#অদ্ভুত-তিনি
part:09
Megh La
-এইজে আপনি কই যান ভাই। (আদ জ্বিন আমানের বাসার দেখাসোনা করার জন্য রাখা)
-আগ্গে হুজুর ভেতরে যায়৷ ঘর পরিস্কার করতে৷ (আকাশ জানে এখানে জ্বিন দের হুট করে মালিক ছাড়া স্যার বললে ধরা পরে যাবে)
-এটা তো মালকিনের রুম এখানে দিতে বলছে কে।
-জী বড়ো হুজুর বলছে।
-সত্যি।
-জী হুজুর। আমি ভালো মিথ্যা কেন বলবো।
-ঠিক আছে। যাও৷
আদ জ্বিন চলে গেল৷
আকাশ ভতরে প্রবেশ করলো।
আমি কাঁদতে আছি এমন সময় কেউ রুমে এলো আমি মাথা তুলে দেখতে পেলাম৷ বেশ লম্বা মতো একটা ছেলে মাঝামাঝি গায়ের রং। এটাওকি জ্বিন৷ কিন্তু ওকে তো আগে দেখিনি৷
-তুমি মেঘ না৷
আমিতো অবাক।
-ক…কে আপনি?
-ভয় পেও না আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি ।
-কে আপনি আমার কোন সাহায্য লাগবে না।
-দেখ আমি সব জানি৷ এটাও বুঝতে পারছি আমান যে জ্বিন তুমি সেটা টের পেয়ে গেছ। ভয় পেওনা আমি সব বলছি,
আকাশ সর্ট কার্ট এ মেঘকে সব বলে কারন তার কছে সময় নেই। আমান চলে আসতে পারে।
-দেখ সবতো শুনলে এখন তুমি কান্না বন্ধ করো৷ আর আমাকে বলো সাহায্য করবে কিনা৷
-আপমি আমাকে এখান থেকে বার হতে কেন সাহায্য করবেন। আমি যাবো না কোথাও আমি আমার স্বামীকে সঠিক পথে আনবো। ওনাকে ছাড়া যাবো না৷
-আচ্ছা তুমি জদি জানতে পারো তোমার স্বামি তোমাকে পাবার জন্য অন্যায় করেছে তখন।
-আমি কেন আপনাকে বিশ্বাস করবো৷
-প্লিজ মেঘ এসবের সময় নেই আমার হাতে আমি কথা দিচ্ছি তোমাকে আমি সব প্রমান সহ দেখাবে কিন্তু তোমাকে তখন আমার সাথ দিতে হবে এটা তুমি প্রমিস করবা।
-না উনি খারাপ হতে পারে আমাকে পাওয়ার জন্য সে অবশ্যই কোন খারাপ কাজ করে নি।
-আমি রাতে তোমাকে প্রমান দিবো।
এরই মধ্যে কারোর পায়ের আওয়াজ শোনা। যাচ্ছে ।
-মনে হয় আমান আসছে আমি গেলাম। পরে দেখা করবো৷
আকাশ দরজা লাগিয়ে চলে যায়।
ঠিক তখনি আমান ঘরে ডুকে৷
-জান পাখি কেউ এসেছিলো৷
-ন…না।
-তোতলাচ্ছ কেন?
-কই৷
আমান সন্দেহ করলেও এখন মনে হচ্ছে কে আসবে।
আমান আমার দিকে এগোতে আমি পিছনে সরে যায়।
-জান পাখি একটা কথা কথা কান খুলে শুনে রাখ আমান মানে আমি তোমার বর্তমান, গত ৮ দিন আতিত ছিলাম, ভবিষ্যতে থাকবো৷ তুমি আমার থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারবে না জত দিন তোমার বা আমার জে কোন এক জনের নিঃশ্বাস না থেমে যায়।
এখন তুমি আমাকে মেরে ফেলতে চাইলে পারো আমি তোমার জন্য সব করতে রাজি।
সব বলছে বলছে কিন্তু তার শেষ কথাটা৷ আমার কলিজা চিরা কথাটা বললেন৷ হয়তো অভিমান জমেছে অনেক কিন্তু ভালো তো তাকেই বাসি।
আমান আমার কাছে এসে আমার গালে হাত দিলেন,
-দেখ সব কিছু সহজ নয় জানি। তোমার আম্মু -আব্বু আমাকে তোমার সাথে বিয়ে দিয়েছেন তোমার জন্য। আমি তোমাকে সব শুখ এনে দিবো শুধু আমাকে ছেড়ে জাবার কথা বলো না।
-আপনি একটা খুনি। আপনি মানুষ মারেন। আমি থাকবো না। (কেঁদে)
আমান এটা শুনে আমাকে সোজা বিছানাতে চেপে ধরলেন,
-ছাড়ুন আমার লাগছে।
তিনও কিছুই বলছেন না হটাৎ আমার ঠোঁট দুটো আকরে ধরে। আমি ছোটাছুটি করার শক্তি হারিয়ে ফেলছি৷ বেশ কিছু সময় পর তিনি সরে এসে রুম থেকেই চলে গেলেন।
কি হচ্ছে যে এগুলো আমি বুঝতে পারছি না। আমানেট ব্যাবহার ইদানীং কেমন জেন করছে। এমন তো আগে ছিলো না। তাহলে ওই লোকটাকি সত্যি বললো সব টা। এতো কিছু কি করে ভাববো৷ আমি। আম্মু খুব মনে পরছে তোমাকে। কেন আমাকে এই রকম একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন করলে।
আমি কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম জানিনা।
.
.
-রনি আমান রেগে অনেক সময় বাসা থেকে বার হইছে এত সময় জখন আসে নি এটাই সময়। চলো পুরো বাসা খুঁজে আমানের বিরুদ্ধে কিছু যোগার করতে পারি নাকি।
-স্যার কিন্তু এই পাহারার জ্বিন গুলোকে কি বলবো।
-আমারা পাহারার জ্বিন এর পোশাক পরবো।
-কিন্তু পাবো কই।
-আমি থাকতে এতো চিন্তা কিসের৷
-ওকে স্যার,
ওর দুজন পোশাক পরে হাঁটতে হাঁটতে সেই রুমের কাছে চলে আসে যেই রুমে মেঘ আওয়াজ শুনেছিলো৷
-রনি কিছু শুনতে পাও।
-জী স্যার মনে হচ্ছে কেউ আছে৷
-চলো এখানে৷
-স্যার কিন্তু চাবি।
-ক্লিপ আছে।
বেশ কিছু সময় ক্লিপ দিয়ে নাড়াচাড়া করার পর রুমটা খুলে গেল। সেখানে গিয়ে,
-স্যার এটা কি। ?
চলবে,