প্রেয়সীর ছোঁয়া ( পর্ব ১৫)

0
984

প্রেয়সীর ছোঁয়া ( পর্ব ১৫)
জামিয়া পারভীন তানি

আফরা মাহিরার একটা ড্রেস পড়ে নেয়। এরিকের সাথে দেখা করে সে। এরিক ভুলেও বুঝতে পারেনি সে মাহিরা নয় আফরার সাথে কথা বলছে। এরিক মাহিরা ভেবে আফরাকে প্রপোজ করে, আফরা ও গ্রহণ করে নেয়। দুজনের মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পর্ক এগিয়ে যায়।
রিলেশন হবার পর এরিক মাহিরাদের বাড়ি তে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। শুধু ফোন দিয়ে ডাকতো এরিক, আর আফরা মাহিরার ড্রেস পড়ে দেখা করতো, ঘুরতো! আর আফরা কে মাহিরা বলেই ডাকতো!

সম্পর্ক এভাবে চালাতে চালাতে আফরা ক্লান্ত হয়ে যায়। আর কতো অভিনয় করবে সে। এরিকের ফিলিংস শুধু মাহিরার জন্য ছিলো। আফরা বুঝতে পারে, অভিনয় করা ভুল হয়ে গেছে। ৫ টা বছর পর আফরা এরিক কে এড়িয়ে চলা শুরু করে। ঘৃণা, রাগ জন্মে যায়। ভালোবাসার মানুষের কাছে বারবার বোনের নাম শুনে অনীহা চলে আসে আফরার।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



আফরা নিজে থেকে ই যোগাযোগ অফ করে দেয়। কিন্তু এরিক বার বার ফোন দিতে থাকে। কোনো ভাবেই যোগাযোগ না করতে পেরে এরিক পাগলের মতো হয়ে যায়।
মেসেজ লিখে,
“ প্লিজ মাহিরা, কথা বলো। আমার খুব খারাপ লাগছে। ”

আফরা মেসেজ দেখে কোনো রিপ্লাই দেয় না, কারণ এক তরফা ভালোবাসা ঘৃণা তে পরিনত হয়েছে।

পরের দিন দুই বোন মিলে ভার্সিটির দিকে যাচ্ছিলো, তখন এরিক সামনে এসে দাঁড়ায়। মাহিরা ভয়ে কাচুমাচু হয়ে যায়। কারণ এরিক কে সে মোটেও পছন্দ করতো না। এদিকে আফরা নিজেও ভয় পেয়ে যায়।
এরিক দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে, কারণ দুজনে ড্রেস একই ছিলো সেদিন। বুঝতে পারছেনা কে আফরা আর কে মাহিরা! শুধু বলে,

“ মাহিরা, আমাকে ঠকিয়ে তোমার কি লাভ? “
মাহিরা চমকে উঠে, কিছু না বুঝে আফরার দিকে তাকালো। আফরা এরিকের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“ এরিক, চলো কথা আছে। ”
এরিক এবার আফরার চোখের ভাষা পড়তে পারলো, কারণ দীর্ঘ ৫ বছর এই চোখের দিকে তাকিয়েছে।

মাহিরা কিছু বোঝার আগেই আফরা এরিকের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। এরিক তখন বলে,
“ কি অপরাধ আমার! যে এভাবে ঠকালে তুমি আমাকে? “
“ তোমাকে আমার আর ভালো লাগেনা, এরিক। ”
“ আমার এতো বছরের অনুভূতির কোনো দাম নেই তোমার কাছে তাইনা! ”
“ না নেই। ”

এরিক আফরার গালে থাপ্পড় দিয়ে বসে। আফরার ফরসা গাল লাল টকটকে হয়ে গেছে। আফরা গালে হাত দিয়ে বলে,

“ আমার নিস্পাপ ভালোবাসা কে যখন তুমি অবহেলা করে মাহিরা মাহিরা করেছো তখন আমার ও পুড়েছে। মনে করো দীর্ঘ ৫ বছর মাহিরা সেজে তোমার সাথে প্রেম করে সেটার প্রতিশোধ নিলাম। ”

“ কি যা তা বলছো! মাহিরা। ”

“ হুহ্, আমি মাহিরা নই আফরা। এতোদিনেও চিনলে না? ”

এরিক আফরার হাত ধরে বলে,

“ মিথ্যে বলছো কেনো মাহিরা, আর কষ্ট দিও না আমায়। ”

“ সত্যি বলছি, আমি আফরা, মাহিরা তোমাকে কখনো ভালোবাসেনি। ” আফরার রাগী ভয়েস এতোদিন শোনেনি ।ছোট্ট বেলায় শুনতো, প্রায়ই রাগ করে আফরা চিল্লাতো! আর আজ এতো দিন পর আবার রাগী গলায় কথা বলছে।
এরিকের সন্দেহ কেটে যাচ্ছে , আফরা কি সত্যিই তাকে মাহিরা সেজে ঠকিয়েছে! এরিক আফরার পায়ের কাছে বসে পড়ে।

“ কেনো করলে এমন তুমি, কি দোষ করেছিলাম আমি? ”

“ আমি কি দোষ করেছিলাম যে আমাকে বাদ দিয়ে মাহিরা কে ভালোবাসতে গিয়েছিলে? ”

“ তুমি খুব রাগী ছিলে, আর মাহিরা খুব শান্ত ছিলো! তাই বলে তুমি এমন করবে আমার সাথে? ”

“ যখন আমি জানতে পারি তুমি মাহিরা কে পছন্দ করো নিজের ভালোবাসার দাবী নিয়ে আর যায়নি। কিন্তু যখন মাহিরা নিজেই বললো, ও তোমাকে পছন্দ করে না তখন নিজেই মাহিরা সেজে তোমার সাথে প্রেম শুরু করি। ভেবেছিলাম তুমি আফরা বলে একদিন কাছে টেনে নিবে। কিন্তু … ”

“ কিন্তু ৫ বছর পার হয়ে গেলো, আফরা বলে ডাকিনি বলে তুমি ঘৃণা শুরু করলে তাইতো! ”

“ হ্যাঁ তাই, আই হেট ইউ এরিক। ”

এরিক কিছু না বলে আফরা কে কোলে তুলে নেয়। আফরা নিজেকে ছাড়তে বলে, কিন্তু এরিক কিছুতেই কোল থেকে নামায় না। এই প্রথম এরিক এমন একটা কাজ করেছে বলে আফরার খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো।

এরিক নিজের গাড়িতে তুলে আফরা কে নিজের বাসায় নিয়ে আসে। আফরা খুব ভয় পেয়ে যায় এইবার। এরিক কি করতে চাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছেনা। এরিক কে এতোটাই রাগান্বিত দেখাচ্ছে যে আফরা ভয়ে কুকড়ে যায়।

“ এরিক, আমার কোনো ক্ষতি করোনা প্লিজ। ” খুব ভয়ে বলে আফরা।

“ না কোনো ক্ষতি করবো না, শুধু সারাজীবনের জন্য আপন করে নিবো। যেনো ভুলেও আমি ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে না পারো! ”

“ প্লিজ, এমন কোনো ক্ষতি করোনা আমার। বিয়ে ছাড়া এসব পাপ। ”

“ মিথ্যে বলাও পাপ, আগে ভালোবাসতে তাইনা! লাভ সাইন এঁকে দিবো তোমার শরীরে । ”

হুট করে এসে আফরার ঠোঁট দুটো দখলে নিয়ে নেয়। বেশ কিছুক্ষণ পর আফরা নিজেকে মুক্ত করতে পারে। একটা ছেলের শক্তির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। এরিক আফরা কে বিছানায় চেপে ধরে। আফরা চিৎকার করে ছাড়তে বল্লেও এরিকের মন গলে না।

চলবে….

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে