#অদ্ভুত-তিনি
part:20(last)
Megh La
–মি.আমান আপনার স্ত্রী এখন একটু দূর্বল কিন্তু আমরা তাকে বাঁচাতে পেরেছি। আসলে ভাবার বাইরে ছিলো যে এমন একটা পেশেন্ট কে আমরা বাচাতে পারবো৷
–আমি ওর কাছে যেতে পারবো।
–জি বাট এক জন৷ বেশি না৷ ।
–আমান ভাইয়া আপনি জান। (চিন্তিত শুরে বন্যা)
আমান ভেতরে চলে গেল৷
–তোমাকে এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন? (আবির)
–প্রথাম বাচ্চাতে আমার বোনের এই অবস্থা পরে জদি কোন বাচ্চা আসে তাহলে তো ও মারা যাবে।
–এই চিন্তা করছো। আরে পাগলি এটা প্রথাম বার তাই লাইফ রিক্স ছিলো৷ কিন্তু এবার মেঘ এক জন পরির মা ওর আর কোন সমস্যা হবে না। আস্তে আস্তে আল্লাহ চাইলে সুস্থ হয়ে যাবে। আর কোন বেবি আসায় কম্পলিকেশন থাকবে না বুচ্ছো।
–(বন্যা একটা শস্তির নিশ্বাস ছাড়ে) আচ্ছা আবির মা বাবা মামা মামি কে নিয়ে আসা যায় না ।
–আমিও সেটাই ভাবছিলাম। আদ শুন।
–জী হুজুর ।
— বন্যার আব্বু আম্মু মামা মামি কে আনার ব্যাবস্থা করো।
–জী হুজুর আমি এখনি জাহাজ পাঠাচ্ছি৷
আদ চলে গেল। বন্যা আবির সোফায় বেস পরলো।
মেডিকেল রুমে,
–মেঘ দেখো আমাদের মেয়ে৷
আামানের কন্ঠ শুনে আমি একটু একটু করে তাকালাম৷
–আমান । আল্লাহ আমাকে সময় দিয়েছে৷ আমি বেচে আছি(কাপান্নিত কন্ঠে)
–হুস এখন চুপ থাকো কথা বলো না৷ বাবুটাকে দেখ।
বাবুটাকে আমার পাশে শুইয়ে দিলেন৷
–ঠিক তার বাবার মতো অদ্ভুত সুন্দর হইছে হুম। ?
–মা বুঝি সুন্দর না।
আমি মেয়েটার কপালে চুমু দিলাম৷ কি মিষ্টি দেখতে উজ্জ্বল তার শরীর অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
–বাবা বেশি। ?
–আচ্ছা জান পাখি তুমি আমার পরিটাকে তো চুমু দিলে তা পরিটাকে যার জন্য পেলে তাকে চুমু দিলে না৷
–কি লোক রে বাবা হিংসা করবা না আমার মেয়েকে৷
–মাম্মাম তোমার আম্মু বলে আমি বলে হিংসা করি তোমাকে। আচ্ছা এতো কথা বলো না তোমার কষ্ট হবে।
এভাবে কাটলো দিন।
পরের দিন মেঘের আম্মু আব্বু ফুপা ফুপি এলো। তারা সবাই পরিটাকে খুব ভালোবাসে। পরিটা এক দম অন্য রকম আল্লাহ তায়লা তাকে সব সুন্দরর্যে নিপুন করে পাঠিয়েছেন। মাস-আল্লাহ।
মেঘের পরিবার ৩ দিন থেকে চলে যায়। বন্যা আর আবির থেকে যায় বোনকে এভাবে ছেড়ে যেতে পারে না সে৷
আস্তে আস্তে মেঘ পুরোটাই সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ বছর পর,
— আদ্রিজা বাবা ভাইকে এভাবে ধরে না ওর দম আটকে যাবে।
–আম্মু আমি ভাইকে কোলে নিতে চায়। (নিচু হয়ে)
–আচ্ছা আমার পরিটা ভাইকে কোলে নিতে চায়।
–হুম।
–কি হচ্ছে এখানে।
–বাবা আমি ভাইকে কোলে নিতে চায়৷
–এসো এদিকে।
আমান মেয়েকে কোলে নেয়।
–দেখ তুমি এখন নিজে আমার কোলে উঠো তাহলে তুমি ভাইকে কি করে কোলে নিবে বলো।
–তাই তো।
–হুম বুঝতে পারছো তাহলে পিচ্চি পরি।
–হ্যা। ?
–তোমার জন্য এতো বড়ো চকলেট বক্স এনেছি রুমে গিয়ে দেখ।
–ওকে বাবা। ?
আদ্রিজা দৌড়ে রুমে চলে যায়৷
–মেয়েটার বয়স হচ্ছে ওকে পড়া লিখা কারাবো না নাকি।
–হ্যা ও মানুষ নয় বুঝছো নিজের স্কুল কলেজ নিজে করতে পারবে। প্রথামে ১০ গার্ড দিবো পরে নিজের পাওয়ার বুঝতে পারলে নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারবে।
–১০ টা ?
–হ্যা তা আরো বেশি দিবো বলছো। ?
–আমান তুমিও না মাথা ঘুরাচ্ছে আমার ?
–কেন নতুন করে আাবার কেউ আসছে নাকি। ??
–উল্টো পাল্টা কথা ছাড়া কিছু আছে। ?
–নাগো (আমাকে জরিয়ে ধরে)
–রুমে চলো আদ্রিজা আদ্রকে ঘুম পাড়াবো
–হুম চলো।
আমান আদ্র কে কোলে তুলে নিলো আমরা নিচে থাকে রুমে চলে আসলাম।
(এবার বলি আদ্রিজা মেঘ আমানের মেয়ে বযস তার এখন ৪। আদ্র হলো তাদের ছেলে বয়স তার ৬ মাস।আদ্রের সময় মেঘের কোন সমস্যা হয় নি সুস্থ ছিলো সে। )
রুমে এসতে আমান আমাকে পেছন থেকে ধরে বসলেন,
–কি হচ্ছে।
–ভালেবাসা।
–আরে আমি ওদের ঘুম পাড়াবো।
–একটু রোমান্টিক মুড এ ছিলাম নষ্ট করে দিলে৷
–আপনি এখানে থাকুন বসে আপনার রোমান্টিক মুড নিয়ে আমি ওদের ঘুম পাড়াবো।
আমি চলে এলাম বিছনায়। হাসি পাচ্ছে অনেক কারন আমান মুখটা বুথুম পেচার মতো করে রেখেছে৷
এভাবে কেটে গেল আরো ৬ মাস। আজ আদ্রিজা আদ্রের জন্মদিন অদ্ভুত ভাবে তারা দুজন একই দিনে জন্ম নিছে ।
সারা বাড়ি সাজানো হইছে। সবাই আসছে৷ আজ। অবশ্য বাইরের কেউ না বন্যা আপু আর আবির ভাইয়া, মা, বাবা ফুপি,ফুপা।
–এ পুটি শুন। (বন্যা)
–হ্যা বলো।
–এক খান শুখবর আইছে।
–কি গো
–ওইযে ??
–হাচা নি
–হো ?
আমি আপুকে জরিয়ে ধরলাম সত্যি তুমি আমার যে কি আনন্দ লাগছে।
–হয়।
–কি হচ্ছে এখানে তোমরা কি ভাষায় কথা বলছো। (আমান)
–তোমার বুঝা লাগবে না।
–বন্যা চলো তো একটু কাজ আছে(আবির)
–আচ্ছা
বন্যা আবির চলে গেল।
–কি হচ্ছে বলবা।
–আপু প্রগনেন্ট
–ওও
–হুম।
–আচ্ছা মেঘ।
–হুম
–আমি ভাবছি একটা ফুটবল টিম বানাবো কি বলো।
–আমান ?
–জানো জ্বিন দের ১০০ টা বাচ্চাও হয়। ?
–আমি জ্বিন মা ভাই মানুষ ?
–তুমি দেখি সিরিআস মজা করাছিলাম তো।
–??
নিচে,
এখন আদ্রিজা, আদ্র কেক কাটবে। ওদের কেক কাটা শেষে সবাই খাবার খেল কিছু সময় গল্প করে যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
–বন্যা৷
–হুম বলো।
–আমারও একটা পরি হবে বলো৷
–হয় কি করে জানলে পরি হবে। ছেলেওতো হতে পারে৷
–আসলো আমরা বুঝি।
দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা ?
.
আমি আদ্রিজা আদ্রকে ঘুম পাড়িয়ে চুল আচরাচ্ছি সারিটাও পাল্টাতে পারি নি এরা বড্ড জালায়৷
আমি চুল আচরে বেধে উঠতে আমান পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো,
–আমার বৌকে আজ এতো সুন্দর লাগতেছে আমি তো সেই প্রথম দিনের মতো পাগল হয়ে গেলাম৷
(মেঘ একটা সাদা সারি পরেছে ভেতরে একটু স্টনের কাজ। ঠোটে হালকা লিপস্টিক নিয়েছে লাল এতেই অনেক কিউট লাগছে)
–আমি সারি পাল্টাবো।
–আমি পাল্টে দি
বলেই আমারে বিছনায় ফেলে দিলো।
–আ…আম
–হুস এখন চুপ থাকো আমাকে আমার কাজ করতে দেও৷
(বাকি টুকু ইতিহাস)
এভাবেই শুখে শান্তিতে ভরপুর তাদের জীবন। এক #অদ্ভুত-তিনি এসে জীবন টাকে রঙিন করে দিছে।
বেচে থাকুক পৃথিবীতে হাজারে ভালেবাসা।
……………….সমাপ্ত…………….
(ধৈর্য ধরে গল্পটা পরার জন্য ধন্যবাদ।)