মাধবীলজে_এক_সন্ধ্যায়

0
1025

মাধবীলজে_এক_সন্ধ্যায়

শহরের শেষ মাথায় একটা সাদা বাড়ি আছে, মাধবী লজ। ঠিক শেষ মাথায় না, আরো কিছুটা দূরে।

জায়গাটা ছবির মতো সুন্দর। মানুষ বিকেলে ঘুরতে যায় ওইদিকে। বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে নদী পর্যন্ত যাওয়া যায়। আবার সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসে।

তো যা বলছিলাম, কলিগদের কাছে শুনেছি, ওই বাড়িতে থাকেন শ্রীমতী মাধবীলতা দেবী আর তার বিশ্বস্ত এক ভৃত্য।
মাধবীলতা দেবী বেশ বয়স্ক। তার স্বামী নাকি বিলেতে গিয়েছিলেন রিসার্চ করতে, পরে সেখানেই দেহত্যাগ করেন।
মাধবীলতা দেবী সব সময় সাদা ছাপা শাড়ি, ফুলহাতা ব্লাউজ দিয়ে পরেন। বাড়ির দোতলার ঝুল বারান্দায় তিনি দাড়ান মাঝে মাঝে।
তবে এ বাড়িতে সাধারণ মানুষের কোন আসা যাওয়া নেই। সচারাচর কেউ আসে না এ বাড়িতে।
একসময় নাকি এ বাড়িতে জমজমাট চায়ের আড্ডা জমতো।

বিকেলে ওদিকে ঘুরতে গেলে দেখা যায়, মাধবীলতা দেবী শূন্যে তাকিয়ে আছেন।

বাড়িটার প্রতি আমার একটা অদ্ভুত আগ্রহ তৈরি হয়। লেখালেখির প্রয়োজনে আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি বার বার। রহস্যময় পরিবেশ থেকে গল্প নিয়ে এসেছি।
বাড়িটা দেখেই আমার মনে হলো, এ বাড়ির প্রতি ইন্চিতে গল্প লুকিয়ে আছে৷ তাকে শুধু বের করে আনার অপেক্ষা।

এই শহরে আমি একেবারেই নতুন। স্থানীয় শ্রী মোহিনী মোহন মহাবিদ্যালয়ে রাজনীতির প্রভাষক হিসেবে জয়েন করেছি অল্পকিছু দিন হলো।
কলেজের কম্পাউন্ডে শিক্ষকদের থাকার জন্য করা বাংলোতে উঠেছি।
এখনো ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারিনি।

সংগত কারণে শহরটির নাম উল্লেখ করছি না। জেলা শহরের কাছকাছি হওয়ায় নাগরিক জীবনের সমস্ত সুযোগ সুবিধাই এ শহরে বিদ্যমান।
শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে শহরটি বেশ এগিয়ে।
লাল ইটের বিশাল শিল্পকলা ভবনটি দেখলেই বোঝা যায়।

কলেজে আমার এখনো ভাল করে ক্লাশ নেয়া হয়নি।
নতুন শিক্ষা বর্ষে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হলে হয়তো আমার ক্লাশ রেগুলার শুরু হবে।
এখন প্রতিদিন কলেজের বিভিন্ন বিভাগ গুলো ঘুরে দেখি, সহকর্মীদের সাথে আলাপ পরিচয় করি।
কলেজের বিভিন্ন বিভাগ শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণে বেশ সমৃদ্ধ ।
দুপুরের মধ্যেই আমার কলেজের কাজ শেষ হয়ে যায়। তারপরের সময়টা আমার কিছু করার থাকে না।
তো প্রতিদিন বিকেলেই আমি শহরে হাটতে বের হই।
এখন বৃষ্টির সময়, প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি থাকে।
আমি বর্ষাতি গায়ে জড়িয়েই বের হই প্রতিদিন।

তো যা বলছিলাম, একদিন বিকেলে, সাদা বাড়িটির সামনে দিয়ে হাঁটছিলাম। এখন বর্ষাকাল বলে বেশ ঠান্ডা হাওয়া ভেসে আসে নদীর সাইড থেকে । গায়ে রেইনকোট জড়িয়ে আমি সামনে এগুচ্ছিলাম। কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে বলে পথ ঘাট ভেজা ছিল। লম্বা লম্বা কয়েকটা গাছ দেখে চিনতে পারলাম না ঠিক। অচেনা গাছ গুলোর কালো ভেজা শরীর দেখে মনে হলো যেন এইমাত্র নদী থেকে স্নান সেরে উঠল। পাতা গুলো ভিজে চকচক করছে।এই গাছগুলো অনেকটা দেবদারু গাছের মতো দেখতে।

মাধবীলজের সামনে এসে দেখলাম, মাধবীলতা দেবী দাড়িয়ে আছেন বারান্দায়। আমি ভাল করে খেয়াল করতে লাগলাম, মাধবীলতা দেবীর বয়স পয়তাল্লিশ থেকে পন্চাশ হতে পারে, কিংবা আরো বেশি। সাদা ছাপা শাড়ি, ফুল হাতা ব্লাউজ দিয়ে পরেছেন, সব সময়ের মতো। আজ সাদা মোটা স্কার্ফে চুলগুলো ঢেকে রেখেছেন।

আমি বেশ অনেকটা সময় তাকিয়ে ছিলাম বলে আমার সাথে শ্রীমতি মাধবী দেবীর চোখাচোখি হলো।
তিনি মিষ্টি করে হাসলেন। উত্তরে আমিও হাসলাম।আমি মাধবী লজ ক্রস করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ।
পিছন থেকে আমাকে কেউ ডাকলো, মহাশয়, একটু দাড়ান।
আমি পিছন ফিরে দেখলাম বাড়িটা থেকে একজন লম্বা মতো ব্যক্তি বের হয়েছে।
আমাকে ডাকছেন।
প্রায় ছয়ফুট লম্বা, চোখগুলো ছোট ছোট, চোখের দিকে তাকিয়ে আমি কিছুই আন্দাজ করতে পারলাম না।
আমাকে ডেকে বললেন, আজ সন্ধ্যায় মাধবী লজে চা চক্রের আয়োজন আছে। শহরের গন্যমান্য সব ব্যক্তি, শিক্ষক, ডাক্তাররা সবাই আসবেন। আপনি সেখানে নিমন্ত্রিত।

আমি খুবই আনন্দিত বোধ করলাম।কত দিনের ইচ্ছে মাধবী লজের ভিতরে ঢুকে একটু ঘুরে দেখবো।

লম্বা লোকটি আমাকে জানালো, সন্ধ্যার পরপরই সবাই এসে পরবে। অগত্যা আমি বেশি দেরী না করে বাংলোতে ফিরে গেলাম।
বাবুর্চিকে বললাম স্নানের জন্য গরম জল দিতে।
গরম জলে স্নান সেরে, গায়ে বর্ষাতি জড়িয়ে, পায়ে পাম্প শু পরে, রওনা হলাম মাধবী লজে।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ। দিনের বেলায় এখানে বেশ লোকজন চলাচল করলেও সন্ধ্যার পরে পথ ঘাট বেশ নিরিবিলিই মনে হলো।

মাধবী লজ এর বাইরে থেকে দেখে বোঝা গেল না ভিতরে কেউ আছে কিনা।
আমি দেখলাম গেট বন্ধ আছে। কলিংবেল নেই।
দু বার নক করতেই গেট খুলে গেল কিন্তু ভেতরে কাউকে দেখলাম না।
আঙিনা পেরিয়ে একটা লম্বা করিডোর। তারপরেই ড্রয়িং রুম। করিডোরে কোন আলো নেই।
একটু ভয় ভয় লাগছিল। আমি উঁচু দরজাটা ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম এবং দরজা ঠেলে ভিতরে যেতেই অন্য রূপ।চারপাশ আলোয় ঝলমল করছে, বেশ উঁচু ছাদ বেয়ে নেমে এসেছে কয়েকটা ঝাড়বাতি।

চার পাশে বেশ কিছু লোকজন নিজেরা গল্প করছে, চায়ের পেয়ালা হাতে।
মাধবীলতা দেবীকে এমনিতে দূর থেকে বয়স্ক মনে হলেও এখন বেশি বয়স্ক লাগছে না।
অফহোয়াইট মসলিনের শাড়িতে খুবই অভিজাত দেখতে লাগছে।
দেখলাম তিনি চা পরিবেশন করছেন ধবধবে সাদা পেয়ালায়।
আমাকে দেখে হাসলেন তিনি। সেই লম্বা লোকটিকে কোথাও দেখলাম না।
মাধবীলতা দেবী আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন দুয়েক জনের সাথে, ইনি মোহিনী মোহন কলেজের নতুন প্রভাষক ! আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি আমাকে চেনেন?? তিনি উত্তর না দিয়ে আবারও হাসলেন।

একজন লম্বা মতো, গৌর বর্ণের, সুঠাম দেহের অধিকারী ব্যক্তি আমাকে বললেন, আমি কর্ণেল আজাদ, অবশ্য এখন অবসরপ্রাপ্ত, সব দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়েছি অনেকদিন হলো। আমি জানালাম, আলাপ হয়ে ভাল লাগলো।

একজন ইংলিশ ক্যাপ মাথায় দেয়া ভদ্রলোক নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, তিনি ডক্টর গোমজ! এখানকার চিকিৎসক ছিলেন। এখন অবসরে আছেন। তবে আমার কোন ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হলে তিনি করতে পারেন।

এখানকার বেশিরভাগ অতিথিই রিটায়ার্ড পার্সন মনে হলো।

তবে আরো দুজন ইয়াং আর্মি অফিসার, ক্যাপ্টেন শাহেদ এবং ল্যাফটন্যান্ট তাওসিফ এর সাথে পরিচয় হলো।

টেবিলের কর্নারে বসে চা খাচ্ছিলেন কালো কোর্ট পরা একজন ভদ্রলোক। কথায় কথায় শুনলাম, তিনি জেলা সদর কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ছিলেন।
তবে প্রাকটিস ছেড়েছেন বেশ কয়েক বছর হলো।

একজন ব্যক্তি ইজি চেয়ারে আধশোয়া হয়ে পেপার পড়ছিলেন। মাধবীলতা দেবীকে তিনি ডেকে ব্লাক কফি দিতে বললেন!

মাধবীলতা দেবী ডক্টর গোমজ এর সাথে গল্প করছিলেন। উঠে গিয়ে বেয়ারাকে ব্লাক কফি দিতে বলে এলেন।
ডক্টর হাসলেন, বললেন, দেখেছো, শ্রীমান অশ্বিনী মহোদয় এখনো আমাকে হিংসা করে। তোমাকে আমার সাথে গল্প করতে দেখেই ডেকে নিয়ে গেল।

আমার একটু কানে লাগলো! শুনেছিলাম, অশ্বিনী বাবু, মাধবীলতা দেবীর স্বামী ফিরে আসেননি বিলেত থেকে। তাহলে ইনি কে!!

আমি এককাপ কফি নিলাম। এই ঠান্ডায় কফিই ভাল। ফায়ারপ্লেসের পাশে দাড়িয়ে কফি খাচ্ছিলাম।
বাইরে হু হু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে।

একজন প্রফেসরকে নিয়ে এলেন মাধবীলতা দেবী। আলাপ করিয়ে দিলেন, ইনি প্রফেসর দেবদুলাল লাহিড়ী, প্রাক্তণ অধ্যাপক।

নামটা পরিচিত মনে হলো। কোথায় যেন শুনেছি।
আমার বিষয় জিজ্ঞেস করে তিনি জানলেন, আমি রাজনীতির শিক্ষক।
তিনি বললেন, আমার সাবজেক্ট ইতিহাস। কলেজে বিভাগীয় প্রধান ছিলাম।
আমার তখনই মনে হলো, ইতিহাস বিভাগে প্রফেসর দেবদুলাল লাহিড়ীর ছবি দেখেছি।
কিন্তু যতদূর শুনেছি তিনি তো………..
মিলাতে পারলাম না!
প্রফেসর লাহিড়ী বললেন, কোথায় উঠেছেন আপনি?
কলেজ লাগোয়া বাংলোতে??
বললাম, জি, আপাতত ওখানেই আছি। পরে শহরে বাসা খুজে উঠে যাবো।
আরো কিছু কথা হলো প্রফেসরের সাথে।
ইতিহাসের প্রফেসর হলেও রাজনীতি সম্পর্কে তার জ্ঞান বেশ টনটনে।
তবে তিনি সাম্প্রতিক রাজনীতি বলতে কথা বলছিলেন আশির দশকের শেষ দিকের রাজনীতি নিয়ে।
বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের বিষয়ে তিনি যেভাবে কথা বললেন, মনে হলো ভাঙনটা অবশ্যম্ভাবী, সেটা তিনি ভালোই জানতেন!

কথা কথায় রাত বাড়ছিল।
এমন সময় বাইরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলো।
বৃষ্টি তো ছিলোই, দমকা বাতাসও শুরু হলো।
প্রফেসর বললেন, এই আবহাওয়ায় শহরে ফেরা কঠিন হবে! আজ মাধবীলজেই থেকে যেতে হয় কিনা কে জানে!

এ সময় জোড়ে বাজ পড়লো।
সাথে সাথে ইলেকট্রিসিটিও চলে গেল।
হুট করে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়া সব কেমন চুপচাপ হয়ে গেল।
আমি ভাবছিলাম এমন জলসায় কেন আলোর ব্যবস্থা নেই।
বাইরে ঝড়বৃষ্টি বাড়ছে। খুব কাছাকাছি কোথাও এত জোরে বাজ পড়লো যে আমার মনে হলো আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি।

তারপর আর কিছু মনে নেই।

যখন জ্ঞান ফিরলো, তখন আমি আমার বাংলোর বিছানায় শোয়া।
আমার মাথার কাছো বাংলোর বুড়ো কেয়ারটেকার বসে আছে।
তার কাছে শুনলাম, আমি গতরাতে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে শহরের শেষ দিকে রাস্তার পাশে পরে ছিলাম। দুজন পথচারী আমাকে পরে থাকতে দেখে বাংলোতে পৌছে দেয়। পকেটে কলেজের আইডি কার্ড দেখে তারা এখানে নিয়ে এসেছে।
রাতে ডক্টর ও এসেছিল।
তেমন সমস্যা নেই দেখে রেস্ট নেয়ার জন্য ইনজেকশন পুশ করে ঘুম পড়িয়ে দিয়ে গিয়েছেন।

আমি বললাম, সেটা কিভাবে সম্ভব। আমি তো মাধবী লজে চা চক্রের নিমন্ত্রনে ছিলাম। দুপুরে বাংলোতে ফিরে বাবুর্চির করে দেওয়া গরম জলে স্নান সেরে রেডি হয়ে বের হয়েছিলাম।
পথের পাশে কিভাবে গেলাম!
সেখানে ডক্টর গোমজ, কর্নেল আজাদ, প্রফেসর দেবদুলাল লাহিড়ী, এডভোকেট সাহেব, আর্মি জুনিয়র অফিসারদের সাথে আলাপ হলো!

বাবুর্চি আমার পাশেই ছিলেন, তিনি বললেন, সে কি স্যার, আপনি তো কাল দুপুরে যে বের হলেন, তারপর আর বাংলোতে ফেরেন নি!
আমি তো আপনার অপেক্ষা করে করে সন্ধ্যার পরে ঘরে চলে যাই। আপনি এলেনই বা কখন আর আমি গরম জলই বা করে দিলাম কখন!

আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
ওরা আমার ভেজা পোশাক বদলে দিয়েছিল।
বারান্দায় তাকিয়ে দেখলাম, আমার ভেজা পোশাক গতকাল সকালে পরিহিত সবুজ শার্ট আর কালো প্যান্ট ঝুলছে।

বাংলোর কেয়ার টেকার আমাকে বললো, স্যার আপনি স্বপ্ন দেখেছেন সম্ভবত!
তাছাড়া যাদের কথা বলছেন , সবাই এই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন একসময়, কিন্তু এখন আর তার কেউ জীবিত নেই। বছর বিশেক আগেই মারা গিয়েছেন সবই।
তবে এরা সবাই মাধবী লজের নিয়মিত অতিথি ছিলেন।অশ্বিনী বাবু ছিলেন গবেষক। তিনি সবাইকে চায়ের নিমন্ত্রণে ডাকতেন।
তিনি মারা যান বিলেতে বসে।
তার মৃত্যুর পর এমন আড্ডা আর হয়নি ওখানে।
যাদের কথা বললেন, সবাই একে একে মারা গিয়েছেন।
ডক্টর গোমজ, প্রফেসর, এডভোকেট একে একে সবাই স্বাভাবিক ভাবেই মারা গিয়েছেন।
আর্মি জুনিয়র অফিসার দুজনও মারা গিয়েছে, শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে।
এই শহরের সবাই মান্যগন্য ব্যক্তিদের এই চা চক্রের কথা জানত সে সময়ে।

আমি কিছুক্ষন নির্বাক হয়ে রইলাম….. কিছুই বলতে পারলাম না।
শুধু জানতে চাইলাম, মাধবীলতা দেবী কোথায় থাকেন
এখন??

কেয়ারটেকার উত্তর দিলো, সেটাই তো আশ্চর্যজনক বিষয়, মাধবীলতা দেবী ও বাড়িতেই ছিলেন এতদিন।
তিনি গতকাল রাতে বার্ধক্যজনিত কারনে দেহত্যাগ করেছেন!

আমি কিছুসময় চুপ করে বসে রইলাম।
তবে কি শেষ সময়ে মাধবীলতা দেবী আর একবার চা চক্রের আয়োজন করেছিলেন??
নাকি চলে যাওয়া অতিথিরা তাকে শেষবারের জন্য নিতে এসেছিলেন!

কিছু প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পাওয়া যায় না, অজানাই থেকে যায়।

#লেখা শানজানা আলম

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???
https://www.facebook.com/shanjana.alam

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে