মন পায়রা পর্ব-০২

0
805

#মন পায়রা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০২

‘পায়রা এসময় বাগানে কি করছিস? তোর তো ভার্সিটিতে থাকার কথা ছিল।’

আবরার হেসে কথাটা বলে পায়রার সামনে এসে দাঁড়াল।পায়রা আর আবরার খালাতো ভাই-বোন দু’জনের বাড়ি পাশাপাশি। পায়রাদের বাড়িটা তার দাদা তৈরি করে গেছে সেই সূত্রেই এখানে থাকে তার বাবা আর চাচার অনেক মিল তাই এখনও একসঙ্গে একটা পরিবার হয়ে এখনও থাকতে পারছে। পায়রার মা আসমা বেগম এবং আবরারের মা আতিফা বেগম আপন দুই বোন তাদের মনের মিলও অনেক তাই বড় বোন আতিফা বেগম স্বামীকে বাধ্য করে বোনের বাড়ির পাশে জায়গা কিনে বাড়ি করেছে যাতে প্রতিদিন দেখা সাক্ষাৎ হয়। দু’টো পরিবার এক হয়ে গেছে যখন ইচ্ছে হয় পায়রা ওদের বাড়িতে যায় আবরারও এ বাড়িতে আসে। আবরারের একটা ছোট বোন আছে নাম অশমি যার সঙ্গে পায়রার গলায় গলায় ভাব দু’জনে একসঙ্গে পড়াশোনা করে এক ইয়ারে।

পায়রার কোনো উত্তর না পেয়ে আবরার আবারো জিজ্ঞেস করল,
– কি হলো পায়রা কিছু বলছিস না যে।

আবরারকে দেখেই পায়রার মনে পড়ে গেছে ইফাতের করা ব্যবহারের কথা, মূলত আবরারের সাথে কথা বলার কারণেই ইফাতের হাতে থাপ্পড় খেতে হয়েছে ভেবেই রাগ হচ্ছে। পায়রা দৃষ্টি অন্য দিকে স্থির করে,
– ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে তাই যেতে পারিনি।

– ঘুম কাতর মেয়ে।

– কি জন্য এসেছিলে?

– কেন তোদের বাড়ি আসতে পারি না?

– পারবে না কেন? আমি ভেবেছিলাম হয়তো কোনো দরকার ছিল আমার জন্য যদি সময় নষ্ট হয়।

– তোর জন্য সময় নষ্ট হবে কেন এমনিতেই তোদের দেখতে এসেছিলাম।

– তুমি থাকো তাহলে ভাইয়াআআ আমার কাজ আছে গেলাম।

– পায়রা শোন…

পায়রা শুনেও না শুনার ভান করে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেল। আবরার অনেক আগে থেকেই পায়রাকে পছন্দ করে কিন্তু কখনও বলতে পারেনি ভয়ে যদি পায়রা ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় কিংবা বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দেয়। পায়রা যতটা পারে আবরারকে এড়িয়ে চলে আর রাগানোর জন্য কথায় কথায় ভাইয়া বলে ডাকে কিন্তু ইফাতের কারণে এখন একটু বেশি ইগনোর করে।

ইফাত অফিসে এসেছে কিন্তু কোনো কাজেই মন বসছে না বারবার পায়রার কথা মনে পড়ছে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে পায়রা যদি ভার্সিটিতে আসত তাহলে এতক্ষণে নিজের ইচ্ছেটা পূরণ করে ফেলত ইফাত। কিন্তু পায়রা আজ ভার্সিটিতে আসেনি সাবিহার কাছ থেকে জেনেছে যার কারণে মনের ইচ্ছেটা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এনায়েত মির্জা অফিসে আসেন তবে নামমাত্র আসেন কারণ বড় ছেলে ইফাতকে বিজনেসের দায়িত্ব দিয়ে তিনি শান্তিতে আছেন কাজের কোনো ঝামেলা নেই।ইনানের পড়াশোনা এখনও শেষ হয়নি বিবিএ ফাইনালে পড়ছে যার কারণে বিজনেসের দিকে সে পা বাড়ায়নি অনেকবার বলা হয়েছিল পড়াশোনার পাশাপাশি বিজনেস দেখতে কিন্তু ইনান এতটা অলস নিজের কাজটাও ভাইয়ের উপর চাপিয়ে দিয়ে ফ্রেশ মুডে আছে।

অনেক চেষ্টার পরেও ইফাত কোনো কিছুতে মন দিতে পারছে না। সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল।আজ আর কোলাহল পূর্ণ রাস্তা দিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে না তাই গাড়ি ঘুরিয়ে শুনশান রাস্তা দিয়ে যাওয়া শুরু করল। কিছুক্ষণ ধরে খেয়াল করছে একটা গাড়ি তার পিছু নিয়েছে আরেকটু সিওর হওয়ার জন্য ইফাত আরেকটা রাস্তা ধরল পিছনের গাড়িটাও পেছনে পেছনে আসছে এবার যা বুঝার বুঝে গেছে ইফাত।

ইফাতগাড়ির স্পিড কমিয়ে দিতেই পেছনের গাড়িটা এবার সামনে এসে ইফাতের গাড়ি আটকে দিল।ইফাতের হাসি পাচ্ছে সিটের নিচ থেকে রিভলবার বের করে পকেটে ঢুকিয়ে বেরিয়ে গেল। অপর গাড়ি থেকে কালো কাপড় দিয়ে চেহারা লুকানো চারটে লোক বের হয়ে আসলো সবার হাতে হকি খেলার স্টিক।ইফাত বুঝে গেছে লোকগুলো তাকেই মারতে এসেছে তাই রিভলবারটা আর বের করল না।

চারটে লোক ইফাতের চারপাশে রাউন্ড দিয়ে ঘুরছে।ইফাত দুই হাত ভাঁজ করে ভাব নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে,
– আমাকে মা’রার জন্য এসেছিস?

– হুম তবে পুরোপুরি মা’রার জন্য নয় শুধু হাত দু’টো ভেঙে দিতে এসেছি।

– ওহ রিয়েলি! তাহলে এভাবে ঘুরে সময় নষ্ট করছিস কেন? মা’র আমায়।

লোকগুলো একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে একটা লোক এগিয়ে এসে স্টিক দিয়ে মা’রতে যায় তখনি ইফাত লোকটির হাত ধরে পায়ে লাথি মারে সাথে সাথে লোকটি নিচে পরে গেল।ইফাত লোকটির হাত থেকে স্টিক নিয়ে বাকি গুলোকে ইচ্ছে মতো পিটিয়েছে লোকগুলো এখন মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

ছোটবেলায় বক্সিং অনেক প্রিয় ছিল ইফাতের। শখের বশে বক্সিং শিখেছিল তার প্রিয় বক্সার মোহাম্মদ আলী,জো লুইস। মূলত তাদের দেখেই বক্সিং এর প্রতি ভালোবাসা তবে প্রেকটিস করে না অনেকদিন হয়েছে এদের জন্য আজ কিছুটা হলেও প্রেকটিস হয়ে গেছে।

নিজের এসিস্ট্যান্ট আরাফকে ফোন দিয়ে সব ডিটেইলস বলে এদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুনরায় গাড়িতে উঠে চলে গেল ইফাত।
_______________

সারাদিন বাইরে ঘুরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েও ইফাতের মন খারাপ ভালো হয়নি।মন ভালো করার উপায় জেনেও কাজে লাগাতে পারছে না।বাড়ি ফিরে বেশ কিছুক্ষণ থম মেরে বসে ছিল তারপর সে অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলো পায়রার সঙ্গে দেখা করবে। যেই ভাবা সেই কাজ গাড়ির চাবি নিয়ে মায়ের চোখের আড়ালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল ইফাত। এখন ইতি বেগমের চোখের সামনে পড়লেই হাজারটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত কিন্তু ইফাত এখন এসব চায় না তাই লুকিয়ে বের হলো।

পায়রা রাতের খাবার খেয়ে ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে দিল। ঘরের লাইট নিভিয়ে ডিম লাইট জ্বালিয়ে মোবাইল নিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে মোবাইল টিপা শুরু করল।

গলির মোড়ে গাড়িটা রেখে পায়রার বেলকোনির নিচে দাঁড়িয়ে আছে ইফাত। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে,’এভাবে কি পায়রার সঙ্গে দেখা করা উচিত হবে এমনিতেই তো আমায় সহ্য করতে পারে না যদি চেঁচায়? সবাই জানলে কি লজ্জা মুখ কাউকে দেখাতে পারবো না।’

কিন্তু পরক্ষনেই মনে সাহস জুগিয়ে,’ছিহ ইফাত তুই কিনা ভয় পাচ্ছিস! যা হওয়ার হোক পায়রাকে দু’চোখ ভরে দেখে তারপরেই যাবো।’

বেলকোনির পাশ দিয়ে একটা পাইপ গেছে ইফাত দোয়া দরুদ পাঠ করে পাইপ বেয়ে উপরে উঠে এলো। বেলকোনির দরজা খোলা আছে গরমের দিন চলছে গরমের দিনে সবসময় পায়রার বেলকোনির দরজা খোলা থাকে।ইফাত দরজা দিয়ে ঘরে উঁকি দিতেই থমকে গেল, ঘর অন্ধকার কিন্তু বিছানায় এক টুকরো আলো জ্বলছে সেই আলোতে পায়রার মায়াবী মুখটা দেখা যাচ্ছে। ইফাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে বুঝতে সক্ষম হলো এটা মোবাইলের আলো আর তার পায়রা মোবাইল টিপছে।

ইফাত ধীরে ধীরে শব্দ না করে পায়রার পাশে গিয়ে বসে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। এই অন্ধকারে পায়রার অস্বস্তি লাগছে মনে হচ্ছে কেউ তাকে একদৃষ্টিতে দেখছে।

আমাদের সবার ভেতরে এক অদৃশ্য তৃতীয় নয়ন আছে যার মাধ্যমে অদৃশ্য সবকিছু অনুভব করতে পারি বুঝতে পারি।পায়রা মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে সামনে তাকাতেই ভয় পেয়ে গেছে জোরে চিৎকার দেওয়ার জন্য মুখ খুলতেই ইফাত বুঝে পায়রার মুখ চেপে ধরে,

– হুশ কোনো শব্দ শুনতে চাই না।

বলেই পায়রার মুখ ছেড়ে দিলো।পায়রা বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলে ঘরের লাইট জ্বালিয়ে,
– আপনি এখানে! এত রাতে মতলব তো ভালো ঠেকছে না।

– তোমাকে দেখতে ইচ্ছে হল তাই চলে আসলাম।

– দেখতে ইচ্ছে হলেই চলে আসতে হবে দাড়োয়ান যদি দেখে ফেলত কিংবা আশেপাশের মানুষ?

– এই রাতে আমাকে দেখার জন্য কেউ বসে নেই নিশ্চিন্তে থাকো।

– কিন্তু উপরে উঠলেন কিভাবে?

– তোমার বারান্দার পাশে একটা পাইপ দেখলাম ওইটা বেয়েই উঠে এসেছি।

– হায় আল্লাহ।ওইটা তো টয়লেটের পাইপ ছিহ আপনি টয়লেটের পাইপ বেয়ে ওয়াক।

ইফাত চোখ বড় করে,
– কিহহ! টয়লেটের পাইপ!

– হুম।

– শেষ পর্যন্ত তোমার জন্য টয়লেটের পাইপ বাইতে হলো।

হঠাৎ করে পায়রা হেসে দিলো ইফাত ব্রু উঁচিয়ে তাকিয়ে আছে।পায়রা হাসি থামিয়ে,
– এখন আমি জোরে জোরে চিৎকার করবো সবাইকে বলে দিব আপনি আমার সঙ্গে…..

বলেই আবারো হেসে দিলো।ইফাত বাঁকা হেসে,
– তা তুমি করতেই পারো কিন্তু ভেবে দেখেছ কি এতে তোমার সম্মান নষ্ট হবে মানুষ আজেবাজে কথা বলবে আমিও সবাইকে বলবো পায়রা আমাকে ডেকেছে তখন সবাই কি করবে বলো তো?

– কি করবে?

– বোকা মেয়ে সবাই মিলে আমাদের বিয়ে দিয়ে দিবে আর তারপর তোমাকে নিয়ে আমার বাড়িতে চলে যাব তোমাকে দেখার জন্য আর কষ্টই করতে হবে না।

পায়রার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল।ভিত কন্ঠে,
– আপনি সত্যিই একটা খারাপ লোক।

– হুম শুধু তোমার কাছে। আমি কি ডাকবো সবাইকে? দাঁড়াও ডাকছি।

ইফাত দরজার কাছে চলে গেল পায়রা ভয় পেয়ে দ্রুত গিয়ে ইফাতের হাত নিজের সর্বশক্তি দিয়ে টান দিতেই ইফাত পায়রাকে নিয়ে বিছানায় পড়ে গেল।ইফাত পায়রাকে ভয় দেখানোর জন্য দরজার কাছে গিয়েছিল হঠাৎ টান দেওয়ায় বেগ না পেয়ে পরে গেছে। পায়রার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই ইফাতের ঠোঁটে আঙুল রেখে,

– আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি সত্যি সত্যি সবাইকে জানাতে যাচ্ছিলেন।

– আমি কি তোমার মতো বোকা নাকি আমি তো মজা করছিলাম।

– আগে বলবেন না আরেকটু হলেই আমি জ্ঞান হারাতাম।

– এবার তুমি যদি আমার উপর থেকে না উঠো তাহলে আমি জ্ঞান হারাবো পায়রা।

পায়রার এবার হুস ফিরল নিজেকে ইফাতের উপরে দেখে খুব লজ্জা হচ্ছে দ্রুত ইফাতের উপর থেকে উঠে,
– আমি বুঝতে পারিনি।

– সমস্যা নেই এই সুন্দর মুহূর্তটা আমার ভালোই লেগেছে।

পায়রা দাঁত কিড়মিড়ে তাকিয়ে,
– দেখা শেষ এবার এখান থেকে যেতে পারেন।

– তুমি কেন যে আমায় সহ্য করতে পারো না এটাই বুঝি না সেই তো একদিন ইফাতের প্রেমেই পড়বে তারপরেও এত কষ্ট দিচ্ছো।

পায়রা চোখ পাকিয়ে,
– বাড়তি কথা পছন্দ নয় আপনি যেতে পারেন।

– আচ্ছা বাই ভালো থেকো।

ইফাত পায়রার দিকে একবার তাকিয়ে তারপর বেলকোনির দিকে চলে যাচ্ছে।ইফাতের হাতের ব্যান্ডেজ পায়রার চোখে পড়েছে এতে মনে মনে অনেক খুশি লাগছে আবার ইফাতের জন্য একটু মায়া হচ্ছে। ইফাত বেলকোনি থেকে ঘরে উঁকি দিয়ে,

– তোমার পাঠানো ওইসব পাতি গুন্ডা আমার কিছুই করতে পারেনি বরং নিজেরাই হাসপাতালে শুয়ে আছে আর এই হাত আমি নিজেই কেটেছি কারণ তোমার গায়ে হাত তুলেছিলাম এই হাত দিয়ে।

পায়রা করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ইফাত মৃদু হেসে,
– চিন্তা নেই এজন্য তোমাকে শাস্তি দিব না তুমি যদি নিজ হাতে আমাকে মে’রেও ফেল কোনো অভিযোগ থাকবে না আমি হাসি মুখে বরণ করে নিব কিন্তু আমার চোখের সামনে অন্য কারো সঙ্গে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না খুব কষ্ট হয়।

ইফাত যেভাবে উঠেছিল সেভাবেই নেমে চলে গেল।পায়রা স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজ প্রথম সে ইফাতের ঠোঁটে হাসি দেখেছে। সবসময় ইফাত মুখটা গম্ভীর করে পায়রার সঙ্গে কথা বলেছে। পায়রা আনমনে বলল,

– উনার হাসিটা অনেক সুন্দর কিন্তু উনি আমাকে এতটা ভালোবাসে?
______________
‘এত রাতে কোত্থেকে ফেরা হয়েছে?কোন মেয়ে তোকে জাদু করেছে বলতো? নাহলে আমার এই শান্তশিষ্ট ছেলে সুইসাইড করতে গেল আবার আজ লুকিয়ে বাড়ি থেকে বের হলো আর এত রাতে বাড়িতে ফিরল।’

– উফ মা কতবার বলবো আমি সুইসাইড করতে যাইনি আর তুমি জেগে আছো কেন? তোমার হাই প্রেশার আছে।

– এত বড় ছেলে যদি হঠাৎ করে পাল্টে যায় তাহলে মা হয়ে আমার তো রাত জাগতেই হবে। এবার বল ওই মেয়েটা কে?

– কোন মেয়ে?

– যার জন্য পাল্টে গেছিস।

– কোনো মেয়ে নেই।
পেছন থেকে ইনান এসে,

– তাহলে তুই পলাশ আঙ্কেলের মেয়ে পায়রার পেছনে ঘুরঘুর করিস কেন ভাইয়া?
ইতি বেগম চোখ বড় বড় করে,

– ইফু তুই মেয়েদের পেছনে ঘুরিস?এই দিনও দেখতে হলো আমাকে!

এতক্ষণ কিছু একটা বলে মা’কে সামলালেও এখন সামলানো খুব কঠিন ব্যাপার ইফাত ক্ষিপ্ত চোখে ইনানের দিকে তাকিয়ে আছে দেখে মনে হচ্ছে ইনানকে ভৎস করে দিবে।ইনান শুকনো ঢুক গিলে জোর করে হেসে,

– মা তোমাকে যে যা বলবে তাই বিশ্বাস করে নিবে? আমি তো মজা করলাম তোমার মনে হয় ভাইয়া এসব করতে পারে?
ইতি বেগম ইনানের কান টেনে,

– তোর মজা রাখ এমনিতেই আমি চিন্তায় ম’রে যাচ্ছি মনে হয় প্রেশারটা বেড়ে গেছে চেক আপ করাতে হবে।

ইতি বেগম চলে যেতেই ইফাত চোখ পাকিয়ে,
– মায়ের সামনে এসব বলতে গেলি কেন? তুই কি আমাকে ফলো করছিস!

– এখন আর করি না তবে আগে করেছিলাম সত্যি বলতে তোর সঙ্গে কিন্তু পায়রাকে বেশ মানাবে ভাইয়া।

– হুশ…..হুশ….

ইফাত ইনানকে এড়িয়ে ঘরে চলে গেল।ইনান মাথা চুলকিয়ে,
– আমি কি মুরগি নাকি হুশ হুশ করল কেন?

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে