মায়াজাল পর্বঃ ০৫

0
849

মায়াজাল পর্বঃ ০৫
লেখকঃ আবির খান

অধরা খুব ভয় পাচ্ছে। ভয়ে ওর মিষ্টি ঠোঁটটা থরথর করে কাঁপছে। রিফাত হঠাৎই অধরার একদম কাছে এসে ওর হিজাবের ওপর লেগে থাকা কাশফুল তুলে নেয়। রিফাত তাকিয়ে দেখে অধরা চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। রিফাতের অসম্ভব হাসি পায় এ দৃশ্য দেখে। এদিকে অধরা কোন স্পর্শ না পেয়ে চোখ মিলে তাকাতেই রিফাত কাশফুল দেখিয়ে বলে,

রিফাতঃ আপনার হিজাবে কাশফুল লেগেছিলো সরিয়ে দিলাম। ভালো করেছি না? হিহি।

অধরা পুরো বোকা হয়ে গিয়েছে রিফাতের কথা শুনে। রিফাত অধরার এ অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে শেষ। ছেলেটা বড্ড মন খুলে হাসে। কেন জানি অধরার রিফাতের ওই হাসিটা খুব ভালো লাগছে। ও মুগ্ধ হয়ে দেখছে। সাথে লজ্জাও পাচ্ছে। রিফাত হাসি থামিয়ে বলে,

রিফাতঃ একটু সামনে যাই চলুন। আজ আর অফিস যাবো না। একবারে বাসায়।

অধরাঃ আচ্ছা। (আস্তে করে)

রিফাত চুপচাপ অধরাকে নিয়ে পাশাপাশি হাঁটছে। ও ইচ্ছা করেই এমন করেছে। একটু মজা না করলে হয়। অধরার সেই ফেইসটা মনে পড়লেই রিফাতের শুধু হাসি পাচ্ছে। বেচারা আর হাসি না থামাতে পেরে হো হো করে হেসে দেয়৷ এবার রিফাতের সাথে অধরাও হেসে দেয়। রিফাত হাসতে হাসতে বলে,

রিফাতঃ আচ্ছা আপনি ভেবেছিলেন টা কী? আমি আপনাকে…হাহা।

অধরা লজ্জাসিক্ত হয়ে পড়ে। ও মনে মনে ভাবছে,” আমি তো ভেবে ছিলাম উনি আমার ঠোঁটকে…না না ছিঃ কী ভাবছি এসব! উনি এমন নাকি? আর আমি তো আমার ওকে…” রিফাত অধরাকে চুপ দেখে বলে উঠে,

রিফাতঃ কী হলো কই হারালেন হ্যাঁ? কী ভাবছেন হুম? হাহা।

অধরাঃ না না কিছু না৷ এমনি।

রিফাতঃ মেয়েদের এই কিছুনার ভিতর অনেক কিছু থাকে। সেটা কিন্তু আমি জানি। বুঝলেন?

অধরাঃ কীভাবে জানেন? (আঁড় চোখে তাকিয়ে)
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


রিফাতঃ না মানে বুঝা যায় আর কি। আমার একজন প্রিয় লেখক আছে, আবির খান। তাঁর গল্প পড়ে বুঝি। যে মেয়েরা অনেক কিছুই ভাবে মনে মনে। তাঁদের মনে গোটা সৌরজগত।

অধরাঃ হাহা। আমিও তাহলে তাঁর গল্প পড়বো।

রিফাতঃ আচ্ছা পড়িয়েন। ওই যে দেখুন ওটা কি?

অধরা তাকিয়ে দেখে ফুচকাওয়ালা। অধরার বিশ্বাসই হচ্ছে না। রিফাত বলে উঠে,

রিফাতঃ ফুচকা তো আপনার ফেভারিট তাই না। চলুন খেয়ে আসি।

অধরাঃ আপনি কী করে জানলেন?

রিফাতঃ না মানে সব সুন্দরী মেয়েরাই ফুচকা লাভার হয়। তাই আর কি।

অধরাঃ এটাও নিশ্চয়ই আপনার লেখকের কাছ থেকে জেনেছেন?

রিফাত অস্ফুট হাসি দিয়ে বলে,

রিফাতঃ হাহা। জ্বী। বাদ দিন না৷ চলুন ফুচকা খাই। আমারও অনেক পছন্দ ফুচকা। সাথে যে ঝাল মিষ্টি টকটা দেয় না। উফফ! মানে বলার বাইরে।

অধরা অবাক হয়ে যায়। বিষ্ময়কর চাহনি দেয় ও। রিফাত হাসি দিয়ে বলে,

রিফাতঃ জানি জানি আপনারও আমার মতো পছন্দ।

অধরাঃ আপনি অনেক অদ্ভুত। বুঝে উঠা দায়।

রিফাতঃ আস্তে আস্তে সব বুঝবেন। মামা দুইটা ফুচকা দেও ঝাল দিয়ে। আর মিষ্টি ঘন টকটা দিও বাড়িয়ে।

রিফাতের এভাবে বলায় অধরা যেন থমকে যায়। আশপাশটা যেন একদম নিস্তব্ধতায় ছেয়ে গিয়েছে। দমকা হাওয়া স্মৃতি পাতার পুরনো এক পৃষ্ঠার গল্প যেন ওকে মনে করিয়ে দিল। কেউ একজন ওকে নিয়ে এভাবেই ফুচকার অর্ডার দিত। ঠিক অবিকল এভাবেই। ওরা দুজন পাশাপাশি বসে খেতো। খাওয়ার ধরনটাও ছিল ভিন্ন। অধরা রিফাতের উৎসুক চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে। সেও তো এভাবে ফুচকার জন্য লোভাতুর ভাবে অপেক্ষা করতো। অধরার হিসেব মিলে না। পারছে না মেয়েটা আর ভাবতে। বুকের ভিতরটা মুচড়ে উঠে ভাবলে।

অধরা বেঞ্চে বসে আছে। রিফাত হাসি মুখে দু প্লেট ফুচকা আনে। অধরাকে আশ্চর্য করে দিয়ে রিফাত এক প্লেট ফুচকা হাতে নিয়ে সবগুলোয় টক দিয়ে একটা হাতে নিয়ে অধরার মুখের দিকে এগিয়ে দেয়। রিফাত অধরার দিকে তাকিয়ে আছে। অধরাও রিফাতের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনের চোখের সামনে সেই পুরনো স্মৃতিগুলো সব ভেসে উঠছে। রিফাতের মুখে হাসি। অধরার নয়নজোড়া ছলছল করছে। রিফাতের মাঝে ও ছোট্ট কাউকে দেখছে। রিফাত বলে উঠে,

রিফাতঃ কই নিন। হা করুন।

অধরা অজান্তেই হা করে খেয়ে নেয়। খুব মজা লাগে ওর। অধরা রিফাতের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু বলছে না। রিফাত এটা ওটা বলছে আর অধরাকে খাইয়ে দিচ্ছে। একসময় অধরার প্লেট শেষ হলে এবার রিফাত নিজের প্লেট নিয়ে একটা একটা করে খাচ্ছে। অধরা এসব দেখে শুধু বিষ্মিত হচ্ছে। অধরা আর না পেরে বলেই উঠে,

অধরাঃ কে আপনি? কীভাবে জানেন আমি এভাবে ফুচকা খাই? কীভাবে?

রিফাত ঘাবড়ে যায়। অধরাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছে। রিফাত আস্তে করে বলে উঠে,

রিফাতঃ আমি আবার কে? আপনার বস। ভুলে গেছেন? আর সাউথ একটা মুভিতে দেখেছিলাম নায়ক নায়কাকে এভাবে খাওয়ায়। তাই আমিও আজ ট্রাই করলাম। হিহি।

অধরা হাসবে না কাঁদবে বুঝে পাচ্ছে না। কিন্তু রহস্যের একটা ঘ্রাণ ও পাচ্ছে। রিফাত বলে উঠে,

রিফাতঃ দেখছেন আমার হাতে ফুচকা খেয়ে আপনি ভুলেই গেছেন আমি কে। যদি আমার হাতের রান্না খান তাহলে তো মনে হয় আমাকে আর চিনবেনই না।

অধরা খিলখিল করে হেসে দেয়। রিফাত হাফ ছেড়ে বাঁচে৷ আর একটু হলেই ধরা খাচ্ছিলো ও।এরপর ওরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা হয়। রিফাত গাড়ি চালাচ্ছে। অধরা একটু পর পর রিফাতের দিকে কেমন করে যেন তাকাচ্ছে। সে তাকানির অর্থ হলো,” কে আপনি?” রিফাত তা বেশ বুঝতে পারছে। ও শুধু মুচকি হাসছে। অধরার বাসার সামনে গিয়ে গাড়ি থামে। রিফাতও নেমে বাইরে আসে। অধরা রিফাতকে বলে,

অধরাঃ স্যার সত্যিই আপনি অনেক ভালো। আমার অগোছালো জীবনটা হঠাৎ করে ঠিকঠাক হয়ে গেল। সবই আপনার জন্য। আচ্ছা স্যার আমি তো একটা সামান্য মেয়ে। আপনি আমার জন্য বেশি বেশি করছেন না? এই সামান্য মেয়েটাকে এতো কিছু দিলেন। আপনি সময় দিচ্ছেন। এতোকিছু হকদার তো আমি নই। মানুষতো আমাকে খারাপ ভাববে।

রিফাতঃ আমি এমনিই মিস অধরা। সবাইকে খুব সহজে আপন করে নি। আর আপনি আমার পারসোনাল সেক্রেটারি। সো আমি কেমন আমার কি পছন্দ না অপছন্দ সব জানার অধিকার আপনার আছে। তাহলে ফিউচারে আর সমস্যা হবে না। তাই এগুলো নিয়ে বেশি ভাববেন না। মানুষের কাজই একে ওকে নিয়ে ভাবা। ভাবতে দিন। আমাদের কিছুই হবে না তাদের ভাবাভাবিতে। আশা করি এভাবে আর কখনো বলবেন না।

অধরাঃ সরি স্যার। আর বলবো না।

রিফাতঃ গুড। এবার জান। কাল দেখা হবে।

অধরাঃ আচ্ছা।

অধরা চলে গেলে রিফাত গাড়ি নিয়ে ওর বাসায় আসছে আর ভাবছে,

রিফাতঃ অধরা তোমার জায়গায় অন্যকেউ হলে হয়তো কখনো কাজের কথা ছাড়া আর একটা কথাও হতো না। ঘুরাঘুরি তো কখনোই না। তোমার সাথে এতোটা ক্লোজ হচ্ছি কারণ তুমি আমার জীবনের প্রথম আর শেষ ভালবাসা। সেই পনেরো বছর আগের ভালবাসা। যা আজও নতুন আর শক্ত খুটির মতো। খুব ভালবাসি অধরা তোমাকে খুব ভালবাসি।

এরপর এক মাস চলে যায়। অধরা এখন অনেকটাই ফ্রী রিফাতের সাথে। ওদের বন্ডিংটাও বেশ শক্ত হচ্ছে ধীরে ধীরে। রিফাত যেখানে যেখানে যায় অধরাকেও সেখানে সেখানে নিয়ে যায়। অধরা আগে না করলেও এখন আর করে না। কারণ রিফাত যথেষ্ট কেয়ার করে ওর। আজকে অফিসে আসতেই রিফাতের ফোনে কল আসে। অধরা ওর সামনে বসেই ফাইলগুলো দেখছে। রিফাত ফোন রিসিভ করতেই,

নাবিদঃ হ্যালো দোস্ত কেমন আছিস?

রিফাতঃ নাবিদ! তুই এতো দিন পর? কই ছিলি?

নাবিদঃ আরে আর বলিস না। বাবা-মার চাপে পড়ে এবার বিয়ের পীড়িতে বসতে হচ্ছে। কালকে হোটেল গ্রান্ড লিওতে আমাদের বিয়ে। তুই কিন্তু আসবি প্লিজ। আমার চিফ গেস্ট কিন্তু তুই। আসিস কিন্তু।

রিফাতঃ আচ্ছা আচ্ছা আসবো। তা কখন বিয়ে?

নাবিদঃ সন্ধ্যা ৭ টায়।

রিফাতঃ আচ্ছা। আমার সাথে কিন্তু তোর ভাবিও আসবে। (মজা করে)

রিফাতের কথা শুনে অধরা তড়িৎ গতিতে মাথা তুলে রিফাতের দিকে তাকায়। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে অধরা। রিফাত অধরাকে দেখে হাসছে। এদিকে নাবিদ সক খায়। ও বলে,

নাবিদঃ কিহ! তুই বিয়া কবে করলি? আমগো তো কইলিও না।

রিফাতঃ লুকাই করছি। তেমন কেউ জানে না।

নাবিদঃ শালা কি কি যে করস বুঝিনা। করলে তো ভালোই। ভাবিকে নিয়াই আসিস।

রিফাতঃ আচ্ছা আসবো।

নাবিদঃ তাহলে রাখি দোস্ত।

রিফাতঃ আচ্ছা।

রিফাত ফোন রাখতেই অধরা জোর গলায় বলে,

অধরাঃ স্যার এটা কিন্তু ঠিক না। আপনি সবার কাছে আমাকে আপনার ওয়াইফ বলেন। আমিতো আপনার ওয়াইফ না।

রিফাতঃ এখন না। পরেও তো হতে পারো। হাহা।

অধরাঃ জ্বী??

রিফাতঃ কিছু না। চলো শপিং এ যাবো। কাল এক ফ্রেন্ড এর বিয়ে৷ তুমি আর আমি যাবো। হাজবেন্ড অ্যান্ড ওয়াইফ। হিহি।

অধরা ভ্রুকুচকে তাকিয়ে আছে। রিফাত হাসতে হাসতে বলে,

রিফাতঃ আরে মজা করছি। চলো।

অধরাঃ কিন্তু স্যার আমাকে শপিং এ কেন নিবেন? আমি যেয়ে কি করবো?

রিফাতঃ মেয়েদের চয়েজ ছেলেদের থেকে অনেক বেশি ভালো হয়। সো তোমাকে তো যেতেই হবে।

অধরাঃ ওহ। আচ্ছা তাহলে ফাইলটা শেষ করে নি স্যার আর একটু আছে।

রিফাতঃ আচ্ছা শেষ করো।

রিফাত এখন অধরাকে তুমি করে বলে। আপনি বলতে ওর কেমন জানি পর পর লাগে। আর সবার সামনে আপনিও বলা যায় না। তাই তুমি করেই বলে এখন। অধরার কাজ শেষ হলে রিফাত ওকে নিয়ে শপিং এ চলে আসে। ঢাকার সবচেয়ে দামী শপিংমল এটা। রিফাত অধরাকে নিয়ে একটা আউটলেটে ঢুকে। অধরা আশ্চর্য হয়ে বলে,

অধরাঃ স্যার এটাতো মেয়েদের আউটলেট! আমরা এখানে কেন?

রিফাতঃ আমি এবার মেয়েদের জামা পড়ে বিয়েতে যাবো তাই। (রসিকতা করে)

অধরা চুপ করে আছে। কি আর বলবে। ও ভাবে, ব্যাটা যেতেও পারে। হিহি। রিফাত বলে,

রিফাতঃ কই পছন্দ করো। বেস্ট টা পছন্দ করবে। যেন সবাই তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে।

অধরাঃ স্যার এসবের দরকার কি? বাদ দিন না। আমার কিছু লাগবে না। অযথা এসব।

রিফাত এবার সত্যিই রাগ করে। মুহূর্তেই ওর চোখ লাল হয়ে আসে। অধরা ভয় পায়। আর কিছু বলে না। রিফাত ওকে নিয়ে শাড়ীর কালেকশন দেখতে বসে। অনেকগুলো দামী কাজ করা শাড়ী অধরার সামনে রাখা হয়। রিফাতের ব্লাক অনেক পছন্দ। তাই সব ব্লাক কালারের শাড়ী আনিয়েছে। অধরার চোখ ঝলমল করছে এত্তো এত্তো শাড়ী দেখে। রিফাত বলে,

রিফাতঃ এবার পছন্দ করো।

রিফাতের দিকে অধরা আর ভয়ে তাকাচ্ছেই না। ওর শাড়ী গুলো খুব পছন্দ হচ্ছে। কিনতে ইচ্ছে হচ্ছে আবার মন সায়ও দিচ্ছে না। অধরার একটা শাড়ী খুব পছন্দ হয়। ও শাড়ীটা বারবার ধরছে অন্য শাড়ী গুলো দেখার পাশাপাশি। রিফাত পাশ থেকে বুঝে যায় যে অধরা লজ্জায় বলছে না যে এটা ওর পছন্দ হয়েছে। রিফাত ছো মেরে শাড়ীটা নিয়ে বলে,

রিফাতঃ এটা প্যাক করে দিন।

অধরা মনে মনে খুব খুশী হয়। রিফাত স্পষ্ট তা বুঝতে পারে। অধরা আস্তে করে বলে,

অধরাঃ এটার প্রাইজ কতো?

– ম্যাম টেক্স সহ এটার প্রাইজ ওয়ান ল্যাক ফিফটি থাউজ্যান্ড।

অধরার চোখ কপালে উঠে। ও যেন মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবে দাম শুনে। রিফাত পাশ থেকে ওকে ধরে৷ আর বলে,

রিফাতঃ কি হলো? পড়ে যাচ্ছিলে কেন?

অধরাঃ আমার পক্ষে এত্তোওওও দামী শাড়ী পরা অসম্ভব। আমি সারাজীবন ২/৩ হাজার টাকার শাড়ী পরেছি। আর এটা তো…আল্লাহ। না না। আমি এতো দামী শাড়ী পরবোনা। আপনি ওটা ফিরিয়ে দিন। আমি কম দামী শাড়ী পরবো নি। আমার আছে।

রিফাতঃ তুমি কিন্তু আমার হাতে এখন মার খাবা। চুপচাপ বসে থাকো। আর একটা কথা বলবা না।

এরপর শাড়ী, একটা ডায়মন্ডের লকেট, চুড়ি আরও অনেক কিছু কিনে দেয় রিফাত অধরাকে। অধরার মনে হচ্ছে ও কোন স্বপ্ন দেখছে৷ রিফাত ওর জন্য ব্ল্যাক স্যুট আর প্যান্ট কিনে। আর ব্ল্যাক সু। এই আর কিছু না। শপিংটা মেইনলি অধরার জন্যই ছিল।

পরদিন রিফাত ওর গাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে অধরাকে পার্লারে নিয়ে আসে। রিফাত আগেই বিয়ে বাড়িতে চলে যায়। ওর গাড়ি অধরাকে নিয়ে আসবে। বিয়ে বাড়িতে আস্তে আস্তে সবাই এসে পড়েছে৷ রিফাত ড্রাইভারকে কল করে জানতে পারলো ওরা রাস্তায়। আর ২০ মিনিট লাগবে আসতে। রিফাত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে অধরা ওর প্রিন্সেসকে দেখার জন্য। তড় সইছে না ওর আর৷ একে একে ২০ মিনিট পার কিন্তু অধরার খবর নেই। রিফাতের খুব চিন্তা হচ্ছে। মনটা কেমন কেমন করছে। অধরা ঠিক আছে তো! ড্রাইভারটাও ফোন ধরে না। হঠাৎই….

চলবে…

কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে