অভিমান হাজারো পর্বঃ২৬

0
1830

অভিমান হাজারো পর্বঃ২৬
আফসানা মিমি

—“লাবণ্য, যা তো মা এই শাড়ীটা পরে রেডি হয়ে নে দেখি। উনারা আসতে বেশি দেরি নেই।”
মায়ের কথার মাথামুণ্ড কিছুই বুঝতে পারলো না লাবণ্য। সবটাই যেন মাথার ওপর দিয়ে গেল। শাড়ী কিসের জন্য পরতে বলছে! কারা আসতে বেশি দেরি নেই! মুখে বিস্মিত ভাবটা বজায় রেখেই জানতে চায়লো
—“কারা আসবে মা? আর এখন শাড়ী পরতে বলছো কেন শুধুশুধু?”
—“আরে তোর মেঝ মামীর ভাইয়ের ছেলের জন্য তোর সম্বন্ধ এসেছে। ছেলেটা খুব ভালো, বুঝলি? যদিও পড়াশোনা এখনও শেষ হয়নি। শেষ হলেই বাবার নিজের ব্যবসায় আছে ঐটা দেখাশোনা করবে। তাছাড়া ছেলের কোন ভাইও নেই। শুধু একটা বোন আছে। তারও বিয়ে হয়ে গেছে। তোর মামী সকালে ফোন করে বললো এটা। তাই তাদেরকে বলে দিয়েছি আসতে।”

লাবণ্যর মাথায় আসমান ভেঙে পড়লো যেন মায়ের এহেন কথা শুনে। কী রিয়েক্ট করা উচিৎ এখন তার! সে তো এখন সামিরকে ছাড়া অন্যকারো কথা ভাবতেই পারে না। যদিও সামির সেদিন তার দেওয়া চিরকুটের প্রত্যুত্তরে সন্তুষজনক কিছু উল্লেখ করেনি। তবে তার বিশ্বাস সামির তাকে ফেরাতে পারবে না। তার ভাবনায় বাধা প্রদান করে তার মা তাড়া দিয়ে বললো
—“যা যা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। ওরা এলো বলে।”
—“কিন্তু মা, আমাকে কিছু না বলে হঠাৎ বিয়ে দেওয়ার জন্য তোরজোড় শুরু করলা কেন? একবার আমার কাছে জানতে চায়বে না আমি এখন বিয়ে করতে চাই কিনা! বা আমার……..”
তাকে থামিয়ে দিয়ে বললো
—“দ্যাখ কথা বাড়াস না। তোকে জিজ্ঞেস করার কী আছে এখানে? আমরা কী তোর খারাপ চাইবো? আমাদের ওপর এটুকু ভরসা নেই তোর? খুব সুখী হবি তুই মা। যা লক্ষ্মী মেয়ের মতো তাড়াতাড়ি গিয়ে শাড়ীটা পরে নে।” লাবণ্যর গালে হাত রেখে কথাগুলো বলে মাথার পাশে একটা চুমু খেয়ে বেরিয়ে গেলেন। লাবণ্যর মাথার ভিতরটা যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। খেয়াল করলো হাত, পা সহ সারা শরীরই কেমন কাঁপছে। তার এখন কী করা উচিৎ! মাথায় কিছুই ঢুকছে না। অসাড়ের মতো এক জায়গায় বসে রইলো স্তব্ধ হয়ে।

—“যা-ই বলেন না কেন আপা, মেয়ে কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে।” কথাটা বললেন আছিয়া বেগম। লাবণ্যকে দেখার পর্ব শেষ। সে নিজের ঘরে চলে যেতেই উনি লাবণ্যর প্রশংসা করলেন। তার উত্তরে লাবণ্যর মেঝ মামী রুবীনা বলেন
—“বুঝলেন ভাবী আমাদের সামিরের সাথে কিন্তু দারুণ মানাবে।”
—“হ্যাঁ, তা ঠিকই বলেছেন। সামিরের পছন্দ আছে বলতে হবে! যখন বললো ও একটা মেয়েকে পছন্দ করে তখন তো বেশ চিন্তায়ই পড়ে গিয়েছিলাম। পরে যখন বললো অতশীর ননদ, তারপর কিছুটা চিন্তামুক্ত হলাম। আফরার কাছে শুনেছি যে অতশীর শশুরবাড়ির সবাইই নাকি খুব ভালো, সহজ সরল স্বভাবের। আমিও আমার ছেলের জন্য এমন সহজ সরল মেয়েই খুঁজছিলাম। অবশেষে আল্লাহ্ তার সন্ধান দিলেন। আচ্ছা আপা অতশী কোথায়? ওকে দেখছি না যে!” আছিয়া বেগম সরাসরি প্রশ্ন করলেন ইয়াসমিন বেগমকে।
তিনি জবাব দিলেন
—“আসলে ওর শরীরটা খু্ব একটা ভালো না। ঘরেই বিশ্রাম নিচ্ছে মনে হয়। দাঁড়ান আমি খবর পাঠাচ্ছি।”
—“থাক, তাহলে দরকার নেই আপা। আফরাও বলছিল ওর শারীরিক অবস্থা নাকি বেশি ভালো না। আসলে প্রথম বাচ্চা পেটে আসলে এরকম অনেকেরই সমস্যা হয়ে থাকে। আচ্ছা তাহলে যা বলছিলাম, আমাদের তো মেয়ে বেশ পছন্দ হয়েছে। এখন আপনারা কবে যাবেন তা জানিয়ে দিবেন।”
—“হ্যাঁ, লাবণ্যর বাবা, ভাইদের সাথে কথা বলে দেখি কী বলে। তারপর আমি রুবীকে জানিয়ে দিব।”
রুবীনা বললেন
—“আপা, যদি আপনি সামিরকে একবার দেখেন তাহলে আপনি না পছন্দ করে থাকতেই পারবেন না। আজই ওকে নিয়ে আসতাম। কিন্তু ভাইয়ের সাথে ঢাকার বাইরে গেছে দরকারি একটা কাজে। তাই তারা দুইজনের কেউই আসতে পারেনি। আমি আর ভাবীই আসলাম। আসলে আর তো কেউ নেই-ও যে আসবে।”
—“রুবী, আমি জানি তোমাদের পরিবারের কথা। তাই সেসব কথা আপাতত থাক। এখন ওরা আসুক। ওদের সাথে বসে কথা বলে তোমাকে জানাবো। জানোই তো একমাত্র মেয়ে আমার।”
—“আচ্ছা আজ তাহলে বরং উঠি। আবার তো দেখা হচ্ছেই। তাছাড়া……”
—“কেমন খারাপ তুমি আন্টি! এখানে আসলে অথচ আমার সাথে দেখা না করেই চলে যাচ্ছো!”

আছিয়া বেগমের কথা শেষ হওয়ার আগেই কে যেন পিছন থেকে বলে উঠলো। সবাই সেদিকে তাকিয়ে দেখে অতশী দাঁড়িয়ে আছে। ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে তিনি বললেন
—“আরে আমার সোনা মেয়েটা! তোর নাকি শরীর খারাপ তাই…..”
—“তাই দেখা না করেই চলে যাবা? যাও কথা নাই তোমার সাথে।” গাল ফুলিয়ে কথাটা বলে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
আছিয়া বেগম অতশীকে তার দিকে ফিরিয়ে কপালে স্নেহের একটা আলতো চুমু দিয়ে বললেন
—“আরে আমি কী চলে যাচ্ছিলাম নাকি বোকা মেয়ে! যাওয়ার আগে তোর সাথে দেখা করেই যেতাম। আফরাও বারবার বলে দিয়েছে তোকে যেন দেখে যাই। সে-ও আসতো কিন্তু ওর শ্বশুরের শরীরটা বেশি একটা ভালো না। তাই কোনমতে রাতটা পার হতেই সকালেই চলে গেছে। রাগ করিস না মা। এরপর থেকে তো এ বাড়িতে আসা যাওয়া হবেই।”
—“কিভাবে?” অবাক হয়ে জানতে চায়লো অতশী।
—“তোর ননদের সাথে সামিরের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।”
অতশী আরেকটু অবাক হলো। সেটা বুঝাতে না দিয়ে বললো
—“তাই তো আমি মনে মনে ভাবছিলাম তুমি হঠাৎ এখানে কেন! জিজ্ঞাসা করার আগে বলেই দিলে।”
—“শোন সাবধানে থাকিস সবসময়। খাওয়া দাওয়া মিস দিবি না, ঠিকমতো খাবি।”
—“আমি মিস দিতে চাইলেও মা দেয় না। জোর করে হলেও খাইয়ে দেয়।” মুচকি হেসে ইয়াসমিন বেগমের দিকে তাকিয়ে বললো অতশী।
—“আচ্ছা তাহলে আজ উঠি, সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে।”
—“আচ্ছে সাবধানে যেও।”

মেইন ডোর পর্যন্ত ওদের এগিয়ে দিল অতশী আর তার শাশুড়ী। তারপর ওকে জিজ্ঞাসা করলেন
—“আপার সাথে তোমার ভালো মিল লক্ষ্য করলাম।”
—“হ্যাঁ মা, আসলে ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর থেকেই আন্টি আমায় মেয়ের মতো উনার বুকে আগলে নেন। খুব আদর করতেন আমাকে। আফরার মতো আমিও উনার আরেক মেয়েই ছিলাম। বাসা কাছাকাছি হওয়ায় সারাদিন আন্টিদের বাসায়ই থাকতাম।”
—“এমন লক্ষ্মী একটা মেয়ে আদর না করে থাকা যায়!” গালে হাত রেখে মুচকি হেসে কথাটা বললেন ইয়াসমিন বেগম। অতশীও মাথানিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো উনার সামনে।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


পাত্রপক্ষ দেখার পর রুমে এসে সেই যে কান্না শুরু করেছে, এখন অবধি থামার নাম নিচ্ছে না লাবণ্য। শাড়ী, চুল সব এলোমেলো করে ফ্লোরে খাটের সাথে হালান দিয়ে বসে হাঁটুতে মুখ গুঁজে কাঁদছে। নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে তার কাছে আজ। সে ভুল করেছে, চরম ভুল। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সঠিক মানুষটাকে রিফিউজ করেছে। এখন তার নিজের হাত কামড়ানো ছাড়া আর কিছু করার নেই। সামির যদি তাকে আর একটা সুযোগ দিত! শুধুমাত্র একটা সুযোগ! তবুও সেটা সে কাজে লাগাতো। কথায় আছে না, সুযোগ বারবার আসে না। যখন আসে তখন তা লুফে নিতে হয়! তারও সুযোগ এসেছিল কিন্তু সে প্রতিনিয়ত তা অবহেলা করে গেছে। এখন কপাল চাপড়ানো ছাড়া কাজ নেই আর। নিজের চুল নিজেই টেনে ধরে অস্ফুটস্বরে চিৎবার করে কেঁদে উঠলো লাবণ্য। অসহনীয় যন্ত্রণায় বুকের ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে।

লাবণ্যর রুমের পাশ দিয়ে অতশী পার হওয়ার সময় তার গোঙানির আওয়াজ শুনে সেদিকে তাড়াতাড়ি গেল সে। রুমে ঢুকেই অতশী দরজার মুখে স্তব্ধ হয়ে কয়েকটা মুহূর্ত দাঁড়িয়ে রইলো। লাবণ্য কাঁদছে আর নিজের মাথার চুল দু’হাতে টেনে টেনে ছিঁড়ছে। ও দ্রুত গিয়ে লাবণ্যকে জড়িয়ে ধরলো তার দুই হাতে। নীরবে পিঠে মাথায় সান্ত্বনার হাত বুলালো কয়েকটা ক্ষণ। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে যাওয়ার পর লাবণ্যকে ধরে বিছানার এক কোণে বসিয়ে এক গ্লাস পানি এনে তার হাতে দিল। একটু পান করে গ্লাসটা ফিরিয়ে দিল অতশীকে। তা রেখে এসে লাবণ্যর সামনে এসে বসে তাকে বললো

—“কেন কাঁদছিলে তা জিজ্ঞাসা করবো না। কারণ কারো পারসোনাল ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করার স্বভাব আমার নেই। শুধু এটুকুই বলবো এভাবে আর কেঁদো না। যে কারণে কষ্ট পাচ্ছো তা কারো সাথে শেয়ার করে ফেলো। দেখবে নিজেকে অনেকটাই হালকা লাগছে। বুকের ভিতর কষ্ট জমা রাখলে তা চক্রবৃদ্ধি হারে শুধু বাড়তেই থাকে সময়ের ব্যবধানে। তাই জমা করে না রেখে উগরে ফেলে দাও।”
কথাগুলো বলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই বাধা পেল অতশী। লাবণ্য তার একটা হাত ধরে আটকেছে তাকে। কান্নার দমকে এখনো লাবণ্য হালকা কেঁপে কেঁপে উঠছে। তার কাছে এসে আবারো বসলো অতশী। নতমুখে লাবণ্য ভাঙা গলায় বললো
—“আমি একজনকে ভালবাসি ভাবী।”

চমকে উঠলো অতশী। কেন চমকে উঠলো নিজেও জানে না। মনে পড়লো বেশ কয়েকমাস আগে একটা ছেলের সাথে লাবণ্যকে দেখেছিল। তবে সেই ছেলেটাই! কিন্তু দেখে তো মনে হয়েছে বেশি একটা সুবিধার না। সেই ছেলের জন্য এভাবে কাঁদছে লাবণ্য! আবারো লাবণ্যর কথায় ঘোর কাটে অতশীর।
—“আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না ভাবী। ওকে আমি খুব বেশিই ভালবেসে ফেলেছি। যদিও বুঝতে দেরি করে ফেলেছি। তবুও ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছি না আমি ভাবী। এই বুঝতে দেরি করে ফেলাটা আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো। কী করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। শুধু জানি ওকে ছাড়া অন্যকাউকে আমি বিয়ে করতে পারবো না। মরেই যাব ওকে ছাড়া।”
অতশীর বিস্ময়ের পালা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। শুধু এটুকু বলতে পারলো
—“এতোদিন বলোনি কেন তাহলে?”
—“বলে কী হবে ভাবী? আমি যে ভুল করেছি। দিনের পর দিন ওকে আমি অপমান করে গেছি। ওর নিঃস্বার্থ ভালবাসাকে প্রতিনিয়ত দু’পায়ে মাড়িয়ে অবহেলা করে গেছি ঐ লম্পটকে অন্ধভাবে ভালবাসার মায়াজালে।”
অতশী কিছুই বুঝতে পারছে না লাবণ্যর অসংলগ্ন কথাবার্তা। তাই জানতে চায়লো
—“আমি কিছুই বুঝতে পারছি লাবণ্য। কিসব বলছো তুমি?”
তারপর লাবণ্য একে একে প্রথম থেকে সবকিছু খুলে বললো। সব শুনার পর বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলো অতশী। তারপর বললো
—“আসলেই তুমি ভুল করেছো লাবণ্য। এভাবে অপমান না করলেও পারতে উনাকে। আজকাল ভালোর দাম নেই।” শেষ কথাটা আস্তে করে বললো অতশী। তবুও লাবণ্য শুনে ফেললো।
—“আমি ভুল করেছি ভাবী। এই ভুলের মাশুল আমি সারাজীবন ভর কিভাবে দিয়ে যাব বলতে পারো? সামিরের ভালবাসা আমার দরকার ভাবী। ওর ভালবাসা ছাড়া আমি ভালো থাকতে পারবো না।”
‘সামির’ নামটা শুনে অতশী চমকে গেল কিছুটা। কোন সামিরের কথা বলছে লাবণ্য!
—“কোন সামিরের কথা বলছো তুমি লাবণ্য?”
—“ঐদিন রাস্তায় তুমি ব্যথা পাওয়ার পর যে তোমাকে ফার্মেসীতে নিয়ে গিয়েছিল তার কথা বলছি।”
অতশী ভেবে পাচ্ছে না সে কী বলবে। অবাকের মাত্রা যেন ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে। সে যতটুকু ধারনা করেছিল আফরার ননদ অরুনিমা সামির ভাইকে পছন্দ করে। কিন্তু সামির ভাই যে লাবণ্যর জন্য এতোটা ডেস্পারেট তা ভাবতেও পারেনি। আজকে তো সামিরের সাথে লাবণ্যর বিয়ের কথা-ই বলতে এসেছিল আন্টি। সে কী এ ব্যাপারে জানে না কিছু? জানলে তো অন্তত এভাবে কাঁদতো না। সে কী বলে দেবে! নাহ্ বলবে না। সারপ্রাইজ থাক লাবণ্যর জন্য। লাবণ্যর মাথায় হাত বুলিয়ে বললো
—“সবকিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও লাবণ্য। উঁনি যা করেন বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন। ভরসা রাখো আল্লাহর উপর। এতে নিশ্চয়ই তোমার মঙ্গল নিহিত রয়েছে। আর কান্নাকাটি কোরো না, ঠিক আছে? আর এই বিয়েতে রাজী হয়ে যাও। আশা করি তুমি ঠকবে না। আল্লাহ্ তোমার ডাক শুনলেও শুনতে পারে।”
কথাগুলো বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেল অতশী। আর লাবণ্য স্তব্ধ হয়ে অতশীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে অপলক।

চলবে……….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে