অজানা অনূভুতি পর্ব-০৩

0
1661

#অজানা_অনূভুতি
#সায়ন্তিকা_আহমেদ_সুভ্রা
#পর্ব_৩

~আমি মাইসায়ায়ায়ায়ায়া বলে চিৎকার করে উঠি,হিতাহিত জ্ঞান আমার হারিয়ে গেছে মাইসার এই অবস্থা দেখে আমি স্তব্ধ। আমার চিৎকার শুনে ফারহান ভাইয়া তাকাই দেখে মাইসা রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে রাস্তায় তাড়াতাড়ি করে আমরা চলে যাই মাইসার কাছে।

~ফারহানঃবোন এ বোন ওঠ তাকা আমার দিকে কি হইছে তোর তাকা না বনু।[বলেই কান্না করতে লাগলো]

~আমি ঃ ভাইয়া থামেন কান্না কইরেন না তাড়াতাড়ি ভাইয়া কে কল দেন গাড়ি নিয়ে আসতে বলেন মাইসুকে হসপিটাল নিতে হবে।

~ফারাব্জ ঃ আফ্রুর কথা শুনে আমি আদিল কে কল দিলাম। হ্যালো আআদিল তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে আগের যায়গাই চলে আয় মাইসুর এক্সিডেন্ট হয়েছে,হ্যালো শুনতে পারছিস আমার কথা?

~আদিলঃ ফারহান এর কথা শুনে আমি অবাক কি বললো ও আমি তাড়াতাড়ি চলে যাই ওখানে গিয়ে দেখি মাইসা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।আমি যেতেই ফারাবি ওকে নিয়ে গাড়িতে উঠলো আমার হাত কাপছে সেই কাপা হাত নিয়েউ আমি গাড়ি চালিয়ে আমি যেই হসপিটাল এ যব করি সেখানে নিয়ে গেলাম। ফারাবি কে হসপিটাল এ ফর্মালিটিস এর কাজ দিয়ে আমি মাইসু কে নিয়ে গেলাম ও.টি.তে।

~আমি ঃ আদিল ভাইয়া মাসাকে ও টি তে নিয়ে গেছেন।ফারাবি ভাইয়া চুপ চাপ বসে আছে,আজ আমার জানি না কেনো কোনো ভয় হচ্ছে না। ভাইয়া চিন্তা কইরেন না মাইসু ঠিক হয়ে যাবে আল্লাহ এর উপর ভরসা রাখুন।

~ফারাবিঃ আল্লাহ এর উপর ভরসা আছে তাই তো ঠিক আছি।[আজ ও আমার সাথে কোনো ভয় ছাড়া ই কথা বললো]

~আমি ঃ ভাইয়া বাসায় ফোন দিয়ে এখন বলবেন?

~ফারাবিঃ না রে দেখি আগে আদিল আসুক, ওর অবস্থা দেখে জানাবো না হলে আম্মুরা টেনশন করবে বেশি।

~আমি ঃ আচ্ছা, বলে বসে থাকলাম।

~প্রায় অনেক্ষন বসে থাকার পর ভাইয়া বেরিয়ে আসলো।

আমি ঃ ভাইয়া মাইসু কেমন আছে, ও ঠিক হয়ে যাবে তো?

আদিল ভাই ঃআলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া বেশি আঘাত পায় নাই রাস্তার সাথে পড়ে বারি খাওয়ায় মাথা ফেটে এতো রক্ত বের হয়েছে রক্ত অনেক বেশি বের হওয়ায় দূরবল রেষ্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।।

~ফারাবি ঃ অনেক ধন্যবাদ ভাই তোকে এভাবে দেখার জন্য।

~আদিল ভাইঃ তু কবে সালা আমার সাথে এমনে কথা কস?

~ফারাবি ঃ আরব দূর তুই বাদ দে যা ফ্রেস হ আমি বাসায় খবর জানাই দেই, দেন আমি ও ফ্রেস হবো তোর কেবিন এ ওয়াসরুম আছে না?

~আদিল ভাইহ্যাঁ,আছে যা আমি আফ্রুই কে নিয়ে যাচ্ছি আমার সাথে।

~ আমি ঃ ভাইয়া আমি মাইসু কে দেখবো।

~আদিল ভাইয়া ঃ ওকে কেবিন এ সিফট করতে করতে আমরা ফ্রেস হয়ে আসি চল দেখ সবার সাথে রক্ত লেগে আছে

~ আমিঃআচ্ছা চলো যাচ্ছি।

~আদিল ঃ আমি ফ্রেস হয়ে এসে আফ্রু কে পাঠালাম ফ্রেস হতে।আজ আমার মনে হচ্ছিল আমার জান বের হয়ে যাচ্ছে তোকে অই অবস্থায় দেখে মাইসু আমি পারবো না বাঁচতে তোকে ছাড়া খুব যলদি আমার কাছে নিয়ে আসতে হবে তোকে।তোকে ছাড়া আমি শূন্য।

~বাসার সবাই চলে আসছে এখানে।বড় আম্মু তো অনেক বকছে মাইসুকে এ কাজ এর জন্য।হসপিটাল থেকে মাইসু রা তাদের বাসায় চলে গেছে আর আমরা আমাদের বাসায়।সময় কারো জন্য বসে থাকে না দেখতে দেখতে কেটে গেছে অনেক মাস আমাদের এস এস সি পরিক্ষা ও শেষ এতো কিছু এর মাঝে এর ফারাবি ভাই এর পড়ানো বন্ধ হয় নাই৷ সে আমাকে অনেক কিছু বলতে চায় কিন্তু বলে না ভাবে আমি ছোট।আমি ওতোটা ও ছোট না যে কারো মনের অনূভুতি বুঝবো না আমি জানি উনি আমাকে ভালোবাসে। ওনার জন্য ও যে আমার মনে আছে এক #অজানা_অনূভুতি আমিও ওনাকে বলতে পারি না।

~ ঘরে বসে বই পরছিলাম তখন আম্মুর আগমন আমার ঘরে অসময়ে আম্মুর আগমনে আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি।

~আম্মু ঃ আফ্রা বিকেলে আমরা বেরাতে যাবো রেডি থাকিস ওখানে কিছুদিন এর জন্য থাকবো ফারাবি রাও যাবে।আমি তোর সব গুছিয়ে নিয়েছি।

~আমিঃহঠাৎ আম্মু আগে তো এমন প্ল্যান ছিলো না?

~আম্মু ঃবেশি কথা বলিস না, যা বলছি তা করবি কথার যেনো নড়চর না হয়।

~আম্মু বলেই চলে গেলেন আমি চুপচাপ শুনলাম। বিকেলে আমরা সবাই পৌছে গেলাম একটা বিরাট বড় ডুপলেক্স বাড়িতে। যে যার রুম এ গেছে ফ্রেশ হয়ে আমাকে আর মাইসু কে একটা রুম দেওয়া হয়েছে, আদিল ভাই আর ফারাবি ভাই এর একটা রুম।বড় আম্মু বড় আব্বুর একটি।,আর আমার আব্বু আম্মুর জন্য একটি।রাতে খাবার খেয়ে ক্লান্ত লাগছিলো তাই কথা কারো না শুনে রুমে এসে ঘুম দিলাম আমি।

~মাইসাঃ এ আফ্রা উঠ সকাল হয়ে গেছে,উঠ না হলে আজকে আমি তোকে পিটাবো।

~আমিঃ কি হইছে তোর? বইন তুই ও ঘুমা আমাকেও ঘুমাতে দে।[আবার ঘুমিয়ে গেলাম বলে]

~মাইসা ঃ উঠো একটু পড় তোর মেহেদি,রাতে গায়ে হলুদ,কাল বিয়ে তাও ফারাবি ভাই এর সাথে।[এক দম এ বলে থামলো]

~আমি ঃ আমার কানে কথা টা যেতেই আমি লাফ দিয়ে উঠলাম, কি বললি তুই কি হচ্ছে? [অবাক প্লাস খুশি ও হলাম হাজার হোক ভালোবাসার মানুষ]

~মাইসা ঃ শুধু তোর না তোর ভাই আর আমার ও[লজ্জা পেয়ে বললো]

~আমি ঃ ওওও কি কিউট না আমার তো নাচতে মন চাচ্ছে।

~মাইসাঃদোস্ত তুই ঠিক আছোস তোর বিয়া আমার ভাই এর লগে যারে তুই হারে হারে ভয় পাস যার সামনেও যেতে চাস না।

~আমি ঃদূর বাদ দে তো এসব চিল কর চিল।যাই ব্রাস করে আসি বলেও ওয়াসরুম এ চলে আসলাম আমি।

~ফ্রেস হয়ে আমি আর মাইসা চলে আসলাম নাস্তা করতে।নাস্তা খাওয়ার শেষে আম্মু বড় আম্মু দিলো ইয়া বড় ভাষন বিয়ে নিয়ে শুনলাম আর হ্যা বললাম যাকে ভালোবাসি তার সাথে ফ্যামিলি বিয়ে দিচ্ছে এতে ন্যাকামির মানেই হয় না সুন্দর করে উপোভোগ কর‍তে হয় সব কারণ বিয়ে লাইফে একবার ই হয় তো মেক ইট মেমোরিবল।

~আমি আর মাইসু মেহেন্দি এর জন্য রেডি হচ্ছি,আমি ভাবছি আচ্ছা সব কিছু এতো সহযে হয়ে যাচ্ছে কোনো বিপদ হবে না তো সামনে?

~মাইসা ঃ, কিরে কি এতো ভাবছিস তুই?ঠিক ভাবে রেডি হ আজকে মেহেন্দি বলে কথা। দোস্ত বাসর রাতে বাসর করুম না তোর বাসর এ জালামু আই এম কানফিউসড।

~আমি ঃ মাইসু এর কথা শুনে আমি হেসে দিলাম । বাবু আমি তো প্ল্যান করেই রেখেছি কিভাবে তোমাকে জালাবো হেভ আ চিল পিল(ভাব নিয়েই বললাম কথা গুলো)

~মাইসাঃ জানু না আমার, না আমি তোরে জালামু বা তুই আমারে হিসাব বরাবর তুই না আমার প্রান প্রিয় দোস্ত?

~আমি ঃ তুই না প্ল্যান করলি আগে কি করবি না করবি,আমি বললেই দোস? হাহ বেইমান কাহিকা।জানোস এমনেই টেনশনে আছি কাল থেকে তোর ভাই কে ইগনর করতাছি আমি সেই লেভেল এর রাগ হয়ে আছে কখন আইসা আমারে ঝারে তার নাই ঠিক[বাচাইয়ো আল্লাহ]

….চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে