What a হাসবেন্ড পর্ব-১৯+২০

0
967

#What_a_হাসবেন্ড
#Tamanna_Tabassum(লেখনীতে)
#পর্ব-১৯
উনি বলেছিলেন উনি নাকি আমাকে ৬/৭ বছর আগে থেকেই চিনেন। অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো আমি ওনাকে চিনতামই না। কখনো দেখিও নি। আমি কোন ক্লাসে পড়ি তখন সেটা উনি উল্লেখ করেন নি, জিজ্ঞেস করলে বললেন সে নাকি জানে না। আমাকে দূর থেকে শুধু দেখেছেন।
” পরিক্ষার পর বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলো যে তারা সবাই একসাথে সাজেক যাবো। আমি ছাড়া সবাই রাজি ছিলো। ওরা যখন প্ল্যান করতে ব্যস্ত তখন আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি। বাবা মা রেখে কোথাও যাওয়া, দূরে কোথাও বেড়ানো এইসব আমার একদম পছন্দ না। আমি কখনো যাইও নি, আর যাবোও না। ওখান থেকে পালিয়ে আসতেই রাস্তায় দেখলাম একটা মেয়ে ঝালমুড়িওয়ালার সাথে খুব জোরে জোরে কথা বলছে। অভদ্রতা আমার একদম পছন্দ না আর সেখানে এই মেয়ে রাস্তায় চিল্লাচ্ছে, এর কী বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই? দোকানের কাছে গিয়ে মেয়েটাকে কিছু বলবো তখনই শুনলাম মেয়েটা বলছে, ‘ মামা একেবারে ঢেলে ঢেলে আলু দিবেন ঠিকাছে? ঝোল কম দিলেও চলবে কিন্তু আলু কম দিলে আমি মানবো না। আ’ন্দো’ল’নও করতে পারি আলুর জন্য। তাই আলু দিবেন, বেশি করে ঝাল দিবেন। ‘
-‘ আমার কাছে অনেকেই ঝালমুড়ির জন্য আসে, কিন্তু তোমার মতো কেউ আসে না। তুমিই আমার দেখা প্রথম আজুবা! ‘
মেয়েটা হাসতে হাসতে বলেছিলো, ‘ আসবে কীভাবে মামা? আমার কপি তো একটাই। কেউ ফটোকপি করে নি যে…..
মেয়ের কথা শুনে সেখানেই অজ্ঞা’ন হয়ে গেছিলাম। পা’গ’ল ভেবে আর কাছে যাই নি, কিছু বলিও নি। এরপর প্রায় এক সপ্তাহের মতো ঘরবন্দী হয়ে থাকি যেন বন্ধুরা না খুঁজে পায়৷ যখন জানতে পারলাম ওরা চলে গেছে তখন বের হলাম। অবাক হওয়ার বিষয় সেদিন মেয়েটার সাথে আবার দেখা হয়ে গেছিলো। আগের সময়, আগের রাস্তা, আগের ঝালমুড়িওয়ালা তাই আমার চিনতে অসুবিধে হয় নি। মেয়েটা আজও চিল্লাচিল্লি করছিলো। রাস্তার মানুষজন ওকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে দেখছিলো কিন্তু মেয়েটা পাত্তাই দিলো না। মনের সুখে চিল্লিয়ে যাচ্ছে। আশেপাশে তাকানোর সময় তার নেই। ওর চিল্লানোর মূল কারণ হলো আলু। লোকটা আলু কম দিয়েছে কেন এই নিয়ে করছে ঝগড়া। বয়স কত অনুমান করতে পারিনি কিন্তু খাটোখুটো সেই মেয়েটার চিল্লাতে কষ্ট হচ্ছিলো বুঝতে পারছিলাম। গলা উঁচু করে লোকটার সাথে কথা বলছিলো। ছোট তো কী হয়েছে? গলায় জোর আছে। মেয়েটার উপর বিরক্ত হতে হতে কেমন যেন একটু কৌতুহল জাগলো মনে। দাঁড়িয়ে দেখলাম ওকে৷ কিছুক্ষণ পর দোকান থেকে সরে জোরে জোরে বলতে আড়ম্ভ করলো, ‘ এই বেডা পা’গ’ল! এই বেডা টাকা বেশি নেয়। ১০ টাকার ঝালমুড়ি ৩০ টাকায় ও দিচ্ছে না। আপনারাই বলেন এর থেকে কী কিছু খাওয়া যায়? নিঃসন্দেহে এটা বা’টপা’রি। আমি ওনার থেকে আর ঝালমুড়ি খাবো না, আপনারা কেউ খাবেন না। আমি বইয়ে পড়েছি আগে দেশে রা’জাকার ছিলো, পাকি’স্তানি হা’না’দার বাহি’নী ছিলো যারা আমাদের উপর অনেক অত্যা’চার করেছে। আর ইনি ঝালমুড়ির নামে করছে, এটা কত খা’রা’প আপনারা জানেন? বোঝেন? আমি মুন এর বিচার চাই ‘
ওকে দেখতে আমার অনেক সমস্যা হচ্ছিলো কেননা ওইখানে অনেক মানুষ ওর কথা শুনছিলো। অনেক মানুষ দেখে আমি ভীড় ঠেলে সামনে যাই। ঝালমুড়িওয়ালা ওকে থামানোর আপ্রান চেষ্টা করছিলো কিন্তু কে শোনে কার কথা! হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা মহিলা এসে মেয়েটার গালে থা’প্পড় বসিয়ে দিলো। আমরা সবাই অবাক৷ মেয়েটা তখন বলে উঠলো, ‘ আম্মু তুমি আমাকে মা’র’তে পারলে?তোমার একটাবারও কী বু’ক কেঁপে উঠলো না? ‘
-‘ এইসব ড্রামা বন্ধ করবি নাকি আরেকটা দিবো? ‘
ও আমাদের উদ্দেশ্য করে বলল, ‘দেখেছেন আপনারা? আপনারা দেখেছেন? আমার মা আমাকে কখনো মা’রে নি, আমার জন্মের পর কেউ আমার শরীরে একটা ফুলের টোকা দিতে দেয় নি। সেখানে সবার সামনে আমার মা আমাকে…. ‘
আর কিছু বলতে পারে নি। মহিলাটা ওর কানে ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। লোকজন সমালোচনা করার মতো হয়তো কিছু খুঁজে পায় নি, তাই কিছুই বলল না। কিন্তু কিছু কিছু লোক ঝালমুড়িওলার কাছে গিয়ে তাকে দু’চারটা ধম’ক দিলো, বাচ্চাদের কাছ থেকে এত টাকা কেন নিচ্ছে – এই নিয়ে। আমি আসল কাহিনি জানি তাই আমি আর ওইখানে থাকলাম না। আমি দাঁড়িয়ে থেকে স্পষ্ট দেখেছিলাম মেয়েটা ঝালমুড়িওয়ালাকে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলো, ‘ নিলে নেন নাইলে গেলাম ‘
লোকটা বলছিলো৫ টাকা দিয়ে এখন ঝালমুড়ি হয় না বড় প্যাকেট বেশি মুড়ি টাকাও বেশি।
মেয়েটা ওনাকে পাত্তাই দিলো না। ঝালমুড়ি মনে সুখে খেতে লাগলো৷ এক প্যাকেট শেষ আবার যখন চাইলো তখন লোকটা ঝালমুড়ি দিবে না বলে দিলো। আর এই মেয়ের এইসব শুরু। চেহারায় স্পষ্ট নিব্বি নিব্বি ভাব অথচ কতবড় স’র্ব’না’শ করে দিলো। মায়ের সামনেও অভিনয় ছাড়লো না। কত ভ’য়ং’ক’র মেয়ে। যেতে যেতেও অভিনয় করে গেলো। একে পাগ’লের ক্যাটাগরিতে ফেলবো নাকি কী করবো বুঝলাম না। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ঝালমুড়িওয়ালার পক্ষ নিলাম। অনেক তর্ক-বিতর্ক হলো এরপর একটা সময় সবাই চলে গেলো৷ আমিও চলে আসলাম। মনে মনে দোয়া করলাম এই মেয়েকে যেন জীবনে আর চোখে না দেখি। কিন্তু আমার ভাগ্য! একদিন যেতে না যেতে ওকে আবার দেখলাম। আমি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন মেয়েটাকে দেখি ঝালমুড়িওয়ালার কাছে হাতজোড় করে কী যেন বলছে। আমি ভীষণ অবাক হলাম। একটু কাছে যেতেই শুনলাম,
-‘ আঙ্কেল পিলিস দেন ‘
-‘ ম’ইরা গেলেও না। ‘
-‘ জীবনেও এমন করবো না। বেশি না আমাকে আলুর একটা পিস দিয়েন, ভাঙ্গা দিলেও হবে সমস্যা নাই। আলু হইলেই হইছে৷ আর লো’ভ করবো না। আমি বুঝে গেসি লো’ভে পা’প পা’পে মৃ’ত্যু ।
-‘ বুঝলে এবার বাসায় যাও। আমার কাছে আর এসো না তো বাপু। এতো ঝা’মেলা আর নিতে পারি না। ‘
-‘ আঙ্কেল পিলিস ‘
-‘ যাও তো ভাই, সরো ‘
-‘ আঙ্কেল এমন করবেন না। পিলিস! আপনি জানেন আমি আপনাকে কেন আঙ্কেল ডাকি? কারণ আমার আঙ্কেল একটা দূর্ঘ’ট’নায় মা’রা গিয়েছে। আমি আপনার মধ্যে ওনাকে দেখি। আমাকে পিলিস একটু ঝালমুড়ি দেন ‘
লোকটা একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘ দূর্ঘ’টনায় মা’রা গেসে? কিয়ের দূর্ঘটনা? ‘
মেয়েটা খেতে খেতে বলল, ‘ আলু.. ইয়া থুক্কু কী জানি? ( কিছুক্ষণ ভেবে) রাস্তা দূর্ঘ’টনা! ‘
কোমড়ে হাত দিয়ে উনি বললেন, ‘ কেন? হেয় কী রাস্তার লগে বা’রি খাইছে? ‘
-‘ আরে না না। এমনিই গাড়ি গাড়ি, ওই যে বড় বড় গাড়ি আছে না? ওইগুলা। ‘
বলেই হাটা ধরলো। লোকটা টাকা চাইলে দুই কয়েন দিয়ে বলল, ‘ একেবারে পাক্কা ১০ টাকা দিসি। কালকে বোনাস আলু দিবেন ‘
.
আমি কথা শোনার জন্য ওদের আশেপাশে ঘুরঘুর করতেছিলাম মেয়েটাকে আসতে দেখে সোজা হয়ে দাড়ালাম। হাটতেছিলো আর কী যেন প্যাকেটে খুজতেছিলো৷ হাতে প্যাকেট থেকে কী যেন বের করে ফেলে দিলো। আমি ওর সামনেই ছিলাম। সেগুলো আমার জুতোর উপর পড়লো। তাকিয়ে দেখলাম মরিচ। রাগী দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকাতেই ও ভোঁ দৌড় দিলো। ওর পেছনে আমিও গেলাম। মাথা আমার প্রচন্ড গর’ম। পাশের একটা গলিতে ঢুকে দেখলাম ও নাই। আশেপাশে তাকিয়ে ওকে খুজতেছি তখনই দেখলাম মধ্যবয়স্ক একজনকে জড়িয়ে ধরে ও এদিকে আসতেছে। আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো আমি ওদের কথপোকথন শুনছিলাম।
-‘ আঙ্কেল তুমি আমাকে বলছিলা আজকে আইসক্রিম খাওয়াবা। এখন খাওয়াও’
আমি ওর দিকে শুধু তাকিয়েই থাকলাম। একটু আগে ও যাকে মৃ’ত বলে কষ্ট পাচ্ছিলো সে বেঁচে আছে! লাইক সিরিয়াসলি? একটা মানুষ আলু আর ঝালমুড়ির জন্য এই পর্যায়েও যেতে পারে?
.
.
চলবে

#What_a_হাসবেন্ড
#Tamanna_Tabassum(লেখনীতে)
#পর্ব-২০
ভাগ্যটা আমার ভালো নাকি খা’রা’প জানি না কিন্তু মেয়েটাকে প্রতিদিন দেখতাম। ওই রাস্তায়, ওই ঝালমুড়িওয়ালার ওখানে। সাথে একটা মেয়েকে নিয়ে আসবে আর বকবক করবে।
.
একদিন আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে বলল ওরা এসে নাকি আমার খবর করবে। ওভাবে পালিয়ে এসেছি কেন? এই সেই অনেক কথা বলল।
আমি কেবল হু হা করে ফোন রেখে দিলাম।
আব্বুর একটা কাজের জন্য পরেরদিন আমাকে কুমিল্লা যেতে হলো। কাজ শেষ করে ফিরে আসলাম বাসায়। বিকেলের দিকে আমার বোন হৃদি বলল,
-‘ ভাইয়া আমাকে বাহিরে নিয়ে যাবা?’
-‘ কেন?’
-‘ ফুচকা খাবো ‘
-‘ এইসব খেয়ে খেয়ে মোটা হচ্ছিস। পরে দেখিস কেউ বিয়ে করবে না ‘
ও ন্যাকা কান্না করতে করতে আম্মুর কাছে গেলো। কিছুক্ষণ পর এসে বলল, ‘ আম্মু বলেছে তোমাকে বাহিরে যেতে ‘
-‘ কেন?’
-‘ আমি ফুচকা খাবো তাই ‘
-‘ পারবো না ‘
-‘ আমাকে না নিলে গেলে তোমার ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন ধুলোর সাথে মিশে যাবে ‘
-‘ থাপ্প’ড় খাবি ‘
-‘ তাহলে নিয়ে চলো ‘
বলেই নাচতে নাচতে চলে গেলো। খুব ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার, এখন সেইদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ! একদিন সফল হবো।

________________

অনেক চিল্লাচিল্লির পর আমি হৃদিকে নিয়ে বের হলাম। সে তো প্রচুর খুশি, রাস্তা দেখে শুধু নাচতে পারতেছে না। হঠাৎ ও বলল, ‘ ভাইয়া আজ ফুচকা না ঝালমুড়ি খাবো। তোমাদের কলেজে যাওয়ার রাস্তার ঝালমুড়ি৷ ‘
আমার হঠাৎ ওই মেয়েটার কথা মনে পড়লো। আমাদের কলেজের ওইদিকে ওই ঝালমুড়ি তারমানে ওই মেয়ের সাথে দেখা হবে? মোবাইলে দেখলাম ৪ টা বাজে, মেয়েটাকে ২টার দিকে ওইদিকে দেখতাম। এখন যদি আবার দেখি!
হৃদিকে নিয়ে ওই রাস্তায় গেলাম। ঝালমুড়ি কিনে দিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটা কোথাও নেই। এরইমধ্যে হৃদির খাওয়া শেষ ঝালমুড়িওয়ালাকে টাকা দিতে উনি বললেন, ‘ তুমি ওইদিন কিছু না বললে মানুষগুলো আমাকে মাই’রা ফালাইতো। মাইয়াডা অনেক ব’জ্জা’ত ‘
আমি সুযোগ বুঝে জিজ্ঞেস করলাম মেয়েটার নাম।
উনি বললেন,’ লগের মাইয়ায় তো মুন ডাক দেয়, ওইটাই ‘
-‘ মেয়েটাকে তা’ড়িয়ে দিতে পারেন না? এতো ফা’জিল!’
এটা বলায় উনি বললেন ও নাকি এর আগেও এইসব করেছিলো। ঝালমুড়ি দিবে না বললে রাস্তায় কান্নাকাটি শুরু করে দেয় তাই দিতেই হয়। উনি আরও বললেন মেয়েটা নাকি জামাকাপড়ের মতো ঝালমুড়িও দামদর করে কিনে। প্রথম প্রথম ঝালমুড়ি খেয়ে খুচরা ১০ টাকা চাইতো। বলতো ৭ টাকা ফেরত দেন। খুচরা না দিলে টাকা না দিয়েই চলে যেতো। এরপর থেকে প্রতিদিন ওনার উপর ওই মেয়ের অত্যা’চার চলতে থাকে। মেয়েটার মা এসে ধম’ক দিলেও কাজ হয় না, সে ঝালমুড়ি ছাড়া কোথাও যাবে না, আর শুধু ঝালমুড়ি না ঝালমুড়ির সাথে আলু বেশি না দিলে চিল্লায় রাস্তা উঠায় ফেলে। এইসব শুনে আমি আর বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না। হৃদিকে নিয়ে এসে পড়লাম। আসার সময় লোকটাকে বললাম, এইখানে যেন আর না আসে। লোকটা ইশারায় কী যেন বলল, আমি বুঝলাম না।

পরেরদিন ওই রাস্তা দিয়ে আসার সময় আবার মেয়েটাকে দেখলাম এইদিকেই আসছে। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম ২.৩৭ বাজে। স্কুল ছুটি দিলেই এইখানে আসে। ঝালমুড়িওয়ালা ওকে দেখে না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছে। ঝালমুড়িওয়ালাকে চলে যেতে দেখে ও দৌড়ে সেদিকে গেলো।
-‘ ও মামা কই যান ‘
-‘ বাড়ি ‘
-‘ কেন? আমি ঝালমুড়ির জন্য আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন! এই কাজটা কী করে করলেন আপনি? আপনার একটাবারও কী কাজটা করতে বুকটা কেঁপে উঠে নি?’
-‘ দেখো মেয়ে এইসব রঙঢঙ আর চলবে না। আমি আর ঝালমুড়ি বেচবো না ‘
-‘ কেন?’
-‘ এমনিই ‘
-‘ আপনি এ কাজ করতে পারেন না ‘
-‘ পারি। এই যে করছি ‘
-‘ এমন অনৈ’তি’ক কাজ আমি মানবো না। ঝালমুড়ি না বেচলে আমি খাবো কী?’
-‘ কে তোমার মা তোমাকে খাওয়ায় না?’
-‘ না, খেতে দেয় না। সকালে ঠান্ডা ভাত দেয়, দুপুরে গরম ভাত দেয়, আর রাতে নরমাল ভাত দেয় ‘
-‘ ভালো তো৷ তাইলে আর তোমার ঝালমুড়ি লাগবে না ‘
-‘ না লাগবে। এইগুলো খাই বলেই তো লাগে। সকালে ঠান্ডা ভাত মানে বুঝেন? ফ্রিজ থেকে নামানো ঠান্ডা! আইসলেন্ডেও এমন ঠান্ডা নাই ভাত যতো ঠান্ডা। আর গরম ভাত বুঝেন? চৈত্র মাসের মতো গরম! চৈত্র মাসেও এতো গরম পড়ে না ভাত যতো গরম। আর নরমাল ভাত বুঝেন? ‘
-‘ থাক! আমার বুঝে কাজ নাই। নাও তুমি ঝালমুড়িই খাও। বুঝতে পারছি তোমার মা তোমারে ভালো কিছু খাইতে দেয় না। ‘
-‘ হ্যাঁ, একদম দেয় না 😐 ‘
-‘ এমন বেঈ’মা’ন পোলাপান জানি কারো ঘরে না হয় ‘
-‘ কী বললেন মামু?’
-‘ কই কিছু না তো 🙂 ‘
-‘ ওওওও ‘

কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ঝালমুড়িওয়ালা বলল, ‘তুমি না বলছিলি তোমার কোন আঙ্কেল বলে মা’রা গেসে। ‘
মেয়েটা ভাবুক হয়ে বলল,’ হ্যাঁ! বলছিলাম মা’রা যেতে পারে ‘
-‘ মা’রা গেসে বলছো’
-‘ আরেএ না’
-‘ কালই তো বললা ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য। আমাকে তুমি ওইজন্য আঙ্কেল ডাকো ‘
-‘ কিন্তু আমি তো তোমাকে মামা ডাকি ‘
-‘ কাল তো…..
-‘ আরে না না। তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে। আসলে বয়সের কারণে এমন হয় আমি বুঝি। আমি তোমাকে মামাই ডাকি সবসময়। আর কাল যে আঙ্কেলের কথা বলছিলাম সে ম’রতে ম’রতে বেঁচে গেসে কীভাবে জানি। আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে ম’রে যাবে কিন্তু ম’রে নি। বেঁচে আছে। তুমি নিজেই তো আমাকে বললা তোমার কোন আঙ্কেল বলে মা’রা গেসে তাই তুমি ফ্রীতে ঝালমুড়ি দিচ্ছো।’
-‘ কীহ! আমার? আঙ্কেল? মা’রা গেসে? কবে?’
-‘ ওমা কালই তো বললেন! আপনার মনে নেই? এইজন্যই তো বললাম আপনার বয়স হয়েছে৷ কিছু মনে থাকে না ‘
-‘ আমার কোনো আঙ্কেল নাই মা’
-‘ কেন ভাই? কেন নাই?’
-‘ জানি না বইন ‘
-‘ খুঁজে দেইখেন আপনি, আছে হয়তো ‘
-‘ না থাক!’
-‘ ঠিকাছে, তাহলে আসি আমি। কাল আসবো। ‘
বলেই চলে গেলো। ঝালমুড়িওয়ালা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। আমি দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি৷ আমি কথা বলার ভাষা হারি’য়ে ফেলেছি। কিছু আমার আর বলার নাই। হঠাৎ মেয়েটা আবারও আসলো৷
-‘ মামা, আপনি বলছিলেন না চলে যাবেন? ‘
-‘ হ্যাঁ! বলেছিলাম ‘
-‘ যাবেন না প্লিজ! আপনি চলে গেলে আমরা সবাই আপনার হাতের ঝালমুড়ি মিস করবো ‘
-‘ বাড়িতে মুড়ি দিয়া তরকারি মাখায় খাবা ‘
-‘ না বাসার টা মজা না। আপনার টা মজা ‘
-‘ তবুও অভ্যাস করো। আমি না থাকলে কী করবা?’
-‘ আর আপনি ঝালমুড়ি না বেচলে কী করবেন? কী খাবেন?’
-‘ আইসক্রিম আর নাহলে হাওয়াই মিঠাই ‘
-‘ আইসক্রিম? ওয়াও, আমার জন্য চকলেট ফ্লেভার আনবেন। ঠিকাছে তাহলে আমি আপনাকে যেটা আনতে বলবো আপনি সেটা আনবেন। তাহলে এখন থেকে আপনি আইসক্রিমওয়ালা! ‘
-‘ ভাবছি আইসক্রিম আনবো না হাওয়াই মিঠাই আনবো ‘
-‘ ওও, আচ্ছা তাহলে তো আরও ভালো। হাওয়াই মিঠাই আমার খুব প্রিয়৷ ঠিকাছে আনেন। আমাকে কিন্তু ডিসকাউন্ট দেওয়া লাগবে মামা আমি আপনার নিয়মিত কাস্টমার ‘
-‘ না থাক! ভাবছি এইগুলোর কোনোটাই আনবো না। ঝালমুড়িই আনবো! ‘
-‘ ও😍, থ্যাংকস! কাল তাহলে দেখা হচ্ছে আমাদের। বাই! আঙ্কেল আমার জন্য বেশি করে আলু আনবেন প্লিজ ‘
দৌড়ে চলে গেলো মেয়েটা। লোকটা বসে বসে বলল, ‘ ভাবছি আমি আর আসবোই না। কিছুই বেচবো না। ‘
গাড়ি নিয়ে কী যেন বলতে চলে গেলো। আমিও এসে পড়লাম।
.
চলবে😔

#What_a_হাসবেন্ড
#Tamanna_Tabassum(লেখনীতে)
#বোনাস_পর্ব
ভ্রমণ এই জীনিসটার প্রতি আমার কোনো সময়ই আগ্রহ ছিলো না, আর কখনো হবে কীনা জানিও না। আমি আমার রুমে থাকতে অনেক বেশি পছন্দ করি। একা থাকতে পছন্দ করি। বন্ধুরা সাজেক থেকে এসেই আমাকে ধরলো। ওদের এইসব আমার অনেক বিরক্ত লাগে, কিছু থেকে কিছু হলেই কি’লায় একেবারে বারোটা বাজিয় দেয়। বিরক্ত হয়ে বলে দিলাম, ‘এইসব ঘুরাঘুরি আমার পছন্দ না’
আমার কথা শুনে ওরা বলল, ‘ আমাদের সাথে তো গেলি না, মনে রাখিস। অ’ভি’শা’প দিলাম! তোর বউ প্রচুর, মা”রাত্মক, ভয়ংক’র পরিমানে ভ্রমণ প্রিয় হবে। তখন তোকে তোর বউ বেঁধে ঝুলাইতে ঝুলাইতে ঘুরাবে। ‘ -”
.
এরপর আর কিছু লিখা নেই। মুন কতগুলো পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখলো আর কোনো লেখা নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ২.১৭ বাজে। হৃদয় ঘুমুচ্ছে৷ মুন আবারও ডাইরির কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টালো। ডাইরির একেবারে শেষের দিকে লেখা পেলো। ও আবারও পড়তে আরম্ভ করলো৷
” আজ অনেকদিন পর লিখতে বসেছি। পড়ালেখা, টিউশনি সব মিলিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। আমি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমি আজ অনেক খুশি৷ ইদানীং আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে আমি বুঝতে পারছি৷ আগের মতো গম্ভীরমুখো নেই আমি। একটু আকটু ঘুরাঘুরি করি। আর প্রতিদিন একবার হলেও ওই রাস্তায় যাই৷ আমার এখনো ওই আঙ্কেলটার কথা মনে আছে। সেদিনের পর আর দেখা হয় নি ওনার সাথে। ওই ঝালমুড়ি ঘটনার পর থেকে আমি আর ওই রাস্তায় যেতাম না। মেয়েটাকে আমার সম্পুর্ন বিরক্ত লাগতো৷ বেশি দরকার হলে ঘুরে একঘন্টা দেরি করে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতাম তাও ওই রাস্তায় যেতাম না। এভাবে প্রায় অনেকদিন কে’টে যায়। মেয়েটার কথাও প্রায় ভুলে গেছিলাম। হঠাৎ একদিন আব্বু আমার হাতে একটা ব্রিফকেস ধরিয়ে দিয়ে বলল যাত্রাবাড়ী যেতে। ইচ্ছা না থাকলেও বের হলাম। যাওয়ার সময় কোনো সমস্যা হলো না কিন্তু আসার সময় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হলো। বাস ন’ষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আধাঘন্টা পর ড্রাইভার বলল বাস ঠিক হয় নি আমাদের সবাইকে অন্য বাসে উঠিয়ে দিবে। ড্রাইভার আমাদের একটা বাসে উঠিয়ে দিলেন। বাসে উঠে প্রথমেই একেবারে শেষের সীটে বসা একটা মেয়েকে দেখলাম। না এমনটা না যে বাসে আর কেউ ছিলো। বাসভর্তি মানুষ ছিলো, এরমধ্যে যে কয়েকটা সীট খালি ছিলো সেগুলোতে আমরা বসে পড়লাম। লোকজন ড্রাইভারের উপর অনেক ক্ষেপেছিল। বাসে জায়গা না থাকা সত্ত্বেও কেন যাত্রী নিলো? এই সেই অনেক ঝগড়া হলো। আমি আবার এইসব ঝামেলার মধ্যে নেই। একটা খালি সীট পেয়ে সেটাতে তারাতাড়ি বসে পড়লাম আর এমনভাব করলাম যেন আমি আগে থেকেই এই বাসে ছিলাম। এতো চাপাচাপিতে আমার অবস্থা খা’রাপ হয়ে গেলো। আমি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকে সরে দাঁড়াতে বললাম। লোকজন তখনও ঝগড়া করছে। তাদের সাথে আমিও যোগ দিলাম। ড্রাইভারকে বললাম, ‘এই আপনার কী কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই? বাসভর্তি থাকার পরও কীভাবে লোকজন উঠালেন? ‘
আমার কথা শুনে অনেকে আমার দিকে তাকালো। একজন বলে উঠলো,’ আপনিও তো আমাদের সাথে ছিলেন! খালি সীট পেয়ে বসে গেছেন। এখন আবার আমাদের উপর চিল্লাচ্ছেন। ‘
পুরো শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেলো। এমন পরিস্থিতিতে আমি জীবনে পড়িনি। এমন কাজও জীবনে করিনি। ওনার এই কথার পর কী বলা উচিৎ? আমি কিছু বলবো তার আগেই আমার পেছনে বসা একজন লোক বলল, ‘ এই ছেলেটা আগে থেকেই এখানে বসেছিলো৷ আমি দেখেছি। এইসব কথা বলে মানুষজনদের বিব্রত কেন করছেন? ‘
লোকটার এমন কথায় আমি ভীষণ অবাক হলাম। আমি আগে থেকে ছিলাম?সত্যিই? কিন্তু কীভাবে?
সন্দিহান হয়ে পেছনে তাকাতেই মধ্যেবয়স্ক লোকটা ভূবণভোলানো এক হাসি দিলো। সাথে সাথে আমি ভরকে গেলাম। তারাতাড়ি সোজা হয়ে বসলাম। লোকটা মিথ্যে বলল কেন?
অনেকক্ষণ পর আমি আবার পিছনে তাকালাম। সবাই যখন ঝগড়া করতে ব্যস্ত তখন পেছনে একটা মেয়ে হে হে করে হাসছে। বাসে উঠেই ওকে দেখেছি। চেহারাটা কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে। কোথায় দেখেছি?
আমি খুব বিরক্ত হয়ে মেয়েটাকে দেখতে লাগলাম। একটু পর বিরক্ত দৃষ্টি মেয়েটার দিকে নিক্ষে’প করছি, হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। দেখলাম পেছনে বসা সেই লোকটা হাসছেন। কেন যেন আমার ওনাকে ভয় করছে। আমি নিজেকে সামলে মনে সাহস যুগিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ আমরা কী একে অপরকে চিনি?’
লোকটা হাসতে হাসতে বলল, ‘ না তো। ‘
-‘ তাহলে হাসছেন যে? ‘
-‘ আপনি কী আমাকে চেনেন? ‘
-‘ না তো। ‘
-‘ তাহলে আমার দিকে কিছুক্ষণ পর পর তাকাচ্ছেন কেন?’
আমি আবারও সোজা হয়ে বসলাম। লোকটা আমার সাথে এভাবে কথা বলছে কেন?জিজ্ঞেস করবো? পেছনে ফিরে দেখলাম উনি এখনো হাসছেন। আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম, ‘ আপনি তখন মিথ্যে বললেন কেন?’
-‘ আপনিও তো মিথ্যে বলেছেন ‘
-‘ আপনি সত্যিটা বলতে পারতেন ‘
-‘ হ্যাঁ, কিন্তু বলিনি। ‘
-‘ কেন? ‘
-‘ জেনে শুনে কাউকে বিপ’দে ফেলতে তো আমি পারি না। আপনি ইচ্ছে করে বাসে আসেন নি, সমস্যা হয়েছে দেখেই এসেছেন। এই একটা সীট খালি ছিলো, সীটটা আপনার ভাগ্যে ছিলো তাই বসেছেন। ‘
-‘ কিন্তু আপনি তো বললেন যে আমি আগে থেকেই ছিলাম। আমাকে দেখেছেন আপনি । আমি তো ছিলাম না। এটা বললেন কেন?’
লোকটা একগাল হেঁসে বললেন, ‘ মাঝেমধ্যে বা’টপারি করতে ভালোই লাগে, বুঝলেন!’
ওনার কথায় আমি অবাক হলাম। লোকটা কী বোঝাতে চাইলো? এরপর আরও কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর শুনলাম উনি কার সাথে যেন কথা বলছেন। তাকিয়ে দেখলাম ওই মেয়েটা৷ লোকটাও মেয়েটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।মনে হচ্ছে এরা একে অপরকে চেনে। অনেকক্ষণ কথা বলার পর লোকটা হঠাৎ মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করলো। আমি শুনলাম মেয়েটা বলছে, ‘ আমার নাম মুন ‘
সাথে সাথে আমি পেছনে তাকালাম। মেয়েটাকে ভালোমতো দেখলাম। হ্যাঁ হ্যাঁ এইতো সেই চেহারা, এইজন্যই তো চেনা চেনা লেগেছে। ওইদিকে যাওয়া বন্ধ করেছি অনেকদিন, প্রায় ৪ বছর। মেয়েটা বড় হয়ে গেছে। চেহারায়ও অনেক পরিবর্তন এখন আর বাচ্চাভাব টা নেই। তাই চিনতে পারিনি। যাই হোক মেয়েটা আমাকে চেনে না। মেয়েটা এখনও আগের মতো চঞ্চল! আচরণে পরিবর্তন আসে নি। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আমি সোজা হয়ে বসলাম। আমার পেছনে বসা লোকটা আমাকে বলল, ‘ মেয়েটাকে চিনেন আপনি?’
আমি বললাম, ‘ না, ওইরকম চিনি না। কিন্তু দেখেছি এর আগে। ‘
-‘ ওও। মেয়েটা অনেক প্রানবন্ত, চমৎকার ‘
আমি ওনার কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম। মধ্যবয়স্ক বা মুরুব্বিরা সাধারণত চঞ্চল মেয়েদের পছন্দ করে না, আর উনি প্রশংসা করছেন? মেয়েটাকে আমারই তো বিরক্ত লাগে। আমি লোকটাকে ও কী করেছে আগে সব বললাম। আমার কথা শুনে লোকটা অনেক হাসলো। আমি অবাক হয়ে কেবল ওনাকে দেখছি। আমি বললাম,’ দেখেছেন মেয়েটা কেমন!’
উনি বললেন, ‘ যেমন ভেবেছি এর থেকেও চমৎকার ‘
-‘ কী বলছেন! ওই ঝালমুড়িওয়ালার অপ’মান করলো এতোকিছু করলো আর আপনি বলছেন চমৎকার! ‘
-‘ হ্যাঁ,অবশ্যই চমৎকার! তুমি মেয়েটাকে কতোটুকু চেনো? দূর থেকে শুধু ফাজলামো গুলো দেখেছো৷ এরপর ওর আরেকটু খোজ নিয়ে দেখতে যে আসলে ঘটনা কী! ওই ঝালমুড়িওয়ালা কোথায় এখন?’
-‘ জানি না ‘
-‘ খোজ নিয়ে দেখা উচিৎ ছিলো। একটা মানুষকে উপর থেকে শুধু দেখে সম্পুর্ন মানুষটাকে চেনা যায় না। তুমি মেয়েটার সম্পর্কে যেমন বলছো এমনও হতে পারে আমিও তোমার সম্পর্কে তোমাকে নিয়ে এমন কিছু ভাবছি যেটা তুমি নও। একটু আগে কী করেছো ভুলে গেলে কী?’
-‘ না, ভুলিনি। আমি কখনো এমন করি না। আজ কীভাবে যেন হয়ে গেলো। ‘
-‘ হ্যাঁ, সেটাই। কাউকে এইভাবে জাজ় করা যায় না কখনো। ‘
-‘ আচ্ছা ধরেন, আপনার সামনে কেউ দোকান থেকে কিছু চু’রি করে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে মানুষজন তাকে চো’র বললে সেটা কী দোষের?’
-‘ হ্যাঁ, অবশ্যই ‘
-‘ কীহ!!’
-‘ কেউ কখনো অযথা চু’রি করে না। নিজের নাম খা’রাপ করে না। ‘
-‘ মেয়েটার এইসব করার পেছনে কারণ? ‘
-‘ তা তো আমি জানি না। কিন্তু ওই ঝালমুড়িওয়ালা যদি মেয়েটাকে একটু আলু দিতো তাহলে কী হতো? ‘
চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে