গল্পের নামঃ “heart touch love” পর্ব-৮ (শেষ পর্ব)

0
4131

গল্পের নামঃ “heart touch love”

পর্ব-৮ (শেষ পর্ব)

সামিয়া বলল, আপনি ছাদে জান, আমি ৫ মিনিট পর আসছি। ভয় নাই, কিছু করবো না। আবেগ নিয়ে জীবন চলে না। আপনি জান, আমি আসছি।
আমি ছাদে আমার ফুল গাছ গুলোর দিকে তাকিয়ে আছি, সামিয়া আঙ্গুরের গাছ ও লাগিয়েছে…
আমি থাকতে যতো ফুল ফল গাছ ছিল ৪ মাসেই তার ২ গুন করে নিয়েছে।
ছাদে একটা শখ করে খোলা ঘর করেছিলাম, যেন বউ কে নিয়ে জস্না দেখতে পারি… কিন্তু ঘরটা কতো সুন্দর লাগছে, নিশ্চয় সামিয়া সাজিয়েছে।
।।
পিছন থেকে কে যেন একটা কাশি দিলো…
আমিঃ আঙ্গুর গাছ তুমি লাগিয়েছো?
সামিয়াঃ হ্যাঁ, খেয়ে দেখেন তো কেমন?
আমিঃ কেন তুমি খাও নি?
সামিয়াঃ না, ভাবলাম আপনাকে দিয়েই সূচনা করবো…
আমিঃ আমার মতো খারাপ মানুষকে দিয়ে সূচনা করলে আঙ্গুর মিষ্টি হবে না।
সামিয়াঃ সেই যায় হোক, আঙ্গুর তো। আর বইয়ে পড়েছিলাম আঙ্গুর ফল টক।
আমিঃ ঠিক আছে খাচ্ছি।
সামিয়াঃ চা নেন।
আমিঃ নিচ্ছি, আচ্ছা তুমি কি সিদ্ধান্ত নিলা?
সামিয়াঃ দেখেন মেয়েটার জন্য আমার ও দুঃখ হচ্ছে কিন্তু আপনি বলেন, এই যে ছাদ যাকে আমি আমার মনের মতো করে সাজিয়েছি…
নিজের এক একটা স্বপ্ন কে আমি সত্যি করেছি, এই বাগান করতে আমার শ্বশুর আমাকে কতো সাহায্য করেছে আপনি জানেন?
আমার তো এই ছাদটায় ভাগ দিতে কষ্ট হচ্ছে, জানিনা কীভাবে এতো কিছুর ভাগ দিবো?
আমিঃ আমি তোমার কষ্ট বুঝতে পারছি। আমার বাগানের একটা মরা ফুল ও আমি কাউকে দিতাম না, কিন্তু যখন কারো প্রয়োজন ছিল তখন ৭-৮ রকম ফুল পেড়ে দিতাম।।
সামিয়াঃ তার মানে এই উদাহারণ দিয়ে আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন যে এতো সব কিছু আমি অর্ধেক সেই মেয়েকে দিয়ে দিবো?
আমিঃ আমি সেটা বলি নি, আমি সুধু এটা বলতে চাচ্ছি যে পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক কাজ করতে বাধ্য হয়।
সামিয়াঃ কিন্তু আমি পারবো না,
আমিঃ তাহলে তুমি বলো আমি এখন কি করবো?
সামিয়াঃ বিয়ে করার আগে আমাকে কি জিজ্ঞেস করেছেন? আমার বাড়ীতে আপনার নতুন বউয়ের যায়গা নাই, এই বাড়ী, শ্বশুর, শাশুড়ি আমার।
আপনি আপনার নতুন বউকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
আমিঃ তাহলে যদি আমি তাকে অন্য যায়গায় রাখি তাহলে তোমার সমস্যা হবে না?
সামিয়াঃ সমস্যা আবার হবে না? তবে সেটা মেনে নিবো। তবে এই বাড়ীর মধ্যে না।
আমিঃ ঠিক আছে।
।।
কিছুক্ষণ পর বাবা ছাদে আসলো।
বাবাঃ কিরে কখন আসলি?
আমিঃ এই তো ঘণ্টা খানিক আগে। তুমি কোথায় গেছিলে?
বাবাঃ নামাজ পড়ে হাঁটছিলাম।
সামিয়াঃ বাবা, আপনি রাত থেকে ঘটনা জেনেও আমাকে কিছু বলেন নি?
বাবাঃ কি বলবো বলো? ছেলে কি চাকুরী তে ম্যাডেল পেয়েছে যে গর্ব করে বলবো?
আমিঃ বাবা, সামিয়া মেনেছে, কিন্তু মেয়েটাকে অন্য কোন যায়গায় রাখতে হবে, মানে এই বাড়ীতে না। আর আমিও সেটা চাইনা যে ঐ মেয়েও এই বাড়ীতে থাক।
বাবাঃ ঠিক আছে তাহলে অন্য একটা ব্যাবস্থা করে দাও।
…।।…
এরপর আর সমস্যা হয় নি, বৃষ্টি কে ওদের জমি বিক্রি করা টাকা দিয়ে ওর নামে একটা বাড়ী করে দেয়, যেটা ঠিক আমার বাড়ীর সামনে।
আর বৃষ্টি পড়তে থাকে… আমিও সামিয়ার সাথে এখন অনেকটা ফ্রি… সামিয়ার বাড়ীতে একটু ঝামেলা করার চেষ্টা করেছিলো।
কিন্তু সামিয়া বলল যে সে আমাকে আগেই বিয়ের অনুমতি দিয়েছিল তাই তারা আর কিছু বলল না।
আর এই ভাবেই চলতে লাগলো আমার কাহিনী…
আমি আর সামিয়া আর মাঝ খানে বৃষ্টি।

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে