এই যে
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে
একটা সিগারেট জ্বালালাম, দুইটা সিগারেট টেনেও ফেললাম!
অথচ কেউ এসে বলল না
খালি পেটে সিগারেট টানা ভালো না।
ঘুম ভাঙার পর কেউ এসে বলল না,
“টেবিলে এসো, নাস্তা ঠাণ্ডা হয়ে গেল যে!”
তড়িঘড়ি করে কেউ রান্না ঘরে ঢুকে জানতে চাইল না,
“ডিমের কুসুম ভেঙে দিব? নাকি কাঁচাই থাকবে?”
তিন নম্বর সিগারেটটা দুই আঙুলের ফাঁকেই জ্বলেপুড়ে
শেষ হয়ে যায়; কেউ এসে
জোর করে লাইটার লুকিয়ে ফেলে না!
এলোমেলোভাবে সিগারেটের ছাই ফেলার পর
ঠিকই কেউ এসে ঝাড়ু দিয়ে দেয়; এস-ট্রে কাছে এনে
রেখে যায়!
গলা শুকিয়ে আসে, বুক ধরফর ধরফর করে
দুই হাত কাঁপতে থাকে-
ফুসফুস ‘পাম্প’ করতে ভুলে যায়; কয়েক
মুহূর্ত যেন এই পৃথিবী অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়ে!
সাত নম্বর সিগারেট টানতে গিয়ে খেয়াল করলাম
আগুন ধরেনি!
দিনের একতৃতীয়াংশ সময় কেন আমি চা-দোকানে থাকি?
বারেবারে সবাই শোনে-
কেউ কড়া গলায় ধমক দিয়ে বলে না,
“খবরদার! অত সময় বাইরে থাকা যাবে না!”
লাইটার দিয়ে আগুন জ্বালানোর শক্তি নেই
দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাই
কিন্তু
সিগারেটে আগুন ধরে না!
ঠোঁটের ফাঁক থেকে সিগারেট কেড়ে নিয়ে
ফোঁপাতে ফোঁপাতে নাক লাল করে কেউ বলে না,
“দোহাই তোমার, সাদা রঙ আমার সহ্য হয় না!”
উল্টো
কোথা থেকে আচমকা এসে সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দেয়!
সিগারেটের সংখ্যা ছয়েই থেকে যায়, সাত নম্বর
সিগারেট টানা হয় না!
টানতে গেলে ফুসফুসের শক্তির প্রয়োজন হয় যে!
আমি চাই, খুব করে চাই
সাত নম্বর সিগারেটটা টেনে যেতে!
এত এত মানুষ
আমার খোঁজ করে; অন্তত কেউ এসে
শাসন করুক!
কারোর মধুর যন্ত্রণা শয়ে শয়ে আমি মরে যাই …
———-
©Arafat Leo Tonmoy