৩২ বছরের ছেলে ১৭ বছরের মেয়ে পাট ১

1
10510

৩২ বছরের ছেলে ১৭ বছরের মেয়ে

লেখা /রুবেল(হিংসুটে ছেলে)

মিলি পেগনেন্ট, এ অবস্থায় তাকে বিয়ের পিরিতে বসতে হলো।মিলির কপালটা এতটাই খারাপ যে,যার সাথে বিয়ে সেও তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলো বিদেশ এ ।এখন মিলির কি হবে?আত্বহত্যা ছাড়া মিলির আর কোন উপায় নেই।পেগনেন্ট মেয়ে কে কে বিয়ে করবে? তিন কুটি টাকা যৌতুক দিলেও আমার মনে হয় কেউ বিয়েতে রাজি হবে না। কিন্তু না যৌতুক না বিনা যৌতুক এ মিলি কে বিয়ে করতে কেউ একজন রাজি হলো।আমার মনে হয় এই ছেলেটা বোকা নয়তো এর কোন প্রবলেম আছে,তাই রেডিমেড সন্তান এর বাবা হতে যাচ্ছে।কিন্তু না যে ছেলে বিয়ে করতে রাজি হইছে সে শিক্ষিত এবং একজন বিসনেস ম্যান।হ্যা তার নাম রাহাত।রাহাত সাহেব এ মিলি কে বিয়ে করতে রাজি হইছে।রাহাত সাহেবের বয়স যখন ২২ তখন সে বিয়ে করে ১৯ বছরের একটা মেয়ে কে। বিয়ের ১বছর না হতেই তার স্ত্রী গর্ব অবস্থায় মারা যায়।রাহাত তার স্ত্রী রাইসা কে অনেক ভালোবাস তো তাই তো রাইসা মারা যাওয়ার ১২ বছর গত হওয়ার পরও রাইসার যায়গায় অন্যকাউ কে নিয়ে আসেনি।কিন্তু ৩২ বছর বয়সে এসে বুড়োর এ কোন ভিমলতি ধরলো সে বিয়ে করতে চায় গর্ববতী মেয়ে যে কি না তার বয়সের অর্ধেক।হ্যা মিলির বয়স এখন ১৭+।যার কি না বিয়ের বয়স এ হয়নী সে আবার নাকি পেগনেন্ট।১৪ থেকে ১৮/১৯ বছর এই বয়সের মেয়েদের মধ্যে
!
আবেগটা বেশি থাকে।তাই তো এই বয়সের ছেলে মেয়েরা বেশি ভুল করে।মিলির ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে ।মাধ্যমিক পাশ করে মিলি সবে মাত্র কলেজে উঠেছে।এরি মধ্যে সে প্রেম ও জড়িয়ে গেছে।চলুন একটু ফ্লাসব্যাক এ যাই।

~মিলি তুমি কি আমাকে সত্যি ভালোবাসো?(রিপন)
এটা তুমি কি বলছো রিপন?আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি (মিলি)
প্রমান কি?(রিপন)
হা হা হা তুমি কি চাও আমি বাংলা সিনেমার নাইকাদের মত পাহাড়ের দিকে দৌড়ে যাই আর তুমি পিছে পিছে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বলবে এটা তুমি কি করছো?তোমার কিছু হলে আমার কি হবে(মিলি)
না এসব কিছু করতে হবে না আমি যা বলবো তুমি তা করতে পারবে বা রাজি হবে(রিপন)
আমার ভালোবাসা নিয়ে যখন তোমার এত সন্দেহ,ঠিক আছে আমি যে তোমাক ভালোবাসি এটা প্রমান দিতে তুমি যা বলবে আমি তাই করবো(মিলি)
মিলি তুমি যে আমাকে ভালোবাসো এটা আমি যানি।আর আমিও যে তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকেই বিয়ে করবো।এটা ও তুমি যানো।তাহলে তুমি বললে কেন প্রমান কি?আরে ধুর তোমাকে রাগানোর জন্য বলছি।কিন্তু তূমি তো রাগ এ করলে না।হা হা হা আমি রাগ করলে তুমি খুশি? ওকে যাও রাগ করলাম।আরে আরে পাগলীটা রাগ করে না সরি সোনা।একি ছাড়ো এখানে অনেক লোকজন তো।তাহলে বলো তুমি রাগ করো নাই।
!
এই বয়সী ছেলে মেয়ের প্রেমের মহুর্ত গুলো লিখে শেষ করা যাবে না।এক প্রর্যায় ভালোবাসার প্রমান দিতে গিয়ে বা তার ভালোবাসা ধরে রাখতে মিলি কে দেহ দিতে ।।

!
একটা কথা মনে পড়ে গেলে ধর্ষন হওয়ার পর পুলিশ জরিনা কে বললো।আচ্ছা জরিনা তোমাকে যখন জোর করে ধর্ষন করা হলো তখন তোমার কেমন লেগেছিলো।জরিনা উত্তরে বললো কি যে বলেন স্যার জোর করে মিষ্টি খাওয়ালে কি তিতা লাগে?(কাল্পনিক কথা)

!
জরিনার মত ঠিক মিলির হয়েছে।মিলি প্রথমে দেহ দিতে আপত্তি করলেও পরবর্তীতে মিলির ইচ্ছায় অনেক বার দেহের আদান প্রদান হয়েছে রিপনের সাথে।মিলি এবং রিপন দেহের ক্ষুদা মিটাতে গিয়ে ভুলেই গেছিলো পরর্বতীতে কি হতে পারে।।

!
এ ভাবে চলতে থাকে তাদের ফালতু ভালোবাসা।কিছু দিন পর মিলি তার দেহের পরিবর্তন দেখতে পায়।অথ্যাৎ একটা মেয়ে গর্ববতী হলে প্রাথমিক প্রর্যায় যে উপসর্গ গুলো দেখা যায় যেমন মাথা ঘুড়া বমি বমি ভাব ইত্যাদি মিলির মাঝে দেখা যায়। এ সব দেখে মিলির বাবা মা টেনশন এ পড়ে যায়।মিলিও বুঝতে পারে তার কি হতে যাচ্ছে।মিলি কে ডাঃ কাছে নিতে চাইলে প্রথম এ মিলি না করে ।পরে বাধ্য হয়ে মিলি কে ডাঃ কাছে যেতে হয়।ডাঃ পরিক্ষা নিরিক্ষা কর মিলির বাবা মা কে সবটা খুলে বলে।
!
মিলির বাবা মা অনেটা প্রভাবশালী তাই মিলির মুখ থেকে সবটা শুনার পর রিপনের কাছে যায়।এবংভয় ভিতি দেখি নিজেদের মান ইজ্জত বাচানোর জন্য রিপন কে বিয়েতে রাজি করায়।রিপন ও বাধ্য ছেলের মত তাদের কথা মেনে নেয়।রিপনের বাবা মা দেশের বাহিরে থাকে রিপন এখানে হোস্টেল এ থেকে লেখাপড়া করতো।এরি মধ্যে রিপনের বাবা মা রিপনের জন্য ভিসা পাসপোর্টি আর বিমানের টিকিট রেডি করে পাঠিয়ে দেয় রিপনের কাছে।বাংলাদেশে আর রাখবে না বিদেশে নিয়ে লেখা পড়া করাবে।তাদের ছেলে যে অকাম করছে এটা তারা জানতো না।রিপন ও চালাকি করে বিদেশে যাওয়ার দিনে বিয়ের সব কাজ শেষ করতে বলে।এ সুযোগটা আমি পেলে সত্যি মিলি কে বিয়ে করতাম কারন প্রভাবশালী শশুর থাকে মানে অনেক কিছু।রিপন বোকা তো তাই পালিয়ে ছিলো।যাই হোক তার পর বিয়ের সব কাজ ওকে ।বর আসবে কিন্তু কেন যে আসতিছে না মিলির বাবা ভেবে পাচ্ছে না।তাই লোকজন পাঠিয়ে দিলো রিপনের কাছে ।কিন্তু রিপন কে আর কে পায় সে তো ১ ঘন্টা আগে পাখি হয়ে উড়ে গেছে। এখানে মিলির বাবা মার ভুল ছিলো সেটা হলো রিপনের বাবা মার সাথে কথা না বলা।তাদের সাথে কথা বললে হয়তো এমনটা হতো না।

চলবে

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে