প্রিয়তমা পর্বঃ ০১

0
2117

প্রিয়তমা পর্বঃ ০১
লেখকঃ আবির খান

বাসের ঠিক জানালার পাশেই একটা অপরূপ সুন্দরী মেয়ে বসে আছে। তাঁর চুল গুলো খোলা। জানালা দিয়ে বয়ে আসা শহরের বিষাক্ত বাতাস তাঁর দুষ্ট চুলগুলোকে বার বার উড়িয়ে দিচ্ছে। আমি অজান্তেই তাঁর সিটের সামনে দাঁড়ালাম। আস্তে করে পকেট থেকে আমার সিট নাম্বারটা দেখলাম। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো। আমি আবার ভালো করে সিট নাম্বারটা দেখলাম। না ঠিকই আছে। সব ছেলেদের বাসে উঠলে একটা স্বপ্ন থাকে সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে বসে বাস যাত্রা করবে। আজ বোধহয় আমার কপালটা খুব ভালো। ভাগ্যক্রমে এই অপরিচিতা অপরূপার সাথেই আমার সিটটা হলো। মনটা একটু খারাপ ছিল। কেন ছিল তা একটু পরই বলছি নাহয়। তবে এখন মনটা ফুরফুরে। আমি ভদ্রতার ন্যায় তাকে বললাম,

– বসতে পারি? এটা আমার সিট।

মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে কিঞ্চিৎ হাসি দিয়ে তাঁর সাথে থাকা ব্যাগটা সরিয়ে মধুর কণ্ঠে বলল,

~ জ্বী জ্বী বসুন।

বসতে বসতে ভাবলাম, মেয়েটা বোধহয় কিছুটা চঞ্চল টাইপের। চোখগুলো দেখলে বেশ বুঝা যায়। আমি সিটে বসে তাঁর থেকে কিছুটা দূরত্ব মেইনটেইন করে নিলাম। যাতে তাঁর গায়ে আমার স্পর্শ না লাগে৷ মেয়েটা ব্যাপারটা বুঝতে পারে। আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দেয়। আমিও দি।

বাস ছাড়তে এখনো ২০ মিনিট বাকি। ভাবলাম কিছু কিনে নি। পরে রাস্তায় ভালো কিছু পাবো কিনা জানি না। তাই আমি উঠে যেতে নিলে মেয়েটা আমাকে একটু জোর স্বরে ডাক দেয়। বলে,

~ এই যে শুনুন।
– জ্বী?
~ আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
– কিছু হালকা খাবার কিনে আনতে।
~ কিছু মনে না করলে আমার জন্য এক বোতল পানি আনবেন? বাবা পানি কিনে দিতে ভুলে গিয়েছে আসলে।
– জ্বী জ্বী অবশ্যই আনবো।
~ আরে কই যাচ্ছেন? টাকা টা?

আমি কিঞ্চিৎ হেসে বললাম,

– একসাথেই তো যাত্রা। মাঝ পথে দিয়ে দিয়েন না হয়।

মেয়েটা হাসি দেয়। সত্যি খুব মিষ্টি তাঁর হাসি। তাঁর হাসির কথা ভাবতে ভাবতেই বাস থেকে নেমে আগে দুই বোতল পানি চিপস, খাবার কিনে নিলাম। এরপর আবার ফিরে এসে সবার আগে তাকে পানির বোতলটা এগিয়ে দিলাম।

– এই যে আপনার পানি বোতল।
~ অনেক থ্যাঙ্কিউ।
– মেনশন নট।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


আমি খাবারগুলো আমার কলেজ ব্যাগে সব ঢুকিয়ে সুন্দর করে ফ্রী হয়ে বসলাম। খেয়াল করলাম তাঁর ফোন এসেছে। সে রিসিফ করে বলল,

~ না বাবা এখনো ছাড়ে নি। একটু পরই ছাড়বে। তুমি চিন্তা করো না। সব ঠিক আছে। দোয়া করো।

মেয়েটা ফোনটা রেখে আমার দিকে তাকালে আমি বলেই ফেলি,

– আঙ্কেল আপনাকে একা রেখে চলে গেলেন কেন?
~ আসলে আমার বাবা একজন ডক্টর। তার পেশেন্ট অপেক্ষা করছিলো তো তাই চলে যেতে হয়েছে।
– ওহ! সরি প্রশ্নটা কৌতূহল বসত করে ফেললাম কিছু মনে করবেন না।
~ না না। সমস্যা নেই। আচ্ছা এখনো ছাড়ছে না কেন?
– দাঁড়ান আমি বলছি।….এই মামা তাড়াতাড়ি ছাড়ো। ৯.৩০ তো বাজেই।
– হ মামা এই যে ছাড়তাছি। (গাড়িতে হর্ন দিয়ে ইঞ্জিন চালু করে)

আমি বিজয় মিশ্রিত একটা হাসি নিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে বলি,

– এই যে এখনই ছাড়বে।

সে মুচকি হাসে। তাঁর হাসি দেখে নিজেকে বীর পুরুষ মনে হচ্ছে। একটু পরই বাস ছেড়ে দেয়। আপন গতিতে ছুটতে থাকে। পাশে বসা অপরিচিতা মেয়েটাকে এখনো চিনি না। খুব ইচ্ছা হচ্ছে কথা বলার। নিজ থেকে যে কিছু বলতে যাবো তাও পারছি না৷ যদি বিরক্তবোধ করে। চুপচাপ বসে আছি মন খারাপ করে। হয়তো সে বুঝেছে। তাই নিজ থেকেই বলে উঠলো,

~ আচ্ছা আমরা কি পরিচিত হতে পারি?

আমিতো মুহূর্তেই বেশুমার খুশী। মলিন মুখটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো হয়ে গেল। ঠোঁটের কোণায় এক চিলতি হাসির রেখা ফুঁটে উঠলো। আমি নিজেকে শান্ত রেখে ভদ্র ভাবে বললাম,

– জ্বী অবশ্যই। আমি আবির আহমেদ। ঢাকায়ই থাকি। এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিলাম। বরিশাল ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি। তাই বরিশাল যাচ্ছি। আপনি?

মেয়েটার লাবণ্য মাখা মুখটায় অবাকের হাতছানি। সে এতো অবাক হলো কেন! আমার মনের মধ্যে জাগ্রত প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সে বলল,

~ আপনি সিরিয়াসলি এর জন্য বরিশাল যাচ্ছেন?
– হ্যাঁ। কেন বলুন তো?
~ আমিও তো বরিশাল ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি। আমিও তার জন্যই যাচ্ছি।

এবার আমি রীতিমতো সকড! দুজন দুজনের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। একপর্যায়ে আমি হেসে দেই কোন কারণ ছাড়াই। সেও হাসে। আমি বলি,

~ কী আজব তাইনা? আমাদের দুজনের উদ্দেশ্য আর গন্তব্য একই। পরিচিত না হলে জানাই হতো। পরে দেখা যেতো বাংলা সিনেমার মতো ভার্সিটিতে দেখা হতো। আর আমরা এভাবেই অবাক হতাম। হাহা।

মেয়েটা আমার কথা শুনে খুব হাসে। নিষ্পাপ মুক্তঝরা হাসি তাঁর। এ হাসিতে মরে যাওয়া যায় অনেক বার। মেয়েটা হাসতে হাসতে বলে,

~ ভালো বলেছেন। হাহা।
– তা আপনার সম্পর্কে তো বললেন না।
~ ওহ! আমি তমা ইসলাম। ঢাকাতেই থাকি বাবা-মার সাথে। বাবার খুব ইচ্ছা ছিল আমি পাবলিকে পড়বো। সে ইচ্ছা পূরণ হতে হতে বরিশাল ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে হলো। ঢাকাতে যে কেন হলো না তাই বুঝলাম না। অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু হলোই না।
– আসলে আল্লাহ তায়ালা যার কপাল যেখানে লিখে রাখেন সেখানেই হয়। আমিও কম চেষ্টা করিনি। কিন্তু হয়নি। আবার যে খারাপ হয়েছে তা কিন্তু না। বরিশাল ইউনিভার্সিটিও তো পাবলিক তাইনা। হয়তো পরিবার থেকে দূরে যেতে হলো কিন্তু পাবলিকে তো হলো। আর আমি বিশ্বাস করি, পরিবার থেকে দূরে থাকলে বাস্তবতাটাকে ভালো চেনা যায়। কারণ বাবা-মা সবসময় ছায়ার মতো পাশে থাকে। কোন কষ্ট গায়ে লাগতে দেয় না। কিন্তু যখন তাদের ছায়া তল থেকে আমরা সরে আসি তখন বুঝা যায় জীবনটা কতো কঠিন।

মেয়েটা হঠাৎই হাত তালি দিয়ে উঠে। আমি তো পুরো বোকা। আমি অবাক হয়ে তার দিয়ে তাকাতেই সে বলে,

~ আপনি খুব সুন্দর করে কথা বলেন। এতো সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলেন কীভাবে?
– জ্বী আমি এমনই।
~ জানেন আমি একজন লেখকের গল্প পড়ি। তার নামও আবির আহমেদ। সেও খুব সুন্দর করে গল্প লিখে। তাঁর পাঠক পাঠিকাদের সে অনেক ভালবাসে৷ আমি কমেন্ট করলে রিপ্লাই দেয়। খুব ভালো সে।
– প্রোফাইল পিকচারে কি ব্লাক কালারের কিছু দেওয়া?
~ হ্যাঁ। সে তাঁর ছবি আপ দেয় না। বাট আপনি কীভাবে জানেন? (অবাক হয়ে)

আমি কিঞ্চিৎ হেসে ইট্টু সামান্য ভাব নিয়ে বললাম,

– আমার আইডি আমি জানবো না। হাহা।

তমা বড় ধরনের সকড খায়। জানালার দিকে সরে গিয়ে আশ্চর্য হয়ে আমার দিকে তাকায়। হাত দিয়ে ইশারায় বুঝায় আপনিই সেই লেখক? আমি হাসি দিয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলি। তমা ওর বোতল থেকে দ্রুত পানি খেয়ে নেয়। তারপর বলে,

~ আচ্ছা আমি কি স্বপ্ন দেখছি? একজন এতো বড় লেখক আমার সাথে! আমি বোধহয় স্বপ্নই দেখছি।

– আগে শুনুন, আমি মোটেও বড় লেখক না। পাঠক/পাঠিকাদের মনের মানুষ হওয়ার জন্যই লিখি। তাঁরা যখন পড়ন্ত বিকেলে কিংবা বিষন্নতায় ডুবে আমার লেখা পড়ে তাদের মন ভালো হয়। আবার কমেন্ট করে আমাকে জানায়। তখন আমার খুব ভালো লাগে। তাদের খুশীর জন্যই আমি লিখি। মানে লিখতে হয়। তাই আমি নিজেকে কখনো বড় ভাবি না। তাদের বন্ধুই ভাবি। আপনি একটু আগে যেভাবে কথা বলছিলেন ঠিক সেভাবেই বলুন।

~ আপনি নির্ঘাত আমার পছন্দের লেখক এখন আর কোন সন্দেহ নেই। আপনাকে বোধহয় আমিই দেখলাম। আর কেউতো কখনো দেখেনি তাই না?

– কাছে কজন দেখেছে। আর আজ আপনি।

~ বাহ! আপনি তো আপনার গল্পের মতোই সুন্দর আছেন৷ কি প্রেম ট্রেম কয়টা করছেন? শুনেছি লেখকদের অনেক গালপ্রেন্দ থাকে। হিহি। আপনার কয়টা আছে?

আমি তমার কথা শুনে একটু হাসলাম। তারপর বললাম,

– ছিল একজন। তবে এখন আর কেউ নেই। একাই ভালো আছি।

~ আহরে! কত দুঃখ আপনার।

– আরে না না। আমি ভালোই আছি।

~ জ্বী ভালো থাকলেই ভালো। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না আপনি আমার বয়সের। আমি তো ভেবেছি বুড়ো দামড়…সরি সরি(জিহবায় কামড় দিয়ে) না ভেবেছিলাম অনেক বড় হবেন। কিন্তু সেই আমাকে অবাক করে দিয়ে হলেন আমার বয়সেরই।

– জ্বী কি আর করার। আচ্ছা আমরাতো একই ক্লাসের। তাহলে আপনি না বলে বরং তুমি বলাটাই ভালো। কি বলেন?

~ এই যে আপনিই তো আপনি করে বলছেন।

আমি কিঞ্চিৎ হাসি। ধুর! আমি নিজেই আপনি বলে ফেললাম। তমাও হাসি দিয়ে বলল,

~ তা তুমি কোন ডিপার্টমেন্টে?

– ফাইন্যান্স। তুমি?

তমা আবার অবাক হয়। আর বলে,

~ আপনিও..থুক্কু তুমিও ফাইন্যান্স এ?
– হ্যাঁ কেন তুমিও?
~ হাহা৷ হ্যাঁ আমিও।
– আরে কতো মিল আমাদের।
~ আসলেই। তা কোথায় থাকবে তুমি?
– আমার এক চাচার বাসায়। তুমি?
~ আমি একটা ম্যাসে থাকবো।
– আঙ্কেল ম্যাস ঠিক করে দিয়েছে?
~ হ্যাঁ।
– তোমাকে এতো দূর একা যেতে দিচ্ছে কেউ সাথে আসতে চায়নি?
~ আসলে আমি স্বাধীনচেতা একজন মেয়ে। আমি এর আগে একাই অনেক দূর ভ্রমণ করেছি। আর নিজের সেইফটির জন্য এই যে ব্যাগ ভর্তি জিনিসপত্র। এগুলো দিয়ে ব্যাটাকে মেরে ভূত বানিয়ে দিব একদম।

আমি তমার কথা শুনে কিছুটা ভয়ই পেলাম। ও আমাকে দেখে খিলখিল করে হেসে দেয়। আর বলে,

~ আরে তুমি ভয় পাচ্ছো কেন? তুমি তো লেখক সাহেব। অনেক ভালো।

আমি হাসি ওর কথা শুনে। এরপর অনেকটা সময় আমরা দুজন চুপচাপ থাকি। আমি বাসের সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। বিশাল পিচঢালা রাস্তা। অনেক গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের গাড়িটাও ছুটছে। আমি আঁড় চোখে খেয়াল করলাম তমা জানালার বাইরে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে। বাতাসে বারবার স্বাধীন চুল গুলো ওর কপালে এসে উড়ে পড়ছে। আর ও তা সরিয়ে দিচ্ছে। সত্যি কতো সুন্দর ও। লেখকরা চাইলেই তাঁর নায়কার রূপের বেশুমার বর্ননা করতে পারে৷ কিন্তু এই তমাকে দেখে লেখক হয়তো ওর ঘোরে পড়ে তাঁর শব্দগুলো হারাবে। মন চাচ্ছে ওকে নিয়ে প্রিয়তমা নামে একটা গল্প লিখে ফেলি। যে গল্পের নায়ক হবো আমি আর নায়কা হবে ও। দেখি লিখবো হয়তো কোনদিন।

অনেকটা পথ পার করে এখন আমরা মাওয়াতে এসেছি। একটু পরই ফেরিতে উঠবো। এর মাঝে তমা ওর বাবা-মার সাথে কথা বলেছে। আমিও আমার বাবা-মার সাথে কথা বলেছি। মা’টা একটু হলেই কান্না করে খালি। মাকে বুঝিয়ে অনেক কষ্টে কান্না থামিয়েছি। একটু পর আমাদের বাসও ফেরিতে উঠে। আস্তে আস্তে ফেরি ছেড়ে দেয়। পদ্মার মাঝ দিয়ে ফেরি চলছে। বাসের বাকি যাত্রীরা একে একে সবাই নেমে বাইরে গেল। আমি তমাকে বলে উঠলাম,

– বাইরে যাবে না?
~ হুম যাবো তো। ফ্রেশ হতে হবে। কিন্তু ব্যাগ?
– আমাকে দেও। আমিও তোমার সাথে বাইরে যাবো চলো। আমি তোমার ব্যাগ রাখবো তুমি আমার ব্যাগ রেখো। কি চলবে?
~ দারুণ চলবে। তাড়াতাড়ি চলুন। হিহি।

আমি আর তমা বাইরে আসি। বরিশাল আমার গ্রামের বাড়ি হওয়ায় ফেরিতে অনেকবারই উঠেছি। তাই ফেরি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। নিচের ওয়াশরুমে বেশ ভীড় থাকায় তমাকে নিয়ে উপরে গেলাম৷ একটু পরই তমা ফ্রেশ হতে চলে গেল। ও বের হলে আমিও ফ্রেশ হয়ে আসি। এরপর দুজন হাঁটতে হাঁটতে একটা ঝালমুড়ি ওয়ালার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। তমা বলে উঠে,

~ পানির টাকাটা কিন্তু বাকি ছিল। সো ঝালমুড়ি আমি খাওয়াবো।
– আরে ১৫ টাকাই তো দিতে হবে না।
~ উহুম। দিব। মামা ১৫ টাকার দুইটা ঝালমুড়ি দেন তো। একটায় বেশী ঝাল দিয়েন কিন্তু।
– মামা দুইটাই দেও।
~ ওমা তুমিও ঝাল খাও?
– হাহা। হ্যাঁ।

এরপর ঝালমুড়ি খেতে খেতে আমরা একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াই। কিন্তু এরপর যা হলো আমি এর জন্য সত্যিই প্রস্তুত ছিলাম না। হঠাৎই একটা..

চলবে..?

কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে