#অদ্ভুত-তিনি।
pArt:12
Megh La
-কে আপনি এখানে কি করে এলেন আজীব। বের হন এখুনি৷
-শান্ত হন মিস. মেঘ চিল্লিয়েন না। আমি আাকাশ।
লোকটি তার মুখসটা খুললে আমি বুঝতে পারলাম সে আগের দিনের লোকটা৷
-আপনি এখানে কেন এসোছেন আবার। আমি বলেছি সে দিন। বাঁচতে চাইলে চলে জান৷
-তোমাকে কিছু দেখানোর আছে৷
-কিছু দেখতে চায় না আমি৷
-দেখতে তোমাকে হবে। প্লিজ তুমি কথা দিয়ে ছিলে৷
আমি ভাবছি কি আর দেখাবে বেশি উল্টো পাল্টা করলে আমানকে বলে দিবো। সব ভেবে তার সাথে যেতে রাজি হলাম।
সে আমাকে সেই রুমটার সামনে এনে দাড় করালো যেখানে আমি আওয়াজ পেয়েছিলাম।
-ভেতরে চলো৷
আমারও অনেক দিন ধরে এখানে কি আছে দেখার কৌতুহল ছিলো তাই সাত পাঁচ না ভেবে ভাতরে প্রবেশ করি৷ এখানে এসে এটা দেখার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
বন্যা আপু শুয়ে আছে হাত পা মুখ তার বাধা৷ এটা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি৷ আমি দৌড়ে আপুর কাছে যায়৷
-বন্যাপু কি হইছে তোমার এমন করে আছো কেন চোখ খোল না। আপু তুমি কই ছিলা এতো দিন আপুরে চোখ খোলো আপু৷ (আমার চোখের পানি গুলো আজ শেষ হবে না৷ )
আমি এসব বলতে বলতে আকশ এসে আমাকে বললেন,
-শান্ত হোন৷ আপনার বন্যা আপু এখানেই ছিলো৷ এবং তাকে এখানে এভাবে রেখেছে আপনার স্বামী আমান৷
আকাশের কথা শুনে আমার পায়ের তলার মাটি ফাক হয়ে গেল৷
কি বলছে সে। বিশ্বাস হচ্ছে না আমার৷
-মিথ্যা আমার আমান এমন না৷ তিনি এমন করতেই পারেন না৷ বন্যাপু বলনা পু তুই কই ছিলি।
-আমি জানতাম আমাকে আপনার বিশ্বাস হবে না তাই আমি পুরো তৈরির সাথে আজ এসেছি৷ এই দেখুন এই ভিডিও টা৷
(আকাশ সেই দিন জখন এসেছিলো তখন বুদ্ধি করে একটা ছোট্ট ক্যামেরা তার শার্ট এর বোতামে সব সময় থাকে সেটা এখানে আন্দাজে রেখে যায়৷ আন্দাজে হলেও সেটা তার জন্য কাজ করে গেছে। আমানের এখানে এসে বন্যার সাথে সব কথপোকথন রেকর্ড হয়ে গেছে। সাথে তার সাথে করা জাদু গুলাও। আমান রোজ বন্যাকে জাদু করে ঘুম পদরিয়ে রাখে৷ এ ঘুম সে ঘুম নয় যা নর্মাল মানুষ ঘুময় এটা হলো ২৪ ঘন্টা জীবনের সাথে কি ঘটে যাচ্ছে তা টের না পাওয়া ঘুম। )
আমি এগুলা কি দেখছি এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আমান বন্যাপু কে বলছে,
-জানো বড়ো আপু তোমার বোন তোমাকে খুব ভালোবাসে৷ তার মন থেকে তোমাকে মুছে রাখতে আমাকে রোজ তোমার বোনের উপর জাদু করতে হয় আমার সেটা ভালো লাগে না৷ কিন্তু কি করবো বলো আমার মেঘকে কাছে পেতে আমি সব করতে পারি তোমাকে সবাই পেয়ে গেলে সমস্যা কারন তুমি আমার সব কথা জেনে গেছ৷ এমনি তে মেঘ এটা জেনে গেছে আমি মানুষ না৷ কিন্তু আমি যা যা করেছি আজ পর্যন্ত তার কিছুই তাকে জানতে দেওয়া যাবে না৷ তাহলে ও আর আমাকে ভালোবাসবে না৷
কথাগুলো বলে একটা ডেভিল হাসি দিয়ে আমান চলে গেল রুমের লাইট অফ করে দিয়ে৷
আমার শরীরের কোন শক্তি কাজ করছে না হাত পা অবস করে নিয়ে আসছে৷ এ কি হচ্ছে আমান আমার আমান এমন করেছে। ।
-মেঘ শুধু এই না। তুমি অনেক কিছু জানো না৷ তোমাকে পাবার জন্য আমান কি কি করছে জানো। শুনতে চাও৷
আমি অসহায় দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকালাম,
সে বলতে শুরু করলো,
-তোমার জন্মের পর আমান তোমার বাসার উপর দিয়ে যাচ্ছিল তখন সে ছোটই ছিলো৷ রাজার ছেলে পাওয়ার বরাবরি বেশি। তোমাকে দেখে তার এতটাই পছন্দ হয় যে সে সব কিছু প্লান করে। তোমার বন্যাপু করে অসুস্থ করে। তার পর ওয়াদা নেয়। ২০ বছর বয়সে বন্যাআপুকে বিয়ে করার। তার পর। বিয়ের দিন আমানের রহস্য ময় কথা আর হাসি বন্যা দেখতে পেলে সে পালতে চায়। তখন আমান বন্যাআপুকে আটকে ফেলে৷ আর তোমাকে বিয়ে করে নেয়৷ কারন তোমার বাবা মা ওয়াদা দিছিলেন। তোমাদের বংশের কোন একটা মেয়েকে আমানের সাথে বিয়ে দিতে হবে৷
আজ পর্যন্ত তোমার জীবনে যা যা ঘটেছে তার সব কিছু আমানের প্লান অনুযায়ী হয়েছে। তুমি তোমার পরিবার এবং আমানের বাবাও তার ইসারায় চলেছে৷
ও তোমাকে পেতে কতো ছেলেকে মেরেছে তার ঠিক নাই৷ ছোট থেকেই তোমার দিকে যে তাকিয়েছে তাকে সে শেষ করে দিসে৷
আমার নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না। কি বলছে আকাশ নাহ এটা কি করে হতে পারে। আমান ও কি করে এতো কিছু করতে পারে৷
-মেঘ আমি জানি তোমার মনের অবস্থা ঠিক কি। কিন্তু আমি চাইবো তুমি আমানকে শাস্তি দিতে আমাকে সহায্য করবা। তুমি সাহায্য করলে আমি পারবো।
.
আকাশের কথা গুলো কানে যাচ্ছে না৷ আমি কেমন পাথর হয়ে গেছি৷ আমি সে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। গুটি গুটি পায়ে নিজের রুমে আসলাম৷ আমার মাথায় সব সৃতি ভেষে উঠছে। কি কি হয়েছে কি কি হচ্ছে। জীবন আর কি কি দেখাবে৷ আমার মনে পরছে আমানের সাথে কাটানো প্রতিটা সুন্দর মুহূর্তের কথা। আর সহ্য করতে পারি নি এবার আমি চিৎকার করে কেঁদে দি৷
-আমা…….ন………….কেন করলেন এমন…………. আমা…………ন।
আজ আমার চিল্লানো কেউ শুনছে না৷ এই রুমটা সাউন্ড প্রুরুভ। এ রুমের কোন শব্দ বাইরে যায় না। । এই কষ্ট গুলো আমাকে ভেতর থেকে মেরে ফেলছে৷ আমার জীবনটা এক মিনিটে পাল্টে গেছে। আমর ধৈর্য বাধ মেনেছে।
-আমান আমি ভালোবাসি আপনাকে। কেন করলেন এমন। কেন।
রাগে দুঃখে সামনে থাকা আয়নাটা হাত দিয়ে ভেঙে দেয়। হাতে কাচের সরু টুকরা ফুটে অঝরে রক্ত পরছে৷ কিন্তু আমার৷ মনের ব্যাথার কাছে এগুলো কিছু না।
.
-রনি আমি জানি মেঘ আমাদের সাহায্য করবে তুমি এখন চলো এখানে থাকা যাবে না আমান চলে আসতে পারে। আমি ওদের কখনো এক সাথে থাকতে দিবো মেঘ শুধু আমার। (সয়তানি হাসি দিয়ে)
-জী স্যার।
আকাশ রনি রুমটা আগের মতো করে বেরিয়ে যায়৷
.
আমি রুমের একটা কোনে পা গুটিয়ে বসে আছি এর মধ্যে আমান আসে আমার রক্ত দেখে সে অস্থির হয়ে পরে।
-জান পাখি কি হইছে তোমার৷ রক্ত কি করে জান।
আমান আমার কাছে এসে আমাকে ধরে বিছনায় বসিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।
-আয়না কে ভাঙলো এভাবে কি হইছে বলবা।
-কিছু না আমি ভেঙেছি।
-কেন
-হাত থেকে পেপার ওয়েটা ছুটে লাগছে।
-তোমাকে দোখে মনে হচ্ছে কেঁদেছো। কি হইছে মিথ্যা বলো না।
-কিছু না আপনি গোসল করে আসুন নামাজ পরবেন।
আমান কিছু একটা ভেবে বধরুমে চলে গেল।
সে চলে যেতো,
চলবে,
?