অদ্ভুত প্রেম❤️
Writer-Afnan Lara
[৫]+[৬]+[৭]
-‘এখন বললে সমস্যা কি?’
-‘আমি ওকে বিয়ের দিন সারপ্রাইজ দিবো’
-‘তোদের যখন প্রথম দেখা হয়েছিলো তখন তাহা টু তে পড়তো।ওর কি তখন কার কথা আদৌ মনে আছে?’
-‘আমার বিশ্বাস ওর সবকিছু মনে আছে।সে কল্পনাও করতে পারবে না আমি তাকে কতটা ভালোবাসি!’
——–
পরেরদিন সকালে
-‘হাইচ্ছু!!!!!!আল্লাহ গো মরে যাবো মনে হয়!
শয়তানটার জন্য আমার এখন এই অবস্থা।
নাক মুছতে গিয়ে হঠাৎ দেখি সৌরভের পুরো পরিবার এসে হাজির।
-‘তোমার এমন অবস্থা হলো কিভাবে?’
-‘(সব আপনার ছেলের জন্য)জানি না!’
-‘আসলে মা তাহা কাল যে পানিতে পড়ে গেছিলো তাই মনে হয়’
-(‘হুম।আমাকে এক বালতি পানি দিয়া চুবাইছিল।ঐ কারনে’)
আমাকে দেখা শেষে সবাই সোফার রুমে চলে গেলো।
শুধু শয়তানটা বাদে।কি হলো যান রুম থেকে।
আমার একে তো সর্দি তার উপর মুখ দিয়ে শ্বাস নিতেও পারতেছি না।অনেক কষ্ট হচ্ছিলো।চোখ দিয়ে পানি বেয়ে বেয়ে পড়ছে উনার এরকম লুক দেখে।
হঠাৎ কি বুঝে চলে গেলেন উনি।
কাশতে কাশতে অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেছে আমার।
-‘সরি আমি ভুলে গেছিলাম তোমার যে সর্দি।আমার তাকানো দেখেই তোমার এমন হয় কেন?’
-‘আমার কষ্টটা আপনি কখনও বুঝেন নাই।বুঝবেন ও না’
-‘ও তাই?’
এটা বলেই উনি আমার টেবিলের ড্রয়ারে কি যেন খুঁজা শুরু করলো।ব্লেড নিলো একটা
এরপর আমার দিকে তাকিয়ে নিজের হাতে কয়েকটা টান দিয়ে ফেলে বললেন,’ আশা করি এখন তোমার কষ্টটা বুঝছি’
-‘আপনি কি পাগল?এটা বলেই উনাকে ধরে বিছানায় বসিয়ে হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলাম।আমি এক পাগল
আমার কপালে জুটেছে আরেক পাগল’
-‘(আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো)
সবাই আমাদের বিয়ে নিয়েই কথা বলছে বাহিরে।দাঁড়াও একটা কথা বলে আসি’
-‘আমার একটা কথা ছিলো’
-‘হ্যাঁ বলো বাবা’
-‘বিয়ের সব কিছু যদি ঢাকায় হয় কেমন হয়? ওখানকার সব কিছুই মোটামুটি ভালো।’
-‘(এটা তো আমার ইচ্ছে ছিলো যে ঢাকায় আমার বিয়ে হবে উনি জানলো কিভাবে)?’
-‘তাহলে তো ভালই হয়।দুই পরিবার একসাথে থাকবে।
জুনের ২১তারিখে এঙ্গেজমেন্ট’
আমরা ঢাকায় চলে এলাম সবাই।সৌরভ বিরাট একটা হোটেল বুক করেছে।আমরা সবাই এখন ঐ হোটেলে।
আজ আমার জন্মদিন।কিন্তু সবাই এমন ঠান্ডা কেন সেটাই বুঝছি না।আমার জন্মদিন ভুলে গেছে নাকি?
শয়তানটাও তো এখনও উইস করেনি।কচু!’
-‘ম্যাম, এটা আপনার’
-‘একটা গাউন।কিন্তুু কে পাঠালো?
ভিতরে দেখি একটা লেটার।’
Dear,
জামাটা পরে বিকালে হোটেলের সামনে আসিও।সাথে আমার শ্বশুর শাশুরি কেও আনবা।’
-“ওহ ঐ শয়তানটার কাজ তাহলে’
——-
বিকালে রেডি হয়ে হোটেলের সামনে গেলাম।সৌরভ আমাদের নিয়ে একটা পার্টি সেন্টারে আসলো।
বিরাট একটা হল।চারিদিকে আমার ক্যান্ডিড ছবি সব
।আমার ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সব ছবি।
দেখে মনে হচ্ছে আমার চারপাশে উনার লোক ছিল আর খালি আমার পিক তুলছে।কিন্তুু উনিতো বললো আমাকে ইদানিং দেখছে।
হায়রে এত মানুষ কেন!এমন জানলে আরেকটু সাজুগুজু করতাম।
এই পোলা আমার মনের খবর জানলো কেমনে?’
হঠাৎ সৌরভ আমার হাত ধরে হলের মাঝখানটাই দাঁড়া করালো।বিরাট একটা কেক আনা হলো।চকলেট কেক!
-‘শুভ জন্মদিন ‘
-‘(যাক মনে আছে)ধন্যবাদ দিলাম উনাকে।সবাই আমাকে বার্থডে উইস করলো।
কেক কাটলাম।আম্মু আব্বু,উনার আম্মু আব্বুকে,নানুকে, জিসাকে কেক খাওয়াইলাম।সৌরভকেও খাওয়াইলাম
আচ্ছা একটা কথা বলেন আমার এত পুরোনো ছবি পাইলেন কই?’
-‘টপ সিক্রেট।বিয়ের দিন জানতে পারবা’
-‘হুহ ঢং!!
যাই হোক!অনেক ভালো কাটছে দিনটা।রাত তখন ১০:০০টা বাজে।উনি আমাকে মেসেজ দিলেন
Dear,
আমার রুমে আসো।’
আমি মেসেজ দিলাম-‘ নাহ আসবো না,এত রাতে গেলে লোকে কি ভাববে?’
-‘আর একবার বলো আসবা না?’
-‘আসতেছি’
ফোন রেখে সোজা উনার রুমে গেলাম
লাইট অফ ছিল।কই আপনি?’
কেউ একজন আমার হাত ধরলো টান দিয়ে তারপর বারান্দায় নিয়ে গেলো।সেখানে মোমবাতি জ্বলছিল।
একটা ছোট কেক রাখা।পুরো চকলেট কেক।এই কেক গুলা আমি লাইক করি কিন্তুু মুখে লেগে যায় ওটা বিরক্ত লাগে।’
-‘কেক কাটো’
আমি চুপচাপ কেক কেটে উনাকে খাইয়ে দিতে গেলাম।খেলো না।হুহ আমার এতো শখ নাই সেধে খাওয়ানোর।’
কেকটা এত মজা ছিল যে পুরোটা নিয়ে খেয়ে ফেলছি। এত টেস্ট ছিলো।লোভ সামলাতে পারিনি।কি হলো আপনি খান নাই কেন??’
-‘এখন খাবো’
এটা বলেই আমার গালে লেগে থাকা Chocolate গুলা খেয়ে নিলো আঙ্গুল দিয়ে নিয়ে।এক ধাক্কা দিলাম উনাকে।ছিঃ!!এগুলা কেউ খায়?আমার তো দেখেই বমি পাচ্ছে।
উনার সাথে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলাম।কিছুক্ষণ পর হঠাৎ দেখলাম আমার উড়নাতে আগুন লেগে গেছে মোমবাতি থেকে উনার গায়ে যাতে না লাগে উনাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম বমি।
-‘কি হলো?!!!’
এটা বলেই সৌরভ খেয়াল করলাম তাহার উড়নাতে আগুন লেগেছে তাই আগে সে ওকে ঠেলা দিয়েছে।সৌরভ তাড়াতাড়ি করে ওর উড়না টান দিয়ে ফেলে দিলো নিচে।তাহা খুব ভয় পেয়ে গেছে।
-“আমার জন্য এমন হয়ছে আজ যদি ওর কিছু হয়ে যেতো
ওর চোখে মুখে ভয় দেখে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম’
-‘(হাত পুড়ে গেছে কিছুটা।উনাকে বলবো না।নইলে ব্যাথা ফিল করার জন্য নিজের হাত পুড়বে এবার’)
-‘নাও আমার শার্টটা পরে নাও।তোমাকে রুমে দিয়ে আসি চলো’
পরেরদিন সকালে আমরা দুই পরিবার সকালের নাস্তা একসাথে বসে করতেছি।
সৌরভ আমার সাথে বসলো।আমি হাত উড়না দিয়ে ঢেকে রাখছি।নাহলে দেখে ফেলবে।
শয়তানটা পা দিয়ে খালি খোঁচা মারছে।এর ভেতর খাবার কি ঝাল!পানি পানি!!সৌরভ পানি এগিয়ে দিলো।
-‘ওয়েটার!’
-‘জী স্যার’
-‘আমি তোমাদের মানা করি নাই খাবারে বেশি ঝাল দিবা না।আমি আলাদা টাকা দি নাই এর জন্য?’
-‘আর এমন হবে না স্যার’
—–
-‘আমার আম্মু আব্বু আর সৌরভের আম্মু আব্বু সবাই মিলে গল্প করছে।কাল আমাদের এঙ্গেজমেন্ট নিয়ে।
সৌরভ আমার হাত ধরে উনার রুম নিয়ে এলেন।কি হয়েছে?’
-‘একটা থাপ্পড় দিবো।আমার থেকে কথা লুকানোর জন্য’
-‘কি লুকাইছি?’
-‘কাল যে হাত পুড়ছো আমাকে বলো নাই কেন?’
-‘না ভাবলাম ‘
-‘শাট আপ।আর একটা কথাও বলবা না’
এই বলে উনি হাতে মলম লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
——-
এঙ্গেজমেন্টের সব কিছু রেডি।সৌরভ আমার হাত ধরে আংটি পরিয়ে দিলো।এটা তো সেই আংটিটা যেটা আমি ঐদিন পছন্দ করেছিলাম।উনি জানলো কিভাবে?আমি তো বলি নাই!শেষে আমিও উনাকে আংটি পরিয়ে দিলাম।
আমি একটা বড় লেহেঙ্গা পরেছি আজ।জাম কালারের।আমি বুঝি না আমার মনের সব খবর উনি রাখে কিভাবে?
সৌরভ আমার দিকেই তাকাই আছে।উনিও একটা জাম কালারের শেরওয়ানি পরেছেন।সিনেমার নায়কের মতন লাগে।আমার খালাতো বোনরা তো উনাকে পাগল করে দিছে রীতিমত। বেশ ধুমধাম করেই অনুষ্ঠান শেষ হলো।
পরেরদিন 💜বিকালে💜
কেউ আমার রুমের দরজা ধাক্কাচ্ছিল।আমি ভাবলাম নানু হতে পারে।কিন্তু জানতাম না নানু বাথরুমে ছিল।গিয়ে দরজা খুললাম।’
-‘ম্যাম সৌরভ স্যার এই মিল্ক শেকটা আপনার জন্য পাঠিয়েছে’
-‘ওয়েটারের হাত থেকে মিল্কশেকটা নিয়ে খেয়ে নিলাম আমি।মজারই ছিলো।’
পরেরদিন সকাল থেকে বমি করতে করতে আমি শেষ হয়েই যাচ্ছিলাম।সৌরভ তো পাগল হয়ে যাওয়ার পথে
ডাক্তার ৩টা এনে হাজির করছে।ডাক্তার জানালেন আমার ফুড পয়জনিং হয়েছে।
-‘এই হোটেলকে যদি আমি ভেঙে না দিছি
কি বিষ মিশাইছেন আমার ওয়াইফ এতটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে?’
-‘স্যার বিশ্বাস করুন আমরা সম্পুর্ন হাইজেনিক খাবার আপনাদের পরিবেশন করেছি।’
-‘তাহলে ও কি গিয়ে বাহিরের খাবার খেয়েছে?
তাহা!তুমি কাল কি কি খেয়েছো?’
-‘অনুষ্ঠানে যেগুলো আপনারা খেলেন।আমিও তাই খেলাম’
-‘ওগুলাতো আমরা সবাই খেয়েছি।আর কি খাইছো?বিকালে কিছু খাইছো?’
-‘আপনি আমার জন্য যে মিল্কশেক পাঠাইছেন ওটা খাইছি তার পরে আর কিছু খাই নি।’
-‘মিল্কশেক?কিন্তু ওটা আমি তো পাঠাই নাই’
-‘ওয়েটার বললো আপনি পাঠাইছেন’
-‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাই এখনই’
-‘স্যার আসেন আমাদের সাথে’
-‘এইতো আপনাদের হোটেলের ওয়েটার তাহাকে মিল্কশেক দিচ্ছে’
-‘এটা আমাদের হোটেলের ওয়েটার না।’
-‘এত সিকিউরিটি থাকতে বাহিরের ওয়েটার এসে আমার ওয়াইফকে বিষ দিয়ে গেলো আর আপনারা কিছুই জানেন না?’
-‘আসলে আমাদের হোটেলের মতন সুট পরেছে তাই হয়তো গার্ড ঢুকতে দিছে’
-‘আমি জানি এটা কার কাজ হতে পারে!!মিঃ রহমান!
রনি!!সুজন যে এই কাজটা করছে তাকে আমার সামনে নিয়ে আসো’
তাহাকে দেখতে এসে দেখলাম ঘুমিয়ে আছে।সব আমার দোষ।লোকেরা আমার সাথের শত্রুতামি করে তোমার উপর দিয়ে দেখাইতেছে’
অদ্ভুত প্রেম♥
Writer-Afnan Lara
[৬]
-‘চোখ মেলে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন উনি।দূর্বলতার কারণে উঠে বসতেও পারছি না।উনি সপটা বুঝতে পেরে নার্স ডাকলেন’
-‘কিসের ট্রিটমেন্ট করছেন? ৩জন ডাক্তার আমি কেন আনছি?সকাল থেকে বমি করতে করতে দূর্বল হয়ে গেছে।এখনও সুস্থ হচ্ছে না কেন?’
-‘আসলে উনার খাবারে কড়া ডোজের পয়জন মেশানো হয়েছিল।এটা বমির সাথে বের হয়ে যাবে,আর আমরা এখনই উনাকে ঘুমের ইঞ্জেকশান দিয়ে দিচ্ছি।’
সৌরভ এগিয়ে এসে তাহার পাশে বসলো।ডাক্তার ইঞ্জেকশান দিচ্ছে।
হঠাৎ করে সে তাহার হাতটা শক্ত করে ধরলো,ওর ব্যাথা সে সয্য করতে পারছে না।মিঃ রহমানের কপালে শনি আছে।
পরেরদিন তাহার শরীরটা মোটামুটি ভালো হয়ে উঠেছে। বিয়েরদিনটাও ঘনিয়ে আসছে,সবাই ব্যস্ত কাজ নিয়ে।
সব শপিং শেষ।
আঁখির আম্মুর কল আসলো।উনি জানালেন,আঁখির হাত ঠিক হবে কিনা ডাক্তার সিউরলি বলতে পারছে না।এই বলে উনি অনেক কান্নাকাটি করলেন।
-‘আপনি কেন এমন করলেন আঁখির সাথে?ওর তো কোনো দোষ ছিলো না’
-‘ ও তোমার উড়নায় হাত দিছে তাই’
-‘ও তো কোনো ছেলে না’
-‘একই।তুমি চাইলে আমি ওর পরিবারকে টাকা দিতে পারি ভালো ট্রিটমেন্টের জন্য’
-‘হাত ভেঙে এখন সহানুভূতি দেখাচ্ছে’
——–
গায়ে হলুদটা হালকা অনুষ্ঠানের মাঝে শেষ হচ্ছে।তেমন হইচই নেই কারন হলো তাহার অসুস্থতা।
তাহা আজ একটা হলুদ লেহেঙ্গা পরলছে।সাথে নেটের উড়না।রেডি হয়ে নামতে যাওয়ার সময় কে যেন টান দিয়ে নিয়ে গেলো ওকে।তাহা অনেক ভয় পেয়ে গেছিলো।
-‘কি এতদিন হয়ে গেছে তাও ভয় পাও কেন?’
-‘আপনার কাজই এমন’
সৌরভ মুচকি হেসে হলুদ নিয়ে লাগায় দিলো তাহার গালে।
-‘সবার আগে আমি তোমায় হলুদ লাগালাম।এবার চলো যাই।’
গায়ে হলুদ শেষ হলো এক ঘন্টার মাঝা মাঝি সময়ে।
পরেরদিন হচ্ছে বিয়ে।লাল টুকটুকে একটা লেহেঙ্গা পরেছে তাহা।গয়নাতে ওকে চুবিয়ে রাখছে সৌরভের মা। সৌরভ ও লাল শেরওয়ানি পরেছে।
হুজুর আসার পরই বিয়েটাও হয়ে গেলো।আসতে আসতে সব শেষ হলো।
—–
সন্ধায় সৌরভের কিছু কাজিনরা ওকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছিল।তার পাশেই তাহা চুপচাপ বসে ছিল।
সৌরভ ওর কানে ফিসফিস করে বললো,’যাক অবশেষে মিস তাহাকে মিসেস সৌরভ করলাম’
-‘হ্যাঁ জোর করে’
রাত ১১:০০টার দিকে তাহার কাজিনরা ওকে নিয়ে সৌরভের রুমে বসিয়ে দিয়ে আসলো।
একটা গোলাপের বাগানের মতন লাগছে রুমটাকে।
-‘হুহ লাভ নাই।যত কিছুই করুক না কেন আমি ওরে আজ আমাকে টাচ করতে দিবো না’
লাইট টা অফ হয়ে গেলো।শয়তানটার কাজ জানি আমি। খাট থেকে নেমে গেলাম আগেভাগে।কি হলো লাইট অফ করলেন কেন?আপনি কই?
বাইরের হালকা আলোয় চেহারা দেখলাম।
এটা তো সৌরভ না,এটা কে?
কে আপনি?সসসসৌরররভ কই?
লাইট জ্বলে উঠলো।লোকটার হাতে একটা রড।
আমার দিকে এগোচ্ছে কেন উনি?
আমি দৌড়ে পালাতে যাবো ঠিক তখনই লোকটা আমাকে টান দিয়ে নিচে ফেলে দিলো ফ্লোরে।
পায়ে ব্যাথা পাইছি অনেক।আমি পিছাচ্ছি আর লোকটা রড হাতে নিয়ে এগোচ্ছে।সৌররররভভভভ!
-‘মনে হলো তাহা ডাকলো আমাকে?
মেইন হলে গিয়ে দেখলাম সেখানে তাহা ছিল না। তাহা কই?’
মা বললো,’তাহাকে তো ওর কাজিনরা তোর রুমে নিয়ে গেছে’
দেরি না করে এক দৌড়ে আমার রুমে গেলাম।তাহা,তাহা,কই তুমি??
হঠাৎ,নিচে তাকিয়ে দেখি তাহা নিচে পড়ে আছে,রক্ত ওর মাথার চারিদিকে
আমি বসে ওকে বুকে টেনে নিলাম।তাহা কি হলো তোমার কথা বলো,)।তাহা,তাহা???সুজজজননন জলদি এসো!!’
সুজন ছুটে আসলো।তাহার এমন অবস্থা দেখে সুজন ফোন নিয়ে এম্বুলেন্সে কল করলো।দশ মিনিটের ভেতর এম্বুলেন্স ও চলে আসলো।
-‘আমার মাথা কাজ করছে না।কি থেকে কি হয়ে গেলো।তাহা কথা বলো’
তাহাকে আইসিইউতে নিয়ে গেলো ডাক্তার নার্সরা মিলে।সৌরভকে ঢুকতে দিলো না।সৌরভ নিচে বসে পড়েছে।
-‘কি করবো আমি?তাহার কিছু হয়ে গেলে??ঐ¸দিনের ঘটনার পর ওকে একা কেন ছাড়লাম আমি!!’
একজন ডাক্তার বের হলো।সৌরভ উঠে দাঁড়িয়ে বললো,’প্লিজ বলেন, ও এখন কেমন আছে?”
-‘অবস্থা ভালো না।উনাকে শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।আমরা আমাদের সর্বত্র চেষ্টা করছি’
-‘আমি চেষ্টা শুনতে চাই না।আমি ওকে সুস্থ দেখতে চাই।ভুলে যাবেন না ও আমার স্ত্রী।
যতো টাকা লাগে আমি দিবো।শুধু আমার তাহাকে সুস্থ করে দিন।
যে এই কাজ করেছে তাকে আমি এতো কষ্ট দিবো!যে সে নিজের নামই ভুলে যাবে।আমাকে আজকের সবগুলা সিসি ফুটেজ দেখাও সুজন’
-‘স্যার দেখুন,একটা লোক আপনার রুমে ঢুকছে।’
-‘চেহারা চেনা চেনা লাগে।আরেহ্ এটা তো মিঃ রহমান। আমি জানতাম এটা ওরই কাজ।ছাড়বো না ওকে।
হ্যালো রিয়াজ?? তুই ইমিডিয়েটলি কেসটা হ্যান্ডেল কর।রিমান্ড আমি নিজে নিবো।আমার তাহাকে কষ্ট দিছে সে। আমি নিজের হাতে ওর চামড়া উঠাবো’
পরেরদিন তাহার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।সৌরভ গিয়ে ওর হাতটা ধরলো’
কেঁদে কেঁদে বললো,’তাহা!আমি তোমার “সৌরজগৎ”মনে আছে তোমার?
আমাদের একই দিনে এক্সিডেন্ট হয়ে ছিলো।১০বছর আগে।আমার পাশের সিটে তুমি এডমিট হয়েছিলে।
আমি তোমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে পানি খাইছি,খাবার খাইছি। তোমাকে দিই নাই,কারণ ডাক্তার মানা করছিলো।
তুমি ভালো হয়ে আমাকে পুরো হসপিটালে দৌড়ানি দিছিলা।তোমার আগেই আমার ছুটি হয়ে গেছিলো। আমি তাই তোমার আগেই চলে গেছিলাম।আমরা হসপিটালে কত কথা বলছিলাম।মনে আছে তোমার?
সেদিনের পরের দিনই আমরা ঢাকায় চলে আসি।পরের সপ্তায় আমেরিকাতে চলে আসি।কিন্তুু আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি।আমি বাবাকে বলে তোমার জন্য দুজন আলাদা বডিগার্ড রেখে গিয়ে ছিলাম।তোমাকে সেফ রাখার জন্য,তোমার খবর আমাকে দেওয়ার জন্য কিন্তুু দেখো আজ আমি তোমার পাশে,তাও তোমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেলো’
—–
-‘হ্যালো সৌরভ, তোর শিকার এখন আমার খাঁচায়’
-‘আমি আসছি’
সকাল ১০:৪৫।রিমান্ড রুমে মিঃ রহমানকে হাত পা বেঁধে দাঁড় করিয়ে রেখেছে পুলিশ।
-‘আমাকে গরম রড এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করো।
তোর সাহস তো কম না। আমার তাহার ক্ষতি করছস!
তুই জানস না, এর পরে তোর কি হাল হবে?’
-‘তুই আমার ভাইকে এমন মেরেছিস সে এখন সে কোমাতে।তুই কি ভাবছিস আমি তোকে ছেড়ে দিবো?জানি এখন তুই আমাকে মেরে ফেলবি কিন্তুু আমিতে তোর ক্ষতি অলরেডি করে ফেলেছি।তুই তোর তাহারে ১০০টা ডাক্তার দিয়েও বাঁচাতে পারবি না।আমি সব ডিটেইলস্ নিছি।১বছর আগে ও পড়ে গিয়ে মাথা ফাটাইছে।সেই জায়গায় মেরেছি।হাহাহা!’
সৌরভের বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো।ঐদিন তাহা বাথরুমে অজ্ঞেন হয়ে গেছিলো।তারপর মাথা ফাটছে ওর।
মিঃ রহমান যা করলি ভালো করলি না।তোরে আমি মেরে ফেলবো দেখিস’
এটা বলেই সৌরভ ইচ্ছামত মারলো ওকে।গরম পানি ওর গায়ে ঢেলে দিলো শেষে।তাও রাগ কমছে না ওর।
-‘ছুরি আনো এবার।আজ তোর হাত দিয়ে আমার তাহাকে মারছিস না?ছুরি দিয়ে নখ উপড়ে ফেলবো তোর।’
ঠিক সে সময়ে তাহার আম্মুর ফোন আসলো।উনি জানালেন,তাহার জ্ঞান ফিরেছে।
সৌরভ তাড়াতাড়ি করে ওখান থেকে চলে আসলো।রিয়াজকে বললো ওরে পিটাইতে।
—–
সৌরভ তাহার পাশে এসে বসলো।তাহা এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
-‘আমার জন্য আজ তোমার এমন হাল হলো।আমি কখনও তোমাকে একা ছাড়বো না।’
-‘সৌরভ কিছু খেয়ে নাও।আমরা সবাই তাহার পাশে আছি’
-‘না আমি ওকে একা রেখে যাবো না’
-‘আচ্ছা।এখানে খাবার এনে দিই?’
মায়ের কথাতে খাবার আসলো।সৌরভ খাবারটা নিলো
তাহাকে বললো,’ খাবা?না থাক দিবো না।কি মজা খাবারটা ইশ!! ‘
তাহা চুপ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
-‘আচ্ছা তুমি সুস্থ হয়ে আমাকে দৌড়ানি দিও।’
-‘সসসসৌররজগৎ?’
-‘আমাকে চিনতে পারছো?’
[৭]
কিছু বলার আগেই তাহা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।ডাক্তার এসে বললো,”ওকে একটা হাই ডোজের ইনজেকশান দিতে হবে’
সৌরভ দাঁড়িয়ে আছে ওর দিকে তাকিয়ে।
খুব কষ্ট হচ্ছে ওর।সে সয্য করতে পারছে না।
পকেট থেকে ফোন নিয়ে রিয়াজকে কল করে বললো,’ তুই আমার হাতে ঐ পশু টাকেদে।আমি ওরে খুন করবো’
-‘দেখ শান্ত হ।আইন নিজের হাতে নিবি না।আমরা দুজনে মিলে ওরে আরও বড় কেসে ফাঁসিয়ে ওর ফাঁসির ব্যবস্থা করতে পারি’
-‘আমি ওর মরা মুখ দেখতে চাই’
তাহার আম্মু আব্বুর অবস্থা খুবই খারাপ।একটা মাত্র মেয়ে তাদের তাও এই হাল।সৌরভ গিয়ে উনাদের দুজনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো।
-‘আমায় মাফ করবেন।এসব আমার জন্য হয়েছে।আমাকে আপনারা মাফ করে দিন।আমার জীবন থাকতে আমি তাহার আর কোনো ক্ষতি হতে দিবো না।কথা দিলাম’
তারা চুপ হয়ে সৌরভের দিকে তাকিয়ে কান্না করছে শুধু।
সারাদিনে তাহার আর জ্ঞান ফিরে নাই।
ডাক্তার বললো,তাহার কিছুদিন আগে মাথায় চোট পাওয়ার কারণে আর ওকে সেই জায়গাতেই আঘাত করা হয়েছে বলে সুস্থ হতে সময় লাগছে।
ভাগ্য ভালো আর একটু জন্য মগজে লাগেনি,নাহলে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল’
-‘যে করেই হোক আমার তাহাকে সুস্থ করে দিন’
সৌরভের বডিগার্ডরা হাতে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সৌরভ ধমক দিয়ে বললো,’আমি বলছি না তোমাদের যে আমি খাবো না।কথা কানে যায় না?
আমার তাহা ২দিন ধরে কিছু খায় নাই, আমি খাবো কিভাবে?ডাক্তার, ওর জ্ঞান ফিরছে না কেন?’
-‘উনাকে আমরা ঘুমের ইঞ্জেকশান দিছি।১৬ঘন্টা ছাড়া জ্ঞান ফিরবে না’
-‘সৌরভ!! আমরা সবাই তাহা সুস্থ হলেই আমেরিকা চলে যাবো।এখানে আর থাকা সেফ হবে না’
-‘হুম’তাহার দিকে তাকিয়ে আছি শুধু।আমার কি ভাগ্য! আমার প্রিয় মানুষ আমাকে চিনতে পারলো তাও জ্ঞান হারিয়ে এখন সে গভীর ঘুমে।
—–
রাত ১:০০টা তখন। তাহার পাশে মাথা হেলান দিয়ে শুয়ে আছে সৌরভ।
তাহার হাত ওর হাত স্পর্শ করলো হঠাৎ।ও জেগে দেখলো সে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
তাহা নড়েচড়ে বললো,’ কিছু খেয়ে নিন।ঐ সোফাতে গিয়ে একটু ঘুমান যান।
-‘ও জানে কিভাবে আমি যে কিছু খাই নাই।কথাগুলো বলে আবার ঘুমিয়ে পড়লো।ওর হাতটা কেমন ঠান্ডা হয়ে আছে।নার্স জলদি আসুন’
-‘জী স্যার’
-‘ওর শরীর এত ঠাণ্ডা কেন?
নার্স তাড়াতাড়ি করে ব্ল্যাঙ্কেট গায়ে দিলো তাহার।
আমি বুঝছি না আমি কি করবো!!।কি করলে ওকে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসতে পারবো?’
রিয়াজ ফোন করে জানালো,মিঃ রহমানকে সে আদালতে পাঠিয়েছে।আর আমি আমার কাজ করেে দিছে।এবার মিঃ রহমানকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
তাহার মা আমায় বললেন,’বাবা কিছু খেয়ে নাও তাহাকে দেখার জন্য তো তোমার নিজেকে ঠিক রাখতে হবে’
তার কথায় পাউরুটি এক পিস মুখে নিয়েছিলাম আমি সেদিন।’
—–
পরেরদিন দুপুরবেলাতে তাহার জ্ঞান ফিরছে।সৌরভ যেন নতুন করে তাহার প্রেমে পড়েছে।শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছে সে।
ডাক্তার জানালেন, ‘সে এখন সম্পুর্ন বিপদ মুক্ত। আসলে এমন ক্রিটিকাল অবস্থার রুগীর জন্য ৩-৪জন ডাক্তার থাকা দরকার।যা আপনি করেছেন’
-‘আমি ওকে আজকে নিয়ে যাবো’
-‘এমন অবস্থায় আপনাদের বিদেশ ভ্রমন ঠিক না।উনার মাথায় প্রব্লেম হতে পারে।কয়েক মাস পরে গেলে উনার কোনো ক্ষতি হবে না।এজ এ ডক্টর আমি এডভাইস দিতেছি।’
-‘মা! তাহলে ৭দিন পর আমরা বিজয়নগর চলে যাবো।২মাস পর আমেরিকা ‘
-‘ওকে’
হসপিটাল থেকে আমরা সবাই সোজা হোটেলে আসলাম।
তাহা দেখলো তার আশেপাশে ৩/৪টা নার্স ঘুরঘুর করছে।অবাক হয়ে সে বললো,’একি এতো নার্স কেন?’
-‘যাতে তোমার বিছানা থেকেও না নামা লাগে’
সেসময়ে সবাই যার যার রুমে চলে গেছে বিশ্রাম নিতে।তাহা একটু বিছানায় শুতেই ওর চোখ জুড়ে ঘুম নেমে এলো।
সৌরভ ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো তাহা ঘুমিয়ে গেছে।সে ওর পাশে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।এরপর নিজেও একটু ঘুমিয়ে নিলো।
সকালে হয়েছে তাহার চেঁচামেচিতে।চেঁচিয়ে ওর মাকে ডাকছে শুধু
-‘আম্মুউউউউউউউউউউউউ’
সৌরভ হকচকিয়ে উঠে বসে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে
-‘আমার এত বড় বড় চুল কত সুন্দর ছিলো মাঝখান দিয়ে কেটে দিছে!’
-‘ওওও’
-‘ওও?’
-‘না মানে।এই নার্স!!!’
-‘জী স্যার’
-‘তোমরা তাহার চুল কাটছো কেন?’
-‘আসলে ঐ যায়গায় ওয়াশ করা টাফ ছিলো।তাই ওখানে থাকা চুল গুলা কেটে ফেলা হয়েছে’
-‘এএএএ্যাঁ’
-‘কিছু হবে না। আবার বড় হয়ে যাবে’
——
বেশ কিছুক্ষণ পর তাহা খেয়াল করলো সৌরভ কার সাথে যেন কথা বলছে।সে চুপিচুপি খাট থেকে নামলো।সৌরভ রুমে থাকলে নার্সরা থাকে না রুমে।তাহা পা টিপে টিপে গিয়ে ফ্রিজ খুললো।কত্ত আইস্ক্রিম সেখানেম
একটা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলো সে।দুইদিন ধরে কিছু খায় নাই সে।
সৌরভ পিছনে তাকিয়ে দেখলো তাহা গোটা কোণ আইস্ক্রিম খেয়ে ফেলছে।
রেগেমেগে কাছে এসে সে বললো,’ একটা থাপ্পড় দিবো।আইস্ক্রিম খেলে কাশি বেড়ে যাবে।তখন কাশলে মাথায় ব্যাথা পাবা জানো না?’
-‘আমার ওত কিছু মনে নাই।ক্ষিধা লাগছিলো খুব।’
-‘আমি কি কোথাও চলে গেসিলাম?আমাকে বললে কি হতো?মেজাজ খারাপ করে রাখে।ক্ষিধা লাগছে না?ওয়েট!নার্স???যাও খাবার পরিবেশন করো’
নার্স খাবার এনে দেওয়ার ওর সৌরভ নিজে লোকমা বানিয়ে বললো,’নাও হা করো’
-“না খাবো না ক্ষিধা নাি’
সৌরভ মুখ টিপে ধরে সব খাবার মুখের মধ্যে পুরে দিলো।
তাহা আস্তে আস্তে চিবোচ্ছে।
সৌরভ চলে গেলো রাগ করে।তাহা কেঁদে কেঁদে বললো,’আমার দোষ সব।কি করবো উনাকে খাবারের কথা বলতে লজ্জা লাগে।আইস্ক্রিম খেলে যে ক্ষতি আমি কি জানি?’
—–
কিছুক্ষন পর নার্স ছুটে সৌরভের কাছে গিয়ে বললো,’ স্যার স্যার!’
-‘কি হয়ছে?’
-‘তাহা ম্যাম বমি করছে ‘
সৌরভ এক দৌড়ে রুমে গেলো।ওকে বিছানায় শুইয়ে দিতেই ডাক্তার এসে বললেন,’উনাকে শুধু সুপ খাওয়াতে বলছিলাম’
-‘কবে যে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারবো।আমার দোষ এটা।সুজন!!!আমার রুম থেকে এই ফ্রিজ সরাও’
তাহা ওর দিকে ভয় ভয় চোখে তাকিয়ে আছে।
-‘কিই???’
-‘কিছু না’
-‘সরি’
-‘আচ্ছা আমার ফোন কই জানেন?’
-‘এই নেন।গ্যালারিরে তো মার্কেট বানায় রাখছো’
-‘আপনার কি?আপনি আমার ফোন চেক করছেন কেন?’
-‘তুমি আমার বউ।আমি চেক করতেই পারি’
সেসময়ে জিসা আসলো তাহাকে দেখতে,ওর সাথে বসে বসে গল্প করছে এখন তাহা।
সৌরভ এসে বললো,’জিসা যা তোর রুমে যা,পড়া নাই?’
জিসা মুখটা বাঁকিয়ে চলে গেলো আবার।
তাহা তাড়াতাড়ি করে কাঁথা টেনে মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরলো।
-‘লুকিয়ে লাভ নাই।আমার যেদিন ইচ্ছা হবে সেদিনই ভালোবাসবো।
এখন ভয় পাইও না এখন কিছু করবো না।সুস্থ হও।’
সৌরভ মুচকি হেসে তাহার পাশে শুয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো।
-‘এই ছাড়ুন।আমাকে কেউ ধরলে আমার ঘুম আসে না’
পরেরদিন সকালে সৌরভ ঘুম থেকে ওর আগেই উঠে পড়লো।বাচ্চাদের মতন ঘুমাচ্ছে তাহা।ওর চোখে আলো পড়ছে বলে সে পর্দা টেনে দিলো।
তাহা ঘুম থেকে আরও পরে উঠেছিল।ঘড়িতে চোখ রেখে চমকে গেলো সে।সকাল দশটা বাজে।এতক্ষণ ঘুমালো সে।
-‘তোমাকে ঘুমের ঔষধ দিছে তাই’