অনুভূতি
পর্ব ৩৯
মিশু মনি
.
৬১.
আজ মেঘালয়ের বাবা মায়ের বিবাহ বার্ষিকী।
ওনারা মিশুকে নিয়ে যেতে বলেছেন বাসায়। মিশু সাজগোজ করে বসে আছে, মেঘালয় আসবে ওকে নিতে। মাঝখানে অনেক গুলো দিন কেটে গেছে ওর বন্ধুদের কারো সাথে দেখা হয়নি। আজ অনেক দিন বাদে সবার সাথে দেখা হবে ভেবে মিশুর খুব আনন্দ হচ্ছে। রৌদ্রময়ী ও শাড়ি পড়ে রেডি হয়ে নিলো। কালো শাড়িতে ওকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
মেঘালয়ের সাথে এখন তিনদিন পরপর মিশুর দেখা হয়। আজকেও তিনদিন পর দেখা হতে যাচ্ছে। একদিন দেখা হওয়ার পর বাকি তিনটা দিন মিশু খুব প্রতীক্ষায় থাকে। অবশ্য মিশুর চেয়ে মেঘালয়ের বেশি চিন্তা হয় মিশুর জন্য। ওর ইচ্ছে করে সারাক্ষণ মিশুকে আগলে রাখতে। কিন্তু সেটা তো আর হয়ে ওঠে না। বড্ড মন কেমন করে ওর।
মেঘালয় মিশুকে দেখেই এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। কানে ফিসফিস করে বললো, “দিনদিন তোমার ফিগার তো কোকাকোলার মতন হয়ে যাচ্ছে।”
মিশু মুখটা কালো করে বললো, “টাইগার কেন নয়? আমার তো টাইগার এনার্জি ড্রিংকস বেশি পছন্দ। টাইগার ক্যান কিংবা স্পিড অথবা স্পিরিট।”
মেঘালয় হো হো করে হেসে উঠলো। মিশুর কোমরে হাত রেখে এগিয়ে এসে কানেকানে বললো, “সেগুলা তো আর তোমার ফিগারের মতন না। একমাত্র কোকাকোলাই মেয়েদের ফিগারের আকারের মতন করে বানানো হয়েছে।”
মিশু লজ্জায় মেঘালয়ের বুকে মুখ গুঁজে দিয়ে বললো, “কি খারাপ তুমি! এভাবে কেউ বলে!”
– “হুম,আমার ই তো বউ। আমি বলবো না?”
– “যাও, খারাপ একটা লোক।”
– “অবশ্য তোমাকে এখনো নিতান্তই বাচ্চা বাচ্চা লাগে। থার্টি সিক্স,টুয়েন্টি ফোর, থার্টি সিক্স হতে আরো বছর খানেক লাগবে।”
– “মানে!”
মেঘালয় দুষ্টুমি হাসি হেসে বললো, “সেসব একটু ক্রিটিক্যাল অংক। এখন বুঝবা না, আগে বড় হও তারপর বুঝবা।”
বলেই শব্দ করে হাসতে লাগলো। আর মিশু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ক্ষেপতে লাগলো। কি বাজে একটা লোক! সারাক্ষণ জ্বালায় ওকে। অথচ এই লোকটাকে দেখার জন্যই তিনটা দিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে ও। মেঘালয় কাছে এলে সময় গুলো খুব দ্রুত কেটে যায়,আর মেঘালয় যখন দূরে থাকে সময় যেন কাটতেই চায়না। সুখের সময় গুলো বড্ড বেশি দ্রুত চলে যায়।
মেঘালয় মিশুর গলায় মুখ ডুবিয়ে ইচ্ছেমত আদর করে দিচ্ছে। মিশু উত্তেজনায় ছটফট করছে শুধু। আজ থেকে চার মাস আগে ওদের বিয়ে হয়েছে,তখন কিছুই বুঝত না মিশু। অথচ আজকাল মিশুই অপেক্ষা করে থাকে কখন একটু মেঘালয়কে একান্তভাবে কাছে পাবে।
মেঘালয় বাথরুমে ঢুকে গেলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য। মিশু সোফায় বসে গালে হাত দিয়ে চিন্তা করতে লাগলো। মেঘালয়কে আজকাল পেলে আর ছাড়তে ইচ্ছে করেনা। এত কম সময়ের জন্য ছেলেটা কেন আসে? সাজেকে যাওয়ার প্লান ছিলো সেই বিয়ের আগ থেকে, অথচ এখনো যাওয়া হয়ে উঠলো না। বিয়ে আর সিলেট ট্যুরের খরচের ঝাকিটা সামলে নিতেই কয়েকদিন কেটে গেছে। তার উপর নতুন সংসার, ভার্সিটিতে ভর্তি সবকিছু করতেই অনেক টাকা চলে গেছে। মেঘালয়ের রেগুলার রিহার্সাল থাকে, নতুন নতুন এলবামের জন্য গান করাতে ব্যস্ত থাকে ও। আর মিশু ভার্সিটিতে যায়,ক্লাস করে বাসায় ফিরে শুয়ে বসে বই পড়ে সময় কাটায়। এত সুখের জীবন ভালো লাগেনা। একটু কষ্ট না থাকলে জীবনকে জীবন মনেই হয়না।
রেডিও প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব যখন মিশুকে দেয়া হয়েছিলো মিশু খুব নিঁখুত ভাবে করে দিয়েছে। মেঘালয় আগেই ওকে সবকিছু দেখিয়ে এনেছে, টানা এক সপ্তাহ কঠিন সব প্রাক্টিস করতে হয়েছে। রেজাল্ট ও ভালোই হয়েছে। এখন যেকোনো একদিন মিশুর প্রথম জকির ডিউটি শুরু হবে, সেই অপেক্ষাতেই আছে ও। মেঘালয় আশাবাদী, মিশু একদিন নামকরা রেডিও জকি হবে। কিন্তু মিশুর আর কিছুই ভালো লাগেনা এখন, ওর শুধু সারাক্ষণ মেঘালয়কে নিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। সেই চার মাস আগে মেঘালয়ের যে অবস্থা হয়েছিলো, এখন ওর সেরকম হচ্ছে। সবসময় মেঘালয়কে কাছে পেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু মেঘের এখন সময় নেই।
মেঘালয় বাইরে এসে মিশুকে গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখে বললো, “কি ভাবছো?”
মিশু উঠে এসে মেঘালয়ের কলার টেনে ধরে ওর বুকে ভর দিয়ে দাঁড়ালো। আদুরে গলায় বললো, “আমাকে ৩৬ ঘন্টা সময় দিবা মেঘ?”
মেঘালয় মিশুর পেটে হাত রেখে ওকে টেনে আরো কাছে নিয়ে বললো, “৩৬ ঘন্টা শরীরে শরীরে খেলা হবে?”
– “উফফ এভাবে বলো কেন? শিউরে উঠি আমি।”
– “শিহরণ বইয়ে দেয়ার জন্যই তো বলি। হঠাৎ এই আবদার?”
– “তুমি আজকাল বড্ড বেশি ব্যস্ত থাকো। আমার একা একা সারাক্ষণ ঘরে শুয়ে বসে টিভি দেখা ছাড়া আর কাজ নেই। এভাবে আমার ভালো লাগেনা। তিনটা দিন পর তুমি আসো, তাও একটা রাতের জন্য। সেটা চোখের পলকে কেটে যায়।”
মেঘালয় হেসে বললো, “সেটাই তো ভালো। প্রতিদিন কাছে পেলে এত সুখ হবেনা।”
– “জানি। কিন্তু সবসময় একসাথে থাকলে তোমাকে খাইয়ে দিতে পারতাম, একসাথে বসে টিভি দেখা,গল্প করা সবকিছু করতে পারতাম। তুমি আজকাল সারাদিনে একবার কলও দেয়ার সময় পাওনা।”
মেঘালয় হেসে বললো, “আহারে! আমার বউটার অভিমান হয়েছে বুঝি?”
– “হবেনা? রাতে ফ্রি হয়ে কল দাও সেই ১২ টার পর। তখন তুমি প্রচণ্ড টায়ার্ড থাকো, আমার খারাপ লাগে তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে। সেজন্য দশ মিনিট কথা বলেই রেখে দেই। এতে আমার সুখ হয়না মোটেও। কতদিন একসাথে বসে গল্প করিনা ভাবো তো?”
-“বুঝেছি, একটানা ৩৬ ঘন্টা আদর করতে হবে সেটা না বলে এখন আমাকে রূপকথা শুনাচ্ছো।”
– “তুমি খুব খারাপ। অতকিছু চাইনা,তুমি অনেক্ষণ আমার সামনে বসে থাকো তো আমি দেখি।”
– “আজকে আমাদের বাসায় যাচ্ছো তো, সারারাত দেখবা।”
– “একদম একান্তই আমার করে,নিজের মত করে।”
মিশুর মন খারাপ করা মুখটা দেখে মেঘালয় ওর নাকটা টেনে দিয়ে বললো, “তুমি Rj হয়ে গেছো, এখন ডিউটি শুরু হোক তারপর দেখবো এত সময় পাও কই?”
– “আমি কখনোই এত ব্যস্ততা দেখাবো না। যতটা তুমি দেখাও।”
মিশুর অভিমানী গলা শুনে মেঘালয় হেসে ফেললো, “আচ্ছা তবে কি করতে হবে বলো? ৩৬ ঘন্টার কর্ম অবরোধ দিয়ে তোমার সামনে বসে থাকতে হবে?”
– “সাজেকে….”
কথাটা বলেই থামলো মিশু। মেঘালয় চোখ নাচিয়ে বললো, “উম ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছো তো।”
– “হ্যা, আমার ডিউটি শুরু হওয়ার আগেই একটা ট্যুর দিয়ে আসি।”
– “ট্যুর বলছো কেন? বলো হানিমুন। চারমাস পর হানিমুন। আহ! কি সুখ!”
মিশু মেঘালয়ের বুকে দুটো কিল বসিয়ে বললো, “তুমি দিনদিন বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছো। পাজি লোকটা।”
মেঘালয় হো হো করে হাসলো। মিশুর অভিমানী গলার কথাগুলো শুনতে বেশ লাগছে। ও মনেমনে প্লান করে ফেললো সবকাজে বিরতি দিয়ে তিনটা দিন সাজেক থেকে ঘুরে আসতে। সত্যিই অনেক দিন থেকে কাজ নিয়ে এতবেশি ব্যস্ত ছিলো ও, মিশুর সাথে একাকী ভাবে সময় কাটানোই হয়নি। মেয়েটার মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সবকিছুর আগে মিশু,কাজ জলে যাক। মিশুকে দুম করেই একটা সারপ্রাইজ দিয়ে দেবে ও।
মিশু ও রোদকে গাড়িতে তুলে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো ও। দুপুর এখন নিখিলের সাথে থাকে। গত সপ্তাহে ওদের বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দুপুর ও অরণ্য দুজনের বাবাকেই বাসায় ডেকে এনে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছে ওরা। অবশ্য পুরো ক্রেডিট টাই মেঘালয়ের। মেঘালয় সবকিছু ম্যানেজ না করলে এত তাড়াতাড়ি হয়ত তালাকের ব্যবস্থা করা সম্ভবপর হতোনা। সবকিছু ভালোভাবেই মিটে গেছে। অরণ্য দুপুরের কোনোরকম খোজ পায়নি,ঝামেলা করা তো দূরের কথা। মেঘালয় মনেমনে ভাবছে সাজেকে গেলে ওদেরকেও নিয়ে যেতে হবে। সদ্য বিয়ে হয়েছে ওদের,বিয়ের পর একটা হানিমুন হয়ে যাক।
৬২.
মেঘালয়ের মা মিশুকে দেখেই খুশি হয়ে উঠলেন। একমাত্র ছেলের একমাত্র প্রিয়জন, মেয়ের মত না দেখলে মেঘালয় কষ্ট পাবে। কয়দিন পর মিশু এ বাড়ির ই বউ হবে, অযথা দূরে রেখে লাভ ই বা কোথায়?
মিশু একটা শাড়ির প্যাকেট মায়ের হাতে দিয়ে বললো, “আপনাকে আজকে আমি বিয়ের কনে সাজিয়ে দিবো। আর বাবাকে বর সাজিয়ে দিবো।”
মা হেসে বললেন, “দিও। কিন্তু বাসর ঘর না সাজালে আমি বউ সাজবো না মোটেও।”
সবাই হা হয়ে গেলো এরকম কথা শুনে। মিশু ভেবেছিলো মা হয়ত লজ্জায় লাল হয়ে যাবেন। কিন্তু মায়ের এমন উত্তর শুনে ওর হাসি পেলো। ওর হাসি দেখে সবাই হাসতে লাগলো। মেঘালয়ের মা মিশুকে বললেন, “আগে একটু নাস্তা করে নাও সবাই মিলে। তারপর যা করার করো।”
নাস্তার টেবিলে বসে সবাই চিল্লাচিল্লি করে নাস্তা খাচ্ছে। অনেক দিন পর মিশুকে পেয়ে সায়ান আর পূর্ব দারুণ খুশি। মেয়েটাকে ছাড়া আড্ডা জমেই না যেন। মিশু নতুন Rj হয়েছে, সেই ট্রিট নিয়ে হৈ চৈ শুরু করে দিলো ওরা। দীর্ঘদিন পর পূর্ব রোদকে দেখতে পেয়ে একটু উত্তেজিত। মনেমনে একটু ফিলিংস জন্মেছিলো ওর প্রতি। সেই কনসার্টের রাতের পর মাত্র একদিন দেখা হয়েছিলো, সেরকম কথা হয়নি। তারপর আজকে দেখা। আজও একটু একটু অন্যরকম ফিল কাজ করছে ভেতরে।
মা মিশুকে জোর করে করে নাস্তা খাওয়াচ্ছেন। মিশু বললো, “আমার আম্মুও আমাকে এত আদর করেনা হয়ত।”
– “আমি কি তোমার আম্মু নই? নাকি শুধু নামের আম্মু?”
– “আপনি আমার মা। আমার কলিজার টুকরা।”
বলেই ওনাকে জড়িয়ে ধরলো মিশু। মেঘালয় তো সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকে। মিশুর একা একা লাগলেই ও এসে শ্বাশুরি মায়ের সাথে গল্পে মেতে উঠতো। দুজনের বেশ গলায় গলায় ভাব জমে গেছে। উনি মিশুকে বললেন, “এবার তো নিজের একটা পরিচয় হতে চলেছে তোমার। এখন ওটা তোমার ক্যারিয়ার প্লাস প্রফেশন ও। এবার তোমার মা আর বোনকে ঢাকায় নিয়ে এসো ”
মেঘালয় বললো, “আমিও তাই ভাবছিলাম। ওনাদেরকে এখানে নিয়ে এসে রাখুক।”
মিশু করুণ দৃষ্টিতে তাকালো মেঘালয়ের দিকে। ওর তো বাসায় একা একা থাকতে হয়। বাড়ির কথা খুব মনে পড়ে। তবুও মাকে নিয়ে আসার কথা ভাবেনা ও। কারণ ওরা এখানে এসে থাকলে মেঘালয় আসবে কিভাবে? তখন যদি মেঘালয়ের সাথে এইটুকু সময় ও একসাথে থাকা না হয়,মিশু মরেই যাবে। তিনদিন পর দেখা হয়েও ওর কত কষ্ট হয়। একেবারেই না হলে মেনে নেয়া যাবেনা।
মেঘালয় ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ব্যাপার টা অনুধাবন করতে পেরেছে। ও ইশারায় বুঝালো, “আমি তো আছি, চিন্তা করোনা।”
মিশু মাথা ঝাঁকাল। নাস্তা শেষ করে নিয়ে ও মাকে শাড়ি পড়ে দিলো। একদম নতুন বউয়ের মতন সাজগোজ করিয়ে দিলো। মেঘালয়ের বাবা এখনো বাসায় ফেরেন নি। এদিকে সবাই মিলে আনন্দ, হৈ চৈ করতে লাগলো। পূর্ব বারবার তাকাচ্ছে রোদের দিকে। মিশু ওদিকে মাকে নিয়ে রুমে সাজুগুজু করিয়ে দিচ্ছে আর মেঘালয় এদিকে বন্ধুদের সাথে প্লান করে ফেললো সাজেকে যাওয়ার। অনেক দিন থেকে সবাই মিলে একসাথে সময় কাটানো হয়না। সায়ান,পূর্ব,আরাফ,রোদ, দুপুর এদেরকে নিয়ে একটা পরিবারের মতন হয়ে গেছে। পরিবারটাকে ছাড়া সাজেকে গিয়ে কি আনন্দ হবে? মিশু শুনলে নিশ্চয়ই আনন্দে লাফালাফি শুরু করে দিবে।
মিশু একাই ফুল দিয়ে বাসর ঘর সাজিয়ে দিলো। কাউকে আসতেও দিলোনা রুমে। মেঘালয় মনেমনে ভাবছে, মেয়েটা আসার পর থেকেই ব্যস্ত। রুম থেকে বের হওয়ার ই সময় পাচ্ছেনা। কোথায় ভাবলাম সারাক্ষণ ওর সামনে বসে থাকবো, সেটা আর হলোনা। মিশুর জন্য এখন মন কেমন করছে ওর। যত দ্রুত সম্ভব সাজেকে যেতে হবে। আচ্ছা, পরশু গেলে কেমন হয়?
সায়ান সম্মতি দিয়ে বললো, “সেটাই ভালো হবে। তবে কেউ মিশুকে কিছু বলবো না আগেই, ওর জন্য এটা একটা গ্রেট সারপ্রাইজ হবে।”
মেঘালয়ের মনটাও আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। ও আর স্থির হয়ে থাকতে পারছে না। সাজেকে যাওয়ার সমস্ত প্লান সেরে ফেললো সবাই মিলে। চাঁদা ঠিক করা হলো, দুপুর আর নিখিলকেও ফোন দিয়ে দাওয়াত করা হলো সাজেকে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ওদের সদ্য বিয়ে হয়েছে তাই ওদের চাঁদাটা ওরা বন্ধুরা সবাই মিলে দেবে ঠিক করা হলো।
চলবে..