জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ০৬
– আবির খান
আবির ফোনটা রেখেই যেই কফিটা নিয়ে চুমুক দিবে ঠিক তখনই আবিরের ফোনটা আবার বেজে উঠলো…আননোন নাম্বার…
আবিরঃ হ্যালো কে???
মেয়েঃ ভাইয়া আমি তিশা..
আবিরঃ হ্যা বলো..আর তোমার কথা এমন লাগছে কেন কি হয়েছে??
তিশাঃ ভাইয়া প্রথমে শুভকে ফোন দিয়েছিলাম ও ধরে নি হয়তো ব্যাস্ত…তাই আপনাকে ফোন দিয়েছি..
আবিরঃ আচ্ছা বুঝলাম..কিন্তু হয়েছেটা কি??
তিশাঃ ভাইয়া তমাকে কয়েকটা ছেলে পার্টিতে অনেকক্ষন যাবত ডিস্টার্ব করছে..ওর শরীরেও হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে..এক নিশ্বাসে বলল…
আবিরঃ আমাকে এড্রেস মেসেজ করে দেও আমি আসছি…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
আবির তার বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে তিশার দেওয়া সেই এড্রেসে পৌছে যায়…আবির দেখে এটা একটা ক্লাব…সাথে সাথে আবিরের চোখ লাল হয়ে যায়..কপালে রগগুলো খারা হয়ে যায়…রাগে গায় আগুন জ্বলছে… আবির ঠাস করে ভিতরে ঢুকে পরলো…আবিরকে এভাবে দেখে সবাই পুরো অবাক আর ভয়ে অবস্থা খারাপ…ক্লাবের মিউজিক সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেলো…তিশা আবিরের কাছে এগিয়ে যায় আর ওদের দেখিয়ে দেয়..আবির দেখছে কিছু ছেলে এখানো তমার সাথে মানে আবিরের জান পাখির সাথে খারাপ আচরণ করছে…
আবির দুই হাতে দুইটা কাচের বোতল নেয়…ওদের কাছে এগিয়ে গিয়েই তমাকে আবিরের পিছনে নিয়েই বোতল দুইটা সজোরে দুইটা ছেলের মাথা বরাবর মারে..যারা এতক্ষণ যাবত বেশি তমাকে হ্যারেস করছিলো… সাথে সাথে দুইটা মাটিতে পরে যায়…আর বাকি গুলোকে এমন মারা মারে যে তারা মনে হয় না আর ৩ মাসেও বিছানা থেকে উঠতে পারবে…তমা শুধু আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে আর বুঝার চেষ্টা করছে কি হচ্ছে..
আসলে এসব লোকদের এধরনের শাস্তিই হওয়া উচিৎ… কারণ এরা মায়ের জাতের সাথে খারাপ আচরণ করে..আরো কত কি করে শুধু তাদের চাহিদা পূরনের জন্য… এরা এতোটাই খারাপ এদের চাহিদা পুরন করে এরা আবার তাদেরকে ছেড়ে দেয়না..হত্যা করে ফেলে দেয় নদীতে, জংগলে নাহলে ডাস্টবিনে…দয়াকরে প্লিজ কেউ আমাদের মায়ের জাতের সাথে কখনোই খারাপ আচরণ করবেন না..মনে রাখবেন তাদের মাধ্যমেই আমরা এই সুন্দর পৃথিবীকে দেখতে পারি…তাই কিছু দেহ পিপাসুদের কাছ থেকে আমাদের মা,বোনকে রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব…
আবির রাগী লুকে তমার হাত ধরে সবার উদ্দেশ্য বলে…
আবিরঃ ওকে আমি আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি….তাই ওকে হার্ম করা মানে আমাকে হার্ম করা…সো ওর দিকে যে চোখ তুলে তাকাবে ওর চোখ আমি নিজ হাতে তুলে ফেলবো… প্রচন্ড রাগে বলল…
তমা আর তিশা আবিরের কথা শুনে আকাশ থেকে পরল… সব চেয়ে বেশি সকড খেয়েছে আমাদের তমা..তমা ভাবছে সবার সামনে এভাবে নিজের মনের কথা বলে দিলো..আমি কি তাকে ভালোবাসি কি না তা না যেনেই…
আবির আর একমুহূর্ত সময় না নিয়ে তমার হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসলো…সাথে তিশাও ওদের পিছনে পিছনে চলে আসলো…আবির বাইরে এসেই তমার হাতটা ঝটকা মেরে ছেড়ে দিয়ে ওর উপর অনেক ক্ষেপে গেলো..আর বলতে লাগলো..
আবিরঃ তোকে একটা ভালো মেয়ে মনে করেছিলাম.. আর তুই এসব যায়গায় আসিস..দেখেছিস কি হচ্ছিলো এখানে…আমি না আসলে এখন কি হইতো??লজ্জা করে না এখানে আসতে…ধমকের সুরে বলল…আর রেগেও..
তমার মাথা নিচু করে আছে…
তিশাঃ আসলে ভাইয়া আমাদের এক কাজিনের জন্মদিন উপলক্ষে এখানে একটা পার্টি ছিলো তাই এখানে আসা..
আবিরঃ তাই বলে এসব যায়গায় কেউ পার্টি দেয়…আর তমা তুমি এসব কি পরেছো হ্যা??লজ্জা করে না এগুলো পরতে…
এবার তমা খেপে গেলো… অনেকক্ষন যাবত নিজেকে আটকে রেখেছিলো…
তমাঃ থামুন আপনি… নিজে কি মনে করেন হ্যা??সবার সামনে আবার আমাকে ছোট করলেন…এই আমি কি আপনাকে কি ভালোবাসি??আমার মত না নিয়েই এভাবে নির্লজ্জের মতো সবার সামনে কেন বললেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন??আমি কি আপনার কেনা প্রোপার্টি নাকি যে আপনি যা বলবেন আমি তাই শুনবো..কোন অধিকারে আমার সাথে জোর খাটাচ্ছেন হ্যা…কান খুলে শুনে রাখুন আমি আপনাকে ভালোবাসি না আর কোনদিনই বাসবো না…সব একনিশ্বাসে বলল..
তিশাঃ তমা থাম কি যাতা বলছিস..উনি না থাকলে আজ তোর কি হতো ভাবতে পারছিস???
তমাঃ ওদের হাতে শেষ হলেও শান্তি ছিলো কিন্তু এর হাতে…নাহ…আমি আপনাকে জাস্ট ঘৃনা করি…
আবির অহবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে… চোখের কোনায় অজান্তেই কিছু নোনা জল ভিড় জমিয়েছে…
তমা তিশাকে নিয়ে গাড়ির দিকে হাটা দিলো..
তিশাঃ ভাইয়া আমি ওর পক্ষ থেকে সরি…ও ছোট বুঝে কম..প্লিজ আপনি রাগ করবেন না আর ওর কথায় কষ্টও পাবেন না…প্লিজ…
আবিরঃ হুম…সাবধানে যাও…
ওরা চলে গেলো আবির সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো অনেকক্ষন…আবিরের মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো… আশেপাশে মানুষ গুলো মনে হচ্ছে ওকে দেখে হাসছে…তমার কথাগুলো যেনো বুকের বাপাশে তীরের মতো এসে লাগছে..ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে..সাথে চোখের জলগুলো যেন তাদের বাধ ভেঙে ফেলেছে…অঝোরে ঝরছে অশ্রু গুলো…আবিরও আর তাদের সামনে দেয়াল টানছে না..ঝরতে দিচ্ছে অশ্রুগুলোকে….
আবির গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে গেলো…রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো…ব্লাক কফি খেলো…কফিটা খেয়েই কাপটা ফ্লোরে ছুরে মারলো…আর উঠে কোথায় যেন চলে গেলো..
গাড়িতে…
তিশাঃ তমা সত্যি বলছি আজকে কাজটা তুই একদমই ঠিক করিসনি….আমি আগেই বলেছিলাম আবির ভাই তোকে অনেক ভালোবাসে…তোর কোন ক্ষতি সে সহ্য করতে পারে না…দেখলিই তো তোকে কিভাবে বাচালো…আর সেই মানুষটাকে এভাবে কষ্ট দিলি…আমি তার চোখে জল দেখেছি তমা…একটা ছেলে কতটা কষ্ট পেলে তার চোখে জল আসে জানিস তুই??সরি দোস্ত তুই যা আজ করলি না আমি কোনোভাবেই মেনেই নিতে পারছি না…আবির ভাইয়ের মতো জীবনে কাউকে পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার… আর তুই….
তমাঃ…..
তিশাঃ কিছু বল…
তমাঃ…
আসলে তমারো এখন ভিতরে ভিতরে অনুসোচনা বোধ হচ্ছে..সে বুঝতে পারছে আসলেই সে আজ একটু না অনেকটাই বেশি করে ফেলেছে..খুব খারাপ লাগছে…লোকটার চোখের কোনায় যে জল ছিলো তাতো তমাও দেখেছে…এসব ভাবতে ভাবতেই তমার বাসার সামনে চলে এলো… তিশা তমাকে নামিয়ে দিয়ে কিছু না বলেই চলে গেলো…তমার মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো…
তমা বাসার ভিতরে চলে গেলো… কিন্তু মনে হচ্ছে বাসায় কেউ নেই…
লোকঃ আপা মনি স্যার আর ম্যাম আপনার নানা বাড়ি গেসে..কি যানি জরুরি পরছে তাই…
তমাঃ আচ্ছা…
তমা উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গাটা ছেড়ে দিলো…উপরে ঘুরন্ত ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে আছে তমা…কিছুই ভাবতে পারছে না…আবিরকে কেন যেনো তার ভালোই লাগেনা..কিন্তু আজ কেন যেনো ওই অপছন্দকর মানুষটার জন্যই মন খারাপ লাগছে…অনেক বেশি বলে ফেলেছেযে…তমা ভাবছে না জানি রাগের বসে কি করে ফেলে আবির…নাহ বিছানায় আর ভালো লাগছে না তমার..
তাই বারান্দার দিকে যেতে লাগলো..তমার বারান্দায় দুটো চেয়ার থেকে…বারান্দা থেকে খোলা আকাশটা খুব ভালো ভাবেই দেখা যায়..তমার মন খারাপ থাকলে এখানে বসে কিছু সময় কাটায়…আজও তার ব্যাতিক্রম হলো না..
তমা যেইনা বারান্দার ভিতরে ঢুকলো..তখনই সে দেখে কেযেনো অন্যদিকে মুখ করে তার একটা চেয়ারে বসে আছে…তমার অনেক ভয় হচ্ছে..এতো রাতে কে এখানে??ভুতটুত নাকি??বাবামাও বাসায় নেই…তমা তাও মনে সাহস নিয়ে আস্তে আস্তে ধির পায়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে যা দেখলো তমার ভয়ে গলা শুকে গেলো.. এ আর কেউ নয় আমাদের আবির বস বসে আছে…তমা উলটা পায়ে দৌড় দিতে নিলেই..আবির তমার হাতটা খপ করে ধরে এক টানে ওর কোলে বসিয়ে দেয়..ঘটনার আকশ্মিকতায় তমাও অবাক হয়ে যায়..কি করবে এখন বুঝতে পারছে না…আবিরের টানে তমা তার বুকের উপর গিয়ে পরেছে…আবিরের কাছ থেকে করা একটা পারফিউমের ঘ্রাণ আসছে…যা তমাকে পাগল করে দিচ্ছে..তমা নিজেকে কোন ভাবে সামলে উঠতে নিলেই আবির তাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে..অনেক মোরামুরি করেও কোন লাভ হচ্ছেনা…তমা এবার আস্তে করে আবিরের দিকে তাকায় অসহায় ভাবে…
আবির তমার দিকে তাকিয়ে আছে…রাগী লুকে না মলিন নয়নে…তমা আজ কেন যেনো আবিরের চোখ পড়তে পারছে…আবির চোখ বলছে কেন আজ এতো কষ্ট দিলে….তমাও আবিরের দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে…কিছু নিরবতা..তারপর আবির খুব শান্ত আর গম্ভীর কণ্ঠে বলতে লাগলো…
আবিরঃ তমা আমি কি এতোই খারাপ..আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায়না??তোমার সব ঘৃনা গুলো কি ভালোবাসায় রুপান্তর করা যায় না??দেখোনা আমার এই অশ্রুসিক্ত নয়নে কত ভালোবাসি তোমাকে…. তোমার জন্য যে সব করতে পারি…যদি বলো নিজের জীবন টাও দিতে দিয়ে দিবো তবে তার আগে একটু ভালোবাসা দিও…কথাগুলো বলতে গিয়ে আবিরের নয়ন থেকে অশ্রু ঝরছে…যা যেকারোর মন গলিয়ে দিবে..হয়তো তমারও মনটা গলে গিয়েছিলো.. তাইতো ওরো নয়নখানা জলে ভেসে যাচ্ছিলো…
আবির আর তমা একে অপরের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…চাঁদের আলোয় তমার মুখখানা এক অন্যরকম সুন্দরতা পেয়েছে…আবির মুগ্ধ হয়ে তা দেখছে…তমাকে খুব নিজের করে নিতে ইচ্ছা করছে…তমা আর আবির খুব কাছাকাছি..একে অপরের নিশ্বাস মুখে পরছে আর অনুভব করছে… আবির আর তমার দুরত্বটা এতো কম যে হয়তো কিছু সময় পর আর কোন দুরত্বই থাকবে না তাদের মাঝে…
আবির তমার গোলাপি ঠোঁটদ্বয়ের দিকে তাকিয়ে আছে…তমার ঠোটগুলো কাপছে..আবির কোনভাবেই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না…তাই নিজের সাথে আর লড়াই না করে ইচ্ছেটাকে ই সায় দিলো….দুজনেই দুজনার আবেগকে ভাগাভাগি করেনিলো..তমার গোলাপি ঠোঁটে আবির তার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো..প্রথম প্রথম তমা একটু বাধা দিলেও পরে সেও হারিয়ে যায় এই ভালোবাসার প্রথম পরশে..মেতে উঠে এক আলাদা অনুভূতিতে…আর সময়টা যেনো থমকে যায় তাদের অনুভূতির সারাতে…
শুভঃ হ্যালো তিশা…
তিশাঃ আপনি??এতো রাতে ফোন দিলেন??
শুভঃ কেন দিতে পারিনা বুঝি??
তিশাঃ না পারেন..কিছু বলবেন??
শুভঃ হুম অনেক কিছু.. একটু নিচে আসবে তোমার বাসার সামনে আমি…
তিশাঃ কিহ এতো রাতে??এখানে কি করেন??
শুভঃ তুমি নিচে আসো তারপর বলছি…
তিশা নিচে নেমে এসে দেখে সত্যি শুভ বাইক নিয়ে দাড়িয়ে আছে…
শুভঃ বাইকে বসো…
তিশাঃ এতো রাতে??কই যাবো??
শুভঃ আরে বসো না..নাকি ভয় পাচ্ছো আমি কিছু করবো..
তিশা বাইকে গিয়ে বসলো.. আর বললো…
তিশাঃ নাহ…আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে…
শুভ তিশাকে একটা সুন্দর যায়গায় নিয়ে গেলো… চাঁদের আলোয় যায়গাটা আরো সুন্দর লাগছে..
তিশা কে দাড় করিয়ে দিয়ে শুভও তিশার সামনে দাড়ালো…
তিশার বুকটা এক অজানা অনুভূতিতে লাফালাফি করছে…কারণ সে কিছুটা আচ করতে পারছে শুভ এখন কি করবে…খুব উত্তেজনা ফিল হচ্ছে তিশার…
শুভ আস্তে করে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে হাটু গিরে বসে পরে তিশার সামনে…আর বলে…
শুভঃ সেদিন যখন প্রথম তোমায় ভারসিটিতে দেখি ঠিক সেদিনই তোমার প্রেমে পরে যাই…যাকে বলে লাভ এট ফার্স্ট সাইড..তোমার কাছে বেশি কিছু চাইনা শুধু সারাজীবন আমাকে ভালোবাসলেই হবে…কি বাসতে পারবে আমায় ভালো???
তিশা চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে..শুভর কাছ থেকে ফুলগুলো নিয়ে…
তিশাঃ পাগল আমিও যে সেই কবে থেকে তোমাকে ভালোবাসি…সারাজীবন কেন সাতজনম শুধু তোমাকেই ভালোবাসবো…
শুভ উঠে তিশার চোখ দুটো মুছে ওর কপলে ভালোবাসার একটা পরশ দিয়ে তাকে তার বুকের মাঝে জরিয়ে ধরে আর হারিয়ে যায় ভালোবাসার অনুভবে…
প্রায় ১৫মিনিট পর আবির তমাকে ছেড়ে দেয়… দুজনেই হাপিয়ে গিয়েছে..একে অপরের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছে না..তমা বলে উঠলো…
তমাঃ আজকের জন্য সরি…
আবিরঃ শুধু ভালোবাসি তোমাকে…
এরকম উত্তরে তমা আরো লজ্জা পায়…আজ আর রাগ হচ্ছে না তমার…ভালোই লাগছে আবিরের বুকে…আবির তমাকে কোল থেকে উঠিয়ে ওর কপালে একটা গভীর চুমু দিয়ে চলে গেলো.. আর বলে গেলো…
আবিরঃ এই আবিরের সবটুকু আজ থেকে শুধু তোমার আর কারো না..আর তোমার সবটুকুও আজ থেকে আমার..খেয়াল রেখো কেউ যেন আমার সম্পদে হাত না দেয়…বলেই একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো…
আবিরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে তমা…আবির অন্ধকার হারিয়ে গেলো… তমার ওর ঠোটে হাত দিয়ে এতোক্ষনের স্পর্শ গুলো চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে আর মনের অজান্তেই হাসছে…হয়তো তমাও আবিরের এই জোরপূর্বক ভালোবাসায় আটকে গেছে…
এরপরের দিন ভারসিটিতে…
তমা আর তিশা ভারসিটিতে এসে যা দেখলো তাতে তমা আর আবিরের মাঝে….
চলবে…?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/