চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে পর্ব ১৪

0
2850

চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে পর্ব ১৪
লেখা আশিকা জামান

” অনন্যা, তুই এখানে বসে বসে পড়ছিস? আমি তোকে পুরা ক্যাম্পাস তন্ন তন্ন করে খুঁজছি।”

অনন্যা মুখ তুললো না। পূর্বের মতোই বই এ মুখ গুঁজে থাকলো। নিনিতের চাটুকারিতা স্বভাব অন্যান্য সব স্বভাবকে ছাপিয়ে যায়। হয়তো সে এইমাত্রই ভার্সিটিতে এলো আর তাকে লাইব্রেরিতে দেখতে পেয়েই এমন ডপ মারা শুরু করলো। খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়!

অনন্যা আবার পড়তে লাগলো। নিনিত তাকে অবাক করে দিয়ে মুখের সামনে থেকে বইটা কেড়ে নিলো। নাহ এবার অনন্যা রেগে যাচ্ছে। কিছু বলবে তার আগেই নিনিত বলে উঠলো,
” নকশা করো আমার লগে নকশা! পইড়া এক্কেরে আসমান উল্টাই দিবা।”
কথাটা বলেই নিনিত শক্ত হাতে অনন্যাকে টানতে লাগলো।
হতবাক শূন্য হয়ে কিছুদূর যাবার পর অনন্যা জোর করে হাত ছাড়াতে সমর্থ হয়। ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলে উঠলো,
” এর তোর হয়েছাটা কি? এভাবে উন্মাদের মত টানতেছিস কেন?”
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



” আমিতো উন্মাদ না, একটু পর তুই নিজেই উন্মাদ হবি। সেই ব্যাবস্থাই করছি।”।

নিনিত আবার হাত ধরতেই অনন্যা সন্ধিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, ” একটু ক্লিয়ার বলবি কার মরা বাপের শ্রাদ্ধ হচ্ছে?”

” তোর হিরো সাহেব আসছে তোর বিরহের যাতনায় উন্মাদ হয়ে, এবার একটু শান্ত করোগে মা জননী। ” নিনিত মুখ বাঁকাতে বাঁকাতে বললো।

অনন্যা অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকাতেই। একদল ছেলেমেয়ে আলোচনা করতে করতে নিচে নামতেছিলো, ” শুটিং হচ্ছে! শুটিং। সুপারষ্টার অঙ্কন চৌধুরী এসেছে।”

” কি ছবি ছবিরে?”

অনন্যা ফুঁস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিনিতের দিকে তাকিয়ে বললো,

” দিলিতো মুডটাই নষ্ট করে। এই শোন এই সমস্ত ঢলাঢলি ন্যাকামো যাস্ট ইরিটেটিং। প্লিজ লিভ মি এলোন।” মুখে একরাশ বিরক্তির রেখা টেনে ফের লাইব্রেরির দিকে পা বাড়ায়।
নিনিত মুখ বাঁকিয়ে নির্বিকার ভঙ্গীতে অনন্যার দিকে তাকায়।

*************

ডিরেক্টর মনজুর আহসান কাট বলতেই অঙ্কন হতভম্ব হয়ে এদিক সেদিক তাঁকায়। এমনকি সে ক্যামারার সামনে আসার পর থেকেই ভুল ভাল শট দিতে লাগলো। পুরা টিমের সবাই বাকরুদ্ধ! অঙ্কনের সাড়ে তিনবছরের ক্যারিয়ার জীবনে এমন কন্টিনিউয়াস ভুল কখনোই করেনি। তাকে যতই স্বাভাবিক থাকতে বলা হচ্ছে ততবারই তাকে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আবিষ্কার করলো সবাই।
” আর য়্যু ওকে! তোমাকে খুব ডিপ্রেসড লাগছে।” মনজুর আহসান তীক্ষ্ণ চোখে অঙ্কনের দিকে তাঁকায়।
” ওকে! এভরিথিং ইজ ওকে। নাউ আ’ম গেটিং রেডি ফর দ্যা শট।”
মনজুর ভ্রুকুচকে ক্যামেরা দিকে ইশারা করে একটা এপ্রোপ্রিয়েট শট নেয়ার চেষ্টা করলেন।
কিন্তু এবারেও সে মনোযোগ টা অন্যদিকে ব্যয় করে শুটিং স্পটে এক বিতর্কিত অবস্থার সৃষ্টি করলেন।
” অঙ্কন এসব কি হচ্ছে? তুমি কেন কন্সেন্ট্রেট করতে পারছো না আমি সত্যিই বুঝতে পারছিনা।”
অঙ্কন সরি বলে আবার এদিক সেদিক তাকাতে লাগলো।
” তুমি কতবার সরি বলবে! তোমাকে চেলসিয়ার দিকে স্বাভাবিক ভাবে তাকাতে বলা হয়েছে। বাকি যা ডায়লগ চেলসিয়া বলবে। তুমি ওর দিকে না তাকিয়ে এভাবে কাকে খুঁজছো। এটাকি ফাজলামোর জায়গা।”

মনজুর নিজের রাগ ধরে রাখতে পারছেন না। এদিকে চেলসিয়াও কপাল কুঁচকে বসে আছে। স্পট বয় মাথায় ছাতা ধরে আছে চোখে রোদচশমা। তবুও সে বিরক্তিভরা চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো,
” এই রোদে আর কতক্ষণ বসে থাকতে হবে! আমার মেকাপ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবার কিন্তু সত্যিই আমার ধৈর্য্য’র বাধঁন ভেঙ্গে যাচ্ছে। এরকম কান্ডজ্ঞানহীনতা একজন সিনিয়র অভিনেতার থেকে মোটেও আশা করা যায়না।”

” দেখ অঙ্কন তোমাকে পছন্দ করি বলে এভাবে আজকের দিনটা আমি নষ্ট করতে পারি না। আমাদের সবারই সময়ের দাম আছে যেটা তুমি নিজেও জানো। এবার আমি তোমাকে শেষবারের মতো বলছি এটা একটা শুটিং স্পট। তুমি একজন অভিনেতা তোমার সামনে রয়েছে অগণিত দর্শক । তুমি কেবল তাদের কথা চিন্তা করো কিভাবে কি করলে তারা তোমাকে পজিটিভলি নিতে পারবে। এরপর অন্যকিছু চিন্তা প্লিজ ফার্দার মাথায়ও আনবে না। এবার কি আমি শট নিতে পারি?”
মনজুর আহসান কথা শেষ করতে পারে না তার আগেই অঙ্কন ছাতা, রোদচশমা, লাইট, ক্যামেরা, প্রডিউসার, ডিরেক্টর, নায়িকা সবাইকে উপেক্ষা করে তীক্ষ্ণ রোদে বড় বড় পা ফেলে চলে যায় সামনের দিকে। চলে যায় শুটিং স্পটের সীমানার বাইরে।
সবাই বিস্মিত হয়ে অঙ্কনের পথের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ এরকম বেয়াদবি অন্তত কেউ আশা করেনি।

” অনন্যা!”

অনন্যা হতভম্ব হয়ে পেছনে তাকায়। এটা বাস্তব না স্বপ্ন গুলিয়ে যাচ্ছে। তবে যদি সত্যি হয় তো ভয়াবহ! সত্যি মিথ্যের দোদ্যুলমান অবস্থা আর নেয়া যাচ্ছেনা। এখান থেকে বেরুতে হবে। অনন্যা সামনের দিকে ঘুরে পা বাড়াতেই অঙ্কন খপ করে হাতটা ধরে ফেললো। বিস্মিত চোখ মুখ মুহুর্তেই স্বাভাবিক করার ক্ষমতাটা বাবার থেকে শেখা। এইবার সে এপ্লাই করেই ফেললো,

” আপনি শুটিং ফেলে এখানে আমি না ঠিক বুঝলাম না?”

” কেন তোমার খুব অসুবিধে হয়ে গেলো?”

” ওমা সেকথা কখন বললাম।”

” না বললেও বুঝা যায়। অন্তত তোমার এক্সপ্রেশন দেখেতো তাই মনে হলো।”

অনন্যা একটু হাসার চেষ্টা করলো।
” তা একটু অসুবিধেতো অবশ্যই হলো। আপনাদের মতো সেলেব্রেটিরা হচ্ছেন পাবলিকের মনের খোরাক। আপনাদের সব ব্যাপারেই তাদের অবাধ কৌতুহোল। এই যেমন ধরেন আপনারা সকালে কি দিয়ে নাস্তা করলেন? কোথায় কি করলেন? কিভাবে ঘুমান উপুড় হয়ে নাকি চিৎ হয়ে? অথবা কিভাবে গোসল করলেন নরমাল নাকি হট শাওয়ায়? অথবা দিনে কতবার ওয়াশরুমে গেলেন? আর সেটা ঠিক কতক্ষনের জন্য এইগুলাও জানা তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তো সে হিসেবে বলতে গেলে আপনি একটা বিরাট বড় কাজ করে ফেলেছেন। এখন আপনার সাথে আমার মত অতি সাধারণ কারো থাকাটা কত বড় মেলোড্রামা হবে বুঝতে পারছেন তো। এটা একটু পরেই তিল থেকে তালে গড়াবে। প্লিজ ভাই, আমার নিজের একটা মান সম্মান আছে। সেটার যাতে খুঁইয়ে যায় সেটাইতো বড় চিন্তার বিষয়। ”

” আমার জন্য তোমার মানসম্মান খুঁয়াতে হচ্ছে!”
অঙ্কন কুঞ্চিত চোখে তাকায়।

অনন্য মাথা নিচু করে থাকলো।

” কি হলো কথা বলছো না কেন?” অঙ্কন ধমকে উঠে বললো।
অনন্যা ঢোক গিলে আমতাআমতা করে বললো,
” দেখুন আপনার সাথে আমার মত সাধারণ কারো থাকাটা বেমানান আর কিঞ্চিৎ দৃষ্টিকটু।”

” ব্যাস আর বলতে হবে না। মানানসই নাকি বেমানান সেটা আমিই বুঝে নিবো। আর এখানে এই প্রসঙ্গ কেন আসছে আমিতো সেটাই বুঝছিনা। তুমি আমাকে একটা কথা বলোতো
তুমি কি ঠিক করে নিয়েছো যে আমার সাথে আর কথা বলবে না।”

অনন্যা উত্তর না দিয়ে ক্যান্টিনের দিকে হাটা ধরে। তারপর একটা নিঃশ্বাস ফুস করে ছেড়ে দিয়ে বললো, ” আপনার এমনটা কেন মনে হচ্ছে?”

” তুমি বুঝতে পারছো না!”

” সত্যিই পারছি না৷” অনন্যা নির্বিকারভাবে বললো।

” তোমার ফোনে আমি কত শতবার ফোন দিয়েছি একটিবার কি তুমি ধরতে পারলে না। তুমি নিজেকে ভাবো টা কি? রাণী এলিজাবেথ! ইচ্ছে করছিলো তোমার বাড়ি গিয়ে এক চড় দিয়ে জিজ্ঞেস করি কেন ফোন তুলোনি? কিন্তু আফসোস আমি এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম যে সকালে বেরিয়েছি মিড নাইটে বাসায় ফিরেছি সেটাও করতে পারিনি।”

অনন্যা থমকে দাঁড়ালো। এক অন্যরকম ভালোলাগা ছুঁয়ে গেলো। কি ছিলো কথাগুলোতে সেটা ও নিজেও জানেনা। হয়তো আজকে ওর অবাক হওয়ার দিন। অনন্যা ব্যাগ থেকে ফোন বের করে হাতে নিতে নিতে বললো,
” আপনি ফোন করেছিলেন তাহলে? আমিতো ভেবেছি কে না কে? আননোন ভেবে আর রিসিভ হয়নি। আচ্ছা সরি।”

” সরি বললে কে শুনছে? অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হয় এটাই নিয়ম।”

” আচ্ছা শাস্তি দিলে দিতে পারেন। কিন্তু তার আগে বলুন আপনিই বা আমায় এত ফোন করছিলেন কেন? এটা কিন্তু অবিশ্বাস্য!”

অঙ্কন ভাসা ভাসা চোখদুটো চোখের পাতার আড়ালে নিয়ে গেলো। বড় বড় পাপড়ির ছায়া পড়েছে চোখের কোলজুড়ে। অনন্যা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকলো।
অঙ্কন অতিমাত্রায় বিব্রত ভঙ্গিতে অনন্যার এক হাত দু’হাতের মুঠোয় ভরে নিয়ে নিলো তারপর চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বললো,

” অনন্যা, আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো তুমি আমার উপর রেগে আছো কিংবা আমাকে খুব খারাপ ভাবছো। আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো বিশ্বাস করো আমি কোন স্বাভাবিক কাজেই কন্সেন্ট্রেট করতে পারছিলাম না। একবার তোমার সাথে কথা বলাটা জরুরি ছিলো। এখানে আসার পর থেকে আমি কেবল তোমাকে খুঁজে চলেছি তাই সব ভুলভাল করে ফেলছিলাম৷ বাট যখন অবশেষে তোমার দেখা পেলাম তোমার চোখে চোখ পড়তেই তুমি চোখ নামিয়ে চলে যেতে লাগলে আমি জানিনা কি যে হলো! আমি ছুটে চলে আসলাম কেবল একটা কথা বলতে। ”

অঙ্কন কিছুটা দম নিয়ে বললো, ” আ’ম সরি অনন্যা। বিশ্বাস করো তোমার সাথে আমি যেটা করতে যাচ্ছিলাম তার জন্য আমি লজ্জিত। আমি জানিনা তখন যেন ঠিক কি হয়ে গেলো আমি ঠিক বুঝাতে পারবো না।”

অনন্যা কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো তবে এই পর্যায়ে সে অঙ্কনকে থামিয়ে দেয়।
” প্লিজ এই বিষয়ে আর একটাও কথা বলবেন না। আমি সত্যিই বলছি আমি রাগ করিনি আর এরজন্যে আপনার প্রতি কোন খারাপ ধারণাও আমার জন্মেনি। আপনি কেমন সেটাতো ভুতের ভয়ে আপনার সাথে একটা রাত কাটানোর পরই বুঝেছি। আর সেদিন যা হয়েছে তা কিছুক্ষণের দূর্বলতা যাতে আমার আপনার কারোরই হাত নেই। একটা নিয়ন্ত্রিণহীন মুহুর্তের জন্য বাকি সব মুহুর্তগুলোকে অস্বীকার করা যায়না। প্লিজ এই সামান্য ব্যাপারটাকে ধরে বসে এতোটা হাইপার হওয়াটা বোধ হয় আপনাকে মানায় না। আমরা আপনার থেকে আরো বেটার কিছু ডিজার্ভ করি।”

অঙ্কন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো। সত্যিই নিজেকে কেমন হালকা লাগছে। এবার মনে হচ্ছে আবার পুনরোদ্যমে কাজে মনোযোগ দিতে পারবে।

” আচ্ছা ফ্রাইডেতে তো আপনার নিউ মুভির মহরত! কংগ্রাচুলেশনস। আয়ুষ্মান লাহিড়ীর আর কোন ছবিতে কি আগেও কাজ করেছেন নাকি এটাই প্রথম!”

” না, এটাই প্রথম।”

অনন্যার ফোন বেজে উঠেছে। নিনিত ফোন করছে। অনন্যা চমকে উঠে এদিক সেদিক তাকাতে লাগলো। অঙ্কন অনন্যার চোখ অনুসরণ করে বামে তাকাতেই দেখে দোতলার সিড়ির নিচে কতগুলো ছেলে মেয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।

” অনন্যা, এনিথিং রং? তুমি এভাবে বামে তাকাচ্ছো কেন?”

” কিছু না। আমার মনে হয় আপনার এখন যাওয়া উচিৎ। ”

” হ্যাঁ নিশ্চয়ই। তুমি কিন্তু তোমার শাস্তি এখনো বুঝে নাওনি। ”

অনন্যা ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো।
” ক্যান উই গুড ফ্রেন্ডস?” অঙ্কন মুখে হাসির রেখা ফুঁটিয়ে বললো।

” অবশ্যই হতে পারি। কোন সমস্যা থাকার কথা না।”

” সমস্যাতো আছে। তোমাকে যে এবার তুমি করে বলতে হবে।”
অনন্যা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকলো। সত্যিই আজকে কেবল তার অবাক হওয়ার পালা।

” কি হলো? লেট’স স্টার্ট….
না হলে আমি যাচ্ছিনা। আরো ভয়ংকর কিছুই ঘটে যেতে পারে তুমি কি তাই চাও।”

” একদমই না! তুমি! তুমি! এখন যাও। ” কথাটা বলেই অনন্যা খিলখিল করে হেসে উঠলো। সেই হাসিতে অঙ্কনও যোগ দিলো।
চলবে…

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে