তুই হবি শুধু আমার ২ পর্ব-১৫ এবং শেষ পর্ব

0
1698

#তুই_হবি_শুধু_আমার (২)💙
#সাইরাহ্_সীরাত
#পর্ব_১৫ (শেষ)

ছাদে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে রোজ ফালাক। বাড়িতে কথা চলছে আগামী কাল হয়তো ওদের বিয়েটা সম্পন্ন হবে। আকাশে আজ পূর্নিমার চাঁদ উঠেছে। গোল রূপার থালার মত শুভ্র স্নিগ্ধ চাঁদটার আশেপাশে মিটিমিটি জ্বলছে চাঁদের সাথি তারারা। রোজের দৃষ্টি ফালাকের ওপর নিবদ্ধ একধ্যানে সে চেয়ে আছে ফালাকের শুভ্র মুখশ্রীতে। আসলেই মানুষটা অতিরিক্ত ফর্সা। শরীরের সবুজাভ শিরাগুলোও দেখা যায়। তাঁর ভেতরে তপ্ত র’ক্ত চলাচলও স্পষ্ট বোঝা যায়।মানুষটার গালের ছোট করে কাঁটা চাপদাড়ি। রোজের কলেজের দিনটার কথা মনে পড়লো। সেদিন ক্লিনসেভ ছিল, মানুষটা হাসলে তাঁর ডান গালের মধ্যভাগে টোল পড়ে। চোখে ঘন পাপড়ি। বিধাতা হয়তো নিজের কুদরত উপুড় করে ঢেলে তৈরি করেছে এই সুদর্শন শুভ্রমানবটাকে। ফালাকের পরনে শুধু ট্রাউজার। গেঞ্জি ছিল একটু আগে ভুলবশতভাবে কফি পড়ে ভিজে গেছে বলে খুলে রেখেছে। রোজের চোখ এবার ওর শরীরে পড়ল। মানুষটার শরীরে কোনো দাগ নেই। রোমশ ধবধবে সাদা বুকটাও চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শুধু পেটের কাছে চিকন করে একটা কা’টা দাগ। রোজের মনে পড়লো এটার ওরই দেওয়া। মুহূর্তেই একরাশ বিষাদ এসে হানা দিল রোজের মনের কোনে। আনমনেই সে নিজের হাতটা বাড়িয়ে ফালাকের পেটের ওপর রাখলো।ফালাক ভড়কে,চমকে তাকালো। কিন্তু সে চমক প্রকাশ করলো না। রোজ কা’টা জায়াগা টুকুতে হাত বুলিয়ে বলে,

-“কেন জানি না, এটা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। কেন বলুন তো? বাবাই-মামনি, নক্ষত্র-হীরামন আর চাচ্চু বড়াম্মুর পরে আপনার কষ্টে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। ”

ফালাক জবাব না দিয়ে রোজের হাত চেপে ধরল। এর পর হ্যাচকা টানে রোজকে নিজের কাছে টেনে নিলো। উদম শরীরের ঠিক ডানপাশে গিয়ে লাগলো রোজের মাথা। শীলত বুকের সঙ্গে মিশিয়ে দাড় করিয়ে রাখলো ফালাক। রোজ অনুভব করল ফালাকের হৃদস্পন্দনের গতি স্বাভাবিক নয়। এমনকি রোজকে জড়িয়ে ধরেও টলছে ফালাক। পুরোনো নিজেকে খুজে পেয়ে রোজ অবাক হলো। সেই ছোট্ট বেলার মত নাকমুখ ফুলিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে ওর। নিজের কাঠিন্যভাব মিটিয়ে ফালাকের বুকে মুখ গুজে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এটা কি ঠিক হবে? ন্যাকামি হবে না তো? রোজের চোখের কার্নিশ বেয়ে তপ্ত তরল ফালাকের বুকের ওপর পড়তেই ফালাক আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রোজকে। ঠোঁটে মৃদু হাসির রেখা। রোজ নিজেই বলল,

-“জানেন,আমাকে অনেকে ভালোবাসা দেখিয়েছে। অনেকে বুঝিয়েছে নিজের অনুভূতি। আমি দেখেছি সব, বুঝেছি সব। কিন্তু কেউ সাহস করে আমাকে নিজের কাছে টানতে পারেনি। সবাই অনুমতির আশায় ছিলো। কিন্তু তুশিব নামক ছেলেটা একবার আমার হাত ধরতে গিয়েছিলো। তখন কোনো একটা মিশন নিয়ে কাজে ব্যস্ত ছিলাম আমি। বরাবরের মত তাকেও একটা চর মে’রেছিলাম।তারপর থেকে ওকে প্রায় দেখতাম আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে। হয়তো বোঝাতো সে আমাকে সম্মান করে, ভালোবাসে। কিন্তু আমার মন ওকে একদমই সহ্য করতে পারতো না। পুরোনো এক ফোনকলের কথা মনে করিয়ে দিত, তাঁর বিশ্বাসঘা’তকা মনে করিয়ে দিত। ছেলেদের বিশ্বাস করাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। প্রেমে ভরসা ছিল না। বারংবার মনে হতো আমি হয়ত এমন কিছু হারিয়েছে যেটা নিজের অজান্তে আমার মনের সঙ্গে যুক্ত। ”

-“পুরোনো কথা বাদ দে চাঁদ। ”

-“তুশিবকে কেন মে’রেছেন? ”

-“তোকে ও নিজের করতে চেয়েছিল। আমার চাঁদকে অন্য কোনো মানুষ নিজের করবে এটা আমি দাঁড়িয়ে দেখতাম? তোকে ছুঁতে চেয়েছে এটা মেনে নিতাম? তোকে তো বলেছি চাঁদ, তোর হাজারটা রোমিও আশিক থাকলেও তুই শুধু আমার হবি। আর কারোর না। তোকে অন্য পুরুষ ছোঁবে সেটা মানতে পারবো না আমি। তুই আমার আসক্তি চাঁদ, এই নেশায় মত্ত আমি। এটা ছাড়া আমার চলবে না। এব্যাপারে আমি প্রচন্ড স্বার্থপর। তোর ভাগ আমি কাউকে দেবো না। কাউকে না। ”

-“মেহমেদ ভাই যে মুগ্ধতাকে পছন্দ করতেন। এটা কি জানতেন আপনি? ”

-“সর্বপ্রথম কথাটা ও নিজেই আমায় জানিয়েছিলো। সেজন্যই আমি মুগ্ধতাকে সঙ্গে রাখতাম। ইরফান চাচার জন্য ওর কোনো ক্ষতি হোক সেটা চাইতাম না। কিন্তু ও ভুল করেই চলেছে। তবুও ওকে শাস্তি দেইনি মেহমেদের কথা ভেবে। তোর ওপর আঘা’ত করার পরও চুপ ছিলাম এটা ভেবে, এখানে ওর ভুল নেই।তুই কি সেজন্য কষ্ট পেয়েছিস? ”

-“আমাকে এই চিনলেন? ছাড়ুন আমাকে। ”

-“মনে করে দেখ, আমি নিজে তোকে টানিনি। তুই প্রথম আমাকে টাচ করেছিস তারপর আমি। নিজ থেকে যখন একবার এসেছিস কোনো ছাড়াছাড়ি হবে না।আর স্যরি আমি মজা করছিলাম। আমি জানতাম পুরো সত্যটা জানলে তুই মুগ্ধতাকে ছেড়ে দিবি। তাই বাড়তি ঝামেলা করিনি। ”

রোজ নিশ্চুপ। ওর পরিবার পরিপূর্ণ আজ। প্রতিটা ভালোবাসার মানুষ নিজের ভালোবাসা পেয়েছে। ভীর রাই বাচ্চা এ্যাডোপ্ট করার চিন্তা করছে। মেহমেদকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে মুগ্ধতা।অয়ন্তি সন্তানসম্ভবা। ফালাক পলিটিক্যাল লাইফ ছেড়ে পুরোপুরি কলেজে মনোযোগী হবে। আনসারী সাহেব পুনরায় চাকুরিতে জয়েন করবেন। সবটা আগের মত স্বাভাবিক শান্তিময়। এমনটাই তো চেয়েছিল রোজ।একটা স্বাভাবিক জীবন। ভালোবাসায় ভর্তি একটা বাড়ি। রোজ চোখ বুজে এই নিরব নিস্তব্ধ পরিবেশে ফালাকের হৃদস্পন্দন শুনছে। রোজের খেয়াল হলো ফালাকের বুকের ডানপাশে সে মাথা রেখেছে। রোজ মাথা তুলে ফালাকের দিকে তাকায়। ফালাক সে দৃষ্টি অনুসরণ করে বলে,

-“আবার কি? মাথা রাখ। ”

-“আপনার হার্ট? ”

-“রাইট সাইডে। আ’ম এক্সেপ্শনাল। ”

-“নো, ইয়্যু আর পার্ফেক্ট। আপনার সবকিছুই সঠিক। ”

-“সঠিক হয়ে কি লাভ? যদি ভালোবাসার মানুষটার ভালোবাসাই না পাই! ”

-“আপনি বোধ হয় আমার কথাগুলো খেয়াল করে শোনেন নি। আমার মনের সঙ্গে যুক্ত ফোনকলের মানুষ কে? আপনার মনে হয় এমন কথা আমি এমনি এমনি বলবো? আমার প্রথম আবেগ নিয়ে মিথ্যে বলবো? উহু। শুভ্রমানবকে রোজ ভালোবাসে! তবে নতুন করে তাকে ভালোবাসা শেখাতে হবে নীরদ। আপনার মত করেই আপনাকে ভালোবাসতে চাই। পাগলামি করতে চাই, ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাই কিন্তু এগুলো পারি না আমি। আপনি কি পারবেন না চাঁদকে ভালোবাসতে শেখাতে? শুভ্রমানব কিন্তু ফোনে অনেক ধানাইপানাই করে প্রেমের কথা বোঝাতো। আমার সেই শুভ্রমানবকে ভালো লাগে। তাঁর তুমি ডাকটা ভালো লাগে তবে তাঁর মুখের তুই ডাকটা আমার বড্ড প্রিয়। রেগে গেলে তুই তুই করে যে ঝারিগুলো দেয় সেগুলো বড্ড প্রিয়। তাকে সেভাবে পেলে চাঁদ আহ্লাদি হয়ে যেত সেই মুহূর্তগুলো প্রিয়। আপনি কি আমাকে সেই সময়টাতে নিয়ে যেতে পারবেন শুভ্রমানব? সেই রঙিন জগৎ ফিরিয়ে দিতে পারবেন? প্রথম প্রেমের প্রথম অনুভূতিগুলো। তাহলেই আমি ভালোবাসবো আপনাকে। ”

-“সত্যি তো? ”

-“তিন সত্যি। চাঁদ ভালোবাসবে তাঁর শুভ্রমানবকে। এই গল্পের হিরোকে ভালো না বেসে হিরোইন যাবে কোথায়? শুভ্রমানবকে বাদ দিয়ে যে চাঁদ অসম্পূর্ণ।”

-“তোমরা কি করছ এখানে?আপিয়া? ”

সারিমের কন্ঠস্বর শুনে দুজন দুদিকে ছিটকে চলে গেল। সারিম এগিয়ে এসে চোখ ডলে বলল, “কি করছিলে?”

ফালাক অপ্রস্তুত হয়ে কেঁশে উঠলো। কিন্তু রোজ শান্ত। সে সারিমের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
-“নক্ষত্র এখানে এত রাতে কেন এসেছে? ”

-“বাবাই তোমাকে ডাকছে। কাল তোমাদের বিয়ে তাই শাড়িটারি কিনে এনেছে দাদাই। সেসব দেখাবে বলে..”

-“তাহলে চলো যাই। ”

-“দাদাভাইয়ের গায়ে জামা নেই কেন? ”

-“কফি পড়েছে। ”

-“ওহ চলো। ”

সারিম যেতে শুরু করলে রোজ ইশারায় ফালাককে জানালো সারিম কিছু দেখেনি। এমনিতেই আবছা আলো। তাঁরওপর সারিম ঘুম থেকে উঠে ঢুলতে ঢুলতে এসেছে। ফালাক লম্বা শ্বাস ফেলল। রোজ হেসে নিচে চলে যায়। ফালাকও আসে পিঁছু পিঁছু।

🍁🍁🍁

বিয়ের রাত! ঘরটাকে সুন্দর করে সাঁজিয়েছে সিয়ামরা।রোজ ব্যালকোনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফালাক আসলো, রোজ সালাম দিয়ে সালাত আদায় করে নেয়। এরপর আবারও ব্যালকোনিতে এসে দাড়ায়। ফালাক পেছন থেকে রোজকে জড়িয়ে ধরে রোজের কাঁধে চিবুক রাখে। দাড়ির খোঁচা লেগে রোজের গলায় খানিকটা লাল হয়ে গেল। রোজ কঠিন গলায় ফালাককে দূরে যেতে বলে। কিন্তু ফালাক তা না করে আরও কাছে টেনে নিল রোজকে। রোজ বুঝলো ইনি বারণ শুনবেন না। তাই বারণ না করে বলল..

-“আমার গল্পটায় কোনো অপূর্ণতা নেই শুভ্রমানব। সব টা পরিপূর্ণ। আমার জীবনের অধ্যায়গুলো ট্রাজেডিতে ভরা। কিন্তু আপনাকে পাওয়ার পর সেই বিয়োগান্তক স্মৃতি মুছে গেছে। ভাবছি এরপরের কাহিনিগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন আনবো। সেখানে শুধু ভালোবাসা থাকবে। শুভ্রমানব ও চাঁদের ভালোবাসা। যেটা কখনও আমাদের মাঝে সেভাবে ছিল না। আমি ভালোবাসি আপনাকে। কখনও কষ্ট দেবেন না আমাকে। আপনার থেকে পাওয়া কষ্টগুলো সহ্য করতে পারি না আমি।”

-“দেবো না।”

🍁🍁🍁
পরিশিষ্টঃ কয়েক বছর পর, সোহানা মুক্ত হয়ে নিজেকে সংশোধন করে ফিরে আসে নিজের ছেলের কাছে। মেহমেদ মুগ্ধতার বিবাহ সম্পন্ন হয়। সিয়াম প্রেমে পড়ে এক জুনিওর মেয়ের। রাই’রা একটা ছেলে বাবু দত্তক নিয়েছে। অয়ন্তির যমজ মেয়ে হয়েছে। রোজের আর একবছর আছে গ্রাজুয়েশনের। ফালাক প্রভাষক পদেই নিয়োজিত। সারিম বড় হচ্ছে, ইদানিং তাঁর মেয়ে বন্ধুর তালিকা তরতর করে বাড়ছে। সেই সঙ্গে প্রশ্নও। এই তো আজ সকালে সারিম রোজকে প্রশ্ন করেছে,

-“আপিয়া কিস করলে কি হয়? দাদাভাই তোমাকে কখনও কিস করেছে? তোমার কেমন লেগেছে? টিভিতে দেখলাম একটা ছেলে একটা মেয়ের ঠোঁটে কিস করছে। আমার গালেও তো প্রিয়তা কিস দেয়। কিন্তু আমি তো কিছু বুঝি না। কেমন লাগে তাও না। কিন্তু ওর নাকি ভালো লাগে। ”

-“কিস? কখন দেখেছ? ”

-“সেদিন দাদাভাই টিভি দেখছিল। আমি এসেই তো দেখলাম। ”

রোজ মনে মনে বলল, “আপনার টিভি দেখা বন্ধ শুভ্রমানব। একদম বন্ধ, কোনো রোম্যান্টিক সিনেমা চলবে না। এবার বুঝেছি ডেইলি পাগলামি কেন করেন। অসভ্য একটা। ”

-“আপিয়া। বলো.. ”

-“প্রিয়তার কাছ থেকে শুনবে। বাই দ্যা ওয়ে প্রিয়তা কে? ”

-“আমার গার্লফ্রেন্ড।আমরা বড় হয়ে বিয়ে করবো। ” লাজুক স্বরে বলল সারিম।

রোজ চোখ বড় বড় করে তাকায়। এইটুকু একটা বাচ্চা বলে কি? এর বয়সে তো রোজ কিস শব্দটাও হয়তো শোনেনি। সব দোষ ফালাকের। যখন তখন তাঁর অদ্ভুত রোম্যান্টিক ভাব জাগে। সারিমকেও পাঁকিয়ে ফেলেছে। রোজও বোধ হয় শুনেছিল ফালাক সারিমকে বলছে, “গার্লফ্রেন্ড বানাবা বেঁছে বেঁছে। যাকে নিয়ে সারাজীবন থাকতে পারবে তেমন বন্ধু বানাবে। ঠিক আমার মত।” রোজ মানছে সারিমের কোনো এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বলেছে এসব। তাই বলে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে? সারিম প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। রোজ হেসে বলে,

-“আগে বড় হও। তারপর এসব নিয়ে ভাববে। এখন শুধু পড়াশোনা। নাহলে আপিয়া কষ্ট পাবে। বুঝেছ? ”

সারিম মাথা দুলিয়ে যেতে যেতে বলল, “ঠিক আছে। তবে মেয়ে কিন্তু প্রিয়তাই থাকবে আপিয়া।দাদাভাইয়ের মত আমিও একটা বন্ধুই রাখবো। ”

ঠিক তখন অয়ন্তির দুটো মেয়ে এসে রোজের ওরনা টেনে বলে, “চোটম্মা গয়প্পো চুনবো,লাজা-লানির গয়প্পো।”

রোজ দুজনকে কোলে নিয়ে চলল ঘরের দিকে। প্রতিদিন দুপুরে রোজের কাছে গল্প শুনেই ঘুমায় ওরা। আনসারী সাহেব পাশের বিল্ডিংটা কিনেছেন। তাই সব সময় ওরা একসঙ্গে থাকতে পারে। সারিম তো বেশির ভাগ সময় এখানেই থাকে। প্রতি বিকেলে নানু দাদুদের সঙ্গে ঘুরতে যায় অয়ন্তির মেয়ে জিয়া ও তুর্বী। সারিমের রোজকার ডিউটি ভাগ্নিদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। রোজ ওর জীবনের পুরো কাহিনিটাই গল্প করে শোনায় তুর্বী ও জিয়াকে। একসময় হয়তো ওরা জানতে পারবে এই রাজারানির আসল পরিচয়। রোজ তৃপ্ত চোখে আবারও বিধাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো এই মিষ্টি মধুর জীবনটার জন্য। ওর ছাড়া ছাড়া গল্পটার এমন সুমধুর পরিসমাপ্তির জন্য।

সমাপ্ত।

পরিচয়গুলো…..
ফালাক মাহতাব নীরদ💙
ভাই- আরশান
বাবা-ফারদিন
মা-ফারিয়া
মামা-ফারুক
চাচা -ইরফান
চাচাতো বোন -মুগ্ধতা
বন্ধুরা -মেহমেদ, সিয়াম..

সাইরাহ সীরাত রোজা (রোজ)💙
ভাই -সারিম
বাবা-সাফোয়ান আনসারী
মা- রেণু
বড়চাচা-সুলেমান
চাচি -নাম উল্লেখ নেই (বড়াম্মু)
চাচাতো বোন-অয়ন্তি
বন্ধু-রাই
সহকর্মী -ইফতি (রাইয়ের ভাই।)

মুগ্ধতা💞
বাবা -ইরফান

ভীর💞
মা-সোহানা
বাবা-নাম উল্লেখ নেই
🍁
রাইয়ের বাচ্চা- রাইয়ের বাচ্চা হবে না। এটা ওর অতিতের কোনো দূর্ঘটনা। টেনে লম্বা করা হয়নি কাহিনি।
🍁
রোজের বাবা সাফোয়ান এবং চাচ্চু সুলেমান একই মায়ের গর্ভের সন্তান। এবং ফারিয়া ও ফারুক অন্য মায়ের গর্ভের সন্তান। তাই তারা সৎ ভাইবোন।
🍁
মনিমালা রোজের আইডি। রোজের আইডি দিয়ে রাই ভীরের সঙ্গে কথা বলেছে। ভীর মনিমালা ভেবে রাইকে ভালোবেসেছে। তাই জিয়নকাঠি হচ্ছে রাই।

[এতদিন পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। 💙]

তুই হবি শুধু আমার সিজন-০১ পড়তে লেখাটি উপর ক্লিক করুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে