কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৫

0
3209

কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৫
লেখা আশিকা

আমি হিমেলকে এক ঝটকায় সরিয়ে দিলাম।
হিমেল আমার ধাক্কা খেয়ে এক পা পিছিয়ে গেলো।
আমি উল্টো দিকে ঘুরে দেখি, সত্যিই মা আর বাবা আমাদের এই অবস্থায় দেখে, সোজা তাদের রুমের দিকে যাচ্ছে।
আমি লজ্জা পেয়ে দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।
এইটা কি হলো??
হিমেল অইদিকে সোফায় ব্যাগ রেখে বসে পড়লো।
কিছুক্ষন নিচের দিকে তাকাই থাকলো।
মনে হলো মুড অফ।
— মা, বাবা আমি বুঝতে পারছি না।
আমাকে এই মিথ্যা কথাগুলা বলা কি খুব দরকার ছিলো???
তোমরা জানো আমি কতটা টেনশনে ছিলাম।
বাবা– আলবৎ দরকার ছিলো।
তুই টেনশনে ছিলি??
বেশ ভালো কথা।
তা এই কয়েক মাসে তো বাবা- মা কে কি একবারো দেখতে ইচ্ছা হলো না??
না তোর ইচ্ছে নাই হতে পারে, বাট আমরা তো আমাদের ছেলেকে না দেখে থাকতে পারছি না, তাই এই কাহিনী…
আর তুই নিজে থেকে আসলে তো আর এগুলা করতে হতো না।হিমেল চুপ আর কোনও কথা নাই।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



কি ভাবলো কে জানে?
হিমেল ব্যাগ নিয়া,রুমে আসলো।
আমি অন্য দিকে তাকাই আছি।
হিমেল ব্যাগটা বিছানায় এনে ছুড়ে মারল। সোজা আমার উপড়ে গিয়ে পড়লো।
কি অবস্থা,এই ভাবে কেঊ ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেয়??
নাহ বলার সাহস পাচ্ছি না।
আমি হিমেলের দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
কিন্তু হিমেল এমন ভাব করলো যেনো কিছুই হয় নাই।
সে হাত পা ছাড়িয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
চোখ বন্ধ করে ফেললো।
আমি ব্যাগ থেকে কাপড় গুলা বের করে গুছাতে লাগলাম।
কিহ ময়লা কাপড়??
ধ্যাৎ….
সব কিছু ঠিকঠাক করে রাখলাম।
মিথি আবার আমকে ডাকছে বোধ হয় খাবার সার্ভ করার জন্য।।
আসার সময় হিমেলকে বললাম ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আসতে।
হিমেল কিছুই বললো না।
আমি আর মিথি টেবিল সাজাতে সাজাতে সবাই চলে আসলো।
হিমেল দেখলাম খুব মজা করে খাচ্ছে। কিন্তু আমার কেন জানি খাবার গলা দিয়া নামছে না।
মা বলল, কি রে খেতে কেমন লাগছে??
হিমেল না শুনেই মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে।
একটু পর বলে
মা কিছু বলছো আমাকে??
— হু তা তুমি তো খাওয়া নিয়া ব্যস্ত।
— হুম সব তো আমার প্রছন্দের খাবার তাই মজা করে খাচ্ছি।
তুমি রান্না করেছো নাহ…
— না রে, এখন থেকে ওই দায়িত্ব হিয়া নিয়ে নিছে। তোর ভালো লাগছে এতেই আমি খুশি।
এটা বলতেই হিমেল আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।
ওর ভাব দেখে মনে হচ্ছে ওর যেন গলা দিয়া এখন খাবার নামছে না। কোনরকম খেয়ে সোজা রুমে চলে আসলাম।
আমি চলে আসতেই মা হিমেলকে বলল
— ও ঠিক করে খেলো না কেনো??
— মা আমি কি জানি?
আর ওতো অমনি ঠিক করে খায়না, এটা কি নতুন কিছু?
হিমেল ও খাওয়া শেষ করে রুমে আসলো।
এসেই দরজা বন্ধ করে দিলো।
আমি ফ্যালফ্যাল করে ওর দিকে তাকালাম।
কিছুই বললো না।
বিছানায় বসে পড়লো।
আমি অন্য দিকে তাকালাম।
আমার ওর দিকে তাকাতে ইচ্ছা হলো।
ওর দিকে ঘুরতেই সে বালিশ নিয়ে নিচে নামছিলো।
এইবার আর রিস্ক নিলাম না।
সোজা ওর হাত ধরলাম।
ও সাথে সাথে পিছনে তাকালো…
— কই যাও??
— ক্যান তুমি বুজতেছো না, আমি ঘুমাবো নিচে যাই।
এইটা বলতেই আমি বালিশটা ওর হাত থেকে নিয়া বিছানায় ছুড়ে মারলাম।
এইবার সে রেগে গেলো..
— এই সব নাটকের মানে কি??
প্লিজ নতুন করে আর কোন নাটক আমি দেখতে চাই না।কি করলা তুমি তখন?? সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরে দেখাইলা যে আমাদের মাঝে খুব ভালবাসা। তাই না..
আরে আমিতো জানি আমাদের মাঝে কোন ভালবাসা নাই।
তাই লোক দেখানো নাটক গুলা বন্ধ করলে ভালো হয়….
হিমেল বিছানায় বসে বালিশ নিতে লাগলো…
আমি আর জোর করতে পাচ্ছি না।
খালি কান্না পাচ্ছে।
আমি বিছানায় শুয়ে কাঁদতে লাগলাম।
আমি আমার ইমোশন গুলা কেনো কাউকে বুঝাতে পারি না।
কিছুক্ষন পর আমার পিঠে আমি কারো স্পর্শ অনুভব করলাম…
হিমেল আমার এক হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে বিছানা থেকে তুলে ফেলে…
আমি হিমেলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আরোও কাঁদতে লাগলাম।
এইবার হিমেল ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো একে বারে তার বুকের সাথে আমাকে মিশিয়ে ফেললো…
–কি হইছে বলবা তো??
নাকি এইভাবে ভ্যা ভ্যা করবা??
আমি তোমার কান্না সহ্য করতে পারি না হিয়া। আমি জানি তুমি আমাকে ভালো বাসো না
আর কি কি যেন বলতে চাইছিলো, আমি ওর মুখ ছাপিয়ে ধরলাম।
— প্লিজ আর কিছু বলো না। আমার চোখের দিকে তাকাও,তোমার মনে হয় আমি নাটক করছি??
আমি তোমাকে ভালবাসি হিমেল।
আই লাভ ইউ।
আমি পুরা পাগল হয়ে যাচ্ছি প্লিজ আমার ওই ভুলের শাস্তি তুমি আমাকে আর কত দিবা বলতে পারো??
এই কথা বলেই আমি নিজেকে হিমেলের থেকে সরিয়ে নিলাম।
হিমেল আর হাতটা ধরে বলে..
— ওই কি যেন বলছিলা??
আবার একটু বলবা?? আমি না শুনি নাই..
— আই লাভ ইউ…
লাভ ইউ সো মাচ।
আমি হিমেলকে আবার জড়িয়ে ধরলাম।
— লাভ ইউ সোনা। আমি আজকে অনেক হ্যাপি
বলেই হিমেল আমার কপালে চুমু একে দিলো…
–পিচ্চি বউ চল এইবার ঘুমাই। আসলে আমি অনেক টায়ার্ড, অনেক জার্নি করে আসছিতো। খুব মাথা ব্যাথা করছে।।
— ওকে আমি টিপে দেই।
আমি হিমেলের মাথা টিপে দিতে লাগলাম। হিমেল চোখ বন্ধ করে ফেললো।
একটু পর দেখি কোন শারা শব্দ নাই…
হিমেল বোধ হয় ঘুমিয়ে গেছে..
আমিও হিমেলকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।
চলবে।।।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে