বাসরঘরে ঢুকে দরজা আটকানোর শব্দ শুনে নববধূ একটু নড়েচড়ে বসলো মনে হয়। কিন্তু আমি এসবের কোনো তোয়াক্কা না করে কাপড় বদল করে সোফাতে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। বারবার এটাই মাথায় ঘুরছে যে, মেয়েটাকে আমি ভালোবাসিনা, আগেও তেমন কথা হয়নি, এমতাবস্থায় এই মেয়ের সাথে বাসর করার কোন প্রশ্নই আসে না। কারণ আমার মনে তো এই মেয়েটি নয়, বাস করতো অন্য কেউ।
“এই যে শুনছেন? কাজী সাহেব তো বলেছিল দুজনকে একসাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে। আসেন অজু করে নামাজ টা পড়ে নেই।”
সোফাতে আধশোয়া অবস্থায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি তখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বাসার নতুন বউ রোদেলা আমাকে কথাটি বললো।
আমি এক নিঃশ্বাসে বলে দিলাম, “আপনি এই বাসার বউ। ভুলেও আপনাকে আমার বউ ভাবতে যাবেন না। আমি আপনাকে বউ হিসেবে মানতে পারছিনা। ওকে?”
তারপর মাথা একটু ঠাণ্ডা করে বললাম, “যান গিয়ে নিজের নামাজটুকু আদায় করে নিন।”
লক্ষ্য করলাম রোদেলা কিছু না বলে দাঁড়িয়ে আছে আমার পাশেই। ওর দিকে তাকিয়ে দেখি চোখের চারিপাশে পানিতে ছলছল করছে, হয়তো বৃষ্টি নামবে এখনি। আমিও কিছু না বলে শুয়ে রইলাম স্বাভাবিক ভাবে।
রোদেলা কিছুক্ষণ পাশে দাঁড়িয়ে থেকে কোথায় যেন গেল। হয়তো অজু করতে অথবা অন্য কিছু করতে। নিজের মত করে কাটিয়ে দিলাম বাসর রাত।
” আমরা কি বন্ধু হতে পারি? ”
সকালে নাস্তা শেষে রুমে এসে বসতেই রোদেলা আমাকে প্রশ্নটি করলো। আমি খুব অবাক হলাম ওর কথায়। যদিউ ওকে আমি বউ হিসেবে মানি না তবুও বউয়ের মুখে বন্ধু হতে চাওয়াটা অবাক হওয়ারই কথা।
– আমি কারোর বন্ধু হতে চাই না। আর রাতের ব্যবহারে নিশ্চই বুঝেছেন যে, আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।
– আমিও একজনকে ভালোবাসি। আপনাদের বাসায় একমাস থাকবো তারপর সে আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে। তাই ভাবছি এই কয়দিন আপনার সাথে বন্ধু হয়েই থাকবো।
রোদেলার মুখে এই কথা শুনে তেমন অবাক হলাম না। সে আমার বাসা থেকে বিদায় হোক এটাই আমি চাই।
– ঠিক আছে, তাহলে আজ থেকে আমরা বন্ধু হয়েই থাকবো।
– আচ্ছা। কিন্তু সবার সামনে এমনভাবে থাকবো যেন কেউ বুঝতে না পারে আমরা আলাদা আছি।
– আচ্ছা।
শুরু হলো অচেনা মেয়েটার সাথে বন্ধুত্ব। যাকে বিয়ে করেছিলাম পরিবারের পছন্দে। সবার সামনে ভালো সাজতে দুজন দুজনকে তুমি করে বলি।
” এই সজীব শোনো না, আমি না তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।”
প্রথম কয়েকদিন রোদেলার এমন কথায় অবাক হলেও এখন আর হই না। আমি সিরিয়াস হলেই সে বলে, “আমি তো তোমার সাথে মজা করেছি। দেখতে চেয়েছি তুমি কি করো।”
তাই এখন আর তেমন অবাক হই না।
সবসময় আমার চারিপাশে ঘুরঘুর করে কিন্তু কখনো ওর থেকে কোনো আবদার আসে নি আমার কাছে।
এভাবে কেটে গেল অর্ধমাস। রোদেলা আমার বাসায় থাকবে আর মাত্র পনেরো দিন। এতোদিনে জেনে গেছে যে, আমার ভালোবাসা আমাকে ছেড়ে দূরে কোথাও চলে গেছে। বসবাস করে অন্যের বাসায়।
” তোমার প্রথম ছ্যাঁকা খাওয়ার গল্পটা আমাকে বলবে? হিহিহি না মানে প্রথম ভালোবাসার গল্পটা আমাকে বলো না।”
ইদানিং রোদেলার প্রধান কাজ হচ্ছে কথায় কথায় আমার সাথে মজা করা। আমিও তেমন রাগ দেখাই না ওর কথায়।
– বলবো কিন্তু তোমাকেও তোমার ভালোবাসার গল্পটা বলতে হবে। (আমি)
– আচ্ছা ওকে।
রোদেলার শোনার আগ্রহ দেখে আমি শুরু করলাম আমার প্রথম ভালোবাসার গল্প-
মেয়েটির নাম নিশি। আমার কাছে সে প্রথম ভালোবাসা হলেও তার কাছে আমি ছিলাম টাইমপাস ভালোবাসা।
প্রবেশ করলাম গল্পের কল্পনায়…
” হ্যাঁ এটা টাইমপাস ছিল। কারণ, তোমার সাথে রিলেশনে জড়ানোর মাসখানেক আগে থেকেই আমার বিয়ে ঠিক করা ছিল।”
ঢাকার জ্যাম, তাও আবার খটখট করা রোদ, পকেটে নেই কানাকড়ি ও। তাই হাটা শুরু করেছিলাম ভালোবাসার মানুষ টার সাথে দেখা করবো বলে। বৃষ্টিভেজা শরীরের ন্যায় আমার সারা শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছিলো। মনে হচ্ছিলো, গোসল করেছি মাত্র।
তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে পার্কে দেখা করতে এসেছিলাম ভালোবাসার মানুষ নিশির সাথে। গন্তব্যে পৌঁছে দেখি নিশি আগে থেকেই অপেক্ষা করছে। হয়তো রিকশা করে এসেছে সে, আর আমি তো হেটে এসেছি তাই আমার দেরী হলো বোধহয়।
নিশির পাশে গিয়ে বসামাত্রই একটি কার্ড এগিয়ে দিয়ে আমাকে বললো, “আমার বিয়ের কার্ড। দাওয়াত রইলো তোমার। ”
লক্ষ্য করলাম ও প্রায় চুপ হয়ে আছে, তাহলে কি এটা মজা নয়! কার্ড খুলে দেখতেই আমার চোখ দুটো চড়কগাছ প্রায়। বুঝতে পারলাম, নিশি মজা করছে না।
“তাহলে কি আমার সাথে টাইমপাস করলে?”
নিশিকে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলতেই নিশি একেবারে উপরের কথাটি বললো। যার মাধ্যমে প্রকাশ পায়, তার বিয়ে ঠিক থাকা সত্বেও আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করেছে সে।
চুপচাপ বসে রইলাম মূর্তির ন্যায়। কতটা বোকাই না ছিলাম আমি।
মনে পড়ে সেই ছয়মাস আগের কথা। পড়ন্ত বিকেলে নদী দেখতে গিয়ে নদীর পাড়ে দেখেছিলাম তাকে। আমার দিকেও আঁড়চোখে তাকিয়েছিল নিশি।
এরপর থেকেই ওর বাসার খোঁজ নিয়ে শুরু হলো সকাল-বিকাল নানান কাজের বাহানায় কয়েকবার ওর বাসার পাশ দিয়ে চক্কর দেয়া। কখনো দেখা পেতাম ওর, আবার কখনো পেতাম না।
এভাবেই এক পর্যায়ে শুরু হয় দুজনার প্রেম।
সারাদিন চ্যাটিং, রাত জেগে ফোনালাপ। সময় গুলো খুব মধুর ছিল।
কিন্তু আজ হঠাৎ নিশির মুখে এমন কথা শুনে থমকে গেল আমার পৃথিবী। হয়তো ভুলে গিয়েছিলাম নিজেকে। বেশী ভালোবাসলে যা হয় আর কি!
দুজনার এতো সময় একসাথে কাটানোর কোনো ক্ষেত্রে কি আমার প্রতি বিন্দুমাত্রও ভালোবাসা জেগে উঠেনি ওর! হোক না আগে নিশি টাইমপাসের উদ্দেশ্যে প্রেম করেছিল, এখন তো আমার সাথে থাকলেই পারে।
” তুমি না হয় আমার সাথে টাইমপাস করেছিলে কিন্তু আমি তো তোমাকে মন থেকেই ভালোবেসেছি। আসো আমরা বিয়ে করে ফেলি।”
কথাটা নিশিকে বলতেই ওর মুখে হাসির আভা দেখতে পেলাম। মনেমনে ভাবছি, এই বুঝি নিশি আমার কথা “হ্যাঁ” বলে আমাকে বিয়ে করতে সম্মতি দিলো।
নিশি বলে উঠলো, “কি করো তুমি? দুটো টিউশনি! তোমার পরিবার ও তো মধ্যবিত্তের। আমার হবু স্বামী কি করে জানো? একজন ডাক্তার। তুমি সারা মাসে বাসায় বাসায় ঘুরে যা ইনকাম করো তা সে একটি মাত্র সুইয়ের গুতোয় ইনকাম করতে পারে। আমি তার কাছেই ভালো থাকবো।”
নিশির মুখে এমন কথা শুনে আমার নিজের কাছেই মনে হতে লাগলো, ওকে বিয়ে করতে চেয়ে কি আমি ভুল করলাম! এতোটা বোকা কিভাবে হলাম আমি?
বাকশক্তিটা ও হারিয়ে ফেলতেছি মনে হয়। কোনো কথা বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে।
” তোমার সাথে আমার এক মূহুর্ত থাকার ইচ্ছেও নেই। আমি গেলাম।”
বলে নিশি বসা থেকে উঠে হাটা শুরু করলো অন্যদিকে। হয়তো বাসায় যাবে এখন। আমি নির্বোধের মতো তাকিয়ে আছি ওর দিকে। সত্যিকারের ভালোবাসলে হয়তো এরকম ধোঁকা পেতে হয়। চোখ বেয়ে কয়েক ফোটা পানি ও পড়লো মনে হয়। অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম নিশির চলে যাওয়া সেই পথের পানে। চোখে যেন বন্যাজল খেলা শুরু করছিলো, আটকে রাখতে পারছিলামনা নিজেকে।
“হিহিহি! এই ছিল তোমার প্রথম ভালোবাসার গল্প?”
রোদেলার মুখের হাসি শুনতে পেয়ে ওর দিকে তাকালাম। ওর হাসি যেন থামছে না। কিন্তু আমার চোখের পানিও কেন যে ঝরা বন্ধ হচ্ছে না।
প্রথম ভালোবাসাকে হারানোর চার বছর পরেও নিজের চোখে নিশির জন্য পানি ঝরছে। কতটাই না ভালোবাসতাম আমি।
চোখ দুটো মুছতে মুছতে বললাম, “হ্যাঁ, এটাই আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসার গল্প।”
– ঠিক আছে। তুমি একটু অপেক্ষা করো। আমি তোমার জন্য চা করে আনছি। তারপর আমার প্রথম ভালোবাসার কথা বলবো কেমন?
এ কথা বলে একটি হাসি দিয়ে রোদেলা রুমে থেকে বেরিয়ে গেল। সবসময় ওর মুখে হাসি বিদ্যমান। যা দেখে আমি নিজেই বারবার ওর মায়ায় পড়ে যাই।
রোদেলা রুমে থেকে যাওয়ার পর মোবাইলে গেমস খেলা শুরু করলাম আর জোরগলায় বলতে লাগলাম, “তাড়াতাড়ি চা নিয়ে আসো।” অপরপাশ থেকে শব্দ আসলো, “আসছি”। হঠাৎ রান্নাঘরে কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে দৌঁড়ে সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি রোদেলা ফ্লোরে বসে আছে। চায়ের পাতিলটাও ফ্লোরেই পড়ে আছে।
– এই কি হয়েছে তোমার?
বারবার জিজ্ঞেস করার পরও কোনো উত্তর দিচ্ছে না রোদেলা।
লক্ষ্য করলাম রোদেলা তার শাড়ীর অংশ দিয়ে তার পা ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে।
শাড়ীর অংশটা সরাতেই অবাক হলাম। পায়ে গরম পানি পড়েছে।
“বোকা মেয়ে, পা পুড়ে যাওয়ার পরেও এভাবে লুকিয়ে রাখছো কেন?”
বলে ওকে কোলে নিয়ে হাটা শুরু করলাম রুমের উদ্দেশ্যে। রোদেলা আমার টিশার্ট এর কলারে ধরে রেখেছে। প্রথম কোনো মেয়েকে কোলে নিলাম। আবারো মায়ায় পড়ে যাচ্ছি ওর।
বাসায় থাকা মলম লাগিয়ে পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিলাম।
” এই আমাকে বারান্দায় নিয়ে যাও, এই আমাকে রুমে নিয়ে যাও। ”
পা পড়ে যাওয়ার পর কয়েকদিন রোদেলার মুখে এই কথাগুলো শুনতে শুনতে আমার অবস্থা শেষ। তবে এসব করতে খারাপ লাগেনা। ওকে কোলে করে বারান্দায় নিতে হয় আবার রুমেও আনতে হয়।
আজকাল কেমন জানি আমাকে রোদেলার দিকে আকর্ষণ করে। কিন্তু তা তো হতে দেয়া যায় না। আর মাত্র কয়েকদিন পর তো সে চলেই যাবে। ভালোবাসে অন্য কাউকে। অযথা মায়া বাড়িয়ে লাভ কি!
কেটে গেলো একমাস। হয়তো রোদেলা চলে যাবে ওর ভালোবাসার মানুষটার সাথে। কিন্তু আমার মনে যে বারবার রোদেলার কথা মনে পড়ে এখন! আমি যে রোদেলার মায়ায় পড়ে গেছি। কি জানি! হয়তো ভালোবেসে ফেলেছি। বিয়ে করা বউকে ভালোবাসলে সমস্যা কি? ধুররর, ও তো আবার অন্য কাউকে ভালোবাসে।
একা বসে এসব ভাবছিলাম তখন পিঠে কারোর হাতের স্পর্শ অনুভব করলাম। তাকিয়ে দেখি রোদেলা।
– আমার ভালোবাসার গল্পটা শুনবে না? (রোদেলা)
একদম ইচ্ছে ছিলোনা রোদেলার সাথে অন্য কারোর ভালোবাসার কাহিনী শুনতে। তবুও অনিচ্ছা সত্বে “হ্যাঁ
” বললাম।
যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আমি একজনকে ভালোবাসি। বড় আপুকে দেখেছিলাম, সে ভালোবেসেছে একজনকে কিন্তু বিয়ে করেছিল আরেকজনকে। দেখেছিলাম আপুর চোখের কান্না। কিন্তু কাউকে বলতে পারেনি তার ভালোবাসার কথা। আরো দেখেছিলাম বান্ধবীদের লুতুপুতু প্রেম। আমি কারোর সাথে প্রেম করিনি, শুধু ভালোবেসেছি। না দেখেই ভালোবেসেছি। জানতাম যে তাকে আমি না মেনে নিলেও মা বাবা মেনে নিবে। সেইজন্য শুধুমাত্র তাকেই ভালোবেসেছি আমি। সে ছিল আমার ভবিষ্যৎ স্বামী। যার সাথে বিয়ে আমার মা বাবাই ঠিক করবে। বাধা থাকবে না কোনো।
রোদেলার এসব কথা শুনে আমি কিছু বলতে যাবো তখন সে আমাকে থামিয়ে দিয়ে আরো বলতে লাগলো…
বিয়ের পর আমি তোমাকে বলেছিলাম আমি একজনকে ভালোবাসি, সে ছিলো একমাত্র তুমি। আর বলেছিলাম একমাস থাকবো মাত্র, তা ছিল তোমার সাথে থেকে তোমাকে বুঝার বাহানা।
বারবার তোমাকে বলতাম, ” আমি তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।” যখন তুমি রাগ করতে তখন বলতাম, “মজা করেছি”। না আমি কথাগুলো মন থেকেই বলতাম।
সেদিন চায়ের পাতিল পড়ে পা পুড়ে গিয়েছিল। তোমার ডাকে তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে পড়েছিল। কারণ, তোমার অপেক্ষা আমি সহ্য করতে পারিনা। যখন আমাকে কোলে নিয়েছিলে, তখন তোমার টিশার্ট এর কলারে ধরে রেখেছিলাম। ইচ্ছে হতো, নামবো না কোল থেকে। পা পূড়ে যাবার কারণে হাটতে পারতাম না। এজন্যই তোমাকে বারবার বলতাম, “বারান্দায় যাবো।” কারণ, তুমি আমাকে কোলে করে বারান্দায় নিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ না যেতেই আবার বলতাম, “রুমে যাবো।” কারণ বারবার চাইতাম তুমি আমাকে কোলে নাও।
তোমাকে সর্বদা গেঁথে নিয়েছি নিজের অনুভূতিতে। একটা মেয়ে মিথ্যে ভালোবাসার জন্য আমার এই সত্যিকারের ভালোবাসাকে মাটিচাপা দিও না প্লিজ!আমি খুব ভালোবাসি তোমাকে।
কথাগুলো একটানা বলে কান্না করতে থাকে রোদেলা। আমি শুধুমাত্র তাকিয়ে আছি ওর দিকে। মেয়েটা আমাকে এতো ভালোবাসে কিন্তু আমি ওর ভালোবাসা খুঁজে বের করতে পারিনি।
পেয়েছি তো! এখন পেয়েছি। আর হারাতে দেবো না ভালোবাসাকে। হাতদুটো বাড়াতেই রোদেলা আমার বুকে। জড়িয়ে নিয়েছি বাহুডোরে। ডুবে যেতে চাই কল্পনায়। ভালোবাসি অনুভূতিকে।
লেখা: Sajeeb AS
২৬-১২-২০১৮
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.