তোমাকে_চাই(Season_3)Part:-5+6

0
1966

তোমাকে_চাই(Season_3)Part:-5+6
#আরবি_আরভী

#Part_5

আগামীকাল রেহানদের বাড়িতে অনেক মেহমান আসবে তাই রাতেই রেহান রিকুয়েস্ট করে বলে যায় আমি যেন চাচীকে একটু সাহায্য করি।। এতে করে নাকি চাচীর মনে জায়গা করে নিতে পারবো।। কিন্তু আমার কাছে সব কিছু বৃথা মনে হচ্ছে।। চাচী আমাকে দু চোখে সহ্য করতে পারেন না।।।

পরেরদিন সকালেই রেহানদের বাড়িতে চলে গেলাম।। আমাকে দেখে চাচীর লুখ পুরো চেইঞ্জ হয়ে গেছে।। যাইহোক আমি আর সায়মা খালা (কাজের লোক) মিলে সবটা বাড়ি পরিষ্কার করছি।। চাচীর আগে পিছে থাকছি কিছু লাগবে কি না জিজ্ঞাসা করছি।। দিন শেষে কাজ করেই চলছি মেহমানের সমাবেশে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি।।খুব দুর্বল লাগছে।। সারাদিন তেমন কিছু খাওয়া হয়নি।। রেহান কিছুক্ষন পর পর আমার খোজ নিচ্ছেন আর কাজ করতে বারন করে আজকে উনার সাথে ডিনার করার জন্য অনুরোধ করছেন কিন্তু চাচীর খুশির জন্য আমি আন্তরিকভাবে কাজটা শেষ করতে চাচ্ছি,,,,।।।

রেহানের রুমে এসে রেহানের ছবিটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মনের অজান্তে গানে সুর ধরি,,

আমার হৃদয় একটা আয়না,,,
সেই আয়নায় তোমার মুখটি ছাড়া কিছুই দেখা যায়না,,, লাভ ইউ পাখিটা❤

পেছন থেকে কে যেন আমার চোখগুলো আকড়ে ধরে।। রেহান ভেবে পিছনে ফিরেই উনাকে জড়িয়ে ধরি,,,, তারপর একটা কন্ঠ,,,

-তাহলে কি তুমি আমাকে একসেপ্ট করেছো নিসা,,,

আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি।।। সাব্বির ভাই।।আমার চুলগুলোতে বেনুনী কাটতে কাটতে,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


-খুব সুন্দর তুমি,,,,

আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না একটা থাপ্পড় মেরে সেখান থেকে চলে এলাম,,,।। লজ্জা নেই কিভাবে ভাবলেন উনি।। ভাবতেও পারিনা মানুষের রুচি কেমন ঘৃন্য হয়।।

সন্ধ্যায় মানুষের কুলাহলে পরিবেশ।। একদমে কাজ করে যাচ্ছি,,, চাচী তার ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলেন ইশায় আমাকে জোস সার্ভ করতে বললে আমি জোসের ট্রেটা হাতে নিয়ে উনাদের দিকে যাচ্ছি এমন সময় কয়েকটা বাচ্ছার ধাক্কায় ট্রেয়ে থাকা সব জোসের গ্লাস গিয়ে পড়ে চাচীর ফ্রেন্ডের উপর সাথে সাথে চাচী রেগে এসে আমাকে কষে একটা থাপ্পড় মারে,,,,,,,, সবাই থঁ মেরে গিয়ে আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে থাকে আমি থাপ্পড় দেয়া গালটা ধরে চোখের পানি ফেলছি আর এদিকে আন্টি বলছেন,,,

-কি রে মিথিলা কেমন কাজের মেয়ে রেখেছিস একেবারে আধমরা,,,,,,আমার ড্রেস্টা নষ্ট করে দিলো স্টুপিড,,,
-কিরে এখনও দাঁড়িয়ে আছিস আমার নাক তো কেটেই দিয়েছিস প্লিজ বিদায় হও এখান থেকে আক্কেল জ্ঞান কিচ্ছু নেই মেয়েটার,,,,,,,,

দৌড়ে রুমে এসে কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরলে,,,, হঠাৎ নিজেকে কারো কোলে আবিষ্কার করলাম,,, চোখগুলো ঘষতে ঘষতে খুলে দেখি রেহান,,,,,।। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে,,

-আম্মু বলেছে তুমি নাকি রাগ দেখিয়ে না খেয়ে চলে এসেছো,,,, বলেছিলাম এত কাজ করতে হবে না যাইহোক একসাথে খাবো চলো,
-আমি,,,, আমি খেয়ে নিয়েছি,,
-তাতে কি বরের সাথে আবার খাবা,,

অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চাচীর সাথে এক টেবিলে সবাই ডিনার করলাম,, চাচী আমার দিকে থাকাচ্ছেন না,,, সারা দিন অনেক কাজ করেছি তাই হয়তো কাজের মেয়ে ভেবে খেতে দিচ্ছেন।।।

তার কিছু দিন পর চাচীর আড়ালে চুপি চুপি রেহানের রুমে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিলাম।। রেহান সাওয়ার নিচ্ছেন হয়তো উনার আম্মুকে ভেবেছেন তাই চিল্লিয়ে ওনার টাওয়েলটা দিতে বললে আমি হালকা কাশি দিয়ে উনাকে বুঝি দি যে আমি উনার আম্মু না,,,,

-নিসা টাওয়েলটা একটু দে প্লিজ
-ওকে দিচ্ছি,,,,

মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো আমি টাওয়েলটা উনাকে না দিয়ে হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর মুচকিয়ে হাসছি।। এদিকে উনি ১০ মিনিট যাবৎ হেকে যাচ্ছেন।।।,,,,

-নিসাআআআআ কোথায় তুই প্লিজ তাড়াতাড়ি কর শীত করছে অনেক,,,,,,
-না দিবো না,,
-মানে কেন প্লিজ দিয়ে দে,,,,
-আগে বলেন অন্য মেয়েদের সাথে আর কথা বলবেন,,,
-না রে বাবা,,, ,
-আমাকে অ একগুলো চকলেট কিনে দিবেন,,
-ওকে,,
– আচ্ছা আপনে কি শিকার করেন আপনে একজন ডেভিল হ্যাজবেন্ড ,,, (হেসে)
-না
-তাহলে টাওয়েল পাবেন না,,
-ওকে ওকে আমি ডেভিল এখন তো দিয়ে দে তা না হলে বেরিয়ে আসবো বলে দিলাম,,
-হা হা হা হা না দিবো না,,,,
-তাহলে বেরিয়ে আসছি,,
-তাও দিবো না হা হা হা হা হা
-নিসা কাজটা ভালো হচ্ছে না বলছি এটার মাশুল তোকে দিতে হবে একবার বেরিয়ে আসতে দে,,
-আগে আসেন তারপর হা হা হা,,
-বেরিয়ে আসছি কিন্তু,,,,
-আচ্ছা হা হা হা হা,,

ডেভিলটা দরজাটা প্রায় খুলে ফেলেছিলো আমি আর না হেসে তাড়াহুড়ো করে উনাকে টাওয়েল টা দিয়ে দরজাটা বন্ধ করে৷ দিলাম,,,,,,।। এ ছেলে দেখি খুব ডেঞ্জারাস।। উউফফফ আর একটু হলেই,,,আল্লাহ তওবা তওবা ছ্বি ছ্বি।।

দাঁড়িয়ে উনার জন্য অপেক্ষা করছি ডেভিলটা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে সোজা আমার কাছে এসে আমার গাল ধরে দেয়ালের সাথে খুব জোড়ে চেপে ধরে,,,, উনার এক হাত আমার এক হাতে দেয়ালের উপর করে চেপে রেখে,,

-বলেছিলাম না মাশুল দিতে হবে,,

উনার চোখ গুলোর দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেছি।। মনে হচ্ছে আমাকে আজকে গিলে খাবেন ।। আমি তার হাত থেকে নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করছি উনাকে বারেবার আমাকে ছেড়ে দিতে বলছি।। উনি কথা না শুনে উনার হাতটা দিয়ে আমার আরেক হাতসহ চেপে ধরে,,

-আমি ডেভিল তাই না,,ডেবিল কি করে ,,(ধমকের সাথে)
-র,,রক্ত খায়,,(আসতে করে কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
-সব জানো দেখছি,,,

কথাটা বলে উনি আমার শরীর থেকে ওড়নাটা সরিয়ে।। পাগলের মতো চুমু খেতে থাকেন।।তার ভেজা দেহটা আমার শরীরটাকে শীতল করে তুলছিলো।। পাগল করে দিচ্ছিলো আমাকে।।,,

চলবে,,

#তোমাকে_চাই (Season_3)
#আরবি_আরভী
#Part_6

কথাটা বলে উনি আমার শরীর থেকে ওড়নাটা সরিয়ে।। পাগলের মতো চুমু খেতে থাকেন।।তার ভেজা দেহটা আমার শরীরটাকে শীতল করে তুলছিলো।। পাগল করে দিচ্ছিলো আমাকে।।,,

কালকের ঘটনার পর থেকে উনার সাথে কোন কথা বলছি না।। ভার্সিটি যাবো তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি কোন গাড়ি পাচ্ছি না।।হঠাৎ সাব্বির ভাই গাড়ি নিয়ে এসে আমাকে লিফট দিতে চাইলেন ,,,

-নিসা তাড়াতাড়ি চলে এসো,,
-আমি যাবো না আপনি যান,,
-বড় ভাই হিসেবে বলছি,,,

তাড়াহুড়োতে ছিলাম।তাই আর ভাবলাম না।। সাব্বির আমার সাথে আলাপ করতে চাইছেন,,,

-পড়াশোনা কেমন চলছে,,,,,তোমার আব্বু যে কি করেন,,,, আচ্ছা তোমার মতো মিষ্টি দেখতে এমন কোন বন্ধবী আছে তোমার প্রেম করতাম আরকি হা হা হা
-উউফফফফফ গাড়িটা এত স্লো যাচ্ছে কেন স্পিডে যেতে বলে,,,মাথা ধরে গেছে।।

সাব্বির হয়তো বুঝে গেছেন আমি উনার কথায় ভীষণ বিরক্ত তাই উনি কিছুক্ষন চুপ থেকে আবার বলতে থাকেন,,

-আচ্ছা তুমি যদি এটা ভেবে থাকো যে রেহান তোমাকে ভালোবাসে আর তোমাকে নিয়ে সংসার করবে তাহলে জেনে রেখো তুমি সপ্নে বসবাস করছ ,,,,,,, আমাকে ফিরিয়ে দিলে পরে তোমাকেই পস্তাতে হবে বুঝেছ,,,,
-মানে কি এসবের,,
-রেহান যে বিয়ে করছে তুমি কি জানো,,,
-কি,,,, কার সাথে,,(উত্তেজিত হয়ে)
-ঐ দিন ফাংশনে অরিনের সাথে রেহানের বিয়ে প্রায় ঠিক হয়েছে তা কি তুমি জানো না, রেহান হয়তো তোমাকে জানানোর প্রয়োজনবোধ করে নি,,,
-আমি বিশ্বাস করি না,,

বুকের ভিতরটা মুচড়ে উঠলো।। অঝোর নয়নে কাদতে লাগলাম।।

বাসায় এসে দৌড়ে রেহানদের বাড়িতে গিয়ে রুমে রেহানকে পেলাম না।। তারপর জানতে পারলাম রেহান চাচী চাচ্চু নাকি অরিন আপুদের বাড়িতে বেরাতে গিয়েছেন।। রেহান আমাকে তাহলে বোকা বানাছেন।। কিন্তু কেন,, কেন করছেন উনি এমন।। আমাকে লুকিয়ে বিয়ে করে এখন আবার অন্যকাউকে বিয়ে,,,

সন্ধ্যায় উনারা বাড়ি ফিরেছেন।। রেহান তো আমাকে একের পর এক কল দিয়েই যাচ্ছেন আর আমি ইগনোর করছি।। রাব্বিস খরুচ ডেভিল একটা।। উনার কথা ভেবে ডুকরে কেদে উঠছি।। রাত ১ টা উনাকে কল দিয়ে ছাদে দেখা করতে বললাম,,,,।। ছাদে যেতে না যেতে রেহান আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে একটা কিস করে বলতে শুরু করলেন,,,,,

-ফোন ধরছিলি না কেন,,, কিছু হয়েছে নিসা,,,
-ঐদিন ফাংশনে কি কিছু হয়েছে যেটা আমি জানি না হতে পারে আপনে বলতে ভুলে গেছেন এমন কিছু,,
-না এমন কিছুই তো হয়নি,,
-ওও ও হুমম,,,,,, আচ্ছা আপনে আমাকে কেনো বিয়ে করেছেন বলেন তো,,,
-মানে,,,,

উনার এমন আচরনে সাব্বিরের কথাগুলোই যেন সত্যি প্রমান হচ্ছিলো।। নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না উনার কাছে গিয়ে চিৎকার করে রাগি কন্ঠে বলতে শুরু করলাম,,,

-কেনো মিথ্যা বলছেন রেহান ঐ দিন অরিন আপু আসেননি আপনাদের বাড়িতে সাথে বিয়েও ঠিক হয়েছে আপনাদের অথচ আমি কিছুই জানি না আমাকে আপনে কিছুই বলেনি কেন রেহান কেন,,,
-তোকে কে বলছে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,,
-আমাকে যেই বলুক না কেন এটা তো সত্ত তাই না।।
-এসব কিছুই হয়নি হ্যাঁ আম্মু বলেছিলো কিন্তু আমি মানা করে দি,,,
-মিথ্যা আসলে আপনেও রাজি আপনেও অরিন আপুকে মনেপ্রানে বিয়ে করতে চান তা না হলে বিষয়টা গোপন করতেন না,,
– নিসা তোকে টেনশনে রাখতে চাইনি তাই বলিনি,,,

আমি করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে উনার গাল দুটো আকড়ে ধরে কাদো কাদো কন্ঠে বলতে লাগলাম,,,
-সত্যি কি আপনাদের মধ্যে কিছু নেই,,
-কি থাকবে,,?,,,(সন্দেহকোন দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
-শারীরিকভা,,,,
কথাটা শেষ করতে পারিনি রেহান কষে আমাকে থাপ্পড় দিয়ে,,।। ভীষণ রেগে সেখান থেকে চলে যেতে বললেন।।আমার মুখও নাকি আর দেখতে চান না,,।। খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম।।

পরেরদিন বিকেল বেলা বাসায় কেউ নেই।। রুমে একা একা বসে ভোড় হচ্ছি এমন সময় ১০-১২জন পিচ্ছি এসে কলিংবেল চাপতে লাগলো।। আমি দরজা খুলতেই উরা হাতে সেড ইমুজি নিয়ে সমস্বরে বলে উঠলো Sorry।।আমি তো অবাক।। এত্ত কিউট পিচ্চিগুলো।। তারপর ওরা একজন একজন করে এসে আমার হাতে একএক করে কিটকাট চকলেট দিয়ে গেলো।। আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না।। কিছুক্ষন পর সব পিচ্চিদের মধ্যে এসে এড হলো একটা বুইড়া।। হাতে একটা ফুলেরকুঞ্জ সাথে কার্ড।। ইশারায় কানে ধরে sorry বলছেন যা দেখে বাচ্ছারা নিজেদের মধ্যে খিলখিলিয়ে হাসা শুরে করেছেন তা দেখে আমারও হাসি পাচ্ছিলো কিন্তু চেপে গেলাম।। উনাকে বুঝতে দেয়া যাবে না।।

রেগে একটা ভেংচি কেটে দরজাটা যেইনা বন্ধ করতে যাচ্ছি অম্নি ডেভিলটা আমাকে বাধা দিচ্ছে।। আমি খুব জোর দিয়ে চেপে ধরে রেখেছি কিন্তু ডেভিলটার সাথে পারছি না।।। দরজাটা খুলে ডেভিলটা আমাকে এক ধাক্কায় বিছানায় ফেলে দিয়ে নিজে আমার উপর চড়ে উঠে খুব জোরে চেপে ধরে ঠোঁটে চুমু খেতে থাকেন।। আমি নড়াচড়া করতে পারছি না,,,,

-উউফফফ ছাড়েন আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাই না,,,প্লিজ বেরিয়ে যান,,

উনি কোন কথাই শুনছেন না তাই চুল থেকে একটা আলপিন খুলে দিলাম উনার কাধে ঢুকিয়ে,,

-ওসিট!!! নিসা কি করলি এটা
-বেরিয়ে যান বলছি,,
-রাগ করার কিছু নেই তোর সন্দেহ তাই না আমি তোকে সত্যি ভালোবাসি কি না,,,
-বাসেনিনা তো আমি জানি
-হুম তাই আজকে রাতে আব্বু তোর ফ্যামিলির সাথে আমাদের বিয়ের কথা বলতে আসছেন,,,,,,।।
-সত্যি!!! আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না,,
-হবে হবে ম্যাডাম জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াছ,,,
-কিন্তু চাচী?
-উনিও আপনাকে বরন করতে রাজি বুঝেছেন,,
-______________(অবাক)

উনি যে এতটা সিরিয়াস হয়ে কথাটা বলেছিলেন তা কল্পনাও করতে পারিনি।। সত্যি সত্যি আমাদের বিয়েটা অনেক ধুমধামের সাথে সম্পন্ন হচ্ছে।। আমার তো খুশির সীমা নেই।। উনার সাথে আর লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে হবে না।। আমরা একসাথে থাকবো।। কিন্তু চাচীর মুখটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না,, এতটা গুমড়ে আছেন।। আমাকে উনি কোনো দিন মেনে নিবেন না হয়তো।।।

যাইহোক রেহান যখন স্টেজে এন্ট্রি করলেন তখন সবাই অবাক সাথে আমিও।। ডেভিলটা তার বন্ধুদের নিয়ে নেচে আমাকে সাপ্রাইজ দিলেন।। ডেভিলটা যে এত্ত ভালো নাচতে পারেন তা আগে জানতাম তা না হলে সবসময় উনার নাচ দেখতে চাইতাম,,

Hiriye shera bandhke me tu ayaa re,,
Dholi barat bhi sath me toh layare,,
Abh tu na hota hai ek rooj intezar,,,
Soni aj nahi toh kal hai tujhko bas meri hondhi hai,,,,,
Tenu leke me jabanga dil deke me jabanka,,

নাচের এক পর্যায় উনার বন্ধুরা এসে আমাকেও পার্টিসিপ্যান্ট করতে বলে।। আমি হলাম নাচের পাগল সুযোগ বুজে হেব্বি আনন্দ করছি এমন সময় রেহান আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে বলতে থাকেন,,

-এত নেঁচো না মানুষ ভাববে বিয়ের পাগল ছিলে,

তারপর আমি থেমে গিয়ে দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে দিলাম।। খুব খুশি ছিলাম ঐদিন।।সপ্ন যেন বাস্তব হয়ে গেলো আমার।।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে