নোংরামি_( অন্তিম পর্ব)

0
5437

নোংরামি_( অন্তিম পর্ব)

তিন্নির আসল নাম জ্যোৎস্না গ্রাম্য ভাষায় জোসনা,, না চাঁদের মত গায়ের রঙ নিয়ে জন্মায়নি সে, ভরা পূর্ণিমাতে জন্ম হয়েছিল বলে দাদি জোবেদা খাতুন নাম রেখেছিলেন জোসনা, আচ্ছা পূর্ণিমা নাম রাখলে কি এমন ক্ষতি হত! এটলিস্ট বড় হয়ে নিজের নাম পাল্টাতে হত না! আজকালকার যুগে এই নাম চলে নাকি?? হাই সোসাইটি তে তো পুরাই ক্ষ্যাত মার্কা নাম!

এক ভাই এক বোনের পর জোসনার জন্ম, তিন নম্বর সন্তান হলেও পরবর্তী পাঁচ বছরের মাঝে তাদের ঘরে আরও দুই বোনের জন্ম হয় , বড় ভাই বাদে সবগুলো বোন হওয়াতে দুই খাটেই দিব্যি ঘুমাতে পারত তারা, এতগুলো মুখে খাবার জোটানো মুদি দোকানদার হালিম মিয়ার পক্ষে বেশ কষ্টেরই ছিল, বড় ছেলের বয়স যখন বারো হলো তখন সে পড়ালেখা বাদ দিয়ে বাবার সাথে দোকানে কাজ করা শুরু করে,,,

কিন্ত জোসনার মা বিলকিস নিজে মুর্খ হলেও ছেলেমেয়েদের পড়ার ব্যাপারে বেশ সচেতন ছিলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্রাক এনজিও থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়ানোর একটা প্রজেক্ট আছে, যেখানে বিনা পয়সায় বই খাতা প্রদান করা ছাড়াও খুব সুন্দর করে বাচ্চাদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়, মামার বাড়ি বেড়াতে এসে মামাতো বোন জলির সাথে এখানে এসেছিল জোসনা, তখন থেকেই পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার, লেখাপড়ার টুকটাক হাতেখড়িও হয় , নিজের বাড়িতে এসেও মায়ের কাছে বায়না ধরে পড়ালেখার জন্য,বিলকিস তার লালন করা মুরগির ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে মেয়েকে ভালো স্কুলেই ভর্তি করে দেয়, কিন্ত কথায় বলেনা অভাবে স্বভাব নষ্ট!

জোসনার স্কুল সহপাঠীরা সবাই খুব সচ্ছল পরিবারের, আজ এক বান্ধবীর নতুন ঘড়ি পছন্দ হয় তো কাল একজনের ব্যাগ,কারও মাথার নতুন ব্যান্ড, কারও নতুন খাতা,কলম আরও কত কি! ইচ্ছেগুলো মনের ভেতরেই পুষে রাখে সে, জোসনা যখন ক্লাস এইটে পড়ে তখনকার ঘটনা,, এরই মাঝে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালোও হয়েছে, যদিওবা জোসনার বড় বোনকে বিয়ে দেবার টেনশনে হালিম মিয়ার রাতের ঘুম খুব একটা হয়না বললেই চলে, গ্রামে একটা মেয়েকে বিয়ে দেবার টেনশনে কত নিম্নবিত্ত অথবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরেবারের কর্তা কর্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে যায় তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে, অবশেষে কোন এক চৈত্রমাসে খুলনার খালিশপুর শহরে বিয়ে হয়ে যায় জরিনার, বিয়ের সময় বোনের সাথে জোসনাও গিয়েছিল কুটুম হিসেবে, মূলত এখান থেকেই তার নোংরা খেলার সূত্রপাত!

আবহাওয়াগত কারণে গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মেয়েদের শারীরিক গ্রোথ একটু তাড়াতাড়িই হয়, আর বাংলাদেশের মত দেশে শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামের মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন যতটা না তাড়াতাড়ি হয় মানসিক চিন্তাধারা বেশ দ্রুতই পরিবর্তন হয়, অল্প বয়সে বিয়ে অথবা সন্তানসম্ভবা হওয়া এর প্রধান কারণ হতে পারে, যাই হোক জোসনাও এর ব্যতিক্রম নয়, ইমিডিয়েট বড় বোনের বিয়েও হয়ত একটা কারণ, তার দুলাভাই এর একটু ছোঁকছোঁক স্বভাব ছিল, কিন্ত অদ্ভুত ব্যাপার হলো জোসনা তা উপভোগ করত, শুধু যে উপভোগ করত তা নয়, এর জন্য দুলাভাই এর কাছ থেকে অনেক দামি কসমেটিক্স সহ অনেক জিনিস ও আদায় করে নিত! পাপ তো আর ঢাকা থাকেনা, জরিনার চোখেও ধরা পরে দুজন! নিজের বোনের এত বড় ক্ষতি করেও ক্ষান্ত হয়নি জোসনা! বোনের বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া জরিনার স্বর্ণের একজোড়া কানের দুল নিয়ে তবে ছেড়েছে,, সেদিনই বুঝে গেছে জোসনা যে, বিবাহিত মেয়ে মানুষের আসল দূর্বলতা কোথায়,,,

দেখতে ভালো না হলেও সাজলে বেশ লাগে জোসনা ওরফে তিন্নি কে, চুলগুলোকে স্ট্রেইট করে আরও বেশি স্মার্ট আর মডার্ণ লাগে তাকে, ফোনালাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় শাহীনের সাথে, শুধুমাত্র যে শাহীনের সাথেই যে ফোনালাপ হয় তা কিন্ত নয়, ফরহাদ, তোফায়েল, ইমরান ছাড়াও নিলয় নামের এক ছেলের সাথে ফেসবুকেও রিলেশনশিপ ছিল, এরা সবাই উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে না হলেও পয়সাওয়ালা লোক, কিন্ত এদের মাঝে শাহীন কেই জীবনসাথী হিসেবে বেছে নেয় সে, একে তো ব্যাচেলর মেয়েদের বাড়ি ভাড়া নিতে ভীষণ বেগ পেতে হয় আজকাল, সেইক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী হিসেবে সহজেই ভাড়া বাড়িতে উঠতে পারবে , আরেকটা কারণ সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তে সৈনিক পদে অধীনস্থ একজন কর্মকর্তা মাত্র! তার মত মেয়ের আকাশছোঁয়া চাহিদা পূরণে অব্যর্থ হলেও তিন্নির সবথেকে বড় সুবিধা তার স্বামীর অনুপস্থিতি, ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট এ পোস্টিং হবার পর থেকে তিন্নি এখানেই সেটেলড হতে চায়,

এখানে সে ফরহাদ, মারুফের মত টাকা উড়ানোর মেশিন পেয়েছে, শাহিনের পোস্টিং চট্টগ্রাম হলেও তিন্নি তার মেয়েকে নিয়ে এই শহরেই থাকে, মাঝে হুট করে বাচ্চা হবার ঝামেলা পাড়ি দিলেও বছর তিনেক পর পুরোনো নোংরামি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ,, তবে ছয় বছর মেয়েকে নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করায় সে, এই সময়ের মাঝেই অনেক কে হাতের মুঠোয় রেখেছে সে, শহর থেকে বেশ দূরে হলেও গ্যাস কারেন্ট বিল সহ দশ হাজার টাকায় ভাড়া বাসায় থাকে সে, মেয়ে পেটে থাকা অবস্থায় পুঁতির মালা, পাথরের অর্নামেন্টস তৈরি করা সহ টুকটাক সেলাইয়ের কাজ শিখে ফেলেছিল,এই ছোট্ট জিনিসগুলোকে পুঁজি করে মহিলা উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখে সে!

ব্যাংকে লোন নেবার সূত্র ধরেই মারুফের সাথে মাঝেমাঝে দেখা হত তিন্নির, মারুফও ব্যাংকের কাজে এসে তিন্নিকে প্রথম যেদিন দেখেছিল চোখ ফেরাতে পারেনি, তার অপলক চাহনিতেই তিন্নি বুঝে গিয়েছিল মারুফের গোপন চাহিদা, এই ধরণের পুরুষ কে কিভাবে কাবু করতে হয় তা বেশ ভালো করেই জানে তিন্নি! কয়েকজনের কাছ থেকে ইনফরমেশন নিয়ে যা বুঝেছে তাতে মারুফ কে হাতছাড়া করবেনা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাস তিনেক আগে,

উফ! সারারাত মোবাইলে চ্যাটিং, শেষরাতের উষ্ম বাক্য, কখনওবা তিন্নির গরম নিশ্বাসের শব্দে নিজেকে এই বয়সেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা মারুফ! অথচ কি পেয়েছে সে রিমার কাছ থেকে! তবে হ্যাঁ, রিমার মত শান্ত, গোছানো সংসারী মেয়েকেই ঘরের বৌ হিসেবে ভাবত কিন্ত দিনের পর দিন একঘেয়েমি লাইফ! অসহ্য! অন্য মেয়ের মত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঘ্যানঘ্যানানি প্যানপ্যানানি না করলেও শারীরিক সম্পর্কটা মোটেও এনজয় করতে পারেনা মারুফ, রিমার শরীরে কোন গ্ল্যামার খুঁজে পায়না সে, ছোট মেয়েটা হবার পর তো আরও অসহ্য লাগে রিমা কে, তার উপর সারাদিন ঘরে থেকে দিনদিন চালের বস্তার মত মটকা হচ্ছে সে, আর তিন্নি! উফ! হোটেলের প্রথম রাতে তিন্নির সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে পড়লে এখনো শরীর উতলা হয়ে যায় তার! কিন্ত এই শহরে তার পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষী নেহাত কম নয়! তার ব্যবসার এন্টিপার্টি শরীফের নজরে পড়লে খবর হয়ে যাবে তার! তাই তিন্নিকে নিয়ে দেশের বাইরে যাবার পরিকল্পনা করেছে সে!

মারুফের স্ত্রী যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য মেয়েকে সাথে নিয়ে মারুফের বাসায় দাওয়াত খেয়ে বিনয়ের সাথে নিজের বাসাতেও সপরিবার দাওয়াত খাইয়েছিল তিন্নি! অবশ্য সব খরচ মারুফের কাছ থেকেই আদায় করেছে সে, তার অনেক দিনের স্বপ্ন দেশের বাইরে যাবে, এ পর্যন্ত এমন কাউকে পায়নি মারুফের মত যে তাকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ নিয়ে যাবে! না হলে এই দুই সন্তানের জনক পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বুড়াকে বিছানায় ভাবতেও কেমন কেমন লাগে!

মনে মনে অনেক জল্পনা কল্পনা করে রেখেছে! কি কি কসমেটিক্স নেবে, ভাবছে দেশে ফেরার পর একটা অনলাইন পেজ ওপেন করবে, নাম অবশ্য ঠিক করে নাই, লাইভে সাজুগুজু করে বলবে,প্লিজ আপুরা জয়েন করো…. উফ! কবে আসবে এই সময়, আর কত সস্তা পুঁতির মালার ব্যবসা করবে সে?? একবার পেজটা চালু হলে তিন্নি আর পেছন ফিরে তাকাবেনা, শুধুমাত্র দুই রাত চায়না থাকতে হবে

তিন্নির বাসার দরজার সামনে তালা দেখে রিমা ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাৎক্ষণিক কি করবে বুঝতে পারেনা, ব্যাগ থেকে মোবাইল নম্বর বের করে ফোন দেয় তিন্নিকে, নাহ! নম্বর সুইচড অফ দেখাচ্ছে! তবুও কলিংবেল চাপতে থাকে রিমা, এরই মধ্যে ফ্লাটের অন্য বাসিন্দা গেটের তালা খুলে ভেতরে যাবার সময় সে জিজ্ঞেস করে,এইটা পন্নিদের বাসা না? পন্নি তিন্নির মেয়ের নাম,ভাগ্যিস মনে ছিল নামটা,উনি হুম বলে ভেতরে ঢুকতে দেন রিমা কে, এইত ভেতরের ঘরের দরজায় তালা নাই, তার মানে ভেতরে লোক আছে, অনেকক্ষণ নক করার পর দরজা খুলল তিন্নির ননাসের ছেলে,আনন্দমোহন কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে… আরে… এ তো সেই ছেলে যেদিন রিমারা দাওয়াত খেতে এসেছিল তিন্নি কে মামী বলে ডাকছিল!পন্নি আর এই ছেলে ছাড়া বাসায় কেউ নাই!! তিন্নির কথা জিজ্ঞেস করতেই বলল, মামী মনে হয় মিটিং এ আছেন, আমাকে তেমন কিছু বলে যায়নি!

ব্যর্থ রিমা বাসায় ফেরার সময় ফিরতে ফিরতে ভাবছে কেমন মা যে নিজের মেয়েকে এইভাবে ফেলে রেখে গেছে! নাহ! এই যুগে রিমা কোনদিন তার মানহা কে এভাবে ফেলে যাবেনা, রাস্তার মধ্যেই ফুঁপিয়ে কান্না আসছে তার, আচ্ছা এই মহিলার সাথে কখন কথা বলবে সে? হঠাৎ মনে চিন্তা আসে, আচ্ছা মারুফ এই মহিলাকে নিয়েই চায়না যায়নি তো! ও আল্লাহ! এমন যদি হয় না না ভাবতে পারছেনা সে! মারুফ কেমনে তাকে ঠকালো?? আজ বিকালে আবারো আসবে সে এই বাসায়….

এবার সে একা আসবেনা! তার ভাই মানোয়ার কে সাথে নিয়ে আসবে, সারাদিন ননস্টপ কল করেছে সে তিন্নিকে সুইচড অফ! সে শিউর হয়ে গেছে,, কিন্ত এবার সে হেস্তনেস্ত করবেই, বিকালে তিন্নির বাসায় গিয়ে চিৎকার করে সিন ক্রিয়েট করল সে, আশেপাশের ফ্লাটের অনেকেই জমা হয়ে গেল এরমধ্যেই! অনেকের মুখেই তিন্নির সম্পর্কে বেরিয়ে এলো নানা তথ্য! এইকান সেইকান হতে হতে পরিচিত মহলের অনেকেই জেনে গেল ব্যাপারটা!

দুইদিন পর মারুফদের দেশে ফেরার কথা, কিন্ত এই দুইদিনের প্রত্যেক টা মুহূর্ত দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম মনে হচ্ছে রিমার! কখনো ভাবছে কি আর হবে বেঁচে থেকে! যাকে মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবেসেছে সেই বিশ্বাসঘাতক বেঈমানের সংসার করবেনা, বাড়ি ফেরার সাথেসাথেই মুখে একদলা থুতু ছুঁড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে, আবার কখনো ভাবছে, নিজেকে শেষ করে দেবে,!! আবার কখনো মুখে খিস্তি আউড়ে কল্পনায় তিন্নিকে চপেটাঘাত করছে! কিন্ত কি লাভ?? দোষ তো তার স্বামীরও….

ছোটবেলায় কোন এক রচনা মুখস্ত করতে গিয়ে রিমা পড়েছিল – ” when Money is Lost, nothing is lost,,,
When Health is lost, something is Lost,,, But
When Character is lost, Everything is Lost…. ইয়েস! মারুফ সব হারিয়েছে, সব! মারুফের ব্যবসার যাবতীয় লাভের সবটুকুই লোকসানে পরিণত হয়েছে তিন বছর যাবত, এখন সে বিছানায় শোয়া রুগী, বছর দুয়েক আগে পা হারিয়েছে রোড এক্সিডেন্টে,,

যেখানে স্ত্রী হিসেবে সবথেকে বেশি কষ্ট পাবার কথা ছিল রিমার সেখানে পঙ্গু মারুফের সেবা করতে খুব একটা খারাপ লাগেনা, নার্সিং ইন্সটিটিউটের জব করতে না পারার জন্য এখন আর বিন্দুমাত্র খারাপ লাগেনা রিমার, মারুফের ব্যবসা সেইই দেখাশোনা করে এখন, মাঝেমাঝে খুব মন চায় অন্য কোন পুরুষের সাথে রাত কাটিয়ে প্রতিশোধ নিতে! কিন্ত যে পুরুষ তাকে মনেপ্রাণে ভালোইবাসেনি তার প্রতিশোধ নেবার কোন প্রয়োজনবোধ করেনা রিমা ?? যদিওবা মারুফের এই হাল হবার পেছনে তারই বিশেষ অবদান স্বীকার করতেই হবে!! তার প্রথম সফলতা এই যে, সে তিন্নি কে এই শহর ছাড়া করেছে, তার স্বামী র সামনে তার মুখোশ উন্মোচন করেছে, হয়ত শাহীনের সাথে ডিভোর্স ও হয়ে গেছে এতদিনে…. অন্য কোন মেয়ের জীবন ধ্বংসের নোংরামি খেলায় হয়ত মেতে উঠবে তিন্নি! কিছুকিছু পাপের শাস্তি এত সহজে হয়না,তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় তবে মরার আগে বা পরে এই অশান্তিময় খেলার পুরষ্কার হয়ত পাবেই তিন্নির মত মেয়েরা……

নাহ! আর পেছন ফিরে তাকাবেনা রিমা, সেখানে শুধুই কষ্ট! নিজের স্বামীর কাছ থেকে বিশ্বাসঘাতকতার কষ্ট!স্বামী মরে গেলে মেয়েরা বিধবা হয়, মনকে স্বান্তনা দেয়া যায় কিন্ত যে স্বামী বেঁচে থেকেও বেঈমান সেই স্বামী না থাকাও হয়ত সুখের! কখনো কখনো সন্তানদের কথা চিন্তা করে নিজেদের যন্ত্রণাময় কষ্টকে মাটি চাপা দিতে হয়,রিমা সেই চেষ্টাই করছে,,

ছেলে মানাফ এবারের জে এস সি তে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে, মেয়ে মানহা ময়মনসিংহের ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছে, এই বছরের শুরুতে ছেলেমেয়ে র খুশিতে সেও আনন্দের বৃষ্টিতে ভিজবে!

জীবনে একটা বয়স থাকে ভুল করার, ভুল করেও অনেকে, কেউ ভুল করে শেখে আর কেউবা ভুল দেখে কিন্ত প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর কিছুকিছু অভ্যাস, বদ নিয়ত কে যারা পরিবর্তন পারেনা, যারা নিজের স্বামী / স্ত্রী , সন্তান সন্ততি র ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে নিজেদের খাম খেয়াল মত চলে তাদের করা কু কর্ম গুলো স্রেফ নোংরামি ছাড়া কিছুই নয়।।

বি.দ্র. যারা গল্পের সাথে ছিলেন সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা, বানান অথবা অশুদ্ধ বাক্যের জন্য ক্ষমা চাইছি…. শুভ হোক আগামীর দিনগুলো… জীবনের খাতায় এই ধরণের গল্পগুলোর পরিণাম আসলে খুব একটা ভালো হয়না, তবুও জীবন পাড়ি যায়, মাঝে এর ইফেক্ট পড়ে সন্তান সন্ততির উপর, Sometimes many of us don’t realize Sex is just a part of married life not Everything in life!!
তিন্নির মত ডাইনী অথবা মারুফের মত অমানুষ দ্বারা আর কারও সুখের সাজানো বাগিচা আগুনে ঝলসে না যাক।। ?

পর্ব ১

https://m.facebook.com/groups/1749042645384412?view=permalink&id=2546731285615540

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে