গল্প:- লাভ_ইউ পর্ব:-(০১)

0
1836

গল্পপ:- লাভ_ইউ পর্ব:-(০১)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav

বাসর ঘরে দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে আমি আপনাকে খাইয়ে মেরে ফেলবো যদি আপনার সাথে আমার বিয়েটা হয়। আপনি ভালোই ভালোই বিয়ের মন্ডপ থেকে পালিয়ে যান। আর যদি বিয়েটা করেন তাহলে আজ রাতে আপনাকে বাসর ঘরে বিষ খাওয়াবো বলে দিলাম।

কিন্তু কেনো বিষ খাইয়ে মারবেন আর আমাদের দুজনের বিয়ে হলে তো দুই পরিবার এক হবে। আমাদের পরিবারের যে একটা ঝামেলা আছে তা শেষ হয়ে একটা আত্মীয়তা তৈরি হবে।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



দুই পরিবার এক করতে গিয়ে আমি আমার ভালোবাসা কুরবানি দিতে পারবোনা। আর আপনার মত হাবলা মার্কা ছেলে আমার বর হবে তা কি করে হয়?

কেনো? আমি দেখতে শুনতে কোন দিক দিয়ে খারাপ? আমি স্মার্ট ভাবে কথা বলি সবাই তো আমাকে বলে আমি নাকী খুব হ্যন্ডসাম দেখতে।

আপনার থেকে আমার বয়ফ্রেন্ড অনেক হ্যান্ডসাম আর অনেক বড়লোক।

মানে আপনি কাওকে ভালোবাসেন?

হ্যা,,,

নাম কি যাকে আপনি ভালোবাসেন তার?

রাসেল আহমেদ।

বাহা অনেক সুন্দর নাম, তবে আমি বিয়েটা ভাঙতে পারবোনা। আপনি এক কাজ করেন জ্বানালা বেয়ে নেমে আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে যান।

কেনো আপনি বিয়েটা ভাংগতে পারবেন না?

কারন আমার ভাই আর আব্বু আমাকে বিয়েটা না করলে মেরে ফেলবে। এক কাজ করেন আপনি আপনার বাবাকে বলে দেন এই বিয়েতে আপনি রাজি নন।

মাথা খারাপ নাকি আমি কেনো বলতে যাবো? দেখুন যদি বিয়েটা করেন তাহলে সত্যি সত্যি আপনাকে আমি বাসর ঘরে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলবো। তাই ভালোই ভালোই বলছি আপনি হয় বিয়েটা ভেংগে দেন না হয় মরার জন্য প্রস্থুত হয়ে থাকুন।

আরে আজব তো কথায় কথায় খুন করার হুমকি দিতে থাকে। এই মেয়েকে বিয়ে করলে সংসারে অশান্তি ছারা কিছুই হবেনা। তার চাইতে ভালো আম্মুকে বুঝিয়ে বিয়েটাতে একটা গন্ডগোল লাগিয়ে বিয়েটা বাতিল করে দেয়। যেই কথা সেই কাজ বলে রুম থেকে বেড়িয়ে যাবো তখনি একটা ধাক্কা খেয়ে নিছে পড়ে যাই।

মা গু আমি মরে গেলাম আমাকে দেখেন এখুনি মেরে ফেলতে চায়ছে। আর বাড়ীর সবাই মীমের চিৎকার শুনে হাজির হয়ে গেছে। তবে কেও কিন্তু খালি হাতে আসেনি সবার হাতে লাঠি আর চাকু নিয়ে।

কিরে মীম তোর কি হয়ছে এমন ভাবে চিৎকার দিলি কেনো? (মীমের আব্বু)

মীম:- আব্বু আপনি যার সাথে আমার বিয়ে দিবেন সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিছে ফেলে দিয়েছে। আর আমাকে বলে বিয়ের পর নাকি আমাকে অনেক কষ্ট দিবে।

হুব শ্বশুড়:- কি এত বড় কথা আজকে আমি বিয়ে ভেংগে দিলাম তবে এই ছেলেটা মাথাটা দেহ থেকে আলাদা করে দিবো। এমনি আব্বু ভাইয়া আম্মু এসেছে,,,

আব্বু:- আরে দোস্ত কি হয়ছে তুই আমাকে বল আমার ছেলে যদি কোন অন্যায় করে তাহলে আমি তার বিচার নিজের হাতে করবো।

হুব শ্বশুড়:- দোস্ত তোর ছেলে আমার মেয়েকে কি বলছে জানিস? বলছে বিয়ের পর নাকি আমার মেয়েকে অনেক কষ্ট দিবে। আর এখন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।

আব্বু:- সৌরভ তুই এই কাজ কেনো করেছিস আর মীমকে বিয়ের পর কষ্ট দিবি কেনো?

আমি:- আব্বু আমি তো এই কথা বলিনাই, আর ইচ্ছে করে মীমকে ধাক্কা দেয়নি। আমি রুম থেকে বের হয়তেছি তখনি ধাক্কা লেগে মীম পরে যায়। আপনার মাথা ছুয়ে কসম কাটতেছি আমাকে বিশ্বাস করেন আপনারা।

আব্বু:- দেখো দোস্ত আমার ছেলে এমন হতে পারেনা হয় তো কোন একটা ভুল হয়ছে। আমি কথা দিতেছি আমার ছেলে যদি তোর মেয়েকে বিন্দু পরিমান কষ্ট দেয় তাহলে তোরা যে শাস্তি দিবি সেইটা মেনে নেবো আমরা। তবে সেইটার প্রমান সহ লাগবে,,,,

হুব শ্বশুড়:- ঠিক আছে সবাই নিছে চলো, আর মীমের মা মীমকে সুন্দর করে বউ সাজিয়ে নিয়ে আসো। আমাকে ভাইয়া হাত ধরে টেনে নিছে নিয়ে গেছে, আমার হাত ধরে নিছে বসে আছে আমি কিছু করতেও পারছিনা। কিছুক্ষণ পর কাজি মৌলভী সাহেব এসে বিয়েটা পড়িয়ে দিয়েছে।

শ্বশুড়:- মীমের মা মীমকে নিয়ে এসো, আমার কাছে শ্বশুর এসে বলে,,, দেখো বাবা তোমার আর আমার মেয়ের বিয়েটা শুধু একটা বিয়ে নয়। এইটা দুই শুত্রুর মিলন ঘটিয়েছে। তোমার উপর নির্বর করবে আমাদের এই নতুন দোস্ত আর আত্মমীয়তা কত দিন যাবে।

আমি:- আপনাকে কথা দিতেছি আমার দ্বাড়া আপনার মেয়ে কোন কষ্ট পাবেনা, আর আমাদের এই বিয়ের বন্ধন সারাটা জীবন অটুট থাকবে।

শ্বশুড়:- তোমার কথাটা শুনে আমি অনেক খুশি হয়েছি। ঐ তো মীমকে নিয়ে এসেছে আয় মা আমার কাছে আয়। মীমের হাতটা আমার হাতের উপর দিয়ে বলে,, আজ থেকে মীমের সব দ্বায়িত্ব তোমার হাতে দিলাম। আমার মেয়ের চোখ থেকে যদি এক ফোটা পানি ঝরে তাহলে তোমার শরীর থেকে রক্ত ঝরবে বলে দিলাম।

আমি:- কথাটা মনে থাকবে তবে আমিও আমার সব ভালোবাসা উজার করে দিয়ে মীমকে সূখে রাখার চেস্টা করবো। আমার কথা শুনে ওনারা সবাই খুসি হয়েছে। মীমকে নিয়ে আমি গাড়িতে বসলাম আমাদের বিদায়। দিয়ে দিছে। মীম আর আমি পাশে বসে আছি তখনি মীমের ফোন ভেজে উটছে,,,

মীম:- আমার ফোনটা রিসিভ করতে পারিকি?

আমি:- (মীমের কথা শুনে আমি তো পুরায় অবাক আমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ফোন রিসিভ করবে বাহা তাহলে তো আমার কপাল অনেক ভালো হয়ে গেছে) হ্যা হ্যা রিসিভ করেন সমস্যা নেয়।

মীম:- ধন্যবাদ, ফোনটা রিসিভ করে বলে,,, ঐ বিষের বোতলটা কোথায় দিয়েছিস, আর চাকুটা কোথায় দিয়েছিস? কি চাকু দেসনি কিন্তু কেনো? আরে যদি বিষে কাজ না করে তাহলে চাকু দিয়ে গ্যাচাং করে দিবো। আমাকে বিয়ে করেছে তাইনা বিয়ে করার সাদ বাসর ঘরে মিঠিয়ে দিবো।

আমি:- আরে কাকে কি বলছেন আপনি? আর কে ফোন করেছে?

মীম:- আমার ছোট ভাইয়া ও রাজি না এই বিয়েতে তাই আমাকে সব কিছু রেডি করে দিয়েছে। আমি মীমের কথা শুনে ভয়ে একদম চুপসে গেছি, হঠাত গাড়িটা থামলো আর সবাই এসে ঝরো হয়ে গেছে তার মানে আমরা বাড়িতে এসে গেছি।

আমি:- নামেন আমরা এসে গেছি, মীম নেমেছে তখনি আপু বলে,,,

আপু:- সৌরভ মীমকে কুলে করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে আয়। আপুর কথাতে মীমকে কুলে নিয়েছি,,,,মীম আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। ভিতরে ঢুকবো তখনি আম্মু বলে,,,

আম্মু:- সৌরভ মীমকে নামা আগে বরনটা করে নেয়, আমি মীমকে কুল থেকে নামিয়ে নিয়েছি। আম্মু আমাদের বরণ করে নিয়েছে আপু মীমকে উপরে আমার রুমে নিয়ে গেছে। আমি নিছে বসে আছি দুলাভাই এসে কি সব বির বির করে বলতেছে।

আমি:- থাক দুলাভাই আপনাকে আর জ্ঞান দিতে হবেনা, সবাই বড় বড় করে নিশ্বাস নিতেছে কারন এখন থেকে আমাদের ব্যবসার কোন প্রতিযোগী থাকলোনা। দেখতে দেখতে ঘড়ির কাটা ঠিক ১০টার দিকে গেলো। আমিও চুপ করে ছাদে চলে গেছি ছাদে গিয়ে বসে বসে মনের সূখে চাঁদটাকে ভালো করে দেখছি। এই ফাকে আমার পরিচয়টা ছোট্ট করে দিয়ে দেয়।

আমি আল মুহাম্মদ সৌরভ আব্বা আর ভাইয়ার সাথে আমি ব্যবসা দেখা শুনা করি। আমরা দুই ভাই এক বোন আমি সবার ছোট আর মীম হচ্ছে আব্বুর ব্যবসায়িক শুত্রু আব্বার সব কাজে নাক গলাতো তাই আব্বা একদিন ওনার সাথে চুক্তি করে আর সেই চুক্তিতে আমাকে কুরবানি দিয়ে দেয়। মীম দেখতে অনেক সুন্দর লম্বা ফর্সা আর খুনি টাইপের মানে রাগী। মীমদের দুই ভাই এক বোন মীম সবার ছোট,,, মীম তো রাসেলকে ভালোবাসে সেইটা আগে বলে দিয়েছে এখন তো আমার কোনো চাঞ্জ নেই। বিয়েটা যদিও জোর করে করানো হয়ছে তবে মীমকে আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে জয় করে নিতে চাইবো। তখনি আপু এসেছে,,,,

আপু:- কিরে সৌরভ তুই এখানে কি করছিস রাত কয়টা বাজে জানিস?

আমি:- তা যেনে কি করবো?

আপু:- আজকে তোর বাসর আর রুমে মীম একা বসে আছে। চল বলে আপু আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে রুমের সামনে নিয়ে গেছে। যা রুমে যা আর দরজাটা লাগিয়ে দিবি।

আমি:- হ্যা যাচ্ছি আমি ঢুকে দরজাটা লাগিয়ে মীমের দিকে তাকিয়েছি তখনি চেয়ে দেখি মীম বসা থেকে উঠে টি টেবিল থেকে হাতে দুধের গ্লাসটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সত্যি সত্যি আমিকে বিষ খাওয়াবেন নাকি বলে আমি রুম থেকে বেড়িয়ে আসবো তখনি,,,মীম দৌরে এসে পেছন থেকে আমার ক্লার টেনে ধরেছে!To be continue,,,,,,
!!
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে