নরপশু_বর ৩য় খন্ড

0
1961

নরপশু_বর
৩য় খন্ড
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
Nusrat Haq..
আমার মনে হলো আমি দোযখ খানায় এসে পড়েছি।
সে দিনের ২ টা বাজে ঘুম থেকে উঠলো। উঠে বললও ভাত দাও।
আমি দিলাম। তারপর তাকে বললাম আচ্ছা বাথরুম কোথায় তারপর পানি কোথা থেকে আনবো।
সে ভাত খেয়ে উঠে আমাকে বাথরুমে নিয়ে গেলো৷ কি বলব বাড়ি থেকে অনেক দুরে একটা জঙ্গলের মত জায়গায়।
রাত বিরাতে তো আসায় যাবে না। আর বষার সময় ভুলেও না।
তারপর সে একটা বাড়ি দেখালো ওখান থেকে পানি আনতে বললও।
আর রাস্তার পাশে মসজিদের পুকুর থেকে গোসল করতে বললও।
আমি তো কান্নায় শেষ এটা কি হলো।
নসিবে এটা কি হলো৷
যায় হোক আমাকে আমার বাপের বাড়ি থেকে কেউ দেখতে ও আসলো না।
দিন যেতে লাগলো আর তার অত্যাচার বাড়তে লাগলো।
অহেতুক গালাগালি করা।আমাকে বিয়ের ৭ দিনের দিন রাতে মারতে শুরু করলো।
সে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আসলো আর আমার জামা খুলতে একটু দেরি হয়েছিলো চাহিদা মিটানোর জন্য।
কি জঘন্য সময় ছিলো বলে বুজাতে পারবো না।
খুব লজ্জা লাগতো অন্যের বাড়িতে পানি আনতে যেতে৷
তারপর মসজিদের পুকুরে গোসল করতে।
আমি ২ দিনেও গোসল করতাম না লজ্জায়। আর রাতের বেলা প্রসাব ধরলে ও বালতি ভরে করতাম তাও বাথরুমে যেতাম না।
বাথরুমে না যাওয়ার জন্য একদম কম খেতাম।
আর তার তো কোনো খবরই থাকতো না। সে ঠিক মত কাজ ও করতো না।
একদিন বাজার আনলে ১০ দিন আনতো না।
বলে বুজাতে পারবো না আমার কস্টের কথা গুলো।
শুধু আল্লাহকে বলতাম আল্লাহ তুমি একি রাখছো নসিবে জীবনে কি সুখ দিবা না।
তো বিয়ের ১ মাস পর আমাদের বাড়িতে যায়। গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করি।
আর মা আমাকে বললও এত ডং করতে হবে না অনেক ডং করছস।
বাড়িতে ১ দিন থাকার পর বাবা বললও কিরে যাবি না বিয়ে দিয়ে দিছি এখানে কি।
শশুর বাড়িতে যা।
তাদের আমি খুলে বললাম এই এই অবস্থা। কিন্তুু তারা বললও বিয়ে দিছি এটাই বেশি৷
তারপর মাকে বললাম।
মা ও মা আমি তো তোমার মেয়ে কেন আমার সাথে এমন করলে।
মা বললও পেট বাঁধানোর সময় মনে ছিলো না।
আমি এটা বলতে পারলাম না বাহিরের মানুষ না ঘরের মানুষই করেছে।
নসিব খারাপ হলে যা হয় আরকি।
এরপর সব মেনে নিলাম আর নিজে নিজে যুদ্ধ শুরু করলাম৷
শশুর বাড়িতে এলাম।
মনোবল আরো শক্ত করলাম। এখানেই আমার থাকতে হবে।
কিন্তুু বর প্রতিরাতে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আসতো।
বিয়ের ১ মাস পর চালের কথা বললাম। ঘরে চাল ডাল কিছু ছিলো না।
চালের কথা বলার সাথে সাথে মাইর।
বলত কাজ করে খা।
আমি বিয়ের ১ মাস পর থেকে মানুষের বাড়ি কাজ করতাম৷ তারা যা দিতো চাল ডাল তাই খেতাম।
আমার মা আমার একটা বার খোঁজ ও নেয়নি
মানুষের ধান ঝাড়তাম উঠান লিপতাম।
তারা যা দিতো তাই খেতাম কারন বর বাজার করতো না। আর সে কাজ ও করতো না।
বিয়ের সময় আমাকে আমার বাপের বাড়ি থেকে ১ জোড়া কানের দুল আর চেইন দেয়।
একদিন সনধ্যা বেলা এসে বলে তোমার চেইন টা দাও তো।
সাধারণত সে সনধ্যার দিকে বাড়ি আসে না।
আমি সরল বিশাসসে তাকে চেইন টা দিলাম।
তো সে যখন মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরলো আমি কিছু বললাম না তাকে।
সকালে চেইনের কথা জিজ্ঞাস করে আমাকে মাইর বলে তোর বাড়ি থেকে আমাকে ১০ হাজার টাকা ছাড়া আর কি দিছে।
আমি ও মাইর খেয়ে পড়ে রইলাম কি বলব আর।
প্রায় সে আমাকে যৌতুকের জন্য নিযাতন করতো।
না পারতাম বাচতে না পারতাম মরতে।
মানুষের বাড়িতে সারাদিন কাজ করার পরে ও ঘরে এসে কাজ করতে হতো। রান্নার জন্য লাড়কি আর পাতাটা ও আমাকে খুজে আনতে হতো।
সে একদিন কাজে গেলে ১০ দিন যেতো না।
আর মদ খেয়ে টাকা সব শেষ করে ফেলতো।
আমি আমার কানের দুল জোড়া লুকিয়ে রাখলাম।
চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে