চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে পর্ব ১২
লেখা আশিকা জামান
সবাই মিলে যখন অঙ্কনদের বাসায় পৌছে তখন প্রায় চারটে বেজে গেছে। বাকি সবাই নিশ্চিন্ত মনে বাসায় ঢুকলেও তানভীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেনি। মেলোড্রামা এই শুরু হলো বলে! অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তায় রক্তচাপ মনে হয় বেড়েই চলেছে। এ হলো রুমের বাইরের অবস্থা।
ভেতরে ঢুকেতো তার চক্ষু চড়কগাছ। তার স্টাইলিস্ট মম আর সুন্দরী মামী কোমড়ে আঁচল বেধে ঝগড়া লাগিয়েছে। দুই অপোজিট সিঙ্গেল সোফায় তার বাবা আর মামা থুম ধরে বসে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অবশ্য এই ঝগড়ায় পার্টিসিপেট করলে কাজের কাজ কিচ্ছু হবে না বরং বাধা দিতে গেলে দুই ঝগড়াটে মহিলা নিজেদের ঝগড়া ভুলে তাদের ইচ্ছেমতো পেটাতে আসবে।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
পারলে নিজেদের জুতো খুলেও মারতে পারে। কোন বিশ্বাস নেই এই ডেঞ্জারাস মহিলাদের। সবাই একসাথে হুড়মুড় করে রুমে ঢুকে গেলো তবুও এদের বিন্দুপরিমাণ মনোযোগ আকর্ষন করতে পারলো না। মনে হচ্ছে কোথাও কেউ নেও তারা খোলা ময়দানে তাই নিজেদের ইচ্ছেমতো চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ঝগড়া করলেও কেউ কিচ্ছুটি বলবে না। অবশ্য বললেও কোন লাভ হবেনা। এদের সাথে পেরে উঠা প্রায় অসম্ভব। অনন্যা লক্ষ্য করলো গোটা পরিবেশটাই নিস্তব্ধ, কেউ কোন কথা বলছেনা। কেবল এই দুজন ছাড়া।
” তুই কি ভেবেছিস তোর মতো কৈলাস পর্বতকে মেয়ের শাশুড়ী বানানোর জন্য আমি মরে যাচ্ছি! জীবনেও না আসুক তোর ছেলে ওর একদিন কি আমার একদিন! আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে পালানো! ”
” চিংড়ি মাছ! একদম চিংড়ি মাছের মতো লাফাবে না। তোমার মেয়েকে নিয়ে শোকেসে সাজাই রাখো। খবরদার আমার কোন শোপিসের দরকার নাই। সারাক্ষণ বোকা সেজে থাকে আর তলে তলে ট্যাম্পু চালায়। কি ধুরন্ধুর মেয়েরে বাবা!”
” তৃষ্ণা, তুই বড্ড বাড় বেড়েছিস। আমাকে চিংড়ি মাছ বলছিস, আবার আমার মেয়েকেও অপমান করছিস। এতো সাহস তুই পাস কি করে রে? নিজের কথা মনে হয় ভুলে গেছিস! যেমন মা তার তেমন ছেলে?”
” এই একদম বাজে কথা বলবে না। তুমি যেমন তোমার মেয়েও তেমন। আমার স্পষ্ট মনে আছে বিয়ের আগে তুমি আমাদের বাসায় এসে বড় ভাইয়ের ঘরে দোড় দিয়েছিলে। যতোক্ষণ না তোমার আর ভাইয়ের বিয়ে দিতে আব্বা আম্মা রাজি না হয়েছিলো ততক্ষণ দরজা খুলোনি। আমি ভুলিনি তুমি কেমন চালাক মেয়ে। এখন মেয়েকেও এই কান পড়া দিয়েছো।”
” হ্যাঁ এমন করতে বাধ্য হয়েছিলাম তোর অপদার্থ ভাইয়ের জন্য। সে প্রেম করতে পারছে আর বাপ মায়ের কাছে বলতে পারেনা। তবুতো আমাদের বিয়ে হয়েছিলো পরিবারের সবার সামনে। তুই! তুই কি করছিলি, তুইতো সবার অমতে ভাইগা যাইয়া বিয়ে করছিলি। আবার বড় বড় কথা বলিস!”
সবার কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে এই চিৎকার চেঁচামেচিঁতে। তবুও কেও মুখে টু শব্দ করছেনা। কেবল অপেক্ষা করছেন কখন এরা ক্ষ্যান্ত হবেন। অনন্যা উঠে দাঁড়িয়েছে সে এক্ষুনি এই ঝগড়া থামাবে। যেভাবে হোক। সে সামনে আগাতে উদ্যত হতেই অঙ্কন হাত টেনে পথ আটকায়। আর মৃদু সুরে বললো,
” কোথায় যাচ্ছো। যেওনা, এরা দুজন একসাথে মানে ভয়ংকর কিছু। ”
অনন্যা হাতটা ছাড়িয়ে মুচঁকি হাসি দিয়ে দুইজনের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ায়। ওর যাওয়া দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে।
” হেই সো সুইট আন্টিরা।”
দুজনেই একসাথে অনন্যার দিকে ঘুরে তাকায়। রাগে অন্ধ হওয়া মানুষ দুটোর ততক্ষণে খেয়াল হয় তাদের ছেলে মেয়েরা সবাই উপস্থিত।
দুজনেই শাড়ির আঁচল কোমড়ে ভালো করে প্যাচাঁতে প্যাঁচাতে তানভীর আর অনীহার দিকে আগাতে থাকে। অনীহা ভয়ে কাঁদতে বসেছে।
অনীলা মেয়ের দিকে তীরিক্ষে মেজাজে বলে উঠলো,
” এই মেয়ে তোর এত্তবড় বুকের পাটা কিচ্ছু না জানিয়েই এতকিছু করে ফেললি?”
” তাহলে, প্রেম করার সময় কেউ বলে বলে করে নাকি! ” অনীহা কাদঁতে কাদঁতে বললো।
অনীলা মেয়ের গালে ঠাস করে চড় মারলেন।
” যেমন মা তার মেয়েতো তেমন শিক্ষাই পাবে? বেয়াদব আবার মুখে কেমন তর্ক করছে দেখো।”
তৃষ্ণা কেমন যেন ঠেস দেওয়া গলায় বলে উঠলো।
” তৃষ্ণা, আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলছি। তোকে নাক গলাতে বলিনি। তোর যদি এতই শাসন করার ইচ্ছেতো নিজের ছেলেকে কর। আর একটা কথা মায়ের শিক্ষা মায়ের মতো এই কথাটা খবরদার বলবিনা। কি জানিসতো গ্রামে একটা প্রবাদ আছে ‘ফুফু ভাইঝি এক জাত, খালা ভাগ্নি দুই জাত’। তাই তোর ভাইঝি তোর স্বভাবটাই পাইছে। তোর মতোই কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করার মতো এতবড় কাজটা করে ফেলেছে। আমার মেয়ে হলে কক্ষনো এমন কাজ করতেই পারতো না।”
কথাটা শুনে তৃষ্ণা কিছুক্ষণ চুপ করলো। কেমন যেন বুকে গিয়ে বিধঁলো কথাটা। কিন্তু আজ সে কোন ইমোশনকে পশ্রয় দেবে না। পরক্ষণেই নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠলো,
” তুমি যে আমাকে কথার জালে ফাঁসাতে চাইছো এ কি আমি বুঝতেছি না! শোন যতই ভাইঝি হোক আর যাই হোক না কেন তোমার নির্বোধ মেয়েকে আমি ঘরে তুলছি না। আর এই বিষয়ে তানভীরের বাপ যদি আমার বিরুদ্ধাচারণ করে তো বাপ ছেলে দুইজনকেই বাড়ি থেকে বের করে দেব নয়তো নিজে নিরুদ্দেশ হবো।”
অনীলা এক লাফে বলে উঠলো, ” তোর মতো শাক চুন্নির ঘরে মেয়ে দেবার আগেই যেন আমার মরণ হয়। কি দেমাগ বাপরে, পা মাটিতে নামেনা।”
দুইজন সেই মুহূর্তে চুলোচুলি লাগাবে এমনি অবস্থা। অনন্যা কিছু বুঝতে না পেরে তৃষ্ণার হাত ধরে টানতে টানতে বললো,
” আন্টি, প্লিজ এত উত্তেজিত হইও না। তোমার প্রেসার ফল করবে৷ আমার সাথে আসো আর আমার কথাগুলো মন দিয়ে শুনো।”
” হাত ছাড় কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস! তোকে এরমধ্যে কে আসতে বলেছে।”
” কেউ বলেনি আমি নিজেই এসেছি। আর না এসেতো উপায় নেই তোমাকেতো আমি দ্বিতীয় মা বলি। তুমি অসুস্থ হলেতো তোমার গুণধর পুত্রের সামলানোর ক্ষমতা নেই। আমাকে ডাকবে তো ডাকবেই। আমি ড্যাম শিউর অতিমাত্রায় উত্তেজনায় তুমি এক্ষুনি অসুস্থ হবে আর হস্পিটালাইজড করতে হবে আর আমার এইমুহুর্তে হস্পিটালে যাওয়ার একদম মুড নেই।
প্লিজ আমার সাথে চলো, এক্ষুণি মাথায় পানি ঢালতে হবে।”
” অনন্যা, ছাড় আমার মেজাজ খুব খারাপ। আমি কিন্তু এবার তোর সাথেও যাচ্ছেতাই ব্যাবহার শুরু করবো।”
” করো, তবে আমি কোন রিএক্ট করবো না। অবশ্য আমি ভালো করেই জানি আমার দ্বিতীয় মা আমার সাথে এমনটা করতেই পারে না!”
অনন্যা তৃষ্ণাকে জোর করে ওয়াশরুমের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
এই দৃশ্য দেখে বাকি সবাই আশ্চর্যান্বিত হয়ে একরকম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। কেবল অনীলা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। তিনি কিছুতেই মানতে পারছেন না তার একমাত্র ছেলের হবু বউ কিনা শেষপর্যন্ত তার শাকচুন্নী ননদের দলে! তার ননদের যে চাটুকারিতা
স্বভাব মিষ্টি কথায় একদম চিড়ে ভিজিয়ে দেয়ার মতো অবস্থা। আচ্ছা তৃষ্ণা বিয়ের আগেই তার ছেলের বউকে এমন হাত করে নিলো। আল্লাহ জানে এই মেয়ের কানে না জানি কত কূটবুদ্ধিই ঢালবে। হায় হায় এসব কানে নিলেতো তার সংসার ভেসে যাবে। অনন্যার চিন্তায় অনীহা আর তানভীরের ব্যাপারটা সে ভুলে গেলো। গোল্লায় যাক বিয়ে করছে যেখানে খুশি সেখানে যাক। এখন কি উপায়?
” আন্টি, তুমি না সত্যিই বোকা!”
তৃষ্ণা, ভ্রুকুচঁকে অনন্যার দিকে তাকায়। চক্ষু গরম করে বললো, ” আমি কিন্তু এবার সত্যিই রেগে যাচ্ছি।”
” তুমি রেগে গেলে যেতে পারো! তবে আমি সত্যিটাই বলবো। আচ্ছা একটা কথা বলো অনীহার যায়গার যদি অতি চতুর কোন মেয়ে তোমার ছেলের বউ হতো তবে কি খুব ভালো হতো? মোটেও ভালো হতোনা। অনীহা একটু বোকা বাট সহজ সরল তুমি উঠতে বসলে উঠবে নাচতে বললে নাচবে কোন টু শব্দ করবেনা৷ আর অন্য কেউ হলে তোমাকেই উল্টা নাচাবে। আর তানভীর কেমন অপদার্থ তুমিতো জানোই ও ঠিক ওর বউ এর কথায় দেখা গেলো আলাদা হয়ে গেলো। তোমার একমাত্র ছেলে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে এটা তোমার সহ্য হবে। তাছাড়া অনীহার সাথে তোমার ব্লাড কানেকশন আছে যাই হয়ে যাকনা কেন অনীহার একটা সফট কর্ণার কিন্তু তোমার প্রতি থেকেই যাবে। দেখলেনা আন্টি ফুফু ভাইঝির কানেকশন নিয়ে কি একটা কথা বললো কথাটা কিন্তু আসলেই কারেক্ট। এবার তুমি ভেবে দেখ।”
তৃষ্ণা মাথায় পানি ঢালা বাদ দিয়ে অনন্যার দিকে বিস্মিত হয়ে তাকায়। কি সাংঘাতিক কথা এরকম করেতো আগে ভেবে দেখেননি!
” অনন্যা, আমার না মাথায় ধরেছে। তুই আমাকে ধরে ধরে একটু বিছানায় শুইয়ে দে। ”
” হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।” অনন্যা মুচকি হেসে উত্তর দিলো৷ ওর এই মুচকি হাসির অর্থ হলো এন্টিবায়োটিকে কাজ হয়েছে। এবার সেকেন্ড টোপ।
” অনন্যা, ফুপির কি হয়েছে। উনাকে ওভাবে শুইয়ে দিয়ে আসলে কেন!” অঙ্কনের গলার স্বর শুনে অনন্যা পেছনে ফিরে।
” ও কিছু না আন্টি আসলে চিন্তায় মগ্ন কিভাবে কি দিয়ে ছেলের বউকে বরণ করবেন। আপনি বরং আমার সাথে আসুন উনাকে একটু একা থাকতে দিন।”
অনন্যা যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় কিন্তু যেতে পারেনা অঙ্কন তার হাত টেনে ধরে আছে।
” এখানে কি সার্কাস চলছে। ক্লিয়ার করে বল তুমি ফুপিকে কি করেছো বা কি বলেছো উত্তর না দিলে একদম যেতে দেবনা।” অনন্যা অবস্থা বেগতিক দেখে অঙ্কনের হাতে দাতঁ দিয়ে কামড়ে দেয়। অঙ্কন ব্যাথায় উঁহু করে হাত সরিয়ে নিতেই অনন্যা দৌড়ে পালায়। এবার তার হতবিহবল হওয়ার পালা। চিৎকার করে বললো,
” আর য়্যু ক্রেজি।”
অনন্যা শোনেও না শোনার ভাণ ধরে ছুটে যেতে থাকে। এরকম একটা অনাকাঙ্ক্ষিত মুহুর্তের বিড়ম্বনায় সে বেশ বিব্রত এটা তার মুখ দেখেই যে কেউ বুঝে নিবে। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেই নিয়েছে এর শাস্তি মিস অনন্যাকে পেতেই হবে।
” আন্টি, আপনি নিশ্চয়ই আমার উপর খুব রেগে আছেন।”
অনীলা মুখে ফিচেল হাসি টানার চেষ্টা চালায়। তারপর মুখ ঘুরিয়ে এদিক সেদিক তাকায়। আচ্ছা এতক্ষণ সে যা যা ভাবলো তা কি সবাই বুঝে গিয়েছে। অবশ্যই কারো বুঝার কথা নয়। সে নিশ্চয়ই অনীহার মত বোকা নয়।
” না রাগ করিনি তবে মন খারাপ হয়েছে।”
” আন্টি আপনি রেগে আছেন আমি জানি। আমি প্রথম আপনাদের বাড়ি এলাম কিন্তু আপনি আমাকে একটুও কাছে টেনে নিলেন না। আমার সাথে আলাদা করে একটাও কথা বললেন না। আমি খুবই আশাহত।”
” এমা না কি যে বলোনা। আরে আসোতো মেয়ে আমার কাছে আসো।” অনীলা অনন্যার হাত ধরে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর নিজের ঘরে যেতে যেতে বললেন,
” তৃষ্ণা তোমাকে আমার কথা কিছু বলেছে।”
” হ্যাঁ বলেছেতো আপনি খুব ভালো গান গাইতে জানেন। আপনার গান শুনেইতো আংকেল আপনার প্রেমে পড়েছিলো। আট বছরের সম্পর্ক ছিলো আপনাদের। আপনাদের দুজনকে খুব ভালো মানিয়েছে একদম মেইড ফর ইচ আদার। আপনারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসেন। আপনাদেরকে তো আন্টি আইডল মানতেন। তাই উনিও প্রেমে পড়েছেন আপনাদের এত ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে।”
অনীলা বিস্মিত হয়ে বললো,
” তুমি সত্যি বলছো তৃষ্ণা তোমাকে এইগুলাই বলেছে। ”
” হ্যাঁ বলেছেতো একদম সত্যি। আরো বলেছে আপনি একসময় উনাকে কত প্রেমে সাহায্য করেছেন। উনিও করেছেন আপনাদের প্রেমে সাহায্য। কত মিল ছিলো আপনাদের! উনি এখনো সেই দিনগুলিকে মিস করেন।”
” আমিও মিস করি সেই দিনগুলিকে। কিন্তু ইদানীং ওর সাথে আমার সম্পর্কটা খারাপ যাচ্ছে। ”
” কে বলেছে খারাপ যাচ্ছে। আপনাদের সম্পর্কটা আবার মজবুত করতে তানভীর আর অনীহার বিয়েটা জরুরি ছিলো।”
” কক্ষনো না তানভীরের হাতে অনীহাকে আমি কিছুতেই তুলে দিবনা।”
” ছিঃ আন্টি এমন করে বলবেন না৷ আপনার সহজ সরল মেয়ের জন্য তানভীরের থেকে ভালো ছেলে আর আপনি পাবেন না। অন্য যায়গায় ওর বিয়ে দিলে অনীহার ম্যাচুরিটি নিয়ে অনেক কথা উঠতে পারে৷ এটা থেকে সংসারে অনেক অশান্তি শেষ পর্যন্ত আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর অভাবে ডিভোর্স ও হতে পারে। তার থেকে জানা শোনা কারো কাছে থাকাটাই ওর জন্য বেটার অপশন। তাছাড়া তানভীরের মত করে কেউ ওকে বুঝতে পারবে না এটা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।”
অনীলা চুপ করে থাকলো। সত্যিই এই মেয়ের কথায় যুক্তি আছে। এমন যুক্তিকে অবজ্ঞা করার দুঃসাহস অনীলার নেই। নাহ্ এই মেয়েকে কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবেনা।
চলবে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/