#অদ্ভুত-তিনি
part:18
Megh La
সবকিছু ভেবে একটা বড়ো শ্বাস ছেড়ে উঠতে যাবো তখনি আমান ধরে বসলেন
–কই যাচ্ছো?
–না..
–আগে গোসল করবা এ কাপড় এ নামাজ হবে না।
–আচ্ছা৷।
–দূর্বল?
–না।
–সিওর৷ ।
–হুম।
–আচ্ছা৷
আমান ছেড়ে দিলো আমাকে আমি ধির গতিতে নেমে এসে গোসল সেরে নামাজ আদায় করে নি৷
এভাবে কেটে যায় ৫ মাস।বর্তমান ৮মাস চলছে তার৷ এ কয় দিনে আমান মেঘকে আগের থেকে বেশি ভালোবেসে ফেলছে। আমানের খেয়াল রাখায় মেঘ সুস্থ কিন্তু দিন দিন কেমন ফ্যাকাসে হয়ে আসছে শরীরে আছে শুধু হাড় গুলো৷ খাওয়া দাওয়া কেমন পরে গেছে৷ কিছু জের করে খেলে সেটা সইতে পারে না৷ সব সময় আমানকে ধরে হাটে৷এসব দেখে আমানেরও মায়া হয় সে তো জানে সব মেঘ একটা মানুষ অনেক কষ্ট করেই এই বাচ্চা সে তার পেটে ধারন করেছে এসব দেখতে দেখতে আমানের রাগটা কোথায় হারিয়ে গেছে।
পেটটা বড়ো হইছে। দেখতে বল বল লাগে।
আয়নায় দাড়িয়ে নিজেকে দেখছি। পেটটা বেশ বড়ে হইছে। বাহ বাচ্চা হলে এমন হয়। ?। কি ভাবছি আমিও৷ বাচ্চা মনে হচ্ছে আমি হয়ে গেলাম।
–কি ভাবা ভাবি চলছে শুনি৷ (আমান)
–কিছুনা৷ ও মাগো৷। (আমানের সার্ট খামচে)
–কি হলো।
–তোমার বাচ্চা আমাকে কিক মারে। (বেশ কষ্ট হচ্ছে বলতে কথাটা আমার কারন এমনি আমি অনেকটা দূর্বল)
আমান আমাকে বিছনায় সুইয়ে দিলেন। আমার পেটে হাত রেখে বললেন৷
–মাকে এক দম কষ্ট দিবে না কিন্তু।
আমি তার হাতটা নিয়ে আমাকে কিক মারার জায়গা টায় রাখলাম।
–দেখ এবার বুঝতে পারবে।
কিছু সময় পর দুষ্টু বেবিটা আবার কিক মারে।
–এই সত্যি তো। আমি ফিল করেছি মেঘ।
–আমান৷
–হুম বলো।
–আমারনা কেমন দূর্বল লাগে সব সময়৷ এমন কেন হয়। ।
–(কি করে বলবো তোমাকে হাজারটা কারন আছে এর এসব বললে তুমি মন থেকেও ভেঙে পরবে)
বাচ্চাটা মেবি মায়ের মতো দুষ্টু হবে তাই তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে৷
আমান আমার কাছে এগিয়ে এলেন। মুখটা আমার তার দুহাতের মাঝে নিয়ে বললেন,
–খুব কষ্ট হয় তাই না।
আমি বুঝতে পারছি সে কষ্ট পাবে তাই বললাম।
–না এমনি বলেছি ?
আমান আমার ঠোট দুটোয় গভীর স্পর্শ দেয়। কিছু সময় পর সরে এসে,
–একটা সারপ্রাইজ আছে৷
–আমার জন্য ।
–হুম
আমান মেঘকে আস্তে ধরে নামায়। নিয়ে আসে একটা রুমে। কিছু সময় অন্ধকার থাকার পর রুমটা আলোকিত হয়ে যায়৷ সমনে দাঁড়িয়ে আছে বন্যা।
–বন্যাপু৷
আমি আপুর কাছে যেতে যাবে তাখন আপুর বলে,
–থাক পুটি এই অবস্থায় নরতে হবে না আমি আসছি।
বন্যাআপু আমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলেন।
–কিরে এমন ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে কেন তোকে শরীর ঠিক নাই।
–তোমাকে দেখে আমি এক দম ঠিক হয়ে গেছি৷ ? আপু তোমার কি হইছিলো বলো।
–বলবো আমান ওকে নিয়ে রুমে চলো৷ আগে তুই সুবি তার পর বলবো সব।
আমরা রুমে চলে আসি আমাকে শুইয়ে দেয় আমান৷
–এবার বলো৷ ।
–শোন তেবে,
আমার বিয়ে হবার কথা ছিলো অন্য এক জন জ্বিনের সাথে ওর নাম হলো আবির। কিন্তু ওইযে আমার উপর যার নজর ছিলো সে ছিলো অন্য একটা বিদঘুটে জ্বিন ওর নাম সুলেমান ৷ বাবা মার থেকে কথা নেয় যে জ্বিন সে হলেন আবিরের বাবা। আমানের খুব কাছের বন্ধু আবির। আবিরের বাবা সুলেমানের থেকে আমাকে বাচাতে আবিরের সাথে বিয়ে দিবার প্রতিস্রুতি নেয়। সব ঠিক চলছিলো কিন্তু আমাদের বিয়ের দিন সুলেমান আমাকে নিয়ে যায়। আবির আমাকে বাচাতে আসলে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছিলো৷ আমার উপর এমন একটা জাদু খাটায় সে যার জন্য আমি এতো দিন অবশের মতো চোখ বুজে বিছনায় পরে ছিলাম। আমান ভাইয়া খুব ভালো রে সেদিন থেকে আমার খেয়াল রেখেছে সাথে আবিরও।
এখন তোর প্রশ্ন হতে পারে, সেদিন আমান তোকে কেন বিয়ে করেছিলন?
এটার কারন তাদের কাছে প্রতিস্রুতি বদ্ধ ছিলো। কেউ না কেউকে বিয়ে করতেই হতো। আবিরতো আমাকে ভালেবাসতেন সে তো বিয়ে করতে পারতো না তাই আমান ভাইয়া তোকে বিয়ে করেন।
এসব কিছু শুনে আমি কেঁদে দি৷ আমান কতটা ভালেবাসে আমাকে আর আমি ছি। কতটা খারাপ আমি।
–কাঁদিস না পুটি আমি জানি সবটা কারন আমি সব বুঝতে পারতাম কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারতাম না৷
আমান ভাইয়া আমার বোনটাকে তুমি কিন্তু ক্ষমা করে দিবা।
–জী আপু অবশ্যই সে আমার সন্তানের জন্য যা করছে তার উপর পৃথিবীর কোন রাগ থাকে না৷
–কি গোল মিটিং হচ্ছে আমাকে রেখে( দরজা দিয়ে একটা লোক এসে)
–মেঘ এইযে আবির৷ । –
–আচ্ছা ইনি আবির।
–হুম সালিকা আমি আবির। ।
সবাই মিলে কিছু সময় গল্প করে বন্যা আপু আর আবির ভাইয়া বিদয় নিয়ে চলে আসে আবির ভাইয়ার বাসায়।
রাত ১০ টা আমান আমাকে খাইয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে এসে আমার পাশে বসেছে৷
আমি তার বুকে মাথা রাখি।
–সত্যি ক্ষমা করেছেন আমান৷
–হুম। তুমি এখন সুয়ে পরো।
আমাকে সুইয়ে দিলেন৷
–আমান। একটা কথা বলি।
–হাজারটা বলো৷ (উঠতে যেয়ে নাউঠে আমার উপর উচু হয়ে অর্ধেক টা শুয়ে বললেন)
–ভালেবাসি আপনাকে।
—কি বললে।
–শুনেন নি।
–না আবার বলো৷
–ভালেবাসি খুব। ।
আমান আমার ঠোঁট আকরে ধরেলেন।
কিছু সমর পর। ।
–আমিও ভালেবাসি অনেক।
–এখন সরুন।
–কেন(ভ্রু কুচকে)
–হুহ মিয়া জদি আবার কন্ট্রোল হারিয়ে বসেন তাহলে সমস্যা। ?
–সমস্যা কি তোমারি একটু৷ ?
–আমান ? মরে জাবানি৷
মরারা কথা শুনে তিনি আমার মুখটা চেপে বললেন৷
–আমি বেঁচে থাকতে না। তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না৷
তার পর তিনি আমাকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলেন।
চলব,
?