#অচেনা_শহর💖
#লেখিকা:– তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্ব:— ৩৫
রুমে এসে মুখে সেপে ধরে কাঁদছি বাবার কানে যেন না যায় শব্দ তাই তারাতাড়ি করে বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিলাম। পাঁচ মিনিট ওইভাবে থেকে বেরিয়ে আসতেই ফোন বেজে উঠল,,,
ভয়ে ফোন হাতে নিচ্ছি না আচ্ছা এটা ওই ছেলেটা না তো না বাবা ফোন আমি কিছুতেই রিসিভ করবো না। আর কালকে কিভাবে যাব টাকাও তো নাই। আর ও তিনটা পরিক্ষা আছে কি করবো। আজকে ছেলেটা বাড়াবাড়ি করছে। খুব কাল না জানি কি করে কিন্তু ফোন বেজে ই যাচ্ছে থামছে না।
বাধ্য হয়ে কাছে গেলাম ফোন অফ করতে আর ফট করে ফোন অফ করে দিলাম।
আর পাঁচ মিনিটের মতো নিজেকে স্বাভাবিক করে নামাজ পরলাম তাঁর পর বাবার কাছে গেলাম। চোখ বন্ধ তার মানে ঘুমিয়ে আছে। বাবার পাশে বসতেই কলিং বেল বেজে উঠলো,
এখন আবার কে এলো।হাত পা কাঁপছে ভয় হচ্ছে ওই ছেলেগুলো নয়তো।
তবুও সাহস সঞ্চয় করে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম হাত কাঁপছে খুলতে পারছি না ভয় হচ্ছে ওরা থাকলে কি হবে।
হঠাৎ একটা কন্ঠ শুনে আমার ভয়ে হাওয়া হয়ে গেল এটা আর কারো আওয়াজ না রুনা আপুর আওয়াজ তারমানে আপু বাইরে।
ওফফ আমি একটু বেশিই ভয় পেয়েছি। তারাতাড়ি দরজা খুলে দিলাম। আপু একা না সাথে ভাইয়া রানী রায়া সবাই আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
ভাইয়া সাধারণত এই সময় বাসায় থাকে না।আজ হঠাৎ আবার এখানে এসেছে।একটা জিনিস খেয়াল করছি ভাইয়ার মুখে হাসি খুব খুশি লাগছে দেখতে তাকে আপু ও দরজা খুলতেই আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো আপু আমি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ভাইয়ার দিকে।আপু আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলল,,,
“কিরে এতো লেট করলি কেন দরজা খুলতে।”
আমি বিষ্ময় হতদম্ব হয়ে তাকিয়ে আছি আপুর দিকে হঠাৎ এমন করে জড়িয়ে ধরলো কেন?
“কিরে এমন থমকে আছিস কেন?”
“তুমি না তোমরা এই সময়ে এখানে?”
“এখানে দাঁড়িয়ে রাখবি নাকি ভেতরে আসতে দিবি।”
আপু একা আসলে চমকাতাম না আবার জরিয়ে না ধরলেও সন্দেহ হতো না আমি আসল ব্যাপারটা বুঝতে চাইছি কিন্তু এভাবে না।তাই সরে দাঁড়ালাম সবাই ভেতরে গিয়ে বসলাম আমার রুমে আমি দরজা আটকে আসলাম।
রুমে আসতেই আপু আমাকে তার বলল,, তা শুনে চরম অবাক হলাম এতো কিছু হয়ে গেল আমি কিছুই জানতে পারলাম না।আর জানবো কি করে পরিক্ষার জন্য আপুর সাথে আড্ডা দেওয়া হয়না । রায়া আর রানী একটু আধটু আসে আবার চলে যায় তাই হয়তো জানতে পারিনি। কিন্তু কথাগুলো শুনে আমার খুব ভালো লাগছে। কিন্তু আরেকটা কথা শুনে ও খারাপ লাগছে।ভাইয়ার চাকরি নাই এখন। সে তার জব ছেড়ে দিয়েছে। তারা তাদের গ্রামে ফিরে যাবে। তার মানে এখানে আর থাকবে না। অজান্তে ই চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো আপুকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি।
এখানে আমার একাকিত্বের সঙ্গী ছিলো কতো সহযোগিতা ও করেছে। খুব আপন হয়ে উঠছে নিজের আপন বোনের মত ভালোবেসে ছে। দুইদিন পর চলে যাবে।
ওই ঐশী মেয়েটার সাথে আপু দেখা করেছিলো কাল আর কালকেই ঝগড়া করে এসেছে। পরদিন ভাইয়া রিজাইন লেটার দিয়েছে মানে আজকে। ভাইয়া যেসব নিয়ে ভয় পাচ্ছিল সেটা হয় নাই আপু ভাইয়াকেই বিশ্বাস করেছে। আর সেই বলেছে চাকরি ছেড়ে দিতে আমি জানতাম আপু সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে আর তাই হলো। আগেই আপুকে জানালে সমস্যা আগেই সমাধান হতো কিন্তু দেরীতে হলেও সব যে ঠিক হয়েছে তাই ভালো।
“আপু তোমাকে অনেক মিস করবো কোন ভাবে কি এখানে থাকা যায় না।”
“না রে কিভাবে থাকবো তোর ভাইয়ের চাকরি নাই এখানে থেকে কি হবে বারতি টাকা খরচ আর নতুন চাকরি ও পাওয়া যাবে না এতো সহজে তো চাকরি হয় না।”
“হুম।”
“কষ্ট পাস না আমি ও তোকে মিস করবো নিজের বোন ভেবেছি তোকে ছেড়ে যেতে কষ্ট হবে। কিন্তু যেতে হবেই আর তুই মাস আমাদের বাসায় আমিও সময় পেলেই তোর সাথে দেখা করবো।”
অনেক টা সময় একসাথে রইলাম গল্প করলাম। মাঝখানে থেকে রান্না টা করতে পারলাম না অনেক সময় পার হয়ে গেছে এখন রান্না ও করতে মন চাইছে না।
ক্লান্ত লাগছে খুব তাও রান্না করতে হবে তাই উঠে রান্নাঘরে যেতে নিচ্ছিলাম আবার কলিং বেল বেজে উঠল,,,
আবার কে এলো দরজা খুলে দেখি আপু। হাতে খাবার বুঝতে আর বাকি রইল না কেন?
.
আপুর আনা খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে পরলাম।
এমন সময় কেউ ঝড়ের গতিতে বারান্দায় দিয়ে রুমে প্রবেশ করলো আমি তারাতাড়ি উঠে লাইট অন করে দেখি আদ্র।
ওকে দেখে বিষ্ময়ে আমার মুখটা হা হয়ে গেছে।
এখানে কি ভাবে এলো চোখ ছোট করে তাকিয়ে আছি।
আদ্রর চোখ লাল রেগে আছে কেন কার উপর রেগে আমার বাহু শক্ত করে ধরলো আর বলল,,
“তোমার ফোন কই?”
আদ্রর শক্ত মুখ করে কথা বলা শুনে ভয় পেয়ে গেলাম। কথা বলতে গিয়ে ও কথা বলতে পারছি না যেন কথা গলায় আটকে আছে।
“এন্সার মি।”
আমাকে রেগে মৃদু চিৎকার করে বলে উঠলো,,
আদ্রর কথার আমার কথা গলায় আটকে আছে। আদ্র ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বলছে তারপর আমাকে ছেড়ে ফোন খুজতে লাগলো আমি হা করে আদ্রর কর্মকান্ড দেখছি।
সব কিছু লন্ডবন্ড করে অবশেষে খুঁজে পেল। তারপর ফোন চাপ দিয়ে বুঝতে পারলো ফোন অফ তা দেখে রেগে তাকালো আমার দিকে যেন চোখ দিয়েই ভষ্স করবে আমাকে।
আমি সেদিকে তাকিয়ে ঢোক গিললাম,,
“তোমার ফোন অফ কেন?”
এবার তোতলাতে তোতলাতে বললাম,,, “ইয়ে মানে ,,
“কি হয়ে মানে করছো উওর দাও আমাকে টেনশনে রেখে নিজে শান্তি তে থাকতে চেয়েছিলে। ”
বলে আমার দিকে এগিয়ে এলো। তারপর বলল,,
“ফোন অফ করে রেখেছো কেন কতো বার কল করেছি জানো। আমার কতো টেনশন হচ্ছিল জানো পাগলের মত ছুটে এসেছি আর রাস্তায় কেদেছো কেন?*
“রাস্তায় কেঁদেছি আপনি জানলেন কিভাবে?”
অবাক হয়ে বললাম,,,
“তোমার সব কিছুই আমি জানি। বলো এসব কেন করেছো?”
“সব কিছু জানেন মানে।”
“উল্টো প্রশ্ন করতে বলি নি।”
“কিন্তু,,
“স্টেট আপ ইউ ইডিয়েট গার্ল। আর কখনো যদি এমন করেছো তোমাকে আমি খুন করে ফেলবো। কতোটা টেনশন হচ্ছিলো জানো মনে হচ্ছিল তোমাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি কোন বিপদ হয়েছে তোমার। তুমি কি কখনো বুঝবে না আমাকে।”
বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছি আদ্রর দিকে আদ্রর কথার মানে বুঝতে পারছি না।
“আমার জন্য আপনি এতো টেনশন কেন করেছেন কি হয় আমি আপনার।”
“জানো না কি হ ও? জানবে কি করে জানতে চেয়েছো কি কখনো চাও নি। আমি যে তোমাকে এতো করে চাই এইটা কেন বুঝ না।”
“মা….
আদ্র কিছু বলতে দিলো না মুখ চেপে ধরলো তারপর আচমকা জরিয়ে ধরলো শক্ত করে।
গরম কিছু গালে পরছে হাত দিয়ে দেখি পানি আদ্র কি কাঁদছে।
হতদম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম শক্ত করে আদ্র একটু বাদেই ছেড়ে দিয়ে চলে গেল আর পেছনে ফিরে তাকালো না।
আমি পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম সেইখানেই।
চলবে♥️
(ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)
#অচেনা_শহর💖
#লেখিকা:– তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্ব:— ৩৬
চোখ বন্ধ করতেই দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো গাল বেয়ে। তারপর হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে পানি টুকু মুছে দৌড়ে বারান্দায় এলো। গেটের বাইরে আদ্রকে আবসা আলো ছায়ার মতো দেখা যাচ্ছে আদ্র বাইকে উঠছে। এক দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে আছি আচমকা আদ্র ঘাড় বাঁকিয়ে পেছনে ফিরলো তারাতাড়ি করে বসে পরলাম।আর একটু হলেই দেখে ফেলতো বুকে হাত দিয়ে নিচে বসে আছি বাইকের শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পরলাম।
পরদিন আজকে এক্সাম নাই। কাল একটু ও পরা হয় নাই। আজকে পরিক্ষা না থেকেই ভালো হয়েছে।
সকালে টিউশনি করে আসার সময় রাস্তায় ওই ছেলে গুলো কে দেখলাম।
অনেক টা দূরে দাঁড়িয়ে পরলাম।আর এগুনোর সাহস পাচ্ছি না।
এরা তো বিকেলে থাকে তাহলে সকালে কি করছে আগে তো দেখি নি। আচ্ছা কোন ভাবে কি জানতে পেরেছে এই সময় আমি এখান দিয়ে যায়।
ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে এখন বাসায় যাব কি করে।
“এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন? ”
আদ্রর কন্ঠ শুনে চমকে পেছনে তাকালাম, আদ্র আমার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।এক হাত প্যান্টের পকেটে আরেক হাতে ফোন। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি আদ্রকে দেখে একটু নিশ্চিন্ত হলাম। ভয় মনে হলো কিছু টা চলে গেছে কেন গেল জানি না।
আমার উওর না পেয়ে এগিয়ে এসে আবার জিজ্ঞেস করলো,,
“গাড়িতে না গিয়ে হেঁটে যাচ্ছো কেন?”
আদ্রর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে পেছনে তাকালাম।
ওই ছেলেগুলো এখনো আছে কিন্তু এতো দূরে আমাকে লক্ষ্য করে নি। আবার আদ্রর দিকে তাকালাম।
“কি হলো কথার অ্যান্স দিচ্ছো না কেন? ”
“আপনি এই সময় এখানে কি করছেন?”
“তোমার এই বাজে স্বভাব টা কখনো যাবে না। উল্টো প্রশ্ন না করলে ভালো লাগে না তাইনা।”
আদ্রর কথায় চুপ করে গেলাম। তারপর আদ্রর কিছু বলার আগেই বলে উঠলাম,,,
“একটু আমাকে বাসা অবধি ছেড়ে আসবেন। আপনার বাইকে করে।”
আকুতি ভরা মুখের বললাম আদ্র আমার কথা শুনে চরম বিষ্ময় হলো বিষ্ময়ে তার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল।
এমন কিছু সে কল্পনাও করে নাই। হতদম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি আবার বললাম,,
” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? হেল্প করবেন কিনা বলেন নাহলে চলে যাই।”
“স্নেহা আর ইউ ওকে, তুমি নিজে থেকে হেল্প চাইছো? ব্যাপারটা কি বলতো? কোন…
“সব কিছু তেই আপনার এতো মানে খুজতে হবে কেন বলেন তো। সব সময় তো জোর করে বাইকে উঠান আর আজকে আমি উঠতে চাইছি ভাব দেখাচ্ছেন।”
“ভাব তো দেখাবোই কারণ বাইকটা যে আমার। তাই আমি উঠাতে চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম আর তুমি উঠতে চাইলে সেটার মানে অন্য রকম।”
“তার মানে হেল্প করবেন না। ওকে আমি যাচ্ছি।”
বলেই পেছনে ঘুরে চলে আসতে নিলাম। কিন্তু পারলাম না আদ্র আমার হাত টেনে ধরেছে। আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম,,,
” এতো বেশি বুঝ কেন আমি কখন বললাম নিয়ে যাব না।”
“নিয়ে যাবেন সেটাও তো বলেন নাই।”
“নিয়ে যাব তবে তোমাকে বলতে হবে কাল কান্না করেছিলে কেন?”
আদ্রর কথায় বিষ্ময়ে মুখটা হাঁ হয়ে গেল।আদ্র জানালো কি করে আমি কাল কান্না করেছি।
“আপনি….
“কিভাবে জানলাম সেটা বললেও আমি উওর দেব না। তাই বলে লাভ নাই। কিন্তু তোমাকে উওর দিতেই হবে।”
নিজে বলবে না আবার আমার কাছে উওর চাইছে বলবো না দেখি কি করতে পারে।
আমি বলছি না দেখে আদ্র রেগে উঠলো,,
“কি হলো কথা বলছো না কেন? বলো কাল কি হয়েছিল?”
“কিছু হয়নি।”
“মিথ্যা বলবে না একদম। মিথ্যা কথা আমি পছন্দ করি না।”
“আমি বললাম তো কিছু হয় নাই।”
“ওকে ফাইন না বললে কিন্তু আমি তো জেনেই ছারবো।”
“জানতে পারবেন মানে। কিভাবে?
অবাক হয়ে।
“চলো।”
আদ্র আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো তার বাইকের কাছে। আমার কথার উওর দিলো না।
এর পক্ষে অসম্ভব না কিছু আমি জানি।
তবুও বললাম না। চুপ করেই রইলাম আদ্র বাইকে উঠে বসলে আমিও উঠে বসলাম।
চায়ের দোকানের কাছাকাছি আসতেই মুখ ঢেকে নিলাম তাও ভয় করছে আদ্রর পিঠে মুখে ঘষে আড়াল হলাম।
কিন্তু অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো একদম চায়ের দোকানের সামনে এসেই আদ্র বাইক থামালো আমি চমকে উঠলাম,,,
“নামো।”
আদ্রর নামো শুনেই আর ও বেশি অবাক হলাম।মুখ বেঁকিয়ে চায়ের দোকানে তাকিয়ে দেখি ওই ছেলে গুলো কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।
নামলেই ধরা খাব নিশ্চিত কিন্তু আদ্র নামতে কেন বলছে?
এর আবার কি হলো ? শুকনো ঢোক গিলে বললাম,,
“নামবো কেন?
নামতে বলছি নামো।
কিন্তু..
আদ্র রেগে আমার দিকে তাকালো ভয়ে সুরসুর করে নেমে গেলাম।নেমে মুখটা ঢেকে নিলাম ভালো করে।আদ্র আমার এমন মুখ ঢাকা দেখে ভ্রু কুঁচকালো,,,
” এভাবে মুখ ঢাকছো কেন?”
“আমার মন চাইছে তাই। আপনার এই বাইকে আমি আর জীবনেও উঠবো না। এমন ভাবে নামিয়ে না দিলেও পারতেন এতোই যখন প্রবলেম তখন না উঠালেই তো হতো।”
“চুপ বেয়াদব। সব সময় বাজে বকা তুমি আমার পিঠে মুখ ঘষছিলে কেন?”
আমি আদ্রর কথায় ভ্রু কুঁচকালাম,,,
“এজন্য ই তো তুমি হয়তো ভুলে গেছ আমি একটা ছেলে। আর এভাবে…
“ছিঃ কি সব বলছেন আমি তো শুধু ওদের হাত থেকে লুকানো জন্য একটু মাথাটা আপনার পিঠে দিয়েছিলাম যাতে ওরা আমার মুখ না দেখে।আর আপনি কি বলছেন এসব ওইসব বাজে স্বভাব আমার না ওইসব তা আপনি করেন।”
“কি বললে ওদের হাত থেকে লুকানোর জন্য মানে। ওরা কি করেছে?”
বলেই আদ্র আঙ্গুল দিয়ে চায়ের দোকানের ওই অসভ্য ছেলে গুলো কে দেখালো। আমি চমকে উঠলাম রেগে কি থেকে কি বলেছি আল্লাহ। আদ্র রক্ত লাল চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
“ক.–ই কি–ছু ক–করে নি তো…
“স্টপ ইডিয়েট সত্যি করে বলো?”
চিৎকার করে উঠল,,, আমি ভয়ে কেঁপে উঠলাম,
আর সব বলে দিলাম।
আদ্রর অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে তারপর ওদের দিকে একবার তাকিয়ে আমাকে বাইকে উঠতে বললো।
আমি উঠে বসলাম।
বাসায় সামনে এসে থামায়।
“ফোন যেন অফ না থাকে। আর যদি থাকে তোমার কি অবস্থা করবো ভাবতে পারবে না। আর সাথে সাথে ফোন রিসিভ করবে লেট যেন না হয়। মাইন্ড ইট।”
নিজের হুমকি দিয়েই চলে গেল। আমি নিরব হয়ে শুনলাম তারপর ভেতরে চলে এলাম।
পরদিন আপুদের চলে যাওয়ার দিন।
টিউশনিতে যাইনাই।
সকাল সকাল ই যাবে নিচে গাড়িতে মালপত্র নেওয়া শেষ আমি রায়াকে কোলে নিয়ে আছি।
রানী তো সেকি কান্না কিন্তু ওকে তো রেখে খাওয়ানোর সামর্থ্য আমার কাছে নেই। তাই তাদের সাথে ই পাঠিয়ে দিলাম।
আপুও আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাদলো তারপর বাবাকে দেখে চলে গেল।
নৃশ্য লাগছে নিজেকে কষ্ট পেয়েছি অনেক আপন পর ও হয়ে আবার অনেক পর আপন যেমন রুনা আপু।
বিকেলে পরিক্ষা দিতে গেলাম হেঁটে ই ভয়ে ভয়ে। কাছাকাছি আসতেই আবার তাদের মুখোমুখি তারা আমাকে দেখেই এগিয়ে এলো আমি ভয়ে পিছিয়ে গেলাম।
একটা বিষয় তিনজন না আজ দুইজন আছে। আরেকটা জিনিস তাদের হাতে কপালে ব্যান্ডেজ করা।
“আপু দাড়ান প্লিজ।”
তাদের মুখে আপু ডাক শুনে থমকে দাঁড়িয়ে পরলাম। এতো সুন্দর করে কথা বলছে কেন? আমি দাড়াতেই তারা এগিয়ে এলো আমি ভয় পাচ্ছি তবুও নরলামনা।
তারা দুজনেই ফট করে আমার পায়ের কাছে বসে পরলো,,
আমি ঘটনা আর্কষ্মিক হতদম্ব হয়ে গেলাম সাথে সাথে দু’পা পিছিয়ে গেলাম।
“কি করছেন কি?”
“আমাদের ক্ষমা করে দেন। আপনার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। আমরা যদি জানতাম আপনি আদ্র ভাইয়ার পরিচিত জীবনে আপনার দিকে চোখ তুলেও তাকাতাম না। আপনার পা ধরে ক্ষমা চাইছি জীবন আপনার সামনে আসবো না আর না ডিস্টার্ব করবো। এইবারের মতো মাপ করে দিন নাহলে ভাই আমাদের মেরে ফেলবে যদি আপনি ক্ষমা না করেন। জাহিদকে তো আধমরা করে ফেলেছে ও হসপিটালে ভর্তি আছে।”
“আপনারা উঠে দাঁড়ান।”
“না আগে বলুন মাফ করেছেন।”
“এতো সহজে আমি আপনাদের মাফ করতে পারবো না আপনাদের জন্য আমি এই কয়দিন কতো আপসেট থেকেছি জানেন। রাতে ঘুমাতে পারি নাই।সকালে উঠে আবার চিন্তা ভার্সিটিতে কিভাবে যাব এই বুঝি আপনারা সামনে চলে আসবেন নানান ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে থেকেছি।”
দুজনেই উঠে দাঁড়াল,,,” প্লিজ বোন বড় ভাই মনে করে ক্ষমা করুন।”
বড় ভাই শুনেই রেগে উঠলাম,,,” একদম আমার ভাই হতে আসবেন না। না আমার ভাই আছে আর না কখনো থাকবে।”
“মাপ করেন না নাহলে ভাই আমাদের মেরে ফেলবে।আপনি মাপ না করলে। ”
দুজনে অনুতপ্ত সেটা তাদের আকুতি মিনতি দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
“আচ্ছা ঠিক আছে ক্ষমা করবো তার আগে আপনাদের একটা কথা দিতে হবে আমাকে।”
কি?
“আপনারা আর কখনো রাস্তা ঘাটে কোনো মেয়েকে এভাবে ডিস্টার্ব করতে পারবেন না সবাই নিজের বোন মনে করবেন।কারো দিকে খারাপ নজর দিতে পারবেন না। সব সময় এটা মনে রাখবে আপনি যেমন একটা মেয়ে এভাবে অসম্মান করেছেন বিরক্ত করছেন এসব ঘটনা যদি আপনার নিজের বোনের সাথে ঘটে তখন কি করবেন।”
“আচ্ছা ঠিক আছে বোন। আমরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছি। এবারের মতো মাপ করেন আর ভাইকে বইলেন।”
বলেই ছেলে দুটো চলে গেল।
চলবে♥️
( ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)
#অচেনা_শহর💖
#লেখিকা:– তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্ব:— ৩৭
আজকে এক্সামের শেষ দিন।এক্সাম শেষ করে অন্তরার সাথে গল্প করতে করতে গেটের বাইরে এলাম।
ও আমার হাত ধরে টেনে হৃদয়ের কাছে নিয়ে গেল।
ভালোবাসা দিবসে ওরা দুজন বেরাতে যাবে আমাকে ও যেতে বলছে রাজি হচ্ছি না তাই নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি তো কিছুতেই যাব না ওদের মাঝে আমি গিয়ে কি করবো একশ বার এই কথা টা বলেছি কিন্তু অন্তরা শুনতে নারাজ সে আমাকে নিয়েই যাবে।
“হৃদয় তুমি কিছু বলো স্নেহাকে ও কেন আমাদের সাথে যেতে চাইছে না। ওকে রেখে একা আমি যেতে পারবো না বাড়ি থেকে ওর কথা বলে বের হবো এখন যদি ওই না থাকে কি হবে ভাবতে পারছো।”
এক ধুমে কথা গুলো বলে থামল অন্তরা।
“তুই বুঝতে পারছিস না তোদের মাঝে আমি গিয়ে কি করবো বল তো। তোরা যা আমাকে কেন টানছিস এইটাই আমার মাথায় আসছে না।”
“আরে চল না ইয়ার হৃদয় কিছু বলো।”
এবার হৃদয় বলল,,,” স্নেহা আমাদের সাথে চলো প্লীজ।”
“ভাইয়া আপনিও কি পাগল হলেন নাকি।আপনারা দুজন একা টাইম স্পে করতে না চেয়ে আমাকে কেন টানছেন বুঝতে পারছি। ওইদিন তো সবাই তার গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে সেখানে আপনারা আমাকে গলার হাড্ডি করতে চাইছেন কেন?”
“আমরা তো প্রেম করবোই কিন্তু তোমাকে নেওয়া টা খুব বেশি ইম্পর্টেন্ট।”
হৃদয়ের কথায় আমি বিস্মিত হলাম,,,”মানে।”
“এতো মানে করো না বোন চলো না এই শেষ বার আর কখনো বলবো না প্লীজ রাজি হয়ে যাও।”
“কিরে কিছু বলছিস না কেন যাবি না। আর এমন সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছিস কেন?”
আমি হৃদয়ের সামনে কিছু বললাম না অন্তরাকে টেনে একপাশে নিয়ে বললাম,,,
বড় বড় চোখ খ করে বললাম,,,”সত্যি করে বল তো তোদের মতলবটা কি? আমি কেমন সন্দেহের গন্ধ পাচ্ছি।”
অন্তরা একটা ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বলল,,
” তুই আমাকে বিলিভ করিস না স্নেহা এভাবে সন্দেহ করিস।”
“তোর কথা ঠেকছে কেন?”
অন্তরা মুখ অফ করে ফেললো আমি কিছু বলতে যাব হৃদয় ভাইয়া চলে এলো।
“কি ব্যাপার দুই বান্ধবী এক হয়ে আমাকে একা করে দিলে দেখছি। তা কি সিদ্ধান্ত নামলো স্নেহা যাবে তো।”
নাহ।
অন্তরা এবার চিৎকার করে উঠল,,” যাবি না সত্যি। না গেলি আমার কথা কেন শুনি আমি তোর কে যাওয়া লাগবে না তোর।”
রেগে কথা টা বলে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,,”দাঁড়িয়ে আছো কেন চলো ওর যাওয়া লাগবে না আমি ওর কে আমার কথা শুনবে কেন?”
অন্তরা রাগে গমগম করতে করতে চলে গেল। হৃদয় আর আমি হা করে ওর যাওয়ার পথের তাকিয়ে রইলাম।
“বান্ধবী কিন্তু ক্ষেপে গেছে এখন ও কি সেই একই মত নাকি চেঞ্জ করেছো।”
“এতো রাগতে পারে না। বাসায় বাবা একা কোথায় যেতে ভয় করে। তাই না করেছিলাম।”
“হ্যা বুঝতে পেরেছি কিন্তু খুব বেশি সময় লাগবে না।আমরা বিকেলে বের হবো আর সন্ধ্যার আগেই চলে আসবো।”
সেদিন আর মতামত দিলাম না বাসায় চলে এলাম আসার পথে ফোনে টাকা ভরে নিলাম।
আজকে রুনি আপুর সাথে আর আমার গ্ৰামের এক চাচির সাথে কথা বলবো। শুনেছি গ্ৰামে আমাদের বাড়ি নাকি দখল নিয়েছে। সেসব বিষয়ে জানতে এদিকে আরেক কথা ভাইয়া নাকি আমাদের খুঁজতে গিয়েছিল।
”
রাতে আপুর সাথে কথা বলে চাচির সাথে কথা বললাম। তারপর ফোন রেখে পরতে বসলাম।
দুইদিন পর রাতে
আদ্রর নাম্বার থেকে কল এলো। দেখলাম কিন্তু ধরলাম না। তখন মেসেজ এলো একটা ফোন হাতে নিয়ে মেসেজ টা অপেন করলাম কল রিসিভ করার থ্রেট।
“ফোন রিসিভ করছিলে না কেন?”
“বিজি ছিলাম।”
“কি করছিলে?”
“পরছিলাম আপনার মতো তো না লেখা পড়া বাদ দিয়ে আজাইরা কাছের পেছনে পরে থাকবো।”
“যা খুশী বলো কিছু বলবো না কিন্তু তুমি আমার সম্পর্কে কিছু জানো না লেখাপড়া নিয়ে আমি সিরিয়াস আছি ওকে।”
“আপনার কথা শুনলেই আমার হাসি পায়।”
“হাসির কি বললাম। তুমি বিশ্বাস করছো না তো আমার আগের রেজাল্ট দেখো বুঝতে পারবা।”
“দরকার নাই। ফোন দিয়েছেন কেন?”
“কথা বলতে।”
“ফোন রাখেন আমি পরবো।”
“আচ্ছা পরে কল দেবো তাহলে বাই।”
বলেই আদ্র ফোন রেখে দিলো।
সাথে সাথে আমার নাম্বারে একটা কল আসলো।আমি ভয়ে ভয়ে কলটা রিসিভ করলাম,,
“আদ্র তোকে কল করেছিল।”
“হুম।”
“তোকে বলেছিলাম আদ্রর কল রিসিভ করিস না তাও তুই ওর ফোন রিসিভ করেছিস কেন?”
“ফোন রিসিভ না করলে বাসায় চলে আসে এজন্য…
“চুপ স্টপিট গার্ল। আচ্ছা শুন আর ফোন রিসিভ করবি না। রাতে একবার করবি আর পুরো পুরি আদ্রকে ইগনোর করবি। ও মত কাছে আসবে তুই ওকে অপমান করবি। ”
“আমি চুপ করে শুনছি।”
‘কিরে আমার কথা শুনতে পাচ্ছিস তো। আমার কথা না শুনলে কিন্তু তোর ভাইকে আমি তোর খুঁজ দিয়ে দেবো। আর তোর ভাই এখন তোর কাছে কি চায় জানিস তোদের গ্ৰামে বাড়িটা। তুই কি তোর শেষ সম্বল হারাতে চাস।”
‘না না ভাইকে আমার কথা বলো না।”
“আমার কথা শুনলেই বলবো না।”
“আমি রাখবো কথা আদ্রকে কোন রকম প্রশ্চয় আমি দেবো না।”
“ওকে ভেরি গুড।”
বলেই ফোন কেটে দিলো আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। চোখ বন্ধ করতেই গাল বেয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো।
এতো অশান্তি আর নিতে পারছি না। কেউ কি নেই যে আমাকে এই অশান্তি থেকে মুক্তি দেবে। গ্ৰামের বাড়ি নেওয়ার জন্য ভাইয়া এমন করছে ছিঃ এতো কিছু করেও তার শান্তি হয়নি এখন ওখানেও নজর দিয়েছে।এটা বাবার কানে গেল সে ওইভাবেই শেষ হয়ে যাবে। আমি বাবাকে কষ্ট দিতে পারবো না ভাইয়ের থেকে আমাকে লুকিয়ে থাকতে হবে না হলে আমি কিছু আটকাতে পারবো না।
কান্না আটকানো যাচ্ছে না ভাই এমন কি করে হলো কোথায় আমাদের দায়িত্ব নিতে চাইবে তা শেষ সম্বল নেওয়ার জন্য পাগলের মত খুঁজছে। অনেক কেঁদেছি। মাথা ব্যথা করছে তাই ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন সকালে টিউশনিতে গেলাম।
সেখানে গিয়ে দুজনকে পরাতে আজ খুব অস্বস্তিতে পরতে হলো। আমার স্টুডেন্টের বাবা মাকে আগে কখনো বাসায় দেখি নি থাকতে আজকে তাকে দেখলাম।
আমি পরানোর সময় খুব অস্বস্তিতে পরতে হয়েছে। লোকটার তাকানো কেমন সন্দেহের। কেমন হা করে তাকিয়ে থাকে। পরানোর মাঝে উনি প্রতি দশ মিনিট পর পর এসে এটা ওটা জিজ্ঞেস করেছেন।
পড়ানো শেষ হতেই দ্রুত গতিতে বেরিয়ে এসেছি। কপাল বেয়ে ঘাম পরছে ওইভাবেই হাঁটছি। হাঁটতে হাঁটতে বাসার গেটের সামনে আসতেই আদ্রর বাইক এলো। আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম ওর দিকে।
“ধরো।”
আদ্র একটা প্যাকেট আমার হাত দিলো তারপর যেভাবে এসেছিলো সেইভাবে ই চলে গেল। আমি হাঁ করে তাকিয়ে রইলাম সেদিকে। তারপর হাতের প্যাকেটের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম কিসের প্যাকেট দিলো এটা।
আমি কিছু বলার ই সুযোগ পেলাম না।ফোনে মেসেজ এলো।
লেখা —
“প্যাকেটে যা আছে সব কিছু পরা অবস্থায় তোমাকে দেখতে চাই।”
কি আছে এতে? পরা অবস্থায় দেখতে চায় মানে। কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে ভেতরে এসে প্যাকেট খুললাম। আর খুলেই আমার মুখটা হা হয়ে গেল।
লাল শাড়ি, লাল ব্লাউজ, দুই মুঠো লাল চুড়ি, কাজল, লিপস্টিক, এক জোড়া জুমকো,সাজের সব জিনিস আছে একটা সিম্পুল নেকলেস ও আছে।
আমি হাঁ করে তাকিয়ে আছি। একটা আয়নাও আছে।আয়না নিয়েই মুখের সামনে ধরলাম। নিজের মুখটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি গাঁয়ে রং অনেক ময়লা হয়ে গেছে।
আরেকটা জিনিস চোখে পরলো চিরকুট,,,
চিরকুট হাতে নিয়ে ভাঁজ খুললাম আর পড়তে লাগলাম,,,
“একবার তোমাকে শাড়ি পরা অবস্থায় দেখতে চাই। পরনে থাকবে লাল টকটকে শাড়ি,মাথার ঘন কালো চুল থাকবে খোলা যা বাতাসে উড়বে অবাধ্য কিছু চুল বারবার তোমার চোখে মুখে এসে পড়বে। আর তুমি বিরক্ত হয়ে কানের পিছনে খুঁজে দিবে আর আমি মুগ্ধ হয়ে দেখবো।চোখে মোটা কাজল দেবে ঠোঁটে থাকবে হালকা লিপস্টিক। দুই হাত ভর্তি লাল রেশমি চুরি আর আলতা রাঙা পা। প্লিজ একবার আমার জন্য সাথে আমি জানি তুমি আমাকে পছন্দ করো না সহ্য করতে পারোনা আমার এই একটা আবদার রাখো।অনেকদিনের লোভ তোমাকে এভাবে দেখায় কিন্তু বলার সাহস হয়নি আজকে আর থাকতে পারলাম না তাই সব জিনিসই তোমাকে দিয়ে দিলাম আর বেহায়ার মত চেয়েও বসলাম। আমার এই চাওয়াটাকি রাখবে মায়াবতী। পরশু তোমাকে এই ভাবে দেখতে চাই।”
চলবে♥️