রিভেঞ্জ পর্বঃ ১০

0
2657

রিভেঞ্জ পর্বঃ ১০
– আবির খান

সকালের ঝলমলে রোদ এসে নেহালের মুখে পরে। নেহাল আস্তে আস্তে ওর চোখদ্বয় খুলে তাকায়। কিন্তু হঠাৎই নেহাল একটা মেয়ালি ঘ্রাণ পাচ্ছে ওর নাকে। ঘ্রাণটা ওর পরিচিত। এটা তনুর ঘ্রাণ। নেহাল একটু নড়াচড়া করতে নিলে নিজেকে কেমন আবদ্ধ-আবদ্ধ ফিল হচ্ছে। নেহাল এবার আস্তে করে নিচে তাকায়। নেহাল নিচে তাকিয়ে যেন একটা সক খায়। কারণ নেহাল দেখে, তনু খুব সুন্দর করে নেহালকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মাথাগুজে পরম আনন্দে ঘুমিয়ে আছে। নেহাল অবাক হয়ে যাচ্ছে এই দৃশ্য দেখে। তবে সত্যি বলতে নেহালের খুব ভালোও লাগছে। এই তনুকে পাওয়ার জন্য সেদিন ও কত কিছুই না করেছিলো কিন্তু পেলো না। আজ ওর সেই ভালোবাসার মানুষটা ওর সাথে একদম মিশে আছে। ওর বুকে সাথে মিশে ঘুমাচ্ছে।

নেহাল আস্তে করে তনুকে ওর কাছ থেকে ঘুরিয়ে সোজা করে দেয়। এখন তনুর মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তনুকেতো এমনিতেই বাচ্চাবাচ্চা লাগে। তার উপর আজ ঘুমন্ত তনুকে একদম একটা বাচ্চা পরী লাগছে৷ নেহাল উঠে তনু একদম কাছে গিয়ে বসে ওকে মুগ্ধ হয়ে দেখছে। তনুর মুখের উপর চুল উড়ে এসে পরলে নেহাল তা আস্তে করে সরিয়ে দেয়। ফর্সা মায়াবী মুখটা কি যে সুন্দর লাগছে না। নেহাল সব ভুলে গিয়েছে ওকে দেখে। খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে ওর। নেহালের চোখদুটো সবসময় আটকে যায় তনুর ওই মিষ্টি নরম ঠোঁটদ্বয়ে। নেহাল ওর আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে তনুর ঠোঁটটা ছুঁয়ে দেখছে। কি যে নরম। নেহাল আজ অব্দি কোনো মেয়েকে ছুয়েতো দূরের কথা ভালোও বাসে নি। জীবনে প্রথম আর হয়তো শেষ মেয়েই এই তনু। এই তনুকে নেহালের চাই। কিন্তু ও কেনো এমন করলো?? এসব ভাবতে ভাবতে নেহাল তনুর মুখের একদম কাছে নেমে আসে। নেহাল এখন তনুকে খুব কাছ থেকে দেখছে। খুব ইচ্ছে হচ্ছে ওই নরম গোলাপের পাপড়িদ্বয়ের পরশ পেতে। কিন্তু গতকাল যা করেছে তার জন্য নেহালের খারাপ লাগছে। তাই নেহাল একটা অন্য বুদ্ধি করলো। নেহাল ওর গালটা যেখানে দাড়ি নেই সেই জায়গাটা তনুর ঠোঁটের উপর রাখে একটু পরশ পেতে। কিন্তু হঠাৎই তনু নেহালকে ওর দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আর অনেক গুলো চুমু দিতে থাকে নেহাল কে। নেহাল অবাক হয়ে যায়। আর এদিকে তনু সমানে চুমু দিয়েই যাচ্ছে। নেহাল মাথা ঘুরিয়ে তনুর দিকে তাকালে তনু ভুলে নেহালের ঠোঁটেও চুমু দিয়ে দেয়। তনু এবার লজ্জা পেয়ে থেমে যায়। লজ্জায় চোখদুটো বন্ধ করে আছে। নেহাল শুধু তাকিয়ে আছে তনুর দিকে। তনুকে এখন একটা পরীর মতো লাগছে৷ খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে। নেহাল আর পারছে না নিজেকে কন্ট্রোল করতে। তাই ও মনের অজান্তেই তনুর গোলাপের পাপড়ির মতো নরম ঠোঁটে ওর ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। এবার তনুও মনের অজান্তেই এই ভালবাসার পরশে সাড়া দিয়ে যাচ্ছে। দুজন দুজনকে আঁকড়ে ধরে আছে শক্ত করে। দুজন হারিয়ে যাচ্ছে এক অজানা অনুভূতিতে।

কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ নেহাল থেমে যায় আর তনুর উপর থেকে উঠে যায়। কারণ নেহাল জানে এখন না উঠলে হিতে বিপরীত হবে সামনে। তনু সেভাবেই কামুক দৃষ্টিতে নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। নেহাল নিজেকে সামলে পরিবেশটা একটু গরম করতে তনুকে রাগী ভাবে বলে উঠে,

নেহালঃ তুই আমার রুমে কি করছিস??রাগী ভাবে।

তনুঃ প্লিজ আমাকে তুইতোকারি করবেন না আমার ভালো লাগে না। আপনি না আমাকে ভালোবাসেন।

নেহালঃ না আমি কাউকে ভালোবাসি না। আমাকেও কেউ ভালোবাসে না। গম্ভীর কণ্ঠে।

তনু শোয়া থেকে উঠে নেহালকে জড়িয়ে ধরে আহ্লাদী কণ্ঠে বলে,

তনুঃ তাইই?? আমি জানি আপনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। নিজের থেকেও বেশি। বাচ্চাদের মতো করে।

নেহালের খুব ভালো লাগছে তনুর এই বাচ্চাপানা। কতদিন মিস করেছে এই বাচ্চাপানা।

তনুঃ আর কে বলেছে আপনাকে কেউ ভালোবাসে না। এই যে আমিতো বাসি। তাইতো খালি আপনি আমার নরম ঠোঁটটা…

নেহাল লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

নেহালঃ উহুহুহুমমমম…(কাশি দিয়ে) হইছে আর বলতে হবে না। এখন বলো এখানে আসছো কেন??

তনুঃ আপনার ভালোর জন্যই এখানে এসেছি।

নেহালঃ কিহহ আমার ভালোর জন্য!!! মানে কিভাবে?? অবাক হয়ে।

তনুঃ আমাকে তো আপনি ওই রুমে একা ফেলে এসেছেন। আমি অনেক ভয় পাচ্ছিলাম। আর ভয়ে অনেক কাঁদতে ছিলাম। আরো কিছুক্ষন সেখানে থাকলে আমি কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পরতাম। পরে আপনি পাগল হয়ে যেতেন যদি আমি অসুস্থ হয়ে পরতাম।

নেহালঃ বাহ কি বুদ্ধি আপনার। খুব বাচিঁয়েছেন আমাকে। ধন্যবাদ।

তনুঃ মোস্ট ওয়েলকাম আপনাকেও। আর আমার সাথে এভাবে সুন্দর করে কথা বলবেন। এত্তো রাগ দেখাবেন না আমাকে। আমি না আপনাকে ভালোবাসি। ভালোবাসার মানুষকে এভাবে রাগ দেখায়?? আহ্লাদী কণ্ঠে।

নেহাল কি বলবে বুঝতে পারছে না। তাই উঠে মনে মনে হাসতে হাসতে ফ্রেশ হতে চলে যায়। দীর্ঘ ১৫ মিনিট পর নেহাল বাইরে বেরিয়ে আসে। বাইরে এসে নেহাল তনুকে দেখতে পায় না। নেহাল তাড়াতাড়ি ওর রুমটা দেখে। কোথাও নেই। তনুর রুমেও তনু নেই। নেহাল তাড়াতাড়ি ওর বালিশের কাছে গিয়ে বালিশ উঠিয়ে দেখে চাবি নেই। নেহাল ঠাস করে বিছানায় বসে পরে। একি হলো?? তারমানে তনু ইচ্ছা করে নেহালকে দূর্বল করে এখান থেকে পালিয়েছে। নেহাল তাড়াতাড়ি উঠে নিচে গিয়ে দেখে সত্যিই মেইন গেইট খুলা। আজ যদি তনুকে ধরতে পারে তাহলে ওর খবর আছে। নেহাল আবার উপরে এসে বাইকের চাবি নিয়ে বাইরে এসে যেই বাইকে উঠে ঠিক তখনই নেহাল দেখে তনু ওদের বাগানে ঘুরাঘুরি করছে।

নেহালের জানে যেন জান আসলো। কিন্তু পরক্ষণেই আবার রাগ উঠে গেলো। নেহাল বাইক থেকে নেমে তাড়াতাড়ি তনুর কাছে এগিয়ে যায়। তনুকে পিছন থেকে নেহালের দিকে ঘুরিয়ে কসিয়ে একটা থাপ্পড় দেয় নেহাল তনুকে। থাপ্পড় দিয়েই আবার তনুকে নেহাল ওর বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।

নেহালঃ তনু কেন তুমি বারবার এমন করো??কেনো আমাকে বারবার কষ্ট দেও?? কেনো আমাকে বারবার রাগ করাও??কেনো?? ভয়ের স্বরে।

তনুঃ…..

নেহালঃ কি হলো বলো??

তনুঃ….

নেহালঃ তনু…..

নেহাল তনুকে সামনে আনতে দেখে তনু অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে আর ঠোঁটটা একটু ফেটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। বাস…সাথে সাথে নেহাল যেন একটা পাগলে পরিনত হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি তনুকে কোলে করে নেহাল উপরে নিয়ে যায়। নেহালের চিল্লাচিল্লিতে রামু কাকাও দৌড়ে নেহালের সাথে রুমে যায়।

রামু কাকাঃ নেহাল, বাবা কি হরছো তুমি?? মা’ডা মোর দেহি বেহুস হইয়া গেসে। ঠোঁটটাও কেঁটে গেসে। কি হরসো তুমি?? চিন্তিত কণ্ঠে।

নেহালঃ আমি বুঝিনাই চাচা। আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি ও নাই। তাই ওকে খুঁজে না পেয়ে দেখি ও বাইরে চলে গিয়েছে। মানে পালিয়েছে। তাই ওর উপর রাগ উঠে যায়। তাই ওকে যখন বাগানে দেখি রাগে একটা থাপ্পড় দিয়া ফেলি। আর ও অজ্ঞান হয়ে যায়। চাচা আমার তনু… কাঁদতে কাঁদতে।

রামু কাকাঃ না নেহাল বাবা তোমার কাছে মুই এইডা আশা করি নাই। তুমি একটা মাইয়ার গায়ে হাত দিবা এইডা আমি আশা করি নাই। কাজডা ভালো করো নাই বাবা। এট্টুও ভালো হরো নাই।

নেহালঃ চাচা আমার ভুল হয়েছে আর কখনো আমি এমন করবো না। আমার তনুকে প্লিজ ঠিক করে দেন। কাঁদো কণ্ঠে।

রামু কাকাঃ আরে বেহুসই তো হইছে। বও পানি ছিটা দিয়া দেহি হুস আয় কিনা।

নেহালঃ তাড়াতাড়ি দেন চাচা। তনু…ও তনু উঠো বাবু…তনু…

রামু কাকা তাড়াতাড়ি পানি এনে তনুর মুখে ছিটে মারতেই তনুর আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরে আসে। তনু নেহালকে দেখে ভয়ে এক লাফে উঠে কাঁদতে কাঁদতে রামু কাকার পিছনে গিয়ে পলায়।

তনুঃ আঙ্কেল আঙ্কেল আমাকে বাঁচান উনি আমাকে মেরে ফেলবে। অনেক ভয় পেয়ে।

তনুর অবস্থা দেখে নেহাল হতভম্ব হয়ে যায়। নেহালের নিজের প্রতি নিজেকে এখন প্রচুর খারাপ লাগছে। নেহাল তনুর এই অবস্থা দেখে রাগে দুঃখে কষ্টে সেখান থেকে উঠে ওর রুমে চলে যায়।

নেহাল ওর রুমে গিয়ে নিজেকে আঘাত করতে থাকে দেয়ালে একের পর এক ঘুষি মেরে। যে হাত দিয়ে তনুর নরম শরীর স্পর্শ করেছিলো সেই হাত দিয়ে নেহাল আজ প্রথম তনুকে মারলো। নেহালের নিজের প্রতি নিজের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। কিভাবে পারলো ও ওর ভালোবাসাকে আঘাত করতে??কিভাবে পারলো??

এদিকে, তনু সমানে কান্না করছে। খুব ভয় পাচ্ছে। ভয়ে তনুর অবস্থা খারাপ।

রামু কাকাঃ মা, নেহাল বাবা ইচ্ছা করে মারে নায়। তোমারে খুইজা না পাইয়া হে পাগল হইয়া গেসিলো। হে বোজ্জে তুমি পালাইছো। তুমি না কইয়া বাসার বাইরে গেসো দেইহা হে তোমারে ভুলে মাইরা হালাইসে। হেরে মাফ কইরা দেও। আমি হের দারে যাইতাছি। নাইলে হে উলটা পাল্টা কিছু কইরা হালাইবো। তুমি হেরে মাফ কইরা দিও মা।

রামু কাকা তাড়াতাড়ি উঠে নেহালের রুমে গেলেন। আর তনু সে এখনো কাঁদছে। আসলে নেহাল যখন ফ্রেশ হতে গিয়েছিলো তনু তখন বারান্দায় যায়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে বাগানের দিকে তনুর নজর যায়। বাগানটা অনেক সুন্দর থাকায় তনু চাবি নিয়ে নিচে বাগানে চলে যায়।

তনুর প্রচন্ড খারাপ লাগছে। নেহাল ওর গায়ে হাত তুলবে ও কল্পনাও করতে পারেনি। তনু বুঝেছিলো যে নেহাল ওকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু ওকে যে মারবে ও কল্পনাও করতে পারে নি। তনুর এখন নেহালকে অনেক ভয় লাগছে। তনু রুমের এককোনায় গুটিসুটি মেরে চুপচাপ কান্না করে যাচ্ছে।

রামু কাকা নেহালের রুমে গিয়ে দেখে নেহাল নিজেকে আঘাত করে যাচ্ছে। রামু কাকা অনেক কষ্টে নেহালকে থামায়। নেহালও কান্না করছে। ও কিভাবে ওর ভালোবাসাকে মারতে পারলো!!! নেহাল ঠাস করে ফ্লোরে বসে পরে কাঁদতে কাঁদতেল।

রামু কাকাঃ বাবা শান্ত হও। এয়া কি করতাসো। তুমি শান্ত হও৷

নেহালঃ কিভাবে চাচা??কিভাবে আমি আমার তনুকে এই হাত দিয়ে মারতে পারলাম??কিভাবে?? কাঁদো কণ্ঠে।

রামু কাকাঃ বাবা যা হইছে হইছে বাদ দেও। তুমি শান্ত হও।

নেহালঃ না চাচা…আমি ভালো না…তনু এখন আমাকে ভয় পায়। আমাকে আর ভালোবাসে না। আমি নেহাল আজ ওকে মেরেছি। ও কোনোদিনও আমাকে মাফ করবে না। আমি ওকে এখনি দিয়ে আসি। অসহায় ভাবে।

রামু কাকাঃ আচ্ছা দিয়া আইয়ো। তার আগে একটা কথা কওতো বাবা, তুমি কি আমার তনু মা’ডারে একবারও জিগাইছো হে হেদিন এমনডা করলো ক্যা??

নেহাল মাথা নাড়িয়ে না বলে।

রামু কাকাঃ তাইলে.. কি জানি…হ রিভেঞ্জ… এই যে রিভেঞ্জ নিতাসো হেডা কি ঠিক না বেঠিক জানো??

নেহালঃ মানে চাচা??

রামু কাকাঃ তনু মা আমারে সব কইছে হেদিনের কথা। হে ক্যান তোমারে না কইছে।

নেহালঃ কেন চাচা??? আমাকে বলেন।

রামু কাকাঃ তনু মা আমারে কইতে না করছিলো। হে তোমার ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে চাইছিলো। কিন্তু আমি এহন আর না কইয়া পারতাসি না।

নেহালঃ চাচা বলেন।

রামু কাকাঃ

তুমি নাকি হের লগে কতা কওয়া ছাইরা দিসিলা। হেই সময় হের বাপে হের লইগা একটা পোলা দেহে। পোলারা তনু মারে পছন্দ হইরা হালায়। তনু মারে যহন হের বাপে কয় যে তোর লইগা পোলা ঠিক করছি তোরে বিয়া দিয়া দিমু। তনু মা হের বাপেরে অনেক বুঝায়। অনেক না করে। কারণ হে তোমারে ভালোবাসে। কিন্তু হের বাপ কইছে যদি তনু মা এই বিয়া না করে হেলে হের বাপের মরা মুখ দেখবো। এই কতাডা কওয়ার লইগা তোমারে হেদিন তনু মা আইতেছিল। কিন্তু তুমি হেদিন হেরে তোমার মনের কতা কও। কিন্তু হে হের বাপের কথা ভাইবা তোমারে না কয়। পরে তনু মারে জোর কইরা হের বাপে এহানে লইয়া আয়। আর হেরে জোর কইরা বিয়া দিতে নেয়। তনু মা আমারে কইছে হে তোমারে অনেক ভালোবাসে। তুমি হেরে এহানে আনছো হে অনেক খুশি হইছে৷ হে তোমারে আবার ফিররা পাইছে। হে দেখতে চাইছিলো তুমি সত্যিই তাকে কষ্ট দেও কিনা।

নেহাল রামু কাকার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায়। কত বড় ভুল করেছে নেহাল। না বুঝে না জেনে তনুকে কতো কষ্ট দিয়েছে। আজতো গায়েই হাত তুললো। কিভাবে পারলো ও??

নেহালঃ চাচা আমি শেষ। আমি আমার ভালোবাসাকে নিজ হাতে শেষ করে দিয়েছি। ও আর আমাকে কোনো দিন ভালোবাসবে না। শেষ চাচা সব শেষ। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে।

রামু কাকাঃ বাবারে এহনো কিচ্ছু হয়নায়। তুমি তনু মায়ের কাছে যাইয়া মাফ চাও। হে তোমারে অনেক ভালোবাসে। হে তোমারে সত্যিই মাফ কইরা দিবে দেইখো।

নেহালঃ চাচা সত্যিই বলছেন তো??

রামু কাকাঃ হ বাবা হ। তুমি তাড়াতাড়ি যাও।

নেহাল রক্তাক্ত হাত নিয়ে তনুর কাছে ছুটে যায়।

চলবে…?

– কোনো ভুল হলে জানাবেন।

আমার প্রিয় পাঠকদের অনেক বেশি ভালোবাসা চাই। আর কেমন লেগেছে এই পর্বটি জানাতে ভুলবেন না। ??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে