অনুভূতি
পর্ব ১৫
মিশু মনি
.
২৫.
-“বিয়ে করবা আমায়?”
নিঃসংকোচ প্রস্তাব! কোনো কথাবার্তা ছাড়াই কেউ এভাবে বিয়ে করতে বললে সত্যিই আশ্চর্য হতেই হয়। তার উপর মেঘালয়ের মত একজন মানুষ এ কথা বলছে এটাও অবিশ্বাস্য। ঢোক গিলে মিশু তাকিয়ে রইলো ওর দিকে।
মেঘালয় খুব নরম গলায় বললো, “আমাকে বিশ্বাস করতে পারো?”
– “হুম পারি। কিন্তু আপনি কেন এরকম প্রস্তাব দিচ্ছেন আমি বুঝতে পারছি না।”
মেঘালয় একটু নড়ে বসলো। তারপর মিশুর মুখোমুখি হয়ে বসে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, “আমাকে কতদিন ধরে চেনো তুমি? প্রথম দেখা কোথায় হয়েছিলো?”
– “রাস্তায়, বৃষ্টির দিনে। আপনার রেইনকোট চেয়ে নিয়েছিলাম আমি।”
মেঘালয় বললো, “এটাই পয়েন্ট। তুমি যখন আচমকা এসে বললে, ‘আপনার রেইনকোট টা একটু দেবেন? আমার বৃষ্টি সহ্য হয়না’ কথাটা চুড়ির মিষ্টি রিনিঝিনির মত এখনো কানে বাজে আমার। আমি একদম অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। স্তব্ধ হয়ে তাকিয়েছিলাম তোমার দিকে। তুমি ব্যস্ত হয়ে বারবার চাইলে, আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম তোমার আচরণে। বিশ্বাস করো, সেদিন ই অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে ছিলো। তারপর তোমার শপে গিয়ে যখন তোমাকে কষ্ট করে ডিউটি করতে দেখি,বুকের ভেতরে কেমন কষ্ট অনুভূত হচ্ছিলো। তোমার জন্য কিছু করার ইচ্ছে অনুভব করছিলাম।”
মিশু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে। বললো, “তারপর?”
মেঘালয় বললো, “আমি সেদিন রাতেই অনেক জায়গায় ফোন দিয়ে কথা বলে রেখেছিলাম তোমার চাকরীর জন্য। মাঝরাতে তোমাকে রাস্তায় ছুটতে দেখে গিয়ে যখন বাইকে তুললাম, কেবলই মনে হচ্ছিলো তোমার জন্য একমাত্র ভরসার হাতটা হয়ত আমার ই। তখন বুঝিনি ধীরেধীরে তোমার প্রতি একটু একটু করে মায়া বাড়ছে আমার। এই মায়াটার নামই হয়ত ভালোবাসা।”
মিশু মুগ্ধ হয়ে শুনছে। ভালো লাগছে ওর। মেঘালয় সেইদিন থেকেই ওকে নিয়ে এত ভাবে ব্যাপার টা ভালো লাগার মত। কিন্তু কিছু না ভেবেই প্রশ্ন করে বসলো, “আপনি দেখতে অনেক সুন্দর, আমার মত কুৎসিত একটা মেয়ের মাঝে কি পেলেন শুনি?”
মেঘালয় মিশুর দিকে আপাদমস্তক তাকিয়ে হাসলো। তারপর বললো, “তুমি মোটেও কুৎসিত নও। তোমার দেহের গাঁথুনি একদম আকর্ষণীয়,যদি ঠিকঠাক কেয়ার করতে পারো তবে আর দু তিন বছর পর তোমার চেহারা দেখলে যে কোনো পুরুষের রাতের ঘুম হারাম হবে।”
মিশু লজ্জায় নীল হয়ে গেলো একেবারে। এসব আবার কেমন কথা! লজ্জায় মাথাই তুলতে পারছে না। মাথা নিচু করেই বললো, “আমার দেহের গাঁথুনি মানে! আপনি এসবের দিকেও নজর দেন?”
– “উহু, রাগ করোনা। তুমি নিজেকে কুৎসিত বললা সে জন্যই বললাম। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, যদি টানা ছয় মাস আসন করো, তুমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে ছেলেরা একবার তাকাতে বাধ্য।”
– “বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে। ছি, এসব… ”
মিশু লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছে একদম। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলো ও। ওর লজ্জানত মুখের দিকে তাকিয়ে মেঘালয় বললো, “এটা গেলো দৈহিক সৌন্দর্য, আর মানসিক সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে বলবো, তোমার রুচিবোধ অনেক উন্নতমানের। আর তোমার মাঝে একটা ইনোসেন্ট ভাব আছে, তুমি নিজের ইচ্ছেকে সবসময় প্রায়োরিটি দাও। কাজের পরিণতি নিয়ে ভাবো না। ব্যাপার টা ভালো লাগে আমার।”
মিশু জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো, “আমাকে নিয়ে এতকিছু গবেষণা করা হয়ে গেছে আপনার?”
মেঘালয় মধুর ভঙ্গিতে হাসলো। এরকম করে মিশুকে বলতে পেরেছে দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত এরকম কথাবার্তা কাউকে বলে না ও, সবার সাথে সবকিছু শেয়ার করতেও পারেনা। সত্যিই মিশু অনেক আপন হয়ে গেছে, যার দরুন অনায়াসে ওকে এসব বলা যাচ্ছে।
মেঘালয় বললো, “কি হলো মিশু? কিছু বলবে না?”
মিশু ওর দিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, “যা যা বললেন সব সত্যিই?”
– “হুম সত্যি। আমি কিছুতেই আর তোমাকে দূরে রাখতে পারছি না, আমরা বিয়ে করে ফেলবো।”
– “সরাসরি বিয়ে?”
– “হুম বিয়ে। তারপর চুটিয়ে প্রেম করবো।”
মিশু উঠে দাঁড়িয়ে এসে মেঘালয়ের সামনে দাঁড়ালো। তারপর ওর চোখের দিকে চোখ রেখে বললো, “আপনি কি সিরিয়াস?”
– “হুম একদম সিরিয়াস। আমি এইমাত্র সিদ্ধান্ত নিলাম আমি কাল পরশুর মধ্যেই তোমাকে বিয়ে করবো।”
– “কিহ! এত দ্রুত? কিভাবে সম্ভব এটা?”
চোখ দুটো স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় আকার ধারণ করেছে মিশুর। সবই কেমন স্বপ্নের মত লাগছে। মেঘালয় ঠিক আছে তো?
মেঘ বললো, “তুমি করতে পারবা কিনা সেটা বলো?”
– “আচমকা বিয়ের কথা শুনে আমার মুখ এমনিতেই হা হয়ে গেছে,তার উপর কাল পরশুর মধ্যে বিয়ে হবে শুনে আর গলা দিয়ে শব্দই বের হচ্ছে না।”
মেঘালয় হেসে বললো, “শুধুমাত্র কথার উপর নির্ভর করে আজকাল বিশ্বাস করা যায়না। এজন্যই বিয়ে করে ফেললে তোমার তো আর ভয় থাকবে না। বিয়ে করে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে তোমাকে রেখে দিবো, সেখানে থেকে পড়াশোনা করবা। সময় হলে বাসায় জানাবো আমি।”
মিশুর মাথা ঘুরছে। এই ছেলেটা এলিয়েনের মতন দুম করে নেমে এসে এসব কি বলছে? আকাশ থেকে নেমে আসেনি তো?
মেঘালয় উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছে। মিশু একটু ভেবে বেশ জোড়ালো ভঙ্গিতে জবাব দিলো, “এত তাড়াতাড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়াটা কি ঠিক? দুজন দুজনকে জানার অনেক বাকি, একসাথে বাকি জীবন থাকতে পারবো কিনা সবই তো বুঝতে হবে। তারপর না হয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। এজন্য অনেক সময় দরকার।”
মেঘালয় একটু নিশ্চুপ হয়ে ভাবলো। মিশু যা বলেছে সবই সত্য। কিন্তু মিশুর জন্য যেটুকু জানে,এর বেশি কিছু জানার প্রয়োজন মনে করছে না ও। মিশুকে এভাবেই ভালোবাসতে, বিয়ে করতে আর সারাজীবন আগলে রাখতে ওর কোনো সমস্যাই হবেনা। কিন্তু মেঘালয়ের সম্পর্কে জানতে মিশুর হয়ত একটু সময়ের প্রয়োজন।
ও বললো, “তুমি এখন কি চাইছো? সময় নিতে?”
মিশু দুম করেই বললো, “আমার খুব বিয়ে নামক পাগলামি টা করতে ইচ্ছে করছে।”
– “সিরিয়াসলি?”
– “হুম, আমার তো আর কেউ নেই। একটা ছোট্ট ঘর,আর ঘরভর্তি ভালোবাসা থাকলে ব্যাপার টা মন্দ হয়না।”
বলেই হাসলো। মেঘালয় ওর গাল টেনে দিয়ে বললো, “ওরে আমার দুষ্টু টা রে। বিয়ে করার এত ইচ্ছে? অনেক যন্ত্রণা সইতে হবে কিন্তু।”
– “কি যন্ত্রণা?”
– “প্রচণ্ড জ্বালাবো, একটা রাতও ঘুমাতে দিবো না।”
– “সারা রাত কি রাস্তায় হাঁটবেন?”
– “হ্যা, হাঁটবো, ঘুরবো, আর বিয়ের পর বর কনেরা যা যা করে আর কি।”
– “কি কি করে?”
মিশু হা করে মেঘালয়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করলো। পরক্ষণেই আবার নিজেই লজ্জায় কুকড়ে যেতে লাগলো। অনেক্ষণ লজ্জানত হয়ে মাথা নিচু করে মেঘালয়ের পায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। খুব সুন্দর পা দুটো ওর। তারপর হঠাৎ মুখ টিপে বললো, “একটা জিনিস দেখবো তারপর বিয়েতে মত দিবো।”
মেঘালয় ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, “কি জিনিস?”
– “শার্ট খুলুন।”
– “মানে!”
চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো মেঘালয়ের। শার্ট খুলবো মানে কি?
মিশু নির্লজ্জের মত বললো, “আপনার রোমশ বুকটা একবার দেখবো। ওখানে বাস করতে পারবো কিনা না দেখে কিভাবে বিয়ে করি?”
মেঘালয় হতভম্ব! এ কেমন অত্যাচার? আজ অব্দি জগতে কোনো মেয়ে পাত্রের জামা খুলে বডি দেখতে চেয়েছে নাকি? আজব মাইরি।
ও আস্তে আস্তে সব বোতাম খুলে শার্টটা খুলে ফেললো। একান্তই নির্জনে এভাবে মেঘালয়ের প্রশস্ত বুকটা দেখতে পেয়ে লজ্জায় গাল লাল হতে শুরু করেছে মিশুর। অন্যদিকে একটা ভালোলাগায় বিভোর হয়ে রইলো ও। ফর্সা বুকে ঘন ঘন লোম দেখে একবার নাক ডুবাতে ইচ্ছে করছে। আর গলার দিকে এতবেশি সুন্দর যা দেখলে শরীরে শিহরণ বয়ে যায়। একটা ছেলের গলা এত সুন্দর হতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারেনি মিশু। মেঘালয়ের কাঁধ, গলা সত্যিই ভয়ংকর সুন্দর! একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। মিশুর ইচ্ছে করছে ওর ভেজা পা একবার দেখতে। কিন্তু সেটা সবচেয়ে নির্লজ্জ ব্যাপার হয়ে যাবে, থাক ওসব বলা যাবেনা।
মেঘালয় জিজ্ঞেস করলো, “আরো কিছু দেখাবো?”
মিশু জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললো, “না না। আমি আর কিছু দেখবো না।”
মেঘালয় শব্দ করে হেসে উঠলো। কি পরিমাণ ইনোসেন্ট হলে এভাবে শার্ট খুলতে বলা যায়? মেঘালয়ের জায়গায় অন্য কোনো ছেলে থাকলে আজকে মিশুর এই হাসিমাখা সুন্দর মুখটা আর থাকতো না। কয়জন ছেলেই বা আজকাল বিশ্বাসযোগ্য আছে? মেঘালয় নিজেই কন্ট্রোল হারাতে বসেছিলো।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো ও। যা হয়েছে ভেবে আর কি হবে, বিয়েটা তাড়াতাড়ি করে ফেলতে হবে। বাচ্চাটাকে বুকে চেপে ধরতে না পারলে শান্তি হচ্ছেনা কিছুতেই।
মিশু জিজ্ঞেস করলো, “কি ভাবছেন?”
– “এখানে নাক ডুবিয়ে শরীরের গন্ধ নিবা না?”
মেঘালয় নিজের বুকের দিকে দেখিয়ে এ কথা বলেছে। মিশুর পুরো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। ছেলেটাকে যতটা ভালো মনেহয়,ততটা নয়। দুষ্টুও আছে। ইচ্ছেটা হচ্ছিলো ঠিকই, কিন্তু ইচ্ছে হলেই তো আর করা যায়না। ভাবতে ভাবতে মিশু এগিয়ে এসে সত্যিই ওর বুকে মাথা রাখলো। মানব মন বড়ই অদ্ভুত, মেয়েদের মন আরো বেশি অদ্ভুত। মেয়েরা যা ভাবে,তা করেনা। আর যা করে, তা ভাবেনা।
২৬.
রৌদ্রময়ী কোথায় যাবে নিজের ও অজানা। কোনো গন্তব্য নেই ওর। কিন্তু এরকম বিয়ের সাজে কতক্ষণ ই বা থাকা যায়? লোকজন তাকিয়ে থাকে ওর দিকে। মাত্র কিছু টাকা আছে, সেটা নিয়ে কোনো ড্রেস কিনে নষ্ট করে ফেলা যাবেনা। যেকোনো মুহুর্তে টাকাটা লাগতে পারে।
এসব ভাবছে আর হাঁটছে রোদ। শরীর টা টলছে ওর। একদিকে খুব খিদে পেয়েছে,অন্যদিকে একটানা কয়েক ঘন্টা ধরে কাঁদছে। আর শরীর চলছে না, কিছু খেয়ে নেয়া দরকার। কিন্তু খাওয়ার রুচি টুকুও নেই। যশোর স্টেশন থেকে বেড়িয়ে এদিক সেদিক ঘুরছে ও। মাথাটা কেমন যেন ঘুরে উঠলো। ধপ করে পড়ে গেলো মাটিতে।
নিখিল এখানে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিলো। দুপুরের হঠাৎ বিয়ের কথা শুনে সারারাত বাইরে বাইরে ঘুরছিলো। শেষরাতে ও ফুটপাত ধরে হাঁটছে আর সিগারেট টানছে। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। বুক ফেটে যাচ্ছে কষ্টে। এমন সময় রাস্তায় একটা কনের সাজে পড়ে থাকা মেয়েকে দেখে থমকে দাঁড়ালো সে। এখনো ভোর হতে অনেক বাকি। এত রাতে রাস্তায় একটা মেয়ে এভাবে পড়ে আছে কেন! তাও আবার বিয়ের সাজে।
ছুটে গিয়ে মেয়েটিকে সোজা করে দিতেই বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো নিখিলের। এটা তো রোদ! রোদ এখানে এভাবে পড়ে আছে? এই মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে নিখিল তার প্রিয়তমাকে হারিয়েছে। এখন রাস্তায় পড়ে থাকা কি কারণে? নিখিলের রাগে শরীর গর্জে উঠছে। আজকে রোদের কপালে চরম দুঃখ আছে। যে যন্ত্রণা টা ও নিখিলকে দিয়েছে সেটার পরিমাপ অনুযায়ী আজকে কষ্ট পাবে ও। নিখিলের যে কি ইচ্ছে করছে,রাগে ফুঁসছে ও। এই মুহুর্তে রোদের ওর সামনে পড়ে একদম ঠিক কাজটাই হয়েছে। আজ ওকে ইচ্ছেমত কয়েকটা থাপ্পড় লাগাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু মেয়েদেরকে খুব সম্মান করে নিখিল তাই কিছু বলতে পারবে না হয়ত।
স্টেশনের দিক থেকে একটা রিক্সা ডেকে এনে সেটায় রোদকে তুলে নিলো নিখিল। তারপর শক্ত করে ধরে রইল। রিক্সাওয়ালাকে বাসার ঠিকানা জানিয়ে দিলো। আকাশে শুক্লপক্ষের চাঁদ। সুন্দর জোৎস্না ছড়িয়েছে চারিদিকে। বেহুশ হয়ে পড়ে থাকা রোদের মুখের দিকে তাকিয়ে এক ধরণের মায়া অনুভব করলো নিখিল। মেয়েটাকে খুব অসহায় দেখাচ্ছে। একটু সুস্থ স্বাভাবিক হোক,ওর কাছে পালানোর আসল ঘটনাটা জেনে নিতে হবে। কোনো একটা বড় কারণ নিশ্চয় ই আছে। নয়ত রোদের মত মেয়ে বাসা থেকে কখনোই পালাবে না।
বোনের বাসায় পৌছে ধরাধরি করে রিক্সা থেকে নামালো রোদকে। দরজায় নক করতেই আপু এসে খুলে দিয়ে হা করে চেয়ে রইলো। বললো, “কিরে নিখিল। সারারাত বাইরে ছিলি এখন আবার একটা মেয়েকে নিয়ে ফিরলি। তাও আবার অজ্ঞান! বিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনেছিস নাকি?”
– “আপু,তোকে পরে সব বলছি। আগে একে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে একটু সেবা যত্ন কর।”
নিখিলের বড় বোন যথেষ্ট আন্তরিক আর খুবই ভালো একটা মেয়ে। ও রোদকে ভেতরে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে সেবা যত্ন করতে লাগলো।
চলবে..