গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৭)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
বিয়ে হয়েছে দুই মাস তোমাদের তো কোনো মেয়ে সন্তান হয়নি তাহলে সৌরভকে তানুসার আব্বু বলে ডাকতেছো কেনো?(আজকে ওর একটা বিহিত করতে হবে হয় তসিবা থাকবে না হয় আমি থাকবো এই বাড়ীতে। মনে মনে ভাবতে ভাবতে সিঁড়ি দিয়ে নিছে নেমে এলাম)
তসিবা:- স্বামি বলে ডাকলে ওনি রাগ করে তাই ওনাকে তানুসার আব্বু বলে ডাকি। আব্বাজান আমার না দুইটা জমজ মেয়ে হবে ওনার কাছে আমি চেয়েছি।
আপু:- তা জমজ বাচ্ছা হবে তুমি জানলে কি করে?
তসিবা:- অফিসে তো ওনি জমজ বাচ্ছার ছবি জুলিয়ে রাখছে। তখনি আব্বু আম্মু আপু সহ সবাই এক সাথে হাসি,,, আমাকে দেখে তসিবা ওর কান্না আরো বারিয়ে দিয়ে বলে,,, আব্বাজান আমি দেখতে শুনতে কোন দিক দিয়ে খারাপ?
আব্বু:- কে বলে তুমি সুন্দর না।
তসিবা:- তানুসার আব্বু বলে আর তার জন্য আজকে আমাকে ডির্ভোসের কাগজে সাইন করাতে চাচ্ছিলো।
আব্বু:- কি সৌরভ তসিবা যা বলছে সব কি সত্যি কথা বলছে? তোর সাহোস হলো কি করে তসিবাকে ডির্ভোস দেওয়ার?
আমি:- আব্বু আমি এই গ্রাম্য ভূত ক্ষেত মার্কা মেয়ে নিয়ে সংসার করতে পারবো না। যেখানে যাবে আমাকে জামেলা ফেলবে খালি চেহারাটা আর গায়ের রং ফর্সা হলে কি হবে? একজনের সাথে একটু ঠিক করে কথা বলতে পারেনা। (আমার কথা গুলি শুনে তসিবা অভাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।)
আব্বু:- এত ঠিক করে কথা বলতে হবে না। আমি তোর মা আর তোর আপু দুলাভাই ওরা বুঝতে পারলে হবে। শুন সৌরভ তসিবাকে আমি তোমার বউ করে আনছি এইটা একটা মাধ্যম। তসিবা শুধু বউ না আমাদের মেয়ের মত।
আমি:- তাহলে আমাকে জোর করে বিয়েটা করিয়েছেন কেনো? আমি তো এই মেয়েকে বিয়ে করতে চাইনি তাও আমার সাথে ক্ষেত মার্কা একটা মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আমার পক্ষে আর সম্বভনা তসিবার সাথে সংসার করা।
তসিবাকে আমি ডির্ভোস দিয়ে লিজাকে বিয়ে করবো তখনি আব্বু বলে,,,
আব্বু:- কি তোর এত বড় সাহোস বলে আমাকে একটা থাপ্পড় দিয়েছে। সারা জীবন তোদের জন্য এত কষ্ট করেছি এই কথা গুলি শুনার জন্য।
আপু:- ভাই তুই লিজার জন্য তসিবাকে ডির্ভোস দিবি বলছিস। আর আব্বুর সাথে এমন ভাবে ব্যবহার করছিস।
আমি:- আপু তুই চুপ থাক তোরা কেও আমার ভালো চাসনি যদি চাইতি তাহলে আমাকে ঠকাতে পারতি না। তুই তো তোর ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেছিস তাহলে আমার বেলা হলোনা কেনো?
আপু:- ভাই তুই এমন কথা বলতে পারলি?
আমি:- হ্যা পারছি আসলে তুই আম্মু আব্বু কেও আমার সূখের চিন্তা করিস নি তোরা তোদের চিন্তা করেছিস। গ্রাম থেকে একটা মেয়েকে বউ করে আনলে তোদের সাথে ভালো থাকবে তাই তোরা তসিবাকে আমার বউ করে আনছিস। (তখনি তসিবা বলে,,,)
তসিবা:- আমার জন্য আপনাদের সূখের সংসার আজ দুঃখ নেমে এসেছে। তানুসার আব্বু আমি চলে যাবো আপনার জীবন থেকে প্লিজ আপনি ওনাদের সাথে এমন ভাবে কথা বলিয়েন না।
আমি:- কে তানুসার আব্বু আমাকে তুই তানুসার আব্বু বলে ডাকবি না সব কিছু তোর জন্য হয়েছে বলে তসিবাকে জুড়ে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিয়েছি। তসিবা থাপ্পড় খেয়ে গিয়ে নিছে পরে গেছে। কাল সকাল থেকে যেনো তোর মুখটা না দেখি দেখলে আমি এই বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো। কথা গুলি বলে বাসা থেকে বেড়িয়ে এসেছি রাস্তায় হাটতেছি আর কথা গুলি ভাবতেছি। তখনি মোবাইলটা বেজে উঠেছে হাতে নিয়ে দেখি লিজা ফোন করেছে রিসিব করেছি,,,
লিজা:- সৌরভ কেমন আছো?
আমি:- হ্যা ভালো আছি তুমি কেমন আছো?
লিজা:- বেশি একটা ভালো না সৌরভ তুমি আমাকে বিয়ে করবে নাকী আমাকে নিয়ে তুমি খেলা করতেছো?
আমি:- হ্যা করবো তো কিছুটা সময় দাও প্লিজ।
লিজা:- কত সময় দিবো কাল সন্ধায় পাত্র পক্ষ আমাকে দেখতে আসবে। এখন আমি কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো তাহলে আমি মরে যাবো প্লিজ সৌরভ কিছু একটা করো।
আমি:- তুমি চিন্তা করোনা আমি তোমাকে বিয়ে করবো আগে তসিবার সাথে জামেলাটা শেষ করে নেই।
লিজা:- তুমি কাল সকালে এসে আব্বুর সাথে কথা বলবে প্লিজ সৌরভ বলবে?
আমি:- ঠিক আছে তাই হবে তাহলে কাল সকালে আমি তোমাদের বাড়ীতে আসবো চাচার সাথে কথা বলতে। লিজার সাথে আরো কিছু কথা বলে ফোনটা কেটেছি তখনি আপুর ফোন দুই বার দিয়েছে দুইবার কেটে দিছি। রাত ১১ টার পর বাড়ীর দিকে গেলাম বাড়ীতে ঢুকবো দেখি বাহির দিয়ে তালা লাগানো আরে তালা দিয়ে সব গেছে কোথায়? আপুকে ফোন করে দেখি ফোন দিয়েছি রিং হয়ে একবার কেটে গেছে আবার দিয়েছি এবার রিসিব হয়ছে,,,, কান্না বেজা কন্ঠে আপু বলে,,,
আপু:- সৌরভ আমরা কুর্মিটোলা হাসপাতালে আছি তুই এখানে তারা তারি আয় বলে ফোনটা কেটে গেছে। তখনি বুকের বাম পাসটা লাফাতে আরম্ভ করেছে আব্বুর কিছু হয়নি তো? আবার ট্রাই করেছি কিন্তু ফোন ঢুকছেনা পকেটে হাত দিয়ে দেখি বাইকের চাবিটা আছে বাইকটা নিয়ে তারা তারি করে এসেছি হাসপাতালে। ভীতরে ঢুকে দেখি আব্বু, আম্মু, আপু, দুলাভাই, সবাই আছে যাক কিছুটা শান্ত হলাম হঠাত করে তসিবার কথা মনে পরে গেলো আরে তসিবা কোথায়? আমি কাছে গিয়ে আপুকে জিগেস করেছি
আমি:- আপু তসিবা কোথায়?
আপু:- তসিবার কপাল ফেটে গেছে অনেক রক্ত বের হয়ছে মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে গেছে।
আমি:- মানে কপাল ফাটলো কি করে আর রক্ত যাবে কেনো?
আপু:- ভাই তুই নিজে তো ওকে থাপ্পড় দিয়ে নিছে ফেলে দিয়েছিস। তখন টেবিলে যে কাছটা রাখা ছিলো ঐটার সাথে কপালে আঘাত পেয়েছে। তখনি আব্বু বলে,,,
আব্বু:- সৌরভ তুই এখান থেকে যা,,, তুই যেহেতু তসিবাকে বউ হিসাবে মেনে নিতে চাস না ঠিক আছে সমস্যা নেই। আমি তসিবাকে অন্য যায়গা বিয়ে দিবো তোর থেকে ভালো ছেলের সাথে।
আপু:- আব্বু আপনি কি বলছেন তসিবাকে আপনি অন্য যায়গা বিয়ে দিবেন। কিন্তু তসিবা তো ভাইকে ভালোবাসে আর তসিবা কি রাজি হবে?
আম্মু:- রাজি না হলেও আমি রাজি করাবো। যেহেতু আমরা মেয়েটাকে গ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে এসেছি সেহেতু আমরা মেয়েটার সূখের সন্ধান করে দিবো।
আমি:- ঠিক আছে সমস্যা নেই তাহলে আমার জন্য ভালো হবে। তখনি ডাক্তার এসে বলে,,,
ডাক্তার:- রুগির জ্ঞান ফিরছে আপনারা চাইলে কথা বলতে পারেন তবে একটা কথা বলার আছে।
আব্বু:- কি কথা বলেন?
ডাক্তার:- শরীর অনেক দূর্বল আছে মানুষ ভাবে কিছুটা ভেঙ্গে পরেছে একটু চোখে চোখে রাখবেন কেমন।
আব্বু:- ঠিক আছে। ডাক্তার চলে গেছে আমি বাহিরে বসে আছি আর তসিবার দুষ্টমি গুলি মনে করতেছি। কিছুক্ষণ পর দুলাভাই এসে বলে,,,
দুলাভাই:- সৌরভ তোমাকে আমি ছোট ভাই হিসাবে দেখে কোনো দিন তোমার কথার উপর দিয়ে আমি কথা বলিনি। তবে একটা কথা বলি তসিবা গ্রামের মেয়ে বলে কি হয়ছে সে তো তোমাকে ভালোবাসে এইটা সবচেয়ে বড় পাওনা। তখনি একজন নার্ছ এসে বলে,,,
নার্ছ:- দেখি আপনারা বের হোন রুগিকে একা রেখে সবাই চলে যান। আর এখানে একজন মাত্র থাকতে পারবেন।
আম্মু:- ঠিক আছে তাহলে আমি থাকি তোমরা সবাই চলে যাও।
আপু:- আম্মু তুমি থাকবে কেনো সৌরভ আছে ও থাকবে আর রাতের বেলা যদি কিছুর দরকার হয় তখন তুমি কি করে আনবে। কিরে সৌরভ থাকতে পারবি না তসিবার পাশে।
আমি:- ঠিক আছে থাকবো। (আব্বু কিছু বলতে চাইছে দুলাভাই আব্বুকে বুঝিয়ে নিয়ে গেছে। ওরা সবাই চলে গেছে আমি কেবিন রুমে ঢুকেছি দেখি তসিবা ঘুমিয়ে আছে।) তসিবার পাশে বসে ওর মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়েছি সব দোষ আমার। কেনো জানি মেয়েটাকে থাপ্পড় দিতে গেলাম পাশে বসে কখন যে ওর বুকে থামা রেখে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক বলতেও পারবো না। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে নার্ছের দরজার ঠক ঠক শব্দে।
নার্ছ:- আপনার স্ত্রীকে ডেকে তুলোন ঔষধ খাওয়াতে হবে।
আমি:- আমারর স্ত্রী আপনি জানেন কি করে?
নার্ছ:- আপনার স্ত্রী বলছে রাত ৩ টায় আমি যখন চেক করতে এসেছি তখন দেখি আপনি ওনার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন আর ওনি আপনার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছি তখনি বলছে আপনারা দুজনে স্বামী স্ত্রী।
আমি:- ও তাই বলেন তসিবাকে ডেকে তুলেছি নার্ছ ঔষধ খায়িয়ে চলে যাবার সময় বলে গেছে ডাক্তারের সাথে দেখা করতে। আমি তসিবাকে রেখে ডাক্তারের রুমে গেছি।
ডাক্তার:- আপনি চাইলে ওনাকে বাড়ীতে নিতে পারেন শরীর দূর্বল তাই রক্ত যাওয়াতে অজ্ঞান হয়ে গেছিলো। ঠিক মত খেয়াল রাখবেন কেমন আরো যত্ন বান হবেন স্ত্রীর প্রতি।
আমি:- ঠিক আছে তাই হবো ডাক্তার রুম থেকে বেরিয়ে কেবিনে এসেছি। তসিবা চলো আমরা বাড়ীতে যাবো ডাক্তার বলছে তুমি বাড়ী যেতে পারবে। তখনি তসিবা নামতে ছিলো আমি হাত বারিয়ে দিয়েছি তখনি তসিবা বলে,,,
তসিবা:- মিস্টার সৌরভ আমার জন্য অনেক করেছেন আর কিছু করতে হবে না। এখন থেকে তো একা একা চলতে হবে তাই এখন থেকে অভ্যাস করি।
আমি:- হ্যা ঠিকই বলছো একা একা চলতে হবে। তসিবা নেমে নিজে নিজে হেটে হেটা এসেছে বাহিরে। আমি বাইকে বসে তসিবাকে বলছি এসো বাইকে করে যাবো।
তসিবা:- আপনি আমার জন্য এত চিন্তা করতে হবে না আমি রিক্সা নিয়ে চলে যাবো। এমনিতেই তো আপনাকে অনেক বিরক্ত করছি এখন থেকে বিরক্ত না করলাম।
আমি:- এত কথা না বলে বাইকে এসে বসো। তসিবা বসতে চাইনি আমি জোর করে এনে বসিয়ে দিয়েছে। নাও হেমলেট পড় আর আমাকে শক্ত করে ধরে রাখো।
তসিবা:- আমাকে এত কেয়ার করতে হবে না আমি তো আজকে বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো আপনি বাইক চালান আমি পরবো না।
আমি:- ঠিক আছে তসিবা বসে আছে আমাদের মাঝে কিছুটা গ্যাপ আছে আমি ইচ্ছে করে ব্রেক লাগিয়েছি আর তসিবা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
তসিবা:- খালি রাস্তায় ব্রেক মারার কি দরকার আর তাছাড়া আমি একটা ক্ষেত মার্কা মেয়ে আমার সাথে ধাক্কা খাওয়ার কি দরকার?
আমি:- তোমার সাথে ধাক্কা খাওয়ার আমার কোনো ইচ্ছে নেই। বাইক থেকে পরে গেলে আব্বু আম্মু ভাববে তোমাকে আমি ইচ্ছে করে ফেলে দিয়েছি তাই ব্রেক মেরেছি। বাসায় এসেছি তুমি নামো আমার কাজ আছে তসিবা নেমেছে আমি বাইক নিয়ে সোজা চাচার বাসায় গেলাম। আমাকে চাচি দেখে অনেক খুশি হয়েছে,,,
চাচি:- সৌরভ কতদিন পরে আসলে তখনি চাচা এসেছে,,,
চাচা:- সৌরভ তুমি এখানে কেনো?
আমি:- আপনার সাথে কিছু কথা আছে আমি চাচাকে অনেক বুঝিয়ে লিজার সাথে আমার বিয়েতে রাজি করিয়েছি। তবে চাচার একটা চুক্তি নামা কাগজে সাইন করে দিতে হবে তাহলে চাচা লিজাকে ৬ মাস আমার জন্য রাখবে।
চাচা:- তুমি রাজি থাকলে বলো আমি চুক্তি পত্র রেডি করবো।
আমি:- ঠিক আছে রাজি আছি। তারপর লিজার সাথে কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা আমাদের বাড়ীতে এসে পরেছি। নিছে কারো সাথে কোনো কথা না বলে রুমে চলে গেলাম যখনি দরজা দিয়ে ঢুকতে যাবো তখনি তসিবার সাথে ধাক্কা খেয়েছি,,,,,
তসিবা:- ওমা গু মরে গেলাম এত জুড়ে ধাক্কা দিলেন কেনো?
আমি:- তুমি এমন ভাবে তারা হুরা করে কোথায় যাচ্ছো শুনি?
তসিবা:- যেখানে যাইনা কেনো আপনার কাছে বলবো কেনো? এখন কথা কম বলে আমার মাথায় একটা গুতো দিয়ে দেন।
আমি:- আবার শুরু করে দিয়েছো দেখি সরো বলে চলে আসবো তখনি তসিবা আমার মাথায় গুতো দিয়ে বলে,,,
তসিবা:- এখন থেকে আপনি আমার সাথে কথা বলবেন না। আমাকে স্পর্শ করবেন না। এমনকি আমার নাম ভূল করে মুখে আনবেন না।
আমি:- আমার ভয়ে গেছে তোমার সাথে কথা বলার জন্য। দেখি সরো আমার জন্য ভালো হয়েছে রুমে ঢুকে তো আমি পুরাই অভাক হয়ে গেছি আরে রুমটা এমন করলো কেনো? আমার একটা জিনিস যায়গা মত নেই সব কিছু এলো মেলো করে রাখছে। তসিবা তসিবা বলে অনেক গুলি ডাক দিয়েছি কিন্তু তসিবা আসেনি এসেছে আপু,,,
আপু:- সৌরভ তসিবাকে ডাকছিস কেনো?
আমি:- অফিসে যাবো আমার ব্যাগ কাগজ ফাইল সব কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। আর আলমারীতে আমার কাপর সরিয়ে তসিবার শাড়ী আর জুতা রাখছে কেনো?
আপু:- তসিবা আব্বুর সাথে অফিসে গেছে তুই তো অফিসে যাবি তখনি কথা বলে নিস।
আমি:- ডাক্তার তো বলছে তসিবা রেস্ট নিতে তাহলে অফিসে গেছে কেনো?
আপু:- সেইটা আব্বু আর তসিবা ভালো যানে আমার কাজ আছে আমি গেলাম।
আমি:- সমস্যা নেই মাত্র তো কিছু দিন তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার রেডি হতে ১ ঘন্টা নাঘাত লাগছে তসিবা সব কিছু ইচ্ছে করে উল্টা পাল্টা করে গেছে। নিছে এসেছি আম্মু আমার সাথে আগের মত করে কথা বলে না। আমি গাড়ীটা নিয়ে সোজা অফিসে এসেছি অফিসে ঢুকতে দেখি তসিবাকে আব্বুর পি এ কামাল ও কাজ শিখাচ্ছে। কাছে গিয়ে আমি তসিবাকে বলি,,, তসিবা তুমি এই শরীর নিয়ে এখানে এসেছো কেনো?
তসিবা:- মিস্টার সৌরভ স্যার আমি আজ থেকে অফিসে জয়েন করেছি। আর এইটা অফিস বাসা নয় সুতুরাং আপনি আমার সাথে অফিসের ভাষা কথা বলেন তাহলে খুশি হবো।
আমি:- ঠিক আছে তা আপনাকে কে জয়েন করেছে মিস তসিবা ইসলাম। তখনি আব্বু এসে বলে,,,
আব্বু:- সৌরভ আমি জয়েন করেছি এখন থেকে আমার অনুপস্থিতে তসিবা সব কিছু সাইন করবে। কামাল তুমি তসিবাকে সব কিছু ভালো করে বুঝিয়ে দাও।
আমি:- ঠিক আছে আমার সমস্যা নেই আমি আমার কক্ষে এসে কাজ করতেছি তখনি গ্লাস দিয়ে দেখি কামাল একদম জুকে তসিবাকে কাজ দেখাচ্ছে আমার এত রাগ উঠছে তাও রাগটা কন্ট্রোল করে নিলাম। আমি কাজ করতেছি নিজের মত করে তসিবার দিকে এখন আর এতটা তাকায় না। অফিস আর বাড়ী কাজ এসব মিলিয়ে এখন তসিবার কাছ থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছি। তসিবা আমাকে দেখিয়ে কামালের সাথে ভালোই হাসা হাসি করে আমি তসিবাকে কিছুই বলিনা হঠাত একদিন আমি শপিং মহলে লিজার সাথে গেছি। শপিং শেষ করে সিঁড়ির কাছে এসেছি তখনি একটা মেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পরে যেতে ছিলো আমি ধরে ফেলছি তাকিয়ে দেখি তসিবা আর তখনি ঠাসস করে আমাকে এক থাপ্পড় দিয়ে বলে,,,
তসিবা:- লজ্জা করেনা অন্য মেয়েদের গায়ে হাত দিতে? সুন্দর মেয়ে দেখলে টাচ্ করতে ইচ্ছে করে তাইনা তখন শপিং মহলের আরো কিছু মানুষ এসেছে আমাকে মারবে বলে গনপিটুনি যাকে বলে তখনি তসিবা বলে,,, দেখুন এইটা আমি সায়েস্তা করে দিয়েছি আপনাদের কিছু করতে হবে না বলে তসিবা চলে গেছে আমি অভাক দৃষ্টিতে তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি।
লিজা:- সৌরভ তুমি ওকে কিছু বলোনি কেনো?
আমি:- থাক যেতে দাও আমাকে থাপ্পড় দেওয়ার মজা পরে বুঝবে। চলো তোমাকে বাড়ীতে দিয়ে আসি লিজাকে নিয়ে বের হয়ে ওকে বাড়ীতে দিয়ে এসেছি। বাড়ীর সামনে এসে দেখি ঐ রেস্টুরেন্টের ছেলেটার সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলতেছে,,,
তসিবা:- নাও এখানে যা চাইছো তা আছে তুমি এই কথা কাওকে বলবে না এমন কি সৌরভকেও না।
ছেলে:- প্রতি মাসে না পেলে আমার বলতে হবে আর তুমি যদি দাও তাহলে প্রতি মাসে লাগবে না একদিন দিলে হবে।
তসিবা:- রবিন তুমি এখন যাও এখন সৌরভ আসতে পারে ও তোমাকে আর আমাকে দেখলে অনেক সমস্যা হবে। রবিন চলে গেছে তসিবা এদিক সেদিক তাকিয়ে ভীতরে ঢুকে গেছে আমি ওর পিছু পিছু ঢুকেছি তখনি তসিবা সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় পা পিছলে পরে গেছে আর একটা জুড়ে আওয়াজ হয়েছে। আমি পেছনে তাও ওকে ধরিনি আপু আম্মু আব্বু তাকিয়ে বলে,,,,
আপু:- সৌরভ তোর সামনে তসিবা পরে গেছে তাও তুই ধরিসনি?
তসিবা:- আপনি পেছনে থেকেও আমাকে ধরেন নি কেনো?
আমি:- এমনিতেই বা গাল লাল হয়ে আছে আর ডান গাল লাল করতে চাইনা। আর তাছাড়া আমি সুন্দরী মেয়েদের স্পর্শ করিনা বলে তসিবাকে নিছে রেখে আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে আসছি,,,,
To be continue
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.