#অদ্ভুত-তিনি
part: 11
Megh La
-আন্টি আমি আকাশ চৌধুরী। আরাব চৌধুরীর এক মাত্র ছেলে। পেশায় ডক্টর
-তুমি আরাবের ছেলে।
-জী আন্টি বাবর সাথে আপনাদের সম্পর্ক অনেক দিন ধরে।
-হ্যা কিন্তু হটাৎ তার গায়েব হয়ে জাবার পর আমরা কিছু বুঝতে পারলাম না৷ তোমার বাবর কি হইছিলো।
-আন্টি বাবাকে মেরে ফেলেছিলো জ্বিন রা কারন তো আপনারা জানেন৷
-কি বলো কি কারন আমরা তোমার বাবার মৃত্যু হইছে এটাও জানি না সেই ২৫ বছর আগে তিনি গায়েব হইছে তার পর তোমাদের পরিবার কাউকে আমরা দেখি নাই৷ খুজেছি অনেক কিন্তু পাই নি।
-আসলে আন্টি আমার বাবার মৃত্যুর কথা বলতে হলে আপনাকে আমাকে আমান সম্পর্কে বলতে হবে কেন মেঘকে আমানের সাথে বিয়ে দিসেন। আমার বিশ্বাস আমার বাবার মৃত্যু আর মেঘের বিয়ে সব সম্পর্কিত।
-তুমি এত কিছু।
-আন্টি আসলে আমি বাবার মৃত্যুর কারনটা খুজে বেরাচ্ছিলাম৷ আপনি তো জানেন বাবা কিছু অদ্ভুত ক্ষমতা বহন করতো ঠিক তেমনি আমিও তার ক্ষমতার কিছু অংশ পেয়েছি। এসব করতে করতে এক দিন,
(আকাশকে সাব্বিরের নিয়ে জাবা থেকে শুরু করে আকাশের সাথে ঘটে যাওয়া সবটা বলে।” শুধু সে মেঘকে পছন্দ করে ফেলছে আর মেঘ আমানকে আলাদা করতে চায় সে যে কোন মূল্যে এটা বলে নি”)
-দেখ বাবা মেঘকে আমানের সাথে বিয়ে দিয়েছি তার কারন আছে।
-আন্টি আমাকে শুধু সেই কারনটা বলুন।
-তুমি যেহেতু আরাব ভাইয়ের ছেলে তোমাকে বলাই যায়।
শোন তাহলে,
২৭ বছর আগে,
আমার পরিবারে তখন বেঁচে ছিলেন আমার শশুর। মেঘের ফুপিরও বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের ২ বছর হতে চলছে মেঘের ফুপির আমার বিয়ের ৩ বছর বাচ্চা হয় না। অনেক চেষ্টা করেছি আমরা। কিছুতে কিছু হয় নাই। তখন তোমার বাবাও তোমার মতো ডক্টর ছিলেন। ওনার কাছে গেলে উনি ডক্টরি করে নয়। আমাদের কিছু আরবি লিখে একটা তাবিজ করে দেয়। মুক্তা দিয়ে বাধানো সেটা পরলে মেঘের ফুপি আগে কন্ছেপ করে৷ বন্যা হয় বন্যা হবার ৩ বছর পর মেঘ হয়৷ বন্যা খুবই দুষ্টু প্রকিতির মেয়ে ছিলো। কিন্তু মেঘ এই পৃথিবীর আলো দেখার সাথে সাথে বন্যা কেমন চুপ হয়ে যায়। ওর সভাব কেমন অদ্ভুত হতে থাকে৷ আমরা কিছুতে তাকে সাভাবিক করতে না পেরে তোমার বাবার কাছে যায়৷ তোমার বাবা সব দেখে বলে এ রোগ নিধনের একটি রাস্তা আছে। সেটা হলো জ্বিনদের সাথে চুক্তি। আমদের প্রশ্ন ছিলো কেন জ্বিনদের সাথে আমাদের কি সম্পর্ক। আসলে আমাদের বাসার পাশে একটা বট গাছ আছে সেখানে বস করতো ১১১ টা জ্বিন৷ তাদের লক্ষ ছিলো আমাদের বাড়ি কোন ভালে কাজ হতে দিতো না আমার বাচ্চাও ওদের জন্য হই নাই৷
আর আমার বন্যাও ওদের জন্য এমন৷ সেখানে আবার খান বংশের রাজা ছিলো যার শক্তি সাথে আমরা কখনো পেরে উঠবো না। তোমার বাবা আমাদের বললেন, ওদের সাথে চুক্তি তে আসতে হবে। কিসের চুক্তি তাদের থেকে জানা ভালো। বেশ তাদের সাথে দেখা করলাম আমরা৷ রাজা বললেন বন্যার ২০ বছর পুরলে ওকে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে। আমরা তো রাজি না। ভাবতে সময় নিলাম ১ দিন। তোমার বাবা বললেন বন্যা ভালো থাকবে কারন সে আমার বন্যাকে ভালো রাখবে। কারন তারা ৩ অঙ্গিকার করে কিছু সপথ করলে তা ওদের জান গেলেও পুরন করে৷
আমরা মেনে নিলাম কারন বন্যার আচরন দিন দিন কেমন হতে লাগছিলো। কখনো জুতা কামরাতো। ময়লা খেত৷ আর ভাত তো কখনো খতো না৷ ও মরার কোলে ডোলে পরছিলো৷
আবার তাদের ডাকা হলো। তাদের ৩ আঙ্গিকার করতে বলা হলো৷ তার রাজি হলো কিন্তু তাদেরও সর্ত ছিলো জাদি বন্যা না হয় তাহলে এ পরিবারের যে কোন মেয়েকে তাদের ছেলের সাথে বিয়ে দিতেই হবে। নাহলে সে আমাদের সহ এই দেশের একটা মানুষকে বাঁচতে দিবে না৷ আমদের কাছে কোন উপায় ছিলো না৷ তারা অঙ্গিকার করলো সে যেই বৌ হবে তাদের তারা কখনো তার অজন্ত হতে দিবে না। ভালো রাখবে সব শুখ দিবে৷ এই সমাধান হবার পর বন্যাকে ওরা ঠিক করে দিলেন৷ কিন্তু তার পরের দিন তোমার বাবাকে আর পাওয়া গেল না৷ ওখান থেকে তিনার কোন খোজ পাই নি।
তার পর ২০ বছর বয়স বন্যা তার বিয়ের সময়, বিয়ের দিন বন্যা নাই কোথাও৷ খুজতে বাদ দেই নি এ দিকে বর চলে এসেছে। এখন ওরা আমাদের জন্য কি এই দেশের মানুষ গুলোকেও মেরে ফেলবে এই ভয়ে আমরা মেঘকে বিয়ে দিয়ে দি। তখন দেখি রাজার ছেলে ছিলে আমান ; আমান খান। ভেবেছিলাম হয়তো আমার মেঘ এর জীবনে কি না কি হয়ে যায়। কিন্তু সে শুখি আছে। এটা আমার সব থেকে বড়ো পাওয়া।
-কিন্তু আন্টি বন্যা।
-বাবারে রোজ রাতে তার জন্য কাদি৷ আমরা ৪টা মানুষ আমাদের যে কি অবস্থা আমরাই জানি৷ মেঘকে জামাই সব ভুলিয়ে রাখে নাহলে আমার মেয়েটা হয়তো এতো দিন পাগলই হয়ে যেত৷
এতটুকু বলেই মেঘের আম্মু কান্নায় ভেঙে পরে।
– আন্টি কাদবেন না বন্যা আপুকে আমি খুঁজবো । আমি বার করবো প্লিজ আন্টি শান্ত হোন।
-আমাদের জীবন টাই কেমন যেন হয়ে গেছে কষ্টের সাথে আছে গভীর সম্পর্ক।
-আন্টি শান্ত হোন আমি এর পেছনে আসল মাস্টার মাইন্ডকে অবশ্যই বার করবো। এটা আমার ওয়াদা।
আন্টি আমি এখন আসি। ভালো থাকবেন দেখা হবে আবার৷
-কিছু খেয়ে।
-না আন্টি আজ না খাবো আমি সেই দিন যে দিন বন্যা আপুকে এনে দিতে পারবো। আসি আজ।
আকাশরা বার হয়ে আসে, ।
-রনি আমি যা ভাবছি তুমি কি৷
-হ্যা স্যার আমারও তাই মনে হয়।
-চলো আমাদের আস্থানায় গিয়ে গবেষণা করে তার পর যাবো মেঘের কাছে।
আমি আসছি মেঘ ?
.
.
.
-আপনার খেয়ে কাজ আছে।
-আমি কি করলাম। ?
-হুট হাট করে কাথা নাই বার্তা নাই এসে জরিয়ে ধরেন। ?
-আমার বৌকে আমি ধরবো তাতে তোমার কি।
-আমার কি মানে ?
-তোমার কি মানে তোমার কি। আমি ধরবো আদর করবো পারলে ঠেকাও ?।
কথা বলছে তো বলছে সে আবার আমার ঘাড়ে ঠোঁট দিয়ে স্লাইড করছে কতো বড়ো পাজি লোক।
-এই আমি নামাজ পরবো ছড়েন৷ ।
-এজটু পরে।
-আমান আপনি কি মানুষ৷
-আমি মানুষ না।
-???
-রাগো কেম সত্যি তো আমি কি মানুষ নাকি৷ (এবার আমার সারি সরিয়ে পেটে হাত রাখলেন)
-আমান এবার রাগ হচ্ছে।
-ও আল্লাহ এতো সময় হই নি৷ ?
-আচ্ছা আমার নামাজ পরা লাগবে না যাহ৷ ?
-আচ্ছা নেউ ছেড়ে দিসি জাও৷
ছাড়া পেয়ে আমি দৌরে নামাজে বসি৷
আমান মনে মনে বললো, পাগল মেয়ে।
নামাজ শেষ করে দুজনে খেয়ে ঘুমিয়ে পরি৷ নতুন সকালের অপেক্ষা। আমি ভাবছি তার কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার কোন উপায় আমার নাই। ভালে আমি তাকেই বাসি৷। একটা সুজক দেওয়া যায়৷
সকালে তার ডাকে ঘুম থেকে উঠি৷ নামাজ পরে খেয়ে নি তিনি আমাকে রেখে বাইরে গেলেন কিছু কাজ আছে নাকি।
বকি ঝকি যাই করি না কেন৷ একা এাক এই বাসায় সঙ্গি তো সেই। কোথাও গেলে কেমন কষ্ট লাগে। এসব ভাবতে ভাবতে পেছনে ফিরে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলম।
-কে আপনি এখানে কি করে এলেন। আমার রুমে আসছেন সাহস তো মন্দ না বেরোন।
চলবে,
?