কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৩

0
2778

কাছে_আসার_গল্প পার্ট ১৩
লেখা আশিকা

এইভাবেই আমার দিনকাল কাটতে লাগলো। হিমেলের সাথে আমার কথা হয়না বললেই চলে, সে চায়না আমি তাকে বিরক্ত করি। যদিওবা কথা হয় সেটা ঝগড়া ছাড়া আর কিছু না।
আমি আর নিতে পারছিলাম না এইগুলা। যে আমি সবসময় বই নিয়া বসে থাকতাম সেই আমি হিমেলকে নিয়া পরে থাক সারাদিন। আমি বুঝতে পারি হিমলকে আমি কতটা ভালোবাসি।
আমি আমার পড়াশোনা সব গোল্লায় দিয়া দিলাম।
ইউনিভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দিলাম।
কারো সাথে কোন কথা বলতাম না। নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। একটা ড্রিপ্রেশনের মধ্যে চলে গেলাম জীবনটা আমার কাছে হেল মনে হতে লাগলো।
মা-বাবা পুরা অস্থির হয়ে গেলো আমাকে নিয়া।
অইদিকে শ্বশুর শাশুড়ি র ও একি অবস্থা।
তারা আমাকে বাসায় নিয়া আসতে চাইলে হিমেল তাদের স্পষ্ট না করে দিতো।
তারা কিছু জিজ্ঞাস করলে সে কিছুই বলতো না।
তাতে তারা ভাবলো আমি তাদের সাথে থাকতে চাই না। তাই হয়তো হিমেল এমন করছে।
শেষমেষ তারা হিমেলের আসার অপেক্ষা করতে থাকে।
কিন্তু না ৫ মাস হয়ে যায় হিমেল আসেনা।
এই কাজ সেই কাজ এইগুলা
বলে ছুটিতে আসত না।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


আমি আর পারছিলাম না।
সামনে আমার এক্সাম, কিছুই পারি না।
ওই সময় তুষারকে আমার পাশে পাই।
ও নিজে বাসায় এসে আমাকে নোটস গুলা দেয় আর আমি যেগুলা বোঝতাম না সেগুলা সে আমাকে রোজ দেখাই দিতো।
আমি এইভাবে কোনরকমভাবে এক্সামের প্রিপারেশন নিতে লাগলাম।
এখন আমার মন খারাপ থাকলে তুষার বিভিন্ন কিছু করে আমার মন ভালো করার চেষ্টা করে।
তারপরো আমি আর হিমেলকে ছাড়া থাকতে পারছিলাম না।
আমি একদিন বাসা থেকে কাউকে না বলেই শ্বশুরবাড়ি চলে গেলাম।
জানি বলে গেলে সবাই সিনক্রিয়েট করবে।
কারন হিমেল এতদিনে এমন সিচুয়েশন তৈরি করেছে যে, আমাদের বাসার সবাই আমার শ্বশুর শাশুড়ি কে ভুল বুজতে শুরু করেছে।
ওই বাসায় আমাকে দেখেতো সবাই অবাক।
আমি আমার শাশুড়ি মাকে ধরে কান্না শুরু করে দিলাম।
মা ও আমাকে ধরে কান্না করে দিলো।
— কি রে তোর এতদিনে আমাদের কথা মনে পড়লো।
— না মা, আমার খুব মনে পড়েছে, আমি থাকতে পারছিলাম না তাই চলে আসছি।
— ঠিক কাজটাই করেছিস তুই।
এইটাই এখন তোর নিজের বাড়ি, আমারা আর কয় দিন….
সব তোর আর হিমেলের…
হিমেলের কথা বলতেই আমি আরো ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে লাগলাম।
এইবার অতিরিক্ত আবেগে, লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম…
— মা তোমার ছেলে আমাকে ভুল বুঝে আমার থেকে দূরে সরে গেছে…
আমি তোমাকে কারনটা বলতে পারবো না.
প্লিজ মা, তুমি আমার হিমেলকে আমার কাছে এনে দাও।
মা আর বাবা আমার কথা শুনে দুই জন দুই জনের দিকে চোখা চোখি করতে থাকে।
আমি উঠে গিয়ে আমার শ্বশুর কে ধরে বললাম
— বাবা প্লিজ আমি হিমেলকে ছেড়ে এক মুহুর্ত ও থাকতে পারছি না
প্লিজ তুমি ওকে এনে দাও।
— মা হিয়া শোনো, তুমি কান্না বন্ধ করো, ফ্রেশ হও পরে আমরা এই বিষয়ে কথা বলি।
— না আগে তুমি বলো ওরে আমার কাছে এনে দিবা।
— হুম দিবো।
আগে তুমি কান্না বন্ধ কর।ফ্রেশ হয়ে কিছু খাও মনে হয় কিছু খাও নাই।
— বাবা, তুমি বললে ও আসবে??
— আসবে না মানে।
না আসলে কান ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়াসবো…
এইবার কোন কান্না হবে না।
মিথি এসে বলে ভাবী তোমার ব্যাগটা দাও তোমাকে তোমার ঘরে দিয়াসি।
আমাকে হাত ধরে মিথি ঘরে নিয়াসলো।
–এই যে শোনেন ম্যাম, আমার ভাই কিন্তু হ্যাভভি রোমান্টিক। আপনি একটু চেঞ্জ হোন..
খালিতো বই আর বই
নিজের তো কোন খেয়ালি রাখেন নাহ…
একটু তো বাবা নিজের যত্ন নিবি…
নাকি
এইবার ভাইয়া আসলে তোমাকে এমন সুন্দর করে সাজাই দিবো না ভাইয়া আর চোখই ফিরাতে পারবে না।
— আগে তো আসুক।
যদি না আসে
— ধ্যাত তুমি না খালি অলুক্ষনে কথা বলো।
রাতে খাওয়া শেষ করে সবাই প্ল্যান করলো কিভাবে হিমেলকে বাসায় আনা যায়।
আমি চুপচাপ শুনছি…
মা হিমেলকে ফোন করে বললো বাবা অসুস্থ হস্পিটালে আছে…
হিমেলতো পুরাই শকড
মা তুমি চিন্তা করো না, আমি কালকেই আসছি…
দেখো বাবার কিচ্ছু হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে
আমি তো হাসছি,
মিথি আমার মুখ ছাপিয়ে ধরছে।
— ভাইয়া কি চালাক তুমি জানো, যদি বুঝে ফেলে…
মা যা অভিনয়টা করলো কেদে কেদে পুরা অস্থির…
— মা তুমি না সিনেমায় নাম লেখাতে পারতা??.
— হুম, সেই তো
যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর…
খুব এক্সাইটমেন্ট নিয়া ঘুমাতে গেলাম…….
আমার হিমেল আসবে আর কিছু ভাবতে পারছি না।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে