#অদ্ভুত-তিনি
Part:13
Megh La
জীবনে বাঁচতে গেলে অনেক সত্যির মুখোমুখি হতে হয় তাই না৷ জীবনটা মটেও সহজ নয় আমার টা তো একদমি নয়। ভালোবাসার মানুষ গুল হারিয়ে যাচ্ছে ভাবনার অতলে। সমুদ্রের গভীরতাকেও হার মানায়। অনেক ভেবেছি আমি৷ সব মেনে নিতে পারলেও বন্যা আপুর সাথে করা অন্যায় আমি মেনে নিতে পারছি না৷ কখনো না আমার বন্যা আপু আজ আমার জায়গায় দাড়িয়ে থাকলে অবশ্যই সে আমার কথা ভাবতো৷ ভালেবাসাটাই আমাদের এমন।
অনেক ভেবেছি আর না৷ আমানকে শাস্তি পেতে হবে। আমি দিবো তাকে শাস্তি৷
চোখের কোনে জমে থাকা পানি গুলো মুছে পেছনে ফিরি৷ আকাশ অপেক্ষা করছে আমার উত্তরের,
-বলুন কি করতে হবে আমাকে।
-আমি জানতাম মেঘ তুমি আমাকে সহায্য করবে। তুমি
আকাশকে হাতের ইসারায় থামিয়ে দিলাম।
-আপনি শুধু আমাকে বলবেন কি করতে হবে। এটা ব্যাতিত কোন কথা হবে না। (কড়া গলায়)
-ওকে। শুন তবে তোমাকে আমানের কছে কাছে থাকতে হবে অগের থেকে বেশি৷ তবে এবার স্ত্রী হয়ে নয়। ওকে ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিতে ওর সাথে থাকবা তুমি ওর শক্তি অনেক কোন কোন জিনিস ওকে কাত করতে পারে তোমাকে সে সব কিছুর উপর নজর রাখতে হবে। একবার আমানের শক্তি গুলোকে শেষ করতে পারলে ওকে শাস্তি দেওয়া তুড়ির কাজ৷ ওর দূর্বল পয়েন গুলোকে কালেক্ট করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। সেই দিন আসবো আমি আবার।
(তার সাথে সারাটা জীবন কাটাতে চেয়েছিলাম তার স্ত্রী হয়ে আজ আমি তার পাশে তার স্ত্রী নই ধ্বংসের কারন হয়ে থাকবো।কথা গুলো আমাকে ভাবতে বাদ্ধ করছে। ভেতরটা আমার ভেঙে চুর মার হয়ে যাচ্ছে ।নিজেকে সামলে বললাম )
-ঠিক আছে আপনি আসতে পারেন।
-হুম আসছি।
আকাশ আসতে আসতে মনে মনে বলে,
-(আজ আমাকে রাগ দেখাচ্ছেন ম্যাম আমানকে মেরে জখন বপনার আমানের জায়গায় আমি নিজেকে বসাবো তখন কি করবেন)
-স্যার ম্যামের সাথে জোগাজোগ কেমনে করবেন। (রনি)
-ট্রান্সমিটার দিয়ে।
-আর এখানে আসবেন না৷
-একটা কথদ কি জানো রনি এখানে আমরা এই বার অতি সহজে প্রবেশ করতে পেরেছি। সিকিউরিটি আমাদের কিছু বলে নি। এতো ছাড় কিন্তু ভালো নয়৷ ঘাবলা আছে তাই মেঘের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে আসবো না। আমি আসবো সেই দিন মেঘকে এখান থেকে নিয়ে যাবো৷
ও যে শুধুই আমার৷
-কিন্তু স্যার ম্যাম জদি যেনে যায় আপনি ওনাকে পাওয়ার জন্য এসব করছেন৷
-আকাশ বেঁচে থাকতে মেঘ কখনো জানতে পারবে না এ কথা। এখন চলো জলদি৷
আাকাশ রনি চলে আসে।
.
.
-জান পাখিটা কি করে। (মেঘের ঘাড়ে মুখ গুঁজে)
-দোয়া করে৷
-আচ্ছা কার জন্য।
-নিজের জন্য।
-এদিকে ফিরো(মেঘকে ফিরিয়ে) তুমি কাঁদছো । কেন বলোতো কি হইছে৷
-আমান। আপনি কখনো জদি জানতে পারেন আমি আপনার জন্য আপনার কোন প্রিয় মানুষকে মেরে ফেলেছি। মিথ্যা বলেছি পরিবার নিয়ে। আপনি সেই দিন কি করবেন৷
– আমার জীবনে তুমি ছাড়া কোন আপন মানুষ নাই। জদি তুমি এমনটা করো তাহলে সমস্যা নাই৷ ভালেবাসায় রাগ খুন সব জায়েজ৷
আমি এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছি৷ তার কথা গুলো, সে কি করে মিথ্যা বলবে। তার চোখ বলছে সে সত্যি বলছে৷ সে তো আমাকে প্রথম দিনই বলেছিলো তার দাইমা ছাড়া কেউ নাই৷ তাহলে আকাশযে বললেন তার বাবা আছে। মানুষটাকে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমার চোখের সামনে ভেসে আসছে। বন্যা আপুর নিথর শরীরটা৷
আমি নিজেকে তার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে যাবো,
-না কই যাচ্ছ আমার তোমাকে প্রয়োজন৷
-ভালো লাগছে আমার৷
-আমারও। (কি করে বলি তুমি আমার এমনি একটা নেশা যা পৃথিবীর কোন নারীর মধ্যে এমন নেশা কাজ করে না৷ হাজার পরিকে নিয়ে আমি একটা রাত কাটাতে পারি। তুমি কোন পরি নও মানুষ তাও আমার নেশাটা তোমার মধ্যে কোথায় একটা আটকে গেছে)
-সত্যি ভাল
আমান মুখটা বেধে দয়। কি করলো এটা ও। আমি বুঝতে পারছি না। সে আমার হাত দুটোও বেধে দিয়েছে। এমনটা তো আগে কখনো করে নি৷ আমি অবাক। তিনি আমাকে কোলে তুলে নিলেন৷
আমাকে খাটে রেখে আমার উপর সুয়ে পরলেন৷ আমার আচল সরাতে। আমি শব্দ করে উঠি,
-উম….
-মেঘ প্লিজ, ডোন্ট ডিসটার্ব মি।
তিনি আমার বুকে অজস্র চুমু দিতে লাগলেন।
তলিয়ে গেলাম কোথায় একটা অচিন পুরিতে।
রাত ৪ টা আমান সেতো এখনো ওই ভাবে আছে, আমাতে মেতে। আমকে আজ সে ৫-৬ টা কামড় দিয়েছে ব্যাথাতো হচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে পারছি না৷ বুঝতে পারছি না আর কতটা সময় সে এভাবে থাকবে আমাতে মেতে। কিন্তু আসচর্জের ব্যাপার হলো সে আগে কখনো এমনটা করে নি৷ আমার খারাপ লাগছে শুনলে তো আমাকে স্পর্শ করতেন না৷ আর সেই আমি বললাম আমার খারাপ লাগছে । কিছুই বুঝতে পারছি না।
এভাবে কিছু সময় পর আমান সরে আসলেন আমার থেকে সরে এসেও ছাড়েন নি৷ দুই বাহুতে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছে। মুখ হাত আমার এখনো বাধা৷ তার হৃৎস্পন্দন আমি শুনতে পাচ্ছি৷ এভাবে কেটে গেল রাতটা নির ঘুমেই
ফজরের আজান কানে আসতে আমান আমার হাত মুখ খুলে দিয়ে আমাকে নিয়ে সোজা ওয়াসরুমে চলে যায়৷ আমি যতো দোখছি ততো অবাক হচ্ছি৷ আমান আগে এমনটা কখনো করে নি। আমি অনেকটা ক্লান্ত তার কাছে কিছু শোনার মতো অবস্থায় আমি নাই৷ তাই চুপচাপ যা করছে মেনে নিচ্ছি৷ আমাকে গোসল করিয়ে সারি পরিয়ে দিলেন৷ নিজেও গোসল করে বেরিয়ে এসে বললেন,
-নামজ পরবা৷ ।
আমি মাথা নাড়িয়ে দিলাম৷
আমি বসে নামজ পরে নিলাম দুজন এক সাথেই নামজ পরেছি৷
অনেকটা ক্লান্তি গ্রাস করেছে আমাকে। টিপ টিপ করে বিছনায় শুতে ঘুম চলে আসে,
আমান এসে মেঘের পাশে শুয়ে পরে৷
জান পাখি ভালেবাসি৷ কতোটা ভালো কল্পনা করতে পারবে না৷ আমি আসায় আছি তুমি আমাকে বুঝতে পারবে৷ এমন কিছু করো না যাতে তোমার আমান তোমার না থাকে৷ তবে সেই দিন তোমার আমান নিজেকে শেষ করে দিবে৷ মনে মনে,
কিছু সময় পর আমানও ঘুমিয়ে পরে।
দুপুরে,
চলবে,
?