#অদ্ভুত-তিনি
part:19
Megh La
মাঝ রাতে ঘুমটা ভেঙে গেল। , কিছু খেতে মন চাইছে।
–আমান। উঠুন না।
–হুম(ঘুমের ঘরে)
–আমান। খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
–এই তো। কি বললে। (চমকে যেয়ে)
–বলছি খুদা পেয়েছে।
–সত্যি। ?(খুব খুশি হয়ে)
–এমন ভাবে বলছেন যেন খেতে চেয়ে আপনাকে দুনিয়ার মূল্যবান উপহারটা দিছি। ?
–দিছো তো এই কয় মাস আমি তোমাকে খাওায়তে পারি না আজ কিনা নিজে খেতে চাইছো। কি খাবা বলো।
–গরুর মাংস আর চিজ কেক। ?
–আচ্ছা সুয়ে থাকো নিয়ে আসছি৷
আমান চলে গেলেন ৫ মিনিট পর এই বিসাল ট্রে করে এক ডিস মাংস আর বড়ো একটা চিজ কেক নিয়ে হাজির সাথে ice cream ও আছে। এগুলো আমার মতো ২০ জন মেঘের খাবার। ?
–আমান এতো আমি খাবো। আমার মতো ২০ জন মেঘের খাবার আনছেন। ?
–যে টুকু পারো খাও তো৷
–খইয়ে দিন। ?
আমান এসে আমাকে উঠিয়ে বসিয়ে দিলেন। আর কিছু মাংস মুখে তুলে দিলেন।
আমি ২ পিস খেয়ে।
–আর না। ।
–বেস এই টুকুই৷
–হুম।
–কেক খাবে না।
আমান একটু কেক খাইয়ে দিলেন।
–আর খাবো না।
–আচ্ছা একটা খাও।
একটা ice cream এর বাটি ধরিয়ে দিয়ে আমাকে আমান চলে গেলেন খাবার গুলো নিয়ে।
আমি ওটা খাচ্ছি বেশ ভালোই লাগছে৷
কিছু সময় পর আমান চলে এলেন৷
–হইছে তোমার খাওয়া।
–হুম। ?
–খুব খুশি মনে হচ্ছে৷
–এদিকে আসুন৷
আমান আমার কাছে আসতে আমি তার বুকে মাথা দিলাম।
–জানেন আমি মন হয় কখন কোন অতি ভালে কাজ করেছিলাম। তাই আল্লাহ আমাকে এই দুনিয়ায় আপনাকে দিয়েছে।
–তাই বুঝি৷
–হয়।
–তা রাত কি এভাবে কাটাবে।
–ঘুম আসছে না। ?
–আচ্ছা আজান দিলে নামাজ পরে তোমাকে নিয়ে ছাদে যাবো আজ।
–সত্যি ?
–হুম ৩ সত্যি ।
এখন আমাকে একটা কিছু দিতে হবে।
–কি।
আমান কিছুটা নিচু হয়ে আমাকে বললেন৷ ।
–এই গালে একটা চুমু দিবা৷
–আমি ?
–হুম তুমি।
–না।
–দিবা না ?
আমি কিছু বললাম না বর টা তো আমারি একটা চুমুইতো চাইছে। আমি টুপ করে আমানের গালে একটা চুমু দিয়ে দিলাম।
এভাবে খুনশুটি করে কাটলে আমাদের রাত৷
ফজরের আজান দিলে আমি তো বসে নামাজ পরি আমানও নমাজ পরে নেয়।
নামাজ পরা শেষে৷
–আমান,
–আমার মনে আছে। চলো।
–?
আমান আমাকে কোলে নিয়ে ছাদে আসলেন।
আমি এখানে এসে পুরা ????। এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে এটা একটা দ্বিপ। চারি দিকে নিল পানি মাঝে আছি আমরা৷ গাছ পালায় পরিপূর্ণ। মঝ বরারবর আমাদের বাড়িটা এটাই সব থেকে উঁচু পরিবেশ। এখান থেকে চারিদিক এক দম ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে। কি অপরুপ সন্দর। সূর্য এখনো বের হয়ে পরি নি মৃদু আলোতে আলোকিত সব৷
–আমান এতো সুন্দর চারিদিকটা৷
–হুম।
–তাহলে কেন আসতে দেন না আমাকে।
–এখন সূর্যের আলো কম। একটু পর আলো বাড়লে সমস্যা তোমার চোখে নিতে পারবে না।
–ওও।
–হুম পিচ্চি বৌ।
–তা আামাকে নামান। আচ্ছা আমার ওজন বাড়ে নি। ?
–এক দমি না।
–এ্যা।
–হুম যে টুকু বাড়ছে সে টুকু তোমার মেইন শরীর থেকে কমে গেছে। নিজেকে দেখছো কখনো হাড় গুলো ছাড়া কিছু দেখা যায় না।
–হুহ আমি আবার মোটা হবো হুম। ?
–হুম দেখা যাবে। ।
ঠিক তখন মাথর উপর দিয়ে উরে যাচ্ছে একটা ডানা ওয়াল আলেকিত কিছু৷
–ওটা কি৷
–জ্বিন। ।
–হ্যা৷ ?
–এখানে কাজ করে ও। সব কিছু কি এখানে থাকে বাইরে থেকে আনতে হয়। তাই ওরা রোজ নিয়ে আসে।
–আচ্ছা অনেক দ্রুত চলতে পারেন আপনারা।
–হুম।
–কতটা।
–এক পলকে এক কি.মি. তার থেকে বেশি যে য়েমন চায়।
–আল্লাহ ?
–তোমার জাসুছি শেষ হলে এবার আমি কিছু বলি৷
–বলেন।
–তুমি অনেক সুন্দর ।
–আপনার বৌ সুন্দর তো হবোই কিন্তু এখন একটু। ।
–না এখন আরো বেশি সুন্দর। (মাথায় মাথা ঠেকিয়ে)
–আচ্ছা আমান আমাদের কাছে এভাবে থাকার জন্য সময় আছে।
আমার কথা শুনে আমান এক পলকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে৷
–অবশ্যই আছে। জীবনে আল্লাহর ইবাদত ছাড়া কিছু করি নি তিনি তোমাকে আমার থেকে নিতে পারেন না। (কাদো শুরে)
হয়তো বুঝতে পারছেন আমার কথার মানে। ধিরে ধিরে আমি বেশি অসুস্থ হয়ে পরছি। জদি আমার কিছু হয়ে যায় আমান পাগল হয়ে যাবে। কিন্তু ওকে তো এটা মানতে হবে। তাই আগে থেকে বললাম৷ আমারও ইচ্ছে ওর সাথে সারাটদ জীবন কাটাবো। আদও কি হবে। হে আল্লাহ কিছু চায় না শুধু চায় আমাকে একটু সময় দেও৷
–আমান আমি আপনার সাথে আরো সময় কাটাতে চায়।
এভাবে কিছু সময় পর সূর্যের তেজ বাড়তে লাগলে আমান আমাকে নিয়ে নিচে চলে আসেন।
এভাবে কাটছে দিন৷ দিন দিন কেমন নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চা টার আসার সময় জতো ঘনিয়ে আসছে। আমার শরীরের অবস্থা ঠিক তত খারাপ হতে থাকছে। আমান আমাকে রেখে কোথাও ১ সেকেন্ড কাটায় না৷ ওনার বুকেই থাকি সারা দিন৷ শান্তি পায়৷ জান্নাতের শান্তি ।
মনে মনে শুধু এই টুকু চায় আমাকে আল্লাহ সময় দিক।
এরি মধ্যে আমান আমার জন্য এই বাড়িতেই একটা মেডিকেল রুম তৈরি করেছেন। এবং ৫ জন ডক্টর আর কিছু নার্স রেখেছেন। মাঝে মাঝে মনে হয় এটা একটা হসপিটাল।
আস্তে আস্তে আমার ১০ মাস পূর্ণ হলো আজ। এখনো ১০ দিন বাকি আমার অনাগত বাচ্চাটার আসতে। আমি একটু উঠে দাড়িয়ে থাকতে চাইছি বন্যা আপুট উপর ভর দিয়ে।
কালই এসেছে ওরা৷
–আপু
–বল পুটি।
–আমান কই।
–এইজে আমি জান পাখি৷
–আম. জোরে একটা নিশ্বাস বেরিয়ে এলো কিছু বলতে পারলাম না।
পাটা আমার কুচকে আসলো। মনে হলো কেউ ভেঙে দিসে বোস পরলাম। আপু ধরে রাখতে পারলো না আমাকে। আমান সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ধরে বসলেন।
আমার সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে পেইন উঠছে অনেক৷ মনে হচ্ছে বাচ্চাটা আমার শরীর ভেদ করে বাইরে চলে আসবে।
–মেঘ! আবির ডক্টর । ।
চোখের সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসছে। আমি বুঝতে পারছি আমান আমাকে নিয়ে মেডিকেল রুমে এসে বেডে শুইয়ে দিছে আমাকে। ওখানে শুয়ে চোখ দুটো বুঁজে এলো।
–আপনারা এখান থেকে আসুন ওনাকে অপারেশন করাতে হবে৷ (ডক্টর)
–আমি ওকে ছেড়ে যেতে পারি না। (আমান)
–দেখুন জত কথা বাড়াবেন আপনার স্ত্রী এর ক্ষতি তত হবে।
–ভাইয়া চলুন।
বন্যা আমান আবিরকে নিয়ে চলে আসে।
ডক্টর অপারেশন শুরু করে৷
প্রায় ২ ঘন্টা পর ডক্টর বেরিয়ে এলেন। কোলে নিয়ে একটা মেয়ে শিশু।
আমান দৌরে ডক্টরেট কাছে এলেন৷
–এইযে মি.আমান আপনার মেয়ে বাবু হয়োছে। এতো সুন্দর বাচ্চা আমি আগে দেখি নি। (বাচ্চাটা হয়েছে আমান মেঘের দুই জনের থেকে সময় রুপ নিয়ে আমানের মতো উজ্জ্বল মেঘের মতো ফর্সা এক কথায় অদ্ভুত সুন্দর)
–আমার স্ত্রী । (বাচ্চা টাকে কোলে নিয়ে)
–মি.আমান আপনার স্ত্রী……
চলবে,
?