়িয়ে ভালোভাবে ঢেকে নেয়। তারপর ভ্যাআআআআ করে কান্না জুড়ে দেয়।”
জলির কান্না দেখে আদি বলে,
—যাহহ..এত্ত আদর দিলাম তারপরও কাঁদো। আসো না সোনা আরেকটু আদর করি।
“কথাটা বলে আদি আবার জলিকে জড়িয়ে ধরতে যায়। আর জলি বাঁধা দেয়।”
—দুশ্চরিত্র! লুচ্চা। দুনিয়ায় কি মেয়ে কম পরে গিয়েছিলো, যে আমার সাথে এমন করলি? কেন করলি এমনটা আমার সাথে?
“আদির গলাটা চেপে ধরে কথাটা বলে জলি।”
আদি জলির হাত শক্ত করে ধরে বসে।আর বলে,
—দোষ কি শুধু আমার একার?
যা হয়েছে তোর নিজের ইচ্ছাতে হয়েছে।আমি কতো করে বললাম প্লিজ জলি আমাকে ছুঁস না।কিন্তু তুই আমার কোনো কথাই শুনলি না।আমাকে টেনে টেনে চুম্মা দিলি।আমার শার্টের বোতামগুলোও ছিড়ে ফেললি।আমার সতিত্ব কেড়ে নিয়ে এখন আবার আমাকেই কথা শোনাচ্ছিস? যাহ তোকে আর সোনা বলবো না।বালডা..মিজাজটাই খারাপ করে দেয়..
—কি বললি তুই? আমি এসব করেছি?
—হুমমমম।নইলে কি আর তোর মতোন কেরোসিনের কাছে আমার মতোন আগুন আসা সম্ভব?
—আচ্ছা শোন তাইলে, এগুলো কারও সামনে বলতে যাস না।
—নাহ নাহ কি বলিস।এসব আমি কেন কাউকে বলবো? আমার একটা সম্মান আছে না।
“জলি মনে মনে ভাবছে, সে কি সত্যি এমনটা করেছে কাল রাতে? নাকি আদি মিথ্যা বলছে? সে যাই হোক।ব্যাপারটা কাউকে জানতে দেওয়া যাবে না।”
জলি আর কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই আদি নিচে নেমে প্যান্টটা পরে শার্টটা কাধেঁ উঠিয়ে দৌড় দেয়।
;
;
“ওদিকে আবির কিচেনে বসে রুটি বেলছে আর অহনা পাশে দাড়িয়ে আছে।”
—আবির! আমি পারবো প্লিজ আমাকে দাও?
আবির বেলনটা উঁচু করে অহনার সামনে ধরে বলে,
—আর একটাও কথা নয়।তুমি যতোদিন না সুস্থ হচ্ছো বাড়ির সব কাজ করে তাই আমি অফিসে যাবো।
—তুমি কি পাগল নাকি? এমন ছেলে মানুষি কেউ করে? দাও আমাকে দাও?
“আবির বেলনটা অহনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে অহনাকে টেনে আনে। তারপর পেছনের থেকে অহনাকে জড়িয়ে অহনার হাতটা শক্ত করে বেলনের সাথে চেপে ধরে।আর অহনার কাঁধের উপরে নিজের থুতনিটা রেখে রুটি বেলতে থাকে।”
“অহনা বেলনাটা ছেড়ে ঘুরে আবিরের মুখোমুখি হয়।”আবিরের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,
—এইভাবে কাজ করলে বেলা দুপুর গড়িয়ে যাবে।অফিসে আর যাওয়া লাগবে না তোমার।
“আবির অহনার কোমড় ধরে অহনাকে আরও কাছে টেনে নেয়।আর অহনার কোমড়ে পোড়া যায়গাটাই আবিরের হাত পরলে অহনা ব্যাথায় আহ্ করে ওঠে।”
“সঙ্গে সঙ্গে আবির অহনাকে ছেড়ে দেয়। নিচু হয়ে অহনার কোমড়ের পোড়া দাগটা দেখে উঠে দাড়িয়ে গ্যাসের চুলাটা অন করে নিজের হাতটা আগুনে রাখে।”
,
,
,
,
চলবে,,,,