গাঁইয়া_বউ – পর্ব_১০ (শেষ)

3
4234

গাঁইয়া_বউ।পর্ব_১০(শেষ)
#তিতিশ্মা_মুসাররাত_কুহু।

-ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে রেডি হতে হবে।কিছু ক্ষণ পরেই আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।
এই বলে অয়ন অর্নার হাত টা ছেড়ে কেবিনের দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়।

অর্না অয়নের চলে যাওয়া দেখতে থাকে।
আর ভাবতে থাকে,অয়ন আমাকে ভুল বুঝলো?
ভাবতে ভাবতে অর্নার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
আর ঠিক সেই মুহূর্তে অয়ন এসে হাজির হয়।
-এই এই এই কি হয়েছে?কি হয়েছে?
খারাপ লাগছে অর্না?কি হয়েছে?ডাক্তার ডাকবো?ডাক্তার..
-কিছু হয়নি,তুমি আমাকে ভুল বুঝেছো তাইনা?
-আরে না পাগলী,একটুও ভুল বুঝিনি।
-তাহলে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বাইরে চলে গেলে যে।
-নাস্তা আনতে গিয়েছিলাম,এই যে দেখো নাস্তা।নাস্তা আনতে সাথে করে আমার অসুস্থ বউটাকে নিয়ে যেতাম আমি?
-সরি!আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ভুল বুঝেছো।রাগ করেছো আমার সাথে।

-ধুর কি যে বলোনা।আমি তোমাকে বাসর রাতে কি বলেছিলাম?অতীত ভুলে নতুন করে আমরা জীবন শুরু করবো।
তাহলে অতীত নিয়ে কেন আমি রাগ করবো বলো?পাস্ট ইজ পাস্ট ওকে?
এই বিষয়ে আর কোন কথা হবেনা।
তুমি আমার স্ত্রী,অনু আমার সন্তান।আর এটাই তোমাদের পরিচয়,ঠিকাছে?
আমি আর এ বিষয় নিয়ে কোন কথা শুনতে চাইনা।

-লাভ ইউ অয়ন।
-লাভ ইউ টু বউ পাখি।

হসপিটাল থেকে রিলিজ নিয়ে অয়ন আর অর্না বাসায় চলে আসে।

ওরা আজ বাসায় আসবে বলে অর্নার মা বাবা আর অনুও অয়ন দের বাসায় আসেন,আর অপূর্বের বাবা মাও আসেন।

মনা অর্নাকে ধরে নিয়ে সোফায় বসায়।
সবাই হল রুমে বসে আছেন।

-আম্মু,তুমি এসে গেছো?
-হ্যাঁ মা আমি এসে গেছি।
-কেমন আছিস এখন মা?
-ভালো আছি মা,
-বউমা,আসার সময় কোন কষ্ট হয়নিতো?
-না বাবা কোন কষ্ট হয়নি।

এক এক করে সবাই অর্নার সাথে কথা বলছে।
কিন্তু অর্নব কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা।

-তুমি জিজ্ঞেস করবেনা অর্না কেমন আছে?(মনা)
-না মানে,সবাইতো জিজ্ঞেস করছোই।সমস্যা নেই।
-আগে কি সম্পর্ক ছিলো তোমাদের,সেটা কোন বিষয় না আমার কাছে।
এখন তুমি আমার স্বামী এটাই তোমার বড় পরিচয়।আর আমার স্বামীর উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।
-থ্যাংক ইউ মনা।
-যাও জিজ্ঞেস করো,কথা বলো অর্নার সাথে।
-হুম।

-এখন কেমন আছো অর্না?
-জ্বী আলহামদুলিল্লাহ্‌।
-এখন কোন সমস্যা নেইতো?
-না তেমন কোন সমস্যা নেই।
ডাক্তার বলেছেন একটু রেস্টে থাকলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
-খুব ভালো।
-আচ্ছা শুনুন,
-হ্যাঁ বলো,
-অয়ন বল্লো আপনি নাকি আমাকে রক্ত দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
-আরে না,ধন্যবাদ দিতে হবেনা।তুমি ঠিক আছো এটাই অনেক।

-আচ্ছা সবাই তাহলে ফ্রেশ হয়ে নিন,আমি খাবার দিচ্ছি।
সবাই খেয়ে নেই।(মনা)

সবাই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলো।

অয়নের অফিস থেকে একটা ফোন এসেছে বলে অয়ন বারান্দায় গিয়ে ফোনে কথা বলে।
আর সেই সময় অপূর্ব অয়নের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায়।

-অয়ন,
-জ্বী ভাইয়া এক মিনিট।
হ্যাঁ ভাইয়া বলুন।
-অয়ন,কিভাবে কি বলবো তোমাকে বুঝতে পারছিনা।কিন্তু এই টুকু বলতে পারি অর্নার কোন দোষ ছিলোনা,আর ও খুব ভালো মেয়ে।দোষ ছিলো আমার।
-ভাইয়া প্লিজ, আমি এ টপিক টা ভুলে যেতে চাই।আর অর্নাকেও বলেছি এ টপিক টা ওর অতীত,অতীত যেন আমাদের সামনে আর কোন দিন না আসে।আর অর্না কেমন মেয়ে সেটা আমি ভালো করেই জানি,কারণ অর্না আমার বিবাহিতা স্ত্রী।আমার থেকে ভালো আর ওকে কেউ চিনেনা বা জানেনা।

-আমাকে তুমি ক্ষমা করেছো তো?
-কি যে বলেন ভাইয়া,আমার কাছে আপনি কোন দোষ করেন নি।যে আমি আপনাকে ক্ষমা করবো।
-আমি মনা,বাবা,আর অর্নার কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।ওরা আমাকে মাফ করে দিয়েছে।
-তাহলে আর কি!ইঞ্জয় ইউর লাইফ।
পুরনো সব ভুলে নতুন ভাবে জীবন শুরু করুন মনাকে নিয়ে।
আর চিন্তা করবেন না,অর্নার হাত যখন ধরেছি।
মরণের আগ পর্যন্ত এ হাত ছাড়বোনা।
যত ঝড় তুফান আছে সব থেকে আগলে রাখবো আমি আমার বউকে।

আশা করি আপনিও মনাকে ঠিক এই ভাবেই আগলে রাখবেন।
-অবশ্যই,কেননা মনাই আমার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ।
-ধন্যবাদ ভাইয়া।

তারপর দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে।
-চলো সবাই অপেক্ষা করছে ওখানে যাই।
-চলুন।

সবাই এক সাথে বসে গল্প করছে।
আর একটা সময় মনা হঠাৎ করে অপূর্বের মায়ের কাছে গিয়ে হাত ধরে বলে,
-মা,আমি আপনার ঘরের লক্ষী না?
-হ্যাঁ মা।তুমিই তো এখন আমার ঘরের লক্ষী।
-তাহলে আপনাদের সাথে আপনাদের এই ঘরের লক্ষীকে নিয়ে চলুন মা।নিয়ে চলুন আপনাদের সাথে আপনাদের ছেলের বউ কে।
আমি আমার শশুড় শাশুড়ির সাথে থাকতে চাই।
-সত্যি বলছো বউমা? (অপূর্বের বাবা)
-হ্যাঁ বাবা,আমি এখন থেকে আপনাদের সাথেই থাকবো।বাবাকে দেখার জন্যতো এখন অর্নাই আছে।আমার আর কোন চিন্তা নেই।
-হ্যাঁ ভাই সাহেব,আমার ঘরের লক্ষীতো এখন এসেই গেছে,আপনি আপনার ঘরের লক্ষীকে এবার আপনাদের সাথে নিয়ে যান।

-চলো বউমা,রেডি হও তাহলে।চলো আমাদের সাথে।
-তুমি কি যাবে বাবা মায়ের সাথে?নাকি থাকবে এখানে?(মনা)
-আমাকে মাফ করে দাও বাবা,আমাকে মাফ করে দাও মা।আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে চলো।
-ধুর পাগল ছেলে,মা বাবার কাছে সন্তানের মাফ চাইতে হয়না।
মা বাবা সন্তানকে এমনিতেই মাফ করে দেন।যা বউমা আর তুই রেডি হয়ে আয়,
আমরা তারপর বেরুবো।

মনা রেডি হতে ওর রুমে যায়।
-আপু,আপনি কি আমার জন্য এ বাড়ী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন?
-আরে না রে পাগলী।এ ঘর তোমার।এ সংসার তোমার।আর বাবাকে দেখার জন্য এখন তুমি আছো।আর তাই আমি নিশ্চিন্তে আমার ঘরে ফিরে যেতে পারি।

যেটা আমার নিজের ঘর।নিজের সংসার,যেখানে আছে আমার শশুড় শাশুড়ি,যেখানে আছে আমার পরিবার।আমি সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।
তুমি বাবার খেয়াল রেখো।আর আমার ভাইটাকে আগলে রেখো।ও তোমায় বড্ড ভালবাসে।

-দোয়া করবেন আপু।আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করি,আর অপূর্বও আপনাকে খুব ভালবাসে আপু।
-হ্যাঁ আমি জানি সেটা।আর আমিও ওকে খুব ভালবাসি।
-দোয়া করি আপু,আপনারা খুব খুব ভালো থাকুন।
-তোমরাও ভালো থেকো।

অপূর্ব আর মনা সবার সাথে দেখা করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অপূর্বের নিজ বাড়ী চলে যায়।

অয়ন আর অর্না দুজনকে মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতে বলে।

অর্নার নানা নানুও তাদের বাড়ীতে চলে যান।

অর্না,অয়ন,অনু আর অয়নের বাবা মিলে শুরু করেন নতুন এক জীবন।

ওদিকে মনাও তার শশুড় শাশুড়ি এবং স্বামীকে নিয়ে শুরু করে নতুন এক সংসার।

সবাই ভালো আছে ওরা।

দেখতে দেখতে অনেক গুলো মাস কেটে যায়।
হঠাৎ একদিন রাতে টেবিলে সবার জন্য খাবার বাড়তে বাড়তে অর্না মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়,
আর অয়ন সাথে সাথে অর্নাকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শোয়ায়।আর ডাক্তারকে ফোন করে।

এদিকে অয়ন,অনু আর অয়নের বাবা খুব ভয় পেয়ে যায়।

ডাক্তার এসে অর্নাকে দেখে বলেন,
-কংগ্রাচুলেশনস মিঃঅয়ন, আপনি বাবা হতে চলেছেন।
-সত্যি বলছেন ডাক্তার?আমি বাবা হতে চলেছি?বাবা শুনছো ডাক্তার সাহেব কি বলছেন?তুমি দাদা হতে চলেছো।
-হ্যাঁ সত্যি বলছি।এখন থেকে আপনারা উনার খেয়াল রাখবেন।এই সময় একটু আকটু এমন হয়,চিন্তার কোন কারণ নেই।
আমি এখন আসি।

-থ্যাংক ইউ ডাক্তার,থ্যাংক ইউ সো মাচ।

অয়ন খুশিতে ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে।
অর্না বিছানা থেকে উঠে অয়নের বাবাকে সালাম করে।
অয়নের বাবা দুজনকে জড়িয়ে ধরে দোয়া করেন।

-শুনেছিস দাদু ভাই তুই বোন হবি।আপু হবি তুই।তোর ছোট্ট একটা ভাই বা বোন আসছে।
-সত্যি দাদা ভাই?আমার পিচ্চি একটা ভাই,বোন হবে?আমাকে আপু ডাকবে?
ইয়াহু!আমি বড় আপু হবো।আমার একটা পিচ্চি ভাই,বোন হবে।
-চলো দাদু ভাই আমরা আমাদের রুমে যাই।তোমার আম্মু একটু রেস্ট নিক।
-আচ্ছা চলো।

-থ্যাংক ইউ অর্না।আমাকে ২য় বারের মত বাবা ডাক শোনার সৌভাগ্য করে দেয়ার জন্য।আরেকটা ছোট্ট মানুষকে আমাদের পরিবারে আনার জন্য।
-থ্যাংক ইউ টু,আমাকে আরেকটা প্রাণ থেকে মা ডাক শোনার সৌভাগ্য করে দেয়ার জন্য।
আমার গর্ভে প্রাণ টাকে এনে দেয়ার জন্য।

আর আল্লাহ্‌র কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া।
তিনি আমাদের দুজনের কোল ভরিয়ে দিয়েছেন বলে।

-ভালবাসি বউ পাখিটা উম্মাহ।
-লাভ ইউ বরটা।

-আচ্ছা মনাকে জানিয়ে দেই ও শুনলে খুব খুশি হবে।
-আচ্ছা।

-হ্যালো মনা,
-না আমি অর্নব।
-ও ভাইয়া, কেমন আছেন?
-এই তো ভালো আছি,তোমরা কেমন আছো?
-এই তো আলহামদুলিল্লাহ্‌।মনা কই?
-মনাকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে এসেছি।ও ডাক্তারের সাথে কথা বলছে।
-কেন কোন সমস্যা?
-না তেমন কিছুনা, এইযে তোমার বোন বেরিয়ে এসেছে নাও কথা বলো।
-অর্নব,আল্লাহ্‌ আমাদের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন।তুমি বাবা হতে চলেছো।
-সত্যি?
-হুম সত্যি।আল্লাহ্‌র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।
এই নাও তোমার ভাই লাইনে আছে কথা বলো।

-হ্যালো ভাই,একটা গুড নিউজ শোন,তুই মামা হতে চলেছিস।
-সত্যি বলছিস?আল্লাহ্‌।
এবার তুইও একটা গুড নিউজ শোন,তুইও ফুফু মা হতে চলেছিস।
অর্না মা হতে চলেছে।আর আমি এই নিউজ দিতেই তোকে ফোন করেছিলাম।

-আল্লাহ্‌ আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন রে ভাই।
-হ্যাঁ রে। আচ্ছা খুব সাবধানে চলিস।আর নিজের খেয়াল রাখিস।
হ্যাঁ তুইও অর্নাকে দেখে রাখিস।এই চিন্তা তোর করতে হবে নারে।
আচ্ছা ভাইয়াকে দে।
-হ্যাঁ অয়ন বলো।
-মিষ্টি নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসুন।আর আমার বোন কে দেখে রাখবেন।খেয়াল রাখবেন ওর।
-সেই চিন্তা তোমার করতে হবেনা,বুঝলে?
তুমি তোমার টার খেয়াল রাখো।
-হা হা হা,আচ্ছা রাখি তাহলে।আল্লাহ্‌ হাফেজ।
-আচ্ছা আল্লাহ্‌ হাফেজ।

দেখতে দেখতে মনার আর অর্নার ডেলিভারির ডেইট চলে আসে।
দুজনকেই একদিনে হসপিটালে ভর্তি করা হয়।

অয়ন আর অর্নব দুজনই বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে।

কিছু ক্ষণ পর নার্স এসে বলে,
অর্নার ছেলে হয়েছে।
অয়ন খুশিতে আত্মহারা,মেয়েতো আছেই।একটা ছেলের অভাব ছিলো।সেটাও আজ পেয়ে গেলো।সংসার পরিপূর্ণ হলো।

এবার অপূর্ব কে নার্স এসে বলে মনার মেয়ে হয়েছে।
অপূর্ব মনে মনে বলে ও যেন অর্নাকে পেয়ে গেলো।
আল্লাহ্‌ যেন অর্নাকেই ওদের কোলে পাঠালো।

দুই পরিবার পূর্ণ হয়ে গেলো।
অয়ন অপূর্ব দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরলো খুশিতে।

মনা এবং অর্না দুজনই সুস্থ আছে।
চার দিন পর ওদের রিলিজ দিয়ে দিলো।

মনা চলে গেলো অপূর্বের সাথে মনার শশুড় বাড়ী।
আর অর্না চলে গেলো অয়নের সাথে অর্নার শশুড় বাড়ী।

সুখে শান্তিতে চলতে লাগলো মনা অপূর্বের,
আর অয়ন অর্নার জীবন।

মনা অপূর্বের মধ্যে কোন ঝগড়াঝাঁটি না হলেও।
অয়ন আর অর্নার মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকে।

অর্না কেন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলো,
অর্না কেন টাইম মত খেলোনা।অর্না কেন এখন বাচ্চাদেরই বেশি সময় দেয়,কেন অয়নকে বেশি সময় দেয়না।
অর্না কেন এখন নিজের খেয়াল রাখেনা।শুধু কি বাচ্চাদের খেয়াল রাখলেই হবে,নিজের খেয়ালও তো রাখতে হবে।

এই গুলোই অয়নের চোখে অর্নার দোষ।
আর এই টুকটাক কথা নিয়েই চলতে থাকে তাদের মধ্যে মিষ্টি যুদ্ধ।

-অর্না,
-হুম।
-একটা কথা বলবো?
-হুম বলো,
-তুমি এখন আমাকে একটুও ভালবাসোনা তাইনা?শুধু বাচ্চাদেরই ভালবাসো।
-কে বলেছে এই কথা হ্যাঁ?
-আমি বুঝিতো।
-আপনি কিচ্ছু বুঝেন না সাহেব,
এইযে এই দিকে আসেন।
-হুম আসলাম।
-উম্মাহ।আমি আপনাকে খুব ভালবাসি,আর ওদেরও অনেক ভালবাসি।
কারো থেকেই কাউকে কম না।
শুধু সমস্যা হচ্ছে এই,
আমি আগে আপনাকে বেশি সময় দিতাম।
আর এখন ওদের বেশি সময় দেই।
অর্নক(ছেলে) একটু বড় হোক তখন ওকে ওর দাদা ভাই আর বোনের কাছে দিয়ে আমি আপনাকে সময় দেবো।
ঠিকাছে?
-সত্যি তো?
-হ্যাঁ একদম সত্যি।
-আচ্ছা লাভ ইউ আমার গাঁইয়া বউটা।
-উম্মাহ,ভালবাসি আমার শহুরে বরটা।

এইভাবেই সুখে শান্তিতে কেটে যাচ্ছে অয়ন আর অর্নার জীবন।
সবাই দোয়া করবেন,ওরা যেন সারাজীবন এমন সুখে শান্তিতেই থাকতে পারে।

(সমাপ্ত)
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।
আর সবার প্রতি রইলো দোয়া এবং ভালবাসা।
আল্লাহ্‌ হাফেজ।

3 মন্তব্য

  1. Khub sondor. Khub valo laglo story ta.
    Ami deser bahire thaki akhon rat 2:52am e ses korlam golpo ta. Nahole ghum asto na
    I love story tai rat jege porlam.
    Always support korbo. Onek subecha roilo.
    Dhonnobad

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে