প্রতিদান শেষ পাট

0
3770

প্রতিদান শেষ পাট

একটা অসহায় মেয়ের গল্প
—-শেষ পাট—-
!লেখা/ হিংসুটে ছেলে
!
মা আমিও যানি এটা ঠিক হয়নী।কিন্তু আমি কি করবো বলো(আমি)
“কেন রে মহিলা হোস্টেল বা অনন্যে কোথাও তো রাখতে পারতি।মেয়েটা একা তাও আবার শহরে নুতুন ও কি একা এসব করতে পারবে?(মা)
“হুম ঠিকি বলছো ও তো কিছু চিনে না ও একা এ সব করতে পারবে না(আমি)
“হুম শোন আমার মনে হয় মেয়েটা বেশি দুরে যেতে পারেনী সোহান কে সাথে নিয়ে মেয়েটাকে খুজে বের কর(মা)
“কিন্তু মা আমি তো রেডি(আমি)
“কেন রে যদি তোর বোন বা অনন্যো কেউ হতো পারতি ও ভাবে মেয়েটাকে ফেলে আসতে?(মা)
“ঠিক আছে মা আমি খুজে বের করে তোমাক জানাবো(আমি)
“দোস্ত চল মেয়েটাকে খুজে বের করতে হবে(আমি)
“হুম চল(সোহান)

|
সত্যি মা রা মমতাময়ী মেয়েটাকে না দেখেও কেমন দরদ উতলে পরছে।।কি আর করার সোহান আর আমি মেয়েটাকে খুজতে বের হলাম।
“সোহান মেয়টা এই রোড এ ছিলো ও বেশি দুর যেতে পারে নী তুই এক কাজ কর তুই এই পাশে যা আমি এ পাশে যাচ্ছি(আমি)
“ঠিক আছে(সোহান)

|
সোহান আর আমি দু জন দু রাস্তায় মেয়েটা কে খুজতেছি ।কিন্তূ কোথাও খুজে পাচ্ছি না।মেয়েটা কোথায় উধাও হয়ে গেলো বুজতেছি না।১ ঘন্টা ধরে খুজতেছি কোথাও খুজে পেলাম না।

|
দোস্ত মেয়েটা এত তারা তারি কোথায় চলে গেলো?(আমি)
“সেটা তো আমিও ভাবছি মেয়েটা গেলো কোথায়(সোহান)
!
কি যানি আবার কোন যে বিপদ এ পড়লো মেয়েটা আল্লাহ ভালো যানে(আমি)
“আচ্ছা শোন আমি একটা রিক্সা নিয়ে ও দিকে যাচ্ছি তুই এ দিকে যা(সোহান)

|
সোহান আর আমি আবারো খুজতে বের হলাম।প্রায় ২ ঘন্টা পর সোহান আমাকে ফোন করে বলতিছে দোস্ত রেল ষ্টেশনে আয়।আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলাম দেখা পাইছিস নাকি।ও বললো না তবে এখানে আশে পাশে কোথাও আছে।এক লোক বললো হ্যা আপনি যেমনটা বললেন একটু আগে ও রকম একটা মেয়ে রেল লাইনে বসে থাকতে দেখছি।তুই আয় তারা তারি।সোহানের কথা শুনে একটা অটো ধরে রেল ষ্টেশনের দিকে রহওনা দিলাম।

|
সোহান(আমি)
“হ্যা শোন তুই এই দিকে যা আমি ও দিকে দেখছি(সোহান)

|
হুম একটু দুরে এগিয়ে যেতে দেখি একটা মেয়ে লাইনে বসে আছে।চিনতে ভুল করিনী এটাই সে রিমা।
“সোহান কে একটা ফোন করে এখানে আসতে বললাম।
“হাটুর নিচে মাথা দিয়ে রিমা বসে আছে এমন অবস্থায় রিমা কে দেখে খুব খারাপ লাগছিলো।নিজে কে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিলো।

|
উফফ অবশেষ এ আপনার দেখা পেলা(আমি)
“রিমা মাথা তুলে….
“একি আপনি(রিমা)
“হুম আমি(আমি)
“আপনার না দেশের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো(রিমা)
“হুম ছিলো কিন্তু আবার আপনাকে খুজতে হলো(আমি)
“ঠিক বুজলাম না(রিমা)
“বুজতে হবে না দাড়ান মাকে আগে বলি খুজে পাইছি(আমি)
!
মার সাথে কথা বলছিলাম রিমা আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।রিমার কাছ থেকে যানতে চাইলাম আপনি এখন কি করতে চান।উত্তর তার একটাই যানি।সোহান আর আমি এক দুরে গিয়ে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়।সোহান বললো দোস্ত ও কত দুর প্রযন্ত পড়াশুনা করছে।কিন্তু আমি তা যানি না ।তাই আবারো রিমার কাছে গেলাম।জানতে চাইলাম তার শিক্ষাগত্য যোগ্যতা ।এন্টার পাশ করার পর তার বাবা মা চাই নী সে লেখাপড়া করুন। সোহান আবারো আমাকে দুরে নিয়ে বললো দোস্ত চল আগে মেয়েটা কে একটা মহিলা হোষ্টেল রাখার বেবস্থা করি তার পর ভেবে দেখবো।রিমা কে নিয়ে একটা হোষ্টেল এ আসলাম।মালিকের সাথে কথা বলে তিন মাসের অগ্রীম হোষ্টেল বীল দিয়ে রিমা কে হোষ্টেল এ রেখে সোহান আর আমি বাহিরে এসে ভাবতে লাগলাভ কি করা যায়।সোহান আমাকে বললো দোষ্ট ওকে যদি কোন কাজ ঠিক করে দেই ও কি করবে।এটা জানার জন্য আবারো রিমার কাছে গেলাম।হ্যা রিমা বললো হ্যা আমি সবটা করতে রাজি আছি পাশা পাশি লেখাপড়া ও করতে চাই। আবারো আসবো বলে রিমা কে কথা দিয়ে সোহান আর আমি চলে আসলাম।।অবশেষ এ তিন পর রিমার একটা জব পেলাম প্রাইভেট ক্লিনিক এর রিসিভশনে বেতন 7500।এটা রিমার হোষ্টেল থেকে খুব কাছে।প্রতিমাসে রিমার হোষ্টেল বিল সব সহ 2000 টাকা
!
রিমার কাছে গিয়ে রিমা কে সবটা খুলে বললাম রিমা অনেকটা খুশি । কত দিন যে মেয়েটা হাসে না যানি রিমার এ হাসিটা বলে দিচ্ছে অনেক দিন পর সে মন খুলে হাসতে পারলো।কলেজ এর এডমিশন এর এখনো তিন মাস বাকি । তিন পর আবারো আসবো বলে রিমা কে সবটা বুজিয়ে দিয়ে আমি আমার মার কাছে চলে আসলাম।সোহান ও তার নিজের দেশে চলে গেছে।।রিমার ফোন এ কথা বলে মাজে মাজে ওর খোজ নিতাম। ফোন ওয়েটিং ও পেতাম। সাহস পেতাম না বলার যে কার সাথে কথা বলে।হয়তো রিমা কে ভালোবাসি তাই ওর ফোন ওয়েটিং দেখলে আমার কষ্ট হতো।এভাবে কেটে গেলো তিন মাস।আমি রিমার সাথে দেখা করার জন্য বিশেষ করে ওর এডমিশনের জন্য আবারো রিমার কাছে গেলাম।রিমা আমাকে রিসিভ করতে এসে আমি যা দেখলাম তা মানতে পারছি না ওর সাথে একটা ছেলেও এসে আমাকে রিসিভ করতে ।রিমা আমার বেপারে ছেলেটা সব বলেছে ।যানতে চাইলাম উনি কে ।রিমা কিছুটা লজ্জা পাচ্ছে।ততোখনে আমার বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।রিমা কিছু বলার আগে ছেলেটা বললো ভাইয়া আমরা একি অফিসে জব করি। দু জন দুজন কে পছন্দ করি।।কথাটা শুনে নিজের অজান্তএ চোখের কোন এ জল এসে গেলো।রিমা তার সঠিক রাস্তা বেচে নিয়েছে হয়তো আমাকে আর প্রয়জন হবে না।আমি আশার আগে রিমার এডমিশন ও হয়ে গেছে।
!
ভালো থাকুক রিমা তার ভালোবাসার মানুষ কে নিয়ে। ”

সমাপ্ত

এটা কোন গল্প না একটা ছেলের বাস্তব ঘটনা তুলে ধরলাম।ছেলেটার মুখ থেকে শুনে এই গল্পটা লেখা ।ছেলেটা আর বলতে চাইছিলো না এটুকূ বলে কেদে বুক ভিজাইছে ।আমিও আর শুনতে চাই নাই, তাই গল্পটা এখানে শেষ করতে হলো।ভালো থাকবেন সবাই ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে