#অদ্ভুত-তিনি
part:08
Megh La
হায় আল্লাহ এ কে, এটা আমার আমান। কি করে সম্ভব। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
ওখানে আমান 2 টা মানুষকে মেরে ফেলছে তাও নিঃসংশ ভাবে। তাদের মাথা টিপে ফটিয়ে মেরে ফেলছে দুইটা মানুষকে মারার পর অন্য মানুষ টাকে বতলে পুরে বললেন
-তোকে আমি এই জন্য খাইয়ে দাইয়ে রখছি তুই আমার উপর দিয়ে চলবি। আমার অনগচরে তুই অন্য মানুষকে এখানে নিয়ে আসবি। তোকে আমি আগুনে জ্বালাবো।
তার রুপ দেখে আমার দম আটকে আসছে। ফর্সা মুখটা লাল হয়ে আছে৷ চোখ দুটো অসম্ভব লাল হিংস্র জানোয়ার এর মতো লাগছে তার হাতে রক্ত লেগে আছে। ওই মানুষ দুটোর। আর তিনি কি বললেন, আমান অনুমতি ছাড়া এই মানুষ দের জায়গা দিলি। মানে কি৷
আমি ভয়ে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলছি। আমার রক্ত ছোট থেকে ভয় করে৷ তার এসব কাজ দেখে আমার বাকশক্তি হারিয়ে গেছে দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। আমি ভয়ে চলে আসতে গেলে হাতের সাথে লেগে একটা কাচের ফুলদানি পরে ভেঙে যায়। আমান সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে আসে। এসে মনে হয় আমাকে তিনি দৌড়ে যেতে দেখছেন৷
-জান পাখি তুমি কই যাচ্ছ।
তিনি আমার পেছনে দৌড়াতে আছে। আর আমি পাগলের মতো ছুটতে আছি।
-মেঘ থামো তুমি পুরো কথাটা শুনো।
আমি এই মুহুর্তে কিছু শোনার মতো অবস্থা তে নাই আমার চোখের সামনে বার বার ওই দৃশ্য ভেষে আসছে।
আমি দৌড়ে একটা রুমের খাটের পেছনে লুকালাম৷ মুখটা হাত দিয়ে টিপে রেখেছি যাতে কান্নার আওয়াজ সে শুনতে না পারে৷
কিন্তু তিনি এই রুমে চলে এসেছেন।
-মেঘ কই তুমি তোমাকে এখনে আসতে দেখেছি৷ জান বার হও আমার পুরো কথাটা শুনো আমি সব বুঝিয়ে বলছি তোমাকে।
অনেক ক্ষন তিনি খুঁজছে আমাকে কিন্তু পায় নি মনে হয় রেগে গেছেন কিছুটা।
-মেঘ এক্ষুনি বার হও আমি বার করলে খবর আছে। জান প্লিজ কথাটা শুনো৷
আমি এখানো মুখ টিপে কাঁদতে আছি। আমার সারির আচলটা তিনি হটাৎ দেখে ফেললেন। আমি সরতে গেলেই আমাকে ধরে ফেললেন।
-আমাকে ছেড়ে দিন আমাকে জেতে দিন প্লিজ। আমি কথা দিচ্ছি কাওকে বলবো ন কিছু। (হাত জোর করে)
-জান পাখি সন্ত হও আমার কথা শুনো। হ্যা আমি মানুষ না জ্বিন। কিন্তু ।
-আমাকে মরবেন না আমি আজই আম্মুর কাছে চলে যাবো৷
আমার মুখে মরার কথা শুনে তিনি আমাকে ঠাস করে দিলেন এক চড়।
চড়ের তিব্রতা এতই ছিলো আমি মেঝেতে পড়ে যায় আর তার স্পর্শে সেই পুরোনো ব্যাথা। হটাৎ চোখ দুটো বুঁজে এলো।
.
.
-রনি এটা হলো সেই দ্বিপ। এখান থেকে কয় কদম সামনে আমান খানের বাসা৷
-স্যার একবার ভেবে দেখেন। জীবন মরন বাজি দিতে যাচ্ছেন৷
-এতো দুর এসে ভাবার কিছু নাই। ওই মেয়েটাকে আমি বাচিয়ে ছাড়বো। আর শুন ওখানে ওই কস্টিউমটা পরে নেও তাহলে ভেতরে অনায়াসে যাবো কেউ আমাদের সন্দেহ করলে মনে আছে কি বলবা।
-জী স্যার।
-ওকে চলো।
.
.
আমি চোখ খুলতে প্রথমই আমার সামনে সেই দৃশ্য ভেষে আসলো। আমি জাকে মানুষ ভাবে ভালোবেসেছি সে জ্বিন৷ আর মানুষ খুন করেছে সে। কি জানি আমাকে কবে মেরে দেয়।
আমি আমার আসে পাশে কেউ নাই৷ এটাই সুজক পালাবো এখান থেকে। হ্যা আমি পালাবো৷ আম্মু আব্বুর কাছে যেতেই হবে। আমার মাথায় এই মুহুর্তে খালি একটা কথা আমাকে পালাতে হবে। পালাবো আমি থাকবো না এখানে।
আমি একটু একটু করে উঠে লুকায় লুকায় সবাইকে আড়াল করে দরজার সামনে আসতে সারির আচলে টান খায়৷ পেছনে ফিরে দেখি, আমান ধরেছে। ধরা পরে গেলাম।
-তুমি কই যাচ্ছ।। (অনেকটা রেগে গেছে)
-…….
-কি হলো বলো.।
-…….
আমাকে নিশ্চুপ দেখে তিনি আমাকে টেনে রুমে নিয়ে আসলেন৷
-তুমি আমার কথা না শুনে কই যাচ্ছ। মেঘ ভালোবাসি তোমাকে। কেন পাল্লাচ্ছো আমাকে রেখে। মরে যাবো তোমাকে ছাড়া।ওদের মেরেছি করন ওরা আমার বাসায় চুরি করতে এসেছিলো। রাক জ্বিন ওদের সাহায্য করেছে। তুমি ভুল বুঝো না।
-আপনি আমাকে ভালোবাসেন না৷ আপনি মানুষ না। ওদের যত বড়ো দোশই হোক না কেন এভাবে কেন মারলেন। আমি বাসায় যাবো। আমাকে যেতে দিন। (কেঁদে)
তিনি চুপ করে আছেন। হয়তো নিজের রাগ কন্ট্রোল করছে। তিনি চুপ থেকে কিছু সময় না বলে উঠে চলে গেলেন।
জাবর সময় দরজা টা দিয়ে গেলেন বাইরে থেকে।
আমি ভেতরে বসে কাঁদতে আছি।
-আল্লাহ এগুলো কি হলো। আমার সাথে তুমি এটা কেন করলে। আমাকে কোন দোশের শাস্তি দিচ্ছো।
মেঘ হাটু ভাজ করে মুখ গুজে কাঁদতে আছে।
.
.
-রনি ওই বাসায় সবধান আগে আমাদের খুজতে হবে মেঘকে। মনে আছে তো কি বলেছিলাম সব।
-জী স্যার।
-কোন কিছু আছে যাতে সিকিউরিটি এলার্ট হবে।
-নো স্যার আমি সব কিছু রেখে একদম প্রস্তুত হয়ে আসছি।
-ওকে চলো।
আকাশ বাসায় এসেছে ঘর পরিস্কার করা লোকের বেসে। মুখটা ডেকে।
তারা দুজন ঘরে ডুকতে, সিকিউরিটি আগে চেক করে দেন ঘরে যেতে দিলো৷
তার পর আকাশ তার ফেক আইডি দেখিয়ে ভেতরে গিয়ে। রুম পরিস্কার করার নামে সব রুম খুঁজেছে খুব সাবধানে।
এ কাজ করতে করতে সে মেঘের রুমের সামনে চলে এলো। সে দেখলো বাইরে থেকে দরজা দেওয়া। ভেতর থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে।
তাহলে কি মেঘ কাঁদছে । এটা ভেবেই আকাশের কেমন বুকে ব্যাথা হচ্ছে ।
-কি আছে ওর মধ্যে যে আমার কষ্ট হচ্ছে তার জন্য।
আকাশ কিছু সময় চুপ থেকে ভেতরে যেতে যাবপ ঠিক তখনি,
চলবে,
?