গল্প:- বাল্য_বিবাহ পর্ব:-(০২)

0
6977
গল্প:- বাল্য_বিবাহ পর্ব:-(০২) লেখা_মোহাম্মদ_সৌরভ !!! ঠাসসস ঠাসসস তোমার সাহোস হলো কি করে আমাকে জড়িয়ে ধরার? (স্নেহা) আমি:- আমি কখন জড়িয়ে ধরেছি আপনি নিজেই তো ধরেছেন? স্নেহা:- আমি ধরেছি বলে তুমি ধরবে নাকী? আমি:- আজিব তো আপনি জড়িয়ে ধরেছেন আর থাপ্পড়ও দিয়েছেন আপনি। এখানে আমার দোষ কোথায়? স্নেহা:- সব দোষ তোমার আর হ্যা থাপ্পড় দিয়েছি আবার দিবো বেশি কথা বললে? আমি:- থাপ্পড়টা দেওয়ার আগে একবার চিন্তা করা দরকার ছিলো। যাকে থাপ্পড় দিচ্ছেন সে থাপ্পড়টা সহ্য করতে পারবে কিনা। সে অনেক ব্যথা পাইতে পারে। আমি তো আপনাকে জড়িয়ে ধরিনি বরং আপনি নিজেই এসে ধরেছেন। স্নেহা:- আমি জড়িয়ে ধরেছি বলে তুমি আমাকে ধরবে নাকী? আর আমাকে নিয়ে নিচে পরেছ কেনো কাপড়টা ময়লা হয়ে গেছে দেখছো তুমি? আমি:- আরে আপনি এত জুড়ে আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন তো আমি কি করবো? স্নেহা:- ড্রাইভার ড্রাইভার মত থাকবে। আমাকে ইচ্ছে করে তুমি জড়িয়ে ধরেছো। এরপর যদি কোনো দিন ভূল করে হাত ধরো তাহলে গার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো। আমি:- গালের ব্যথাটা যতদিন মনে থাকবে ততদিন তো আপনার ধারে কাছে আসবো না। আপনি যদি আমার সামনে পরে যান আমি দেখলেও ধরবোনা। স্নেহা:- ধরতে হবে না আমাকে ধরার জন্য রাজ আছে। এই রুজি আয়। (আমি গাল ঢলতেছি স্নেহা আর ওর সাথে মেয়েটা রুজি চলে গেছে। এমনিতেই অনেক খিদা তার ওপর থাপ্পড় খালি বাটে ফেলতে পারলে হয়ছে।) আমি:- যাই একটু নিচে গিয়ে দেখি কিছু খাবার পাওয়া যায় কিনা। শিড়ি দিয়ে গাল ঢলতে ঢলতে নিছে নেমেছি। আন্টি:- সৌরভ তোমাকে খুঁজতেছি। আমি:- কেনো আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম। আন্টি:- আসো আমার সাথে, আন্টি আমাকে ডেকে নিয়ে খাবার টেবিলে বসিয়েছে। তুমি সকাল থেকে কিছুই খাওনি বসো আমি তোমার খাবার পাঠাচ্ছি। আমি:- ঠিক আছে! খাবার টেবিলে বসে আছি তখনি স্নেহা আর ওর সাথে কিছু মেয়ে এসে বসেছে খাবার টেবিলে। স্নেহা:- সৌরভ তুমি এখন যাও আমরা খাবার খাবো। তুমি আমাদের খাবার খাওয়া শেষ হলে এসো। আমি:- কিন্তু আন্টি যে বলছে বসতে আর আমিও তো খাবার খাবো। তাছাড়া চ্যায়ার তো খালি পরে আছে আমি খেলে দোষ কিসের। স্নেহা:- ঐ তোকে উঠতে বলছি উঠ তানা হলে বা গালটা আবার লাল করে দিবো। দেখছিস না মালিকরা খেতে বসেছে আর কর্মচারী কর্মচারীর মত থাকবি। উঠ বলছি ছোট লোক কোথাকার। আমি:- আরে আপনি এমন ভাবে ব্যাবহার করেন কেনো? স্নেহা:- কি করেছি ঐ তোর মত ছোট লোক ড্রাইভারের সাথে এর থেকে ভালো ব্যাবহার করবো নাকী। আজকে তোর চাকরি থেকে লাথি মেরে বের করে দিবো। রুজি:- প্লিজ আপনি উঠে যান। আমি:- ঠিক আছে স্নেহার কথা গুলো শুনে নিজেকে অনেক ছোট মনে হলো। দূর ওর মত মেয়েকে আমার বউ করার কোনো দরকার নেই। ওর থেকে আমি অনেক ভালো মেয়ে পাবো। মনটা খারাপ করে বাহিরে চলে এসেছি। অনেক খিদা লাগছে যাই বাহিরে গিয়ে হোটেল থেকে কিছু খেয়ে আসি। বাড়ী থেকে বেরিয়ে একটু হেটে রাস্তার ওপারে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে। রাস্তা পার হচ্ছি দেখি একটা বৃদ্ধা মহিলা রাস্তা পার হতে গিয়ে পরে গেছে আমি দৌরে গিয়ে ওনাকে তুলে কাছের একটা ফার্মেসীতে নিয়ে গেলাম। ওনার হাত ছিলে গেছে ফার্মেসী ডাক্তার ওনাকে দেখে ওয়াশ করে বেন্ডিজ করে দিয়েছে। বৃদ্ধা:- বাবা তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি:- আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক ধনি পরিবারের মানুষ। কিন্তু আপনি একা একা কেনো? বৃদ্ধা:- হ্যা ঠিক বলছো। আমাকে একটু বাড়ীতে নিয়ে দিয়ে আসবে? আমি:- আপনি এখানে একটু বসেন আমি রাত থেকে কিছু খায়নি আমি হোটেল থেকে কিছু খেয়ে আসি। (ওনাকে বসিয়ে আমি খেতে গেলাম অনেক খিদা লাগছে তেমন বেশি কিছু খেতে পারিনি। কারন অনেক খিদা ছিলো আর বেশি খিদা থাকলে তেমন খাওয়া যায়না।) খাবার শেষ করে এসে ওনাকে বলি চলেন আপনাকে বাড়ীতে দিয়ে আসি। বৃদ্ধা:- তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে না তুমি চট্রগ্রাম থাকো। আমি:- হ্যা আমি ঢাকা থাকি এখানে এসেছি বেড়াতে। মানে আমার মালিক পক্ষের সাথে আমি ওনাদের ড্রাইভার। বৃদ্ধা:- কোন বাড়ীতে এসেছিস আর খাবার খেয়েছিস হোটেলে? আমি:- মঞ্জিলা ভবন, ওনার নাতির বিয়ে। একদম কিপটুস বংশদর মনে হয়। সকালে এসেছি সারা দিনে একবারও খেতে দেয়নি। এমন কিপটুস বাড়ী আমার জীবনেও দেখিনি। বৃদ্ধা:- কি বলো তুমি সকাল থেকে তোমাকে কেও খাবার খেতে ডাকেনি আজব তো। এমন কিপটা যার ফলে তোমাকে খেতে বলেনি। এখন থেকে তুমি আমাকে নানু বলে ডাকবে কেমন। আমি:- ঠিক আছে! আরে এদিকে যাচ্ছেন কেনো এইটা তো সেই কিপটুস বাড়ীটা যাদের কথা আপনাকে বলছি। নানু:- আমি চিনি তাই ওদের একটু বকে যাই। এত কিপটা কেনো বাড়ীর মেহমানকে হোটেলে খেতে হয়। আমি:- নানু থাক কিছু বলার দরকার নেই পরে আমার চাকরি থাকবে না। নানু:- আরে তুমি আমার সাথে আসো। (আমি ওনাকে নিয়ে বাড়ীর সামনে গেছি তখনি স্নেহা এসে দৌরে ওনাকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,) স্নেহা:- নাুন তুমি কেমন আছো আরে তোমার কি হয়ছে? হাতে তোমার কি হয়ছে আম্মু মামে দেখো না নানুর হাতে কি যেনো হয়ছে। (স্নেহা ওনাকে নানু বলছে কেনো? আর সবাইকে এমন ভাবে ডাকা ডাকি করছে কেনো?) নানু:- আমার তেমন কিছু হয়নি রাস্তা পার হতে গিয়ে পরে গেছি একটু ছিলে গেছে। এই ছেলেটা তোদের সাথে ঢাকা থেকে এসেছে? স্নেহা:- হ্যা কিন্তু কেনো? কি করছে তোমাকে? নিশ্চয় তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে? এই তোর এত বড় সাহোস আমার নানুকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিস? (স্নেহার কথা গুলো শুনে আমি ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি) নানু:- স্নেহা তুই ওর সাথে এমন ভাবে কথা বলছিস কেনো? আর ও কেনো আমাকে ফেলতে যাবে বরং আমাকে রাস্তা থেকে তুলে ডাক্তার দেখিয়ে এখানে নিয়ে এসেছে। আজকে এই ছেলেটার জন্য আমি বেচে গেছি। (তখনি আঙ্কেল আন্টি আর স্নেহার মামা মামি সহ বাড়ীর সবাই এসেছে) মামা:- আম্মা আপনার কি হয়ছে? (নানু ওনাদের সব কিছু বলেছে সবাই কথা গুলি শুনে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।) নানু:- রাজিয়া তোরা কেমন মানুষ হ্যা তোদের সাথে একটা ছেলে এসেছে। সে খেয়েছি কিনা তার কোনো খুঁজ খবর আছে তোদের। আমার বাড়ীর মেহমান গিয়ে হোটেলে খাবার খেয়ে এসেছে ছি ছি আমার লজ্জা মরে যেতে ইচ্ছে করছে। আন্টি:- আম্মা আমি তো সৌরভকে খাবার খেতে ডেকে নিয়েছি। ওকে টেবিলে বসিয়ে আমি খাবার আনতে গেছি আর এসে দেখি সৌরভ নেই। আচ্ছা সৌরভ তুমি চলে গেছো কেনো? আমি:- আমাকে তো টেবিল থেকে উঠিয়ে দিয়েছে স্নেহা মেম। আন্টি:- কিরে স্নেহা তুই যে বলছিস সৌরভ নিজেই কাজ আছে বলে উঠে গেছে। (স্নেহা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ গুলো বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।) নানু:- স্নেহা না হয় ওকে উঠিয়ে দিয়েছে। সৌরভ ছেলেটা সকালে এসেছে আর এখন সন্ধা হয়ে গেছে সারাটা দিন ছেলেটা কিছুই খায়নি। তোদের সবাইকে কিপটুস বলে যেনে গেছে ছি ছি রাজিয়া তুইও এমন হয়ে গেছিস। আজ একটা কথা সবাই কান খুলে শুনে রাখো। বাড়ীতে যত মেহমান আসবে সবাইকে সুন্দর করে মেহমানদারি করবে। আমি মঞ্জিলা ভবনের কোনো দূর্নাম শুনতে চাইনা। আন্টি:- সৌরভ তোমাকে তো বলেছি এইটা নিজের বাড়ীর মত চেয়ে নিবে। আসো আমার সাথে তুমি খাবে। আমি:- আন্টি আমি এখন খেয়ে এসেছি রাতে খাবো কেমন। মামা:- সৌরভ তুমি আমার সাথে আসো (আমি নানুকে ধরে ওনার রুমে নিয়ে গেছি। আমি রুম থেকে বেড়িয়ে আসবো তখনি,,,,) নানু:- রাজিয়া বলতে হবে ছেলেটার গূন আছে একদিনে মাকে হাত করে নিয়েছে। ছেলেটা দেখতে সুন্দর আছে এক কাজ করলে কেমন হবে রুজির সাথে সৌরভের বিয়ে দিলে কেমন হবে? আন্টি:- ভাইয়া তুমি কি বলো সৌরভ ক্লাস সেভেন পাশ আর রুজি ইন্টারে পড়ে। আর রুজি মেনে নিবে সৌরভকে? মামা:- রুজির সাথে কথা বলে দেখিস তারপর চিন্তা করবো কেমন। (আমি ওনাদের কথা গুলি শুনে হাসি দিয়ে চলে এসেছি রুমে। রুমে এসে মোবাইর বের করে দেখি অনেক গুলা ফোন চাপ দিতেই দেখি আম্মুর নাম্বার। আম্মাকে ফোন করে কথা বলেছি। কথা শেষ করে একটু বাহিরে গেছি এমনি রুজি এসে বলে,,, রুজি:- সৌরভ আমার সাথে একটু মার্কেটে যাবে? আমি:- এখন মার্কেটে যাবে? রুজি:- হ্যা প্লিজ চলো। আমি:- চলো রুজিকে নিয়ে রাত ৯টার দিকে মার্কেটে এসেছি। আমাকে নিছে দ্বার করিয়ে রুজি একা গেছে। কিছুক্ষণ পর রুজি এসে গাড়ীতে বসেছে। আমি রুজিকে নিয়ে বাড়ীতে এসেছি। রুজি:- সৌরভ তুমি এই প্যাকেটা কাওকে না দেখিয়ে ছাদের উপর নিয়ে যাও। স্নেহা আর আমার কিছু কাজিন আছে ওদের কাছে দিয়ে এসো। আমি:- ঠিক আছে, প্যাকেট হাতে নিয়ে সোজা ছাদের উপর এসেছি। দেখি স্নেহা সহ আরো অনেকে বসে আছে আমাকে দেখে স্নেহা এসেছে। স্নেহা:- প্যাকেট আমার হাতে দিয়ে তুমি চলে যাও। (আমি স্নেহার হাতে দিয়ে সোজা নিছে নেমে আসতেছি দেখি রুজি উপরে যাচ্ছে। আমি কিছুটা নেমে আবার উপরের দিকে গেছি। দেখি সব ভিয়ারের বোতল আর চিকেন ফ্রাই। স্নেহা রুজি আর ওদের কাজিনরা খাচ্ছে স্নেহা একটু বেশি খাচ্ছে। আমি মোবাইল বের করে স্নেহাদের দৃশ্য গুলি ভিডিও করেছি। একটু এগিয়ে গিয়ে বলি,,,) আমি:- স্নেহা মেম স্মাইল প্লিজ স্নেহার রুজির আর ওদের কাজিনদের কিছু ছবি তুলে নিয়ে সোজা দৌরে নিছে চলে এসেছি আমার রুমে। আমার ফেসবুক আইডিতে অনলি মি করে ছবি গুলা ছেড়ে দিলাম। রাতের খাবার খেতে গিয়ে দেখি স্নেহা রুজি আর ওর কাজিনরা সিড়িতে দিঁড়িয়ে আছে। স্নেহা:- ছবি গুলি আর ভিডিওটা ডিলেট করে দিবে তা না হলে খবর আছে? আমি:- কি খবর করবে আমার জানা আছে। তবে ডিলেট করতে পারি একটা শর্তে। স্নেহা:- কি শর্ত? আমি:- রোজ তিনটা কিস রাতে ঘুমাবার আগে জড়িয়ে ধরতে হবে। রাজি থাকলে বলেন তানা হলে এখুনি সবাইকে লাইভ ভিডিও দেখাবো বলে চলে এসেছি। আর স্নেহা রুজি সহ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,, To be continue,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে