মায়াবতী_বউ ৫ম পার্ট

0
1129
মায়াবতী_বউ ৫ম পার্ট পিচ্চি পোলা #মায়াকে নিয়ে আমার ঘরে (গ্রামের ঘর) গেছে সবাই। পাড়া পড়শী সকলেই আমার বউ দেখার জন্য ভিড় করেছে বাড়ীতে। এই গ্রামে বড় হয়েছি, পড়েছি, খেলেছি, সবার সাথে মিশেছি এই গ্রামেই। সুতরাং যেই শুনতেছে যে আমি শহর থেকে প্রেম করে বিয়ে করে এনেছি সেই আসতেছে বাড়ীতে বউ দেখতে। বিরক্ত মনে হলেও অনেকদিন পর সবাইকে দেখে ভালোই লাগতেছে।
আমি একটা লুঙ্গি নিয়ে গোসল সেরে নিলাম। ততক্ষনে সন্ধা হয়ে গেছে। ঘরে এসে দেখি মায়া ভাবিদের সাথে পুরাই মেতে গেছে। আসলে গ্রামের বউ/ঝিদের সাথে মিশলে অতি তাড়াতাড়ি ঘনিষ্ট হয়ে যায় সবাই। মায়াকে দেখে মনে হচ্ছে এ বাড়ির সবাই ওর কতো পরিচিত। ওরা সোফায় বসে আছে। আমি খাটে উঠলাম। বাহ কি সুন্দর করে বাসর সাজিয়ে রেখেছে আমার ঘরে। সাথে ঘরটাও সাজিয়েছে নতুন রুপে। কি দেবর মশাই কেমন হয়েছে বাসর সাজানো।(ভাবিরা) দারুন তা কে সাজিয়েছে মেমসাহেবরা? (আমি) আমরা সাজিয়েছি তোমার আর তোমার ঐ মিষ্টি বউটার জন্য। ভালো করছেন। শুয়ে একটু আরাম করে নেই। আহহা আগে আমাদের বাসর সাজানোর মূল্য দাও তারপর আরাম কইরো সাহেব। আবার মূল্য কিসের হুম? এতো কষ্ট করে সাজিয়েছি টাকা খরচ করে আর উনি বলছেন মূল্য কিসের? ওই আয় (অন্য ভাবিদের উদ্দেশ্য করে) আমরা শুয়ে থাকবো বাসরে। এই বলে আমায় ঠেলে উঠিয়ে দিতেছে। আরে আমায় সরিয়ে দেন কেন? আসেন আপনাদের নিয়েই বাসর করবো। এই কথা বলার সাথে সাথে সবাই হো হো করে হেসে উঠেছে। ২ ভাবি আমার ২ কান ধরে বলতেছে আজ তোমার সব শখ মিটিয়ে দেবো। উহ লাগছে ছাড়েন তো ভাবিজানরা। আগে আমাদের বিদায় করো। ওহ ছাড়েন দিতাছি। ৫০০ টাকা বের করে ভাবির হাতে দিয়ে বললাম যান সবাই মিলে মিষ্টি কিনে খান গা। রাগ করলেন না তো ভাবিরা? আসলে বাসরের মূল্য কেউ দিতে পারে না। এটা শুধু মিষ্টমুখ করার জন্য দিলাম। আরে নাহ খুশি আমরা। এই বলে বড় ভাবিটা গালে একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে পালালো হাসতে হাসতে। খারাপ কিছু না, এই চুমুটা আসলে ছোট থেকেই দেয় ঐ ভাবিটা। কোলেপিঠে মানুষ করেছে এই ভাবি মায়ের সাথে। সবাই বাইরে চলে গেলো। মায়ার দিকে তাকালাম। মিষ্টি করে হাসছে। হাসলে ওকে সত্যি পরীর মতো লাগে। মা আর কাকি আসলো ঘরে। বাবা বৌমাকে নিয়ে খেতে আসো আমাদের ঘরে। (কাকি) এই বলে মায়ার কাছে গিয়ে থুটনিটা ধরে মাথা উচু করে দেখছে আর বলছে কি মিষ্টি বৌমা এনেছো চাচামিয়া। (কাকি) চলো খেয়ে এসে কথা হবে (মা) খেতে গেলাম কাকিদের ঘরে। ২/৪ দিন আর আমার মাকে রান্না করতে দেবে না কাকি আর ভাবিরা। এই কয়দিন তাদের ওখানে খেতে হবে। খেতে বসে লক্ষ করলাম মায়া খুব খুশি এখানে এসে। হবেই তো ভরা বাড়ীর মানুষের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, আমোদ আড্ডা শহরের যে কাউকে মুগ্ধ করবে। রাত প্রায় ৯ টা বাজে। এই ৯ টাই গ্রামে অনেক রাত। আমি অনেকদিন পর গ্রামে এসে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে কিছু খেয়ে ফেললাম মদ জাতীয়। এর আগে গ্রামে এসব খাইনি। এখন যেহেতু শহরে খেয়েছি সুমির দেয়া আঘাত ভোলার জন্য তাই আর না করিনি ওদের। ওরা আমায় বাড়ি অব্দি পৌছে দিলো নেশায় মাতালের মতো হয়েছি বলে। দরজা খুলতেই দেখি এখনো ভাবি ও কাজিনরা গল্প করছে মায়ার সাথে। আমি ঢুকতেই সবাই বের হয়ে গেলো। ভাবি কানের কাছে মুখ এনে বললো বাসর উদ্বোধন করো দেবর সাহেব। আমি গিয়ে শুয়ে পড়লাম ধড়াম করে খাটে। মাথাটা ঘুরছে খুব। নেশাটা খুব বেশি হয়ে গেছে। মায়া দরজা আটকে খাটে উঠলো। এই খাটটা সিঙ্গেল খাটের মতো। যদিও স্বামী স্ত্রীর জন্য যথেষ্ট। আমার গা ঘেসে শুয়েছে ও। আমি চোখ বুঝে আছি। কপালে হাতের স্পর্শ পেয়ে চোখ খুললাম। কিছু খেয়েছেন মনে হয়? এসব খান কেনো? এই বলে কাঁদছে মেয়েটা। কি হলো কাঁদছেন কেনো? আমার কিছু হয়নি তো। মাথাটা শুধু ঘুরছে। বললেই হলো। আপনার শরীর তো কাঁপতেছে। ওকে কাঁদবেননা।সরি আর কখনো খাবোনা। হুম ওকে (চোখ মুছতে মুছতে) মাকে ডেকে আনি থাকেন। এই বলে মায়া খাট থেকে নামতে যাবে ওমনি খপ করে হাত ধরে টান দিয়ে বললাম মাথা খারাপ হইছে আপনার? এমন মাতাল অবস্থায় মা দেখলে উপায় আছে? আমার হাতের হেচকা টানে ও আমার বুকের উপর এসে পড়েছে খেয়াল করিনি। ওর ঠোট দুটো আমার ঠোটের সামনে। নেশার ঘোরে ওকে আমি বুকের সাথে ঝাপটে ধরেছি। ওর চোখের পানি পুরোটুক মুছেনি। এমনেই ও পরীর মতো। চোখে পানি জমায় আরো মায়াবতী রাজকুমারীর মতো লাগছে ওকে। নেশার ঘোরে সব ভুলে আমি ওকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিছি। ভুলে গেছি আমরা দুজন মিথ্যা স্বামী স্ত্রী। হঠাৎ ও এক ঝটকায় আমার উপর থেকে উঠে গেছে।হাপাচ্ছে মেয়েটা। চোখবেয়ে আবার পানি পড়ছে। সরি নেশার ঘোরে মাতাল হয়ে দিক হারিয়ে এমন করছি। ক্ষমা করে দিন প্লিজ। আচ্ছা ঠিক আছে আপনি ঘুমান। (কান্নাকন্ঠে মায়া) এই আপনি কে বলেন তো? আপনার এই কান্না আমায় কিছু মনে করিয়ে দেয়।(আমি) কি মনে হয় আপনার? এই কান্না কার হতে পারে মনে করেন? এই বলে মায়া আরো জোড়ে ডুকড়ে ডুকড়ে কাঁদছে।
হা আমার ধারনা ঠিক হবে হয়তো। আমি ওর শাড়ির আচলটা টান দিয়ে সরালাম। ব্লাউজের বোতামে হাত দিতেই হাত ধরে ফেললো মায়া। আমি হাত সরিয়ে জোর করে খুলে ফেললাম ওর ব্লাউজ (খারাপ কিছু ভাববেন না) ওর পিছনে গিয়ে হুকটা খুলে দেখেই আমি পেছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম আমি আর মায়া দুজনেই একসাথে। চলবে…………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে