বসের সাথে প্রেম পর্ব-২৪

0
4818

বসের সাথে প্রেম
পর্ব-২৪

লেখা- অনামিকা ইসলাম।

– কি বলছ মা? তুমি যাবে না মানে?!!!(বাবা)
– – – – – (মায়া)
_ সে কি মা? যাবি না কেন? ঘুরে আয় সিয়ামের সাথে, ভালো লাগবে….(মা)
__ মায়া মাথা নিচু করে চুপ হয়ে আছে। আর মনে মনে ভাবছে কি করে বলব তোমাদের? ও যে আমার সাথে না থাকার জন্য’ই অফিসে যাচ্ছে, ভালো থাকার জন্য একা থাকতে চাচ্ছে।আমি কেমন করে ওর সেই ভালো লাগা’টা নষ্ট করি!!!
_ কিরে সবাই যে এত করে বলছে, একটা কিছু তো বল….(সাইমা)
__ মায়া! তুমি যাও ভাইয়ার সাথে….(আবির)

__ মা বাবা!কালকে জার্নি করে আসছি তো, তাই আমার শরীর’টা একদম ভালো লাগছে না। আমি অন্যদিন যাব বাবা। আজকে আমার শরীর’টা খুব ক্লান্ত লাগছে….(মায়া)
__ ঠিক আছে মা। তোর আজকে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। তুই গিয়ে রেস্ট নে এখন। কাল সারাদিন তো অনেক ধকল গেছে তোর উপর দিয়ে। যা রুমে যা….(মা)

__ মা! আমার খুব জরুরী কাজ আছে। বাবা আমাকে এখন যেতে হবে। আমি আসছি….(সিয়াম)

সিয়াম চলে যায়।
মায়াসহ সবাই সেদিকে তাকিয়ে থাকে। সিয়াম রুম থেকে বাহির হয়ে গেলে সিয়ামের বাবা সাইমার দিকে তাকিয়ে বলে, যা তো মা! মেয়েটারে নিয়ে একটু রুমে যা….

সাইমা মায়াকে নিয়ে রুমে যায়। কথোপকথনের এক পর্যায়ে সাইমা মায়াকে জিজ্ঞেস করে, কিরে?!!! কেমন কাটল কালকের রাতটা????
__ ভালো….(মায়া)
__ শুধু’ই ভালো? এর বেশী কিছু না??(সাইমা)
– হুম, অনেক ভালো….(মায়া)

এই শুন না!
ভাইয়া তোকে কি দিয়েছিলরে?!!! I mean ফুলশয্যার রাত্রে তো বর বউকে কিছু না কিছু দেয়, রাতটাকে স্মরনীয় করে রাখে, তোকে কি দিয়েছেরে?!!!☺☺(সাইমা)
-………. (মায়া)
– কি হলো বল? কি দিয়েছে তোকে? (সাইমা)
_ ভালোবাসা! বুকভরা ভালোবাসা….(মায়া)
– শুধুই ভালোবাসা??
আর কিচ্ছু দেইনি?!!!??(সাইমা)
__ মায়া মাথা নাড়ায়….
সাইমা রাগী কন্ঠে বলে, ধ্যাত! আমার ভাই’টা কোনো কাজের’ই না….

আচ্ছা, শুন না!
_ এই মায়া…
কোথায় হারিয়ে গেলি শুন…

– হুম, বল….(মায়া)

– কে আগে কাছে এসেছিলরে?!!!???
তুই নাকি ভাইয়া?!!!!?
আর কিভাবে কাছে গিয়েছিলি একে অপরের?….??(সাইমা)

– জানি না….(মায়া)

– ওহ,বলবি না এই তো?!!!(সাইমা)

– যা তো এখান থেকে!
আমার ঘুম পাচ্ছে।(মায়া)

– তা তো পাবে’ই!
নাইট ডিউটি পালন করছিস না!!!??(সাইমা)

– সাইমাাাাাাাাাাাাাাাাা……(মায়া)

– আচ্ছা, ঠিক আছে রেস্ট নে। আর প্রস্তুতি নে রাত্রের জন্য….. (সাইমা)
__ সাইমা বেশী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু?!!! আর কিসব বলছিস এসব?(মায়া)

– ভুল তো কিছু বলিনি।
সময় এবং আবহাওয়া দুটো’ই ভালো….
তোদের’ই তো দিন এখন….☺☺(সাইমা)

– তুই যাইবি নাকি আমি বের হয়ে যাব….?!!!(মায়া)
__ ওকে, ওকে! যাচ্ছি….
তোর বের হতে হবে না………(সাইমা)

সাইমা চলে যায়।
সাইমা চলে গেলে মায়া বিছানার এপাশ-ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে পরে। ঘুম ভাঙ্গে দুপুরে সিয়ামের ডাকে। মায়া বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসে।

– কালকে বিয়ে হতে না হতে আজকেই রুম দখল করে ফেললে? (সিয়াম)

– মানে?(মায়া)

– বুঝতে পারছ না মানে কি? আরো ভালো করে বুঝিয়ে বলতে হবে?!!!(সিয়াম)

– মায়া হা করে সিয়ামের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। ও যেন বাকরুদ্ধ! কিছু’ই বলতে পারছে না হা করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া…..

– কি হলো?!!!
এভাবে হা করে তাকিয়ে আছ কেন? অনেক তো ঘুমাইছ। এবার তো যাও রুম থেকে। আর আমায় একটু রেস্ট নিতে দাও…..(সিয়াম)

~ যাচ্ছি….(মায়া)

মায়া চলে যায়।
রুম থেকে বের হয়ে দৌড়ে ছাদে চলে যায়…..
ওখানে গিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেয়….

টপটপ করে মায়ার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে নিচে পরছে।

– সিয়ামের কটু কথাগুলো মায়া নিতে পারেনি। সেদিন মায়া, খুব খুউব কষ্ট পেয়েছিল। পুরো দুপুর ছাদে বসে কান্না করে কাটিয়ে দেই মায়া। পড়ন্ত বিকেলে ছাদ থেকে নিচে নামে মায়া….
নিচে নেমে তো মায়া হতবাক।পুরো বাসার মানুষসহ কাজের লোক এক হয়ে গেছে। হয়রান হয়ে ওকে খুঁজছিল এতক্ষণ ধরে। অফিস, রাস্তা, পার্ক সব জায়গায় খুঁজেছে ওকে….
অথচ একটা বারের জন্য কেউ ছাদে যায় নি…..

সেদিনে রাত্রে সিয়ামের অনুপস্থিতিতে বালিশ আর কাঁথা নিয়ে মায়া রুম থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছিল, তখন’ই সিয়াম সামনে এসে দাঁড়ায়। মায়ার হাতের ঐ কাঁথা বালিশের দিকে তাকিয়ে বলে-
” কি প্রবলেম?”
মায়া মাথা নিচু করে জবাব দেয়, আমি মায়ের ঘরে শুইব….

সিয়াম মায়ার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে চেয়ে বলে,
মানুষকে হাসানোর জন্য এমন করতেছ, নাহ?!!!

– মানে?(মায়া)

– মানেটাও বলে দিতে হবে?!!!
এত রাত্রে কে বলেছে তোমায় কাঁথা বালিশ নিয়ে মায়ের রুমে যেতে?!!!(সিয়াম)

– আমি তো….(মায়া)

– ভিতরে যাও….(সিয়াম)
– আমি…(………)….(মায়া)
– ভিতরে যাও বলছি….(সিয়াম)

মায়া রুমে চলে যায়।
সিয়াম ওর দিকে তাকিয়ে বলে, আর যাতে কখনো এমন না হয়….
এ ঘরের খবর যাতে বাইরে না যায়। বাড়ির কেউ না জানে….মনে থাকবে তো?!!!(সিয়াম)

– হুম। (মায়া)
– বিছানার উপর থেকে বালিশ’টা নিয়ে সিয়াম ফ্লোরে রাখতে রাখতে বলে, এবার শুয়ে পর….
মায়া সিয়ামের দিকে তাকিয়ে বলে, একটা কথা বলতে চাই। অনুমতি দিবেন প্লিজ?!!!
সিয়াম নিচে তাকিয়েই মায়াকে কথা বলার অনুমতি দেয়….মায়া সিয়ামের দিকে তাকিয়ে বলে, আমি আসলে স্যরি ঐদিনের ব্যবহারের জন্য…..
আসলে আমি খুউব…..
মায়া পুরো কথা বলতে পারে নি। তার আগে’ই সিয়াম বলে উঠে, চুপ….
একদম চুপ………..
ঐদিনকে নিয়ে আর কোনো কথায় শুনতে চাই না। আর কখনো ঐদিনের কথা আমার সামনে বলবা না।।।

মায়া চুপ হয়ে যায়….
সিয়াম লাইট নিভিয়ে বলে, ঘুমিয়ে পড়……
সিয়াম শুয়ে পরে ফ্লোরে।
মায়া বিছানার এককোণে গুটিশুটি মেরে বসে আছে….

মাঝরাত্রে সিয়ামের ঘুম ভেঙে যায়। এপাশ-ওপাশ করেও ঘুম আসে নি সিয়ামের। আর তাই শোয়া থেকে উঠে বসে। অনেকক্ষণ চুপ করে বসে থাকে সিয়াম। তারপর বাইরে যাবে বলে রুমের লাইট’টা জ্বালিয়ে দেয়। রুমের লাইট জ্বালিয়ে সিয়াম তো পুরো অবাক। মায়া তখনও বিছানার এককোণে গুটিশুটি মেরে বসে দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।
সিয়াম আস্তে করে ডাক দেই মায়া—
মায়া লাফ দিয়ে উঠে চোখ মেলে তাকাই।
__ সেকি! তুমি ঘুমাওনি?(সিয়াম)
__ ঘুমাইছি তো…!!!(মায়া)
_ তাহলে একডাকেই লাফ দিয়া উঠলা যে?(সিয়াম)
– আমি এমন’ই… (মায়া)
~ তুমি এমন’ই নাকি তুমি ঘুমাওনি? আর তাছাড়া সদ্য ঘুম থেকে উঠা মানুষের কন্ঠ তো এমন না!(সিয়াম)
~………..(মায়া)
__ ঘুমাওনি কেন? সত্যি করে বলো….(সিয়াম)
– সত্যি করে বললে আপনি শুনবেন? শুনবেন আপনি আমার কথা?!!!(মায়া)
– হ্যাঁ, শুনব বলো….(সিয়াম)
_ Really?
আপনি শুনবেন আমার কথা? আমার জন্য আপনার সত্যি’ই সময় হবে…(মায়া)
__ এত বণিতা না করে বলে’ই ফেল না। আমার সময় নেই। ঘুমাতে হবে, ভোরে উঠতে হবে। বন্ধুর বাসায় পার্টির আয়োজন করছে ঐখানে যেতে হবে। আর তাছাড়া অফিসের কাজও আছে…(সিয়াম)
_ ওহ, ঘুমান তাহলে….(মায়া)
_ ওকে……(সিয়াম)

সিয়াম লাইট নিভিয়ে আবারো শুয়ে পরে। ক্ষাণিকবাদে’ই ঘুমিয়ে পরে।
মায়া তখনও দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে ছিল, আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল….

পরদিন ছিল সিয়াম-মায়ার বৌ’ভাত অনুষ্ঠান।
বৌ’ভাত অনুষ্ঠানেও সিয়াম উপস্থিত থাকে নি। ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সিয়াম বাসা ভর্তি মেহমানের সামনে থেকে দুপুরে চলে যায়।
অবশ্য বাবা, মা বলেছিল আজকের দিনের জন্য ডিল’টা ক্যানসেল করে দিতে। কিন্তু দেইনি। সিয়ামের কাছে তখন সবকিছুুর উদ্ধে ছিল ওর ব্যবসা…..

সিয়াম চলে যায়।
সিয়াম চলে যাওয়ার পর আঁচলে মুখ লুকিয়ে মায়া অনেক কেঁদেছে। রাত্রে অনেকক্ষণ সিয়ামের জন্য অপেক্ষা করেছে, কিন্তু সিয়াম আসেনি। রাত এগারো’টার দিকে সিয়াম বাসায় মায়ের কাছে ফোন দিয়ে বলে, জরুরী কাজে আটকে গেছে। ওর ফিরতে দেরী হবে। মাকে চিন্তা করতে বারণ করে বলে দেই ওনি যাতে ঘুমিয়ে পরেন। আরো বলে যে-
” ড্রাইভার সাথে’ই আছে। বাসায় পৌঁছতে অসুবিধা হবে না। মায়া তখন খাবার টেবিলে মাথা রেখে শুয়েছিল। ওর শাশুড়ি গিয়ে মাথায় হাত রাখতেই ও চমকে উঠে। ফিরে তাকিয়ে শাশুড়িকে দেখল।
__ মা! রাত অনেক হয়েছে। তুমি বরং ঘুমিয়ে পড়। সিয়াম ফোন দিয়েছিল, বলেছে ওর ফিরতে রাত হবে অনেক।(মা)
_ আপনি ঘুমান মা।
আমি ঠিক আছি। জেগে থাকতে পারব…(মায়া)
– মা, ও আসবে না আজকে। ও কোথাও না কোথাও রাতটা কাটিয়ে দেবে। তুমি শুয়ে পরো গিয়ে….(মা)
_ মায়া ওর শাশুড়ির মুখের দিকে তাকালো….
ওর শাশুড়ি আবারো বলল,
যাও মা….
শুয়ে পরো গিয়ে….
মায়া চলে যায় ড্রয়িংরুম থেকে….

ওখানে গিয়ে চুপ করে অনেকক্ষণ বসে ছিল মায়া,
তারপর হঠাৎ করে’ই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল।
ও ফ্লোরে বিছানা করা শুরু করে দেয়…
হ্যাঁ, আজকে মায়া নিচে ফ্লোরে’ই ঘুমোবে।
মায়া শুয়ে পরে ফ্লোরে…
শুয়ে অনেকক্ষণ বিছানার এপাশ-ওপাশ করেও ঘুম আসেনি ওর।
– মায়া আজ সেজেছিল।
সিয়ামের দেওয়া সেই নীল শাড়ি’টা পরেছিল, যা সিয়াম দু’বছর আগে ওর কাজে খুশি হয়ে ওকে দিয়েছিল। আর পরেছিল নূপুর;
যেটা দিয়েছিল একবছর আগে, সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে। পায়ে নূপুর আর গায়ে নীল রংয়ের শাড়ি জড়ানো ছাড়াও কপালে ছোট্ট টিপ আর চোখে কাজলরেখা টেনে দিয়েছিল মায়া….

মায়ার চোখ’টা যখন ঘুমে প্রায় লেগে আসে ঠিক তখনি সিয়াম দরজা ঠেলে হেলেদুলে রুমে ঢুকে। প্রথমে বিছানা তারপর মাটিতে তাকাতেই দেখে মায়া শুয়ে ঘুমিয়ে আছে মাটিতে। সিয়াম মাতাল দৃষ্টি নিয়ে’ই মায়ার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নেয়। মায়া তখন একপা দাঁড় করিয়ে আরেক পা বিছিয়ে শুয়েছিল। মায়ার শাড়ি পরায় অভ্যাস নাই, আর ও শাড়ি ঠিকও রাখতে পারে না। রাত্রে শাড়ি পরে শুইলে সকালে আর সেটাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আজ অবশ্য সেরকম কিছু হয়নি, তবে সম্পূর্ণ ঠিকও ছিল না। পায়ের গোড়ালি থেকে মায়ার পরনের শাড়ি অনেকটা উপরে উঠে যায়, আর বুকের কাপড় অনেকটা দুরে সরে যায়। সিয়াম মায়ার পায়ের নূপুর থেকে শুরু করে ওর মুখ পর্যন্ত তাকালো।
এমনিতে পার্টিতে আজকে একটু বেশী’ই ড্রিংক করে ফেলেছিল সে, তারউপর বউকে এই অবস্থায়…(….)….
সিয়াম হেলেদুলে রুমে প্রবেশ করে।তারপর মাতালের মত হেলেদুলে গিয়ে মায়ার পায়ের পাশে বসে পরে। তারপর__
তারপর মায়ার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার দেখে নিয়ে ঝাপিয়ে পরে ওর উপর….
মায়ার ঘুম ভেঙে যায়।
সিয়াম তখন ওর পা থেকে উপরের দিকে উঠছিল হাত বুলাতে বুলাতে….

– কি করছেন এসব?ভীরু কন্ঠে মায়া জিজ্ঞেস করে….

সিয়াম মাতাল কন্ঠে জবাব দেয়নি-
” আদর করছি, আমার বউকে ভালোবাসা দিচ্ছি…”

– ছাড়ুন, কেউ দেখবে তো..!!!(মায়া)

– দেখুক! আর আমি আমার বউকে আদর করছি, তাতে মানুষের কী?!!!
কথাটা বলে’ই সিয়াম মায়াকে ফ্লোর থেকে কোলে উঠিয়ে নেয়। মায়া বুঝতে পারে সিয়াম এখন সম্পূর্ণ মাতাল হয়ে গেছে, তার মুখের বিশ্রী গন্ধ সেটার’ই প্রমাণ দিচ্ছে।
তাই কিছু না বলে মায়া চুপ করে আছে কি ঘটে দেখার জন্য….
সিয়াম মায়াকে কোল থেকে আস্তে করে বিছানায় বালিশে শুয়ে দিয়ে দরজার ছিটকিনি’টা আটকায়।
ছিটকিনি আটকিয়ে বিছানায় মায়ার পাশে এসে বসে। মায়ার ঠোঁটের দিকে ঠোঁট জোড়া নিয়ে যায় মাতাল সিয়াম। মায়া চোখদুটু লজ্জায় বন্ধ করে ফেলে। অতঃপর……..

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে