তোমার মতো ছেলেকে নিয়ে চিঠি লিখবো এ যে আমার কল্পনারও অতীত।
তবুও লিখতেই হচ্ছে!
সারারাত চোখের জলের নুন মেখে,
দগদগে ঘা’য়ে,
নিজেকে পোড়াতে পোড়াতে তবুও লিখতেই হচ্ছে তোমাকে নিয়ে,
নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে।
জানো কবি! তোমাকে মনে পড়লেই কষ্টের বাষ্প ফোটে আমার দুটি চোখে।
চাই না !
তবুও কেন জানি না তোমার ছবি হৃদয়ের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে।
জানি তো সামনা সামনি দাঁড়িয়ে কোনোদিনও আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস তোমার নেই।
তাই ইন্দ্রজিত এর মতো মেঘের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে একটার পর একটা শুকুনির দান চেলে গেছো তুমি!
ভাবছো কিছুই বুঝি না!
বুঝি,
সবই বুঝি আমি।
কিন্তু অবুঝের মতোই দেখে গিয়েছি শুধু।
আজ তোমার কাছে আমার একটাই প্রশ্ন।
ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে কেনো এসেছিলে জীবনে?
কেন কাঁদালে আমায়?
কেড়ে নিলে আমার স্বপ্ন দেখার অধিকার!
তোমার জন্যই আজ আমার রাত জাগার রুটিন।
তবুও একবুক হাহাকার বুকে নিয়ে অভিশাপ দিতে পারিনি তোমায়।
তোমা বিহনে একা,
একা দগ্ধ আমি আজও তোমায় আগের মতোই ভালোবাসি।
জানো সখা!
আমার বুকের বাঁ’দিকে ভিষণ ব্যথা।
তারপরও হারিয়ে যাওয়া ক্ষণটুকু গচ্ছিত আছে হৃদয়ে।
আফসোস শুধু তোমার ফেলে রাখা ধোঁয়াটে সময়ের রঙ্গমঞ্চের অভিনয়টা প্রথম কেন ধরতে পারি নি?
আজ তুমি আমার থেকে অনেক অনেক দুরে।
কিন্তু রাতের আঁধার যে বেশিক্ষণ থাকে না প্রিয়!
তোমার বোঝানো ভুলে তাই একদিন না একদিন মরচে পড়বেই,
আর সেদিনই খুলে যাবে সীমান্ত পথ ।
তুমি হেরে গেছো কবি,
হেরে গেছো পবিত্রতার কাছে।
হেরে গেছো তুমি আমার ভালোবাসা’র কাছে।
ভাবতে তবু অবাক লাগে তুমি নাকি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসো আমাকে!
এ তোমার কেমন ভালোবাসা ছিলো কবি!
যাকে তুমি নিজের প্রেমিকা বলে ভাবো তার জন্যই সারাটা পথ জুড়ে তুমি এঁকে দিলে কাঁটার পাহাড়!
তবে আজ না হয় কাল তোমার সূর্যও জেনে যাবে আসল নকল।
তখন কি তোমার বাতাসে জমবে না একটুও লজ্জার শ্বাস?
না কি আয়নারা হেসে হেসে দেখাবে না স্বরূপ তোমার!
তোমাকে আজ আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে কবি!
‘কলেজ গেইট’ সেই অগোছালোময় রেস্টুরেন্টের কথা তোমার মনে আছে?
যে টেবিলে বসে কফির ধোঁয়া সরিয়ে তুমি একদিন আমার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলেছিলে
‘ভালোবাসি’ সেই টেবিলেই অপেক্ষায় থাকবো ঠিক অপরাহ্নে শেষবারের মতো তোমার জন্য।
চলবে…